আপনি জীবনে খুব দেরিতে কী শিখেছেন?
বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমরা সকলেই জীবন থেকে মূল্যবান কিছু বিষয় শিখি। আপনার অতীত বছরগুলির দিকে ফিরে তাকালে, আপনি ভাবতে পারেন, “আমি এখন যা জানি তা যদি আগে জানতাম”। আমরা অতীতে ফিরে যেতে পারি না এবং অতীতকে পরিবর্তন করতে পারি না, তবে আমরা সর্বদা অতীত থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি। আমি আমার অতীত জীবন থেকে শিখেছি এমন কিছু আভিজ্ঞতা নিচে তুলে ধরছি :
১. পরিবার বন্ধুদের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
২. কাউকে ভালবাসতে হলে, প্রথমে নিজেকে ভালবাসুন।
৩. জীবন সহজ, আপনি যখন জীবনকে ব্যস্ত করে তুলেন।
৪. মানুষ আপনাকে নিয়ে তেমন চিন্তা করে না। তারা নিজেকে নিয়ে চিন্তিত এবং আপনি তাদের অগ্রাধিকারের তালিকা মোটেও নেই। Everyone is out for themselves.
৫. জীবনে যা কিছু করবেন, সর্বদা আপনার সেরাটা প্রদান করুন।
৬. আপনি যতটা মনে করেন, মানুষ আপনাকে নিয়ে ততটা ভাবেনা।
৭. আপনি যে ‘একদিন’ এর জন্য অপেক্ষা করছেন, তা এখনই ঘটছে। জীবনে কোন কিছু করতে অপেক্ষা করবেন না। সাহস এবং মনোবল নিয়ে এগিয়ে যান।
৮. মানুষের সাথে সর্বদা ভালো আচরণ করুন, তাহলে আপনি প্রায় সকলের কাছ থেকে সম্মান পাবেন।
৯. কথা বলার আগে চিন্তা করুন। শব্দের অপূরণীয় ক্ষতি করার ক্ষমতা রয়েছে, সর্বদা বুঝে শুনে কথা বলুন।
১০. সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। এটি কখনই কারও জন্য অপচয় করবেন না।
১১. ভাল জিনিস সহজেই আসে না।
১২. বেশি চেষ্টা করতে কখনও ব্যর্থ হবেন না।
১৩. দেরি না হওয়ার আগে, আপনার স্বাস্থ্যের প্রথম থেকে যত্ন নিন। স্বাস্থ্যেই সকল সুখের মূল।
১৪. জীবনের প্রতিটি মুহুর্তকে কাজে লাগান।
১৫. প্রাণ খুলে বাঁচুন। জীবন উপভোগ করতে ভুলবেন না।
১৬. কম কথা বলে বেশি কাজ করুন।
১৭. সুখ একটি আপেক্ষিক বিষয়। অর্থ সুখ কিনতে পারে না।
১৮. অভিযোগ কখনও ভালো কিছু বয়ে আনে না।
১৯. কখনই জ্ঞান আহরণ বন্ধ করবেন না।
২০. দুশ্চিতা করে কিছুই অর্জন করা যায় না।
২১. ব্যর্থতা মানেই সমাপ্তি না।
২২.আপনার মানসিক স্বাস্থ্য আপনার পুরো শারীরিক স্বাস্থ্যর মতোই গুরুত্বপূর্ণ।
২৩. সর্বদা কঠোর পরিশ্রম ও অবিরাম কাজ করা মানে, স্মার্ট কাজ করা নয়।
২৪. এমন মানুষ থেকে দূরে থাকুন, যারা সর্বদা নিজেকে পরিস্থিতির শিকার হিসাবে দেখেন।
২৫. পিতামাতারা সব সময় ঠিক থাকেন না, কিছু সময় তাদের ভুল ধরিয়ে দিতে হয়।
২৬. কোনও কিছুই আপনা-আপনি বদলে যাবে না, আপনার নিজের এটি পরিবর্তন করতে হবে এবং আপনি নিজেকে আগে সহায়তা না করা ছাড়া কেউ আপনাকে সাহায্য করতে আসবে না।
২৭. যে কোনও কারণে নিঃসঙ্গ থাকা – পর্যাপ্ত বন্ধু নেই, যথেষ্ট ভাল বন্ধু নেই, একটি নতুন পরিস্থিতিতে চলে যাওয়া এবং পুরানো বন্ধুদের পিছনে রেখে যাওয়া – আপনাকে কিছু বোকামি সামাজিক সিদ্ধান্ত নিতে পরিচালিত করতে পারে।
২৮. হাই স্কুল, কলেজ এমনকি ভার্সিটিতে রোমান্টিক সম্পর্কে না থাকাটা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক।
২৯. কিছু না করে অলসভাবে বসে থাকার চেয়ে, জমে থাকা কাজ শেষ করা বেশি আনন্দদায়ক।
৩০. বড় স্বপ্ন দেখুন এবং বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিন।
৩১. যা আপনার করতে ভালো লাগে তাই করুন।
৩২. আপনি যা করতে চান না, তা সরাসরি নিষেধ করে দিন।
৩৩. আপনি যদি মানুষকে আপনার সুবিধা নিতে দেন, তবে তারা তাই করবে।
৩৪. কেবলমাত্র আপনি যা করতে পারেন, তার অর্থ এই নয় যে আপনার তা করা উচিত।
৩৫. অভিযোগ করা বন্ধ করুন।
৩৬. নিজেকে ভালবাসা এবং শ্রদ্ধার সাথে বরণ করুন।
৩৭. আপনাকে ভালবাসে এমন লোকদের কখনই ত্যাগ করবেন না।
৩৮. আপনার গন্তব্য জানুন। Don’t sleepwalk through life.
৩৯. আপনি এখন যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন তা ভবিষ্যতে আপনাকে প্রতিদান দিবে।
৪০. আপনার জীবনের যে কোনও মুহুর্তে আপনাকে কষ্ট দিয়েছে, এমন সবাইকে ক্ষমা করুন।
৪১. আপনার ego বুকের কোণায় চেপে রাখুন।
৪২. সবাই কোনো না কোনো কষ্টে আছে।
৪৩. সর্বদা বর্তমানকে গুরুত্ব দিন। অতীত এবং ভবিষ্যৎ এর চিন্তায় বিভোর থাকবেন না।
৪৪. সাহায্য চাইতে কখনো ইতস্তত বোধ করবেন না।
৪৫. আপনি অবশেষে মারা যাবেন – সবকিছু অস্থায়ী, কিছুই আসলেই গুরুত্বপূর্ণ নয়।