হিট স্ট্রোক কী? এর লক্ষণ কী? এর কোনো চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে কি?
হিট স্ট্রোক কী? এর লক্ষণ কী? এর কোনো চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে কি?
হিট স্ট্রোক :
হিট স্ট্রোক হচ্ছে দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধ্বি পেয়ে সৃষ্টি হওয়া এক প্রকার জটিলতা। স্বাভাবিক দেহের তাপমাত্রা ৯৮ ফারেনহাইট। যদি এটি ১০৪ ফারেনহাইট ক্রস করে তখন হিট স্ট্রোক হতে পারে। হিট স্ট্রোক এক প্রকার মেডিকেল ইমার্জেন্সি যেখানে সাথে সাথে রোগীকে চিকিৎসা না দেয়া হলে রোগী মৃত্যুবরণ করতে পারে।
হিট স্ট্রোকের কারণ:
Dehydration হিট স্ট্রোকের প্রধান কারণ। হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে প্রচন্ড গরমে দেহে পানি কমে গিয়ে যেন dehydration না হয় তা নিশ্চিত করা ও বেশি গরমে ভারি শারীরিক পরিশ্রমে না জড়ানোই উচিত।
হিট স্ট্রোকের লক্ষণ :
শরীরের তাপমাত্রা অসহনীয় অবস্থায় চলে গেলে যেসব জটিলতা দেখা যায়:
– মাথা ঝিম ঝিম করা
– বমি করা
– অবসাদ ও দুর্বলতা
– মাথা ব্যথা
– মাংশপেশির খিঁচুনি
– চোখে ঝাপসা দেখা
এছাড়া সেসময়ে ঘামের অনুপস্থিতি, চামড়া খসখসে লাল হয়ে যাওয়া, পালস বেড়ে যাওয়া, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, মাতালের মত ব্যবহার, হ্যালুসিনেশন, কনফিউশন, অশান্তি, খিঁচুনি ইত্যাদি লক্ষণও দেখা যায়।
যারা স্ট্রোকে বেশি আক্রান্ত হয় :
ছোট বাচ্চা, বয়স্ক লোক, ব্যায়ামবীর বা দিনমজুরদের হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা খুবই বেশি। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটি খুবই ভয়াবহ, বাচ্চাদের দেহের তাপ নিয়ন্ত্রণ করার সিস্টেম ডেভেলপড না হওয়ায় তাদের হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেশি।
হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির প্রাথমিক চিকিৎসা :
হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির প্রাথমিক চিকিৎসায় তাকে ছায়াযুক্ত একটি জায়গায় নিয়ে আসুন, গায়ের ভারি কাপড় খুলে দিন, তার গায়ে ঠান্ডা পানি ঢালুন। তাকে সম্ভব হলে ফ্যানের নিচে বা এসি রুমে নিয়ে আসুন। এতে গায়ের ঘাম উড়ে যাবে। সম্ভব হলে তার বগল ও রানের ভাঁজে বরফ দিন। একটি থার্মোমিটার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা মেপে দেখুন এবং ১০১-১০২ ডিগ্রী ফারেনহাইটে আসা না পর্যন্ত তাকে ঠান্ডা করা চালিয়ে যান।
হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা :
– গরমের সময় দেহকে dehydrated হতে না দেয়া।
– শরীরে পানির পরিমাণ স্বাভাবিক রাখতে প্রচুর পরিমাণ পানি, ডাবের পানি, ওরাল স্যালাইন পান করা।
– বেশি গরমের সময় ব্যায়াম বা ভারি কায়িক পরিশ্রম না করা।
– গরমে বাইরে বের হলে সাদা বা হালকা রঙের কাপড় পরে বাইরে বের হওয়া।
– ঘামের সাথে দেহের লবণ বেরিয়ে যায়, তাই দুর্বল লাগলে খাবার স্যালাইন খাওয়া। ধন্যবাদ