একটু লম্বা সময়ের ব্যাপার, কিন্তু কঠিন নয়। আপনি যার আত্নবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে চাচ্ছেন সে যেন কোন ভাবেই না জানেন আপনি কি করতে চান। তিনি কোন ভাবে যদি বুঝতে পারেন আপনি তাকে সাহায্য করছেন তখন ওই ব্যক্তি ভেতর থেকে কঠিন হয়ে যাবে। আপনি যত বড় সত্যি কথাই বলেন না কেন, সে কিছুই বিশ্বাস করবেনা। আপনার প্রতিটি কথাকে সে মিথ্যে ধরে নেবে। সে ভেবেই নেবে, আপনি যা করছেন সব তাকে শান্তনা দেয়ার জন্য, তাকে আত্নবিশ্বাসী হতে সাহায্য করার জন্য।

কাউকে এই ধরনের সাহায্য করতে চাইলে সবার আগে একটি ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে শুরুতেই, সে আপনাকে কতটা বিশ্বাস করেন। আপনার প্রতি তার ভরসা কতটা তার উপর নির্ভর করবে আপনাকে বিশ্বাস করে সে নিজের উপকার করবে কিনা।

বেশিরভাগ সময় তাকে বোঝাবেন সে যা বলছে বা করছে তা সঠিক এবং মাঝেমধ্যে তা চমৎকার। বেশি উৎসাহ দিতে গেলে সন্দেহ করতে পারে। এভাবে ছোট বড় ব্যাপার গুলোতে মাঝেমধ্যে প্রশংসা করবেন এবং এটা কেন প্রশংসার যোগ্য তা ব্যখ্যা করবেন।

একটা কথা বলি, কিছু মানুষের স্বভাব কিন্তু এমনই হয়। মানে আত্মবিশ্বাসহীন। আপনি যতই চেষ্টা করবেন খুব একটা সুবিধা করতে পারবেন না। তাকে খুব একটা বদলাতে পারবেন না। কিছু ব্যক্তিত্বহীন মানুষ থাকে, আপনি ভাববেন বয়স বাড়ার সাথে সাথে হয়তো ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন হবে। কিন্তু না, তারা একই রকম থাকবে। মানুষের জন্মগত স্বভাব কখনো বদলায় না। কিছুটা পরিবর্তন হয়তো নিজের চেষ্টায় আর পরিবেশের প্রভাবে হয় কিন্তু সবটুকু আগের মতোই থাকে।

চেষ্টা করতে থাকেন, একদম বিফল কিন্তু হবেন না। যতটুকু আশা করছেন ততটুকু যদি না হয় তাহলে আপনি আবার হতাশ হয়ে যাবেন না যেন। ☺