আল্লাহ ও রাসূলের সাথে বেয়াদবি করার ফলাফল কি হবে?
আল্লাহ ও রাসূলের সাথে বেয়াদবি করার ফলাফল কি হবে?
নিউইয়র্ক প্রবাসী আওয়ামী পন্থী কলামিস্ট আব্দুল গাফফার চৌধুরীর দেয়া আল্লাহ ও রাসূল (সা.) নিয়ে কুফরি বক্তব্য প্রসঙ্গে লন্ডনের আলেম ওলামারা যেভাবে তওবা করে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলেছেন, তাতে পরিস্কারভাবে দ্বিমত পোষণ করে বক্তব্য দিয়েছেন শেড ওয়েল জামে মসজিদের প্রধান খতিব আল্লামা শায়খ মাওলানা নূরুল ইসলাম।
তিনি গত শুক্রবার জুময়ার পূর্বে এবং পরদিন শনিবার বাদ আসর তাফসির মাহফিলে প্রদত্ত বক্তব্যে লন্ডনের বাংলা পত্র পত্রিকায় আলেম ওলামাদের বক্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, আব্দুল গাফফার চৌধুরীর যে বক্তব্য আল্লাহ ও রাসূল(সা.) সম্পর্কে এসেছে, তাতে আব্দুল গাফফার চৌধুরীকে যারা তওবা করে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলছেন, তারা জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারণে কিংবা সমঝোতার কথা বলছেন। কেননা কিতাব উল্টে দেখুন, কোরআনের আয়াত, আর সাহাবীদের প্রতি আল্লাহর ঘোষণায় এ সম্পর্কে কি বলা আছে।
তিনি বলেন, আল্লাহ পাক পরিষ্কারভাবে ঘোষণা করেছেন, যে বা যারা আল্লাহ ও রাসূল(সা.) কে নিয়ে বেয়াদবি করবে, আল্লাহ পাক তার ক্ষমাতো দূরের কথা, তার তওবা কোনদিন গ্রহণ করবেন না। এখন সে যতই নামাজ, হজ্ব করুক- কারণ সেতো প্রকাশ্যে আল্লাহ ও রাসূলের(সা.) বিদ্রুপকারী। আল্লাহ ঘোষণা করেছেন, তোর এই নামাজ, হজ্ব, সদকা কোন কিছুই আমার প্রয়োজন নেই। আজ তোর স্থান জাহান্নাম। জাহান্নামের ফেরেস্তাকে ঘোষণা করবেন, ওকে ধর, পাকড়াও কর, আর ঐ জাহান্নামে নিক্ষেপ কর।
তিনি আরো বলেন, মুসল্লিগণ আপনারা অধৈর্য হবেন না। কোন শয়তান কখন কি বললো, তাতে আপনার আমার আল্লাহ ও রসূলের কিছুই আসে যায়না। ফেরাউন, নমরুদ, শাদ্দাদ থেকে বড় বড় জাহিল আর নাস্তিক্যরা অনেকভাবে আল্লাহ ও রাসূল (সা.) অপমান করার চেষ্টা করেছে, কৈ তাদের অস্তিত্বওতো আজ কেউ মনে রাখেনি। গাফফার চৌধুরী কোথায় কি বললো- এরকম পাগল সম্পর্কে পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকেই আমরা মাঝে মধ্যে অবহিত আছি, পাগল যতোই চিৎকার করুক, তার চিকিৎসা করেও কখনো লাভ হয়না, কেননা সেতো পাগলই। তবে এই সব স্বার্থান্ধ মূর্তাদদের কাছ থেকে দূরে থাকবেন, আপনার ঈমান, আমল হেফাজত কর