ইমামকে রুকূ অবস্থায় পেলে কয়টি তাকবীর দিতে হবে?

ইমামকে রুকূ অবস্থায় পেলে কয়টি তাকবীর দিতে হবে?

Add Comment
1 Answer(s)

    ইমামের রুকূ অবস্থায় কোন মানুষ যদি নামাযে শামিল হয় তবে তাকবীরে তাহরিমা দিয়ে সরাসরি রুকূ করবে। এঅবস্থায় রুকূর জন্য তাকবীর প্রদান করা সুন্নাত- ওয়াজিব নয়। তবে রুকূর জন্য আলাদা তাকবীর প্রদান করা উত্তম। তাকবীর না দিলেও কোন অসুবিধা নেই। এখানে কয়েকটি অবস্থা লক্ষণীয়ঃ

    প্রথম অবস্থাঃ ইমাম রুকূ থেকে উঠার আগে মুক্তাদী রুকূ করেছে এব্যাপারে নিশ্চিত হতে হবে। তাহলেই এটা রাক্‌আত বলে গণ্য হবে। এ অবস্থায় সূরা ফাতিহা পাঠ করা রহিত হয়ে যাবে।

    দ্বিতীয় অবস্থাঃ রুকূতে যাওয়ার আগেই ইমাম রুকূ হতে উঠে গেছেন এব্যাপারে নিশ্চিত হবে। এঅবস্থায় তার ঐ রাকাআত ছুটে গেল। তাকে তা সালামের পর আদায় করতে হবে।

    তৃতীয় অবস্থাঃ মুক্তাদি ইমামকে রুকূ অবস্থায় পেয়েছে কি না বা সে রুকূতে যাওয়ার আগেই ইমাম উঠে গিয়েছেন কি না এব্যাপারে দ্বিধা-দ্বন্দ বা সন্দেহে থাকবে। তার ধারণা যদি প্রবল হয় যে সে রুকূ অবস্থাতেই ইমামকে পেয়েছে, তবে সে রাকাআত পেয়ে গেল। আর ধারণা যদি প্রবল হয় যে, ইমামকে রুকূ অবস্থায় পায়নি, তবে তার রাকাআত ছুটে গেল। এ অবস্থায় যদি তার নামাযের কোন কিছু ছুটে যায় তবে সালামের পর সে সাহু সিজদা করবে। আর যদি কোন কিছু না ছুটে থাকে- অর্থাৎ সন্দেহযুক্ত রাকাআতটি প্রথম রাকাআত হয়, কিন্তু তার প্রবল ধারণা যে, সে রুকূ পেয়েছে। এঅবস্থায় সাহু সিজদা রহিত হয়ে যাবে। কেননা তার নামায ইমামের নামাযের সাথে সংশ্লিষ্ট। তার নামাযের কোন অংশ যদি ছুটে না যায় তবে ইমাম তার সাহু সিজদার ভার গ্রহণ করবে।

    সন্দেহের আরেকটি অবস্থা রয়েছে। তা হচ্ছে, রুকূ পেল কি না সে ব্যাপারে মুক্তাদী সন্দেহে থাকবে- কোনো দিক তার কাছে প্রাধান্য পাবে না। সে অবস্থায় নিশ্চিত বিষয়ের উপর ভিত্তি করবে। অর্থাৎ- রুকূ পায়নি। অতঃপর শেষে এই ছুটে যাওয়া রাকাআত আদায় করে সালাম ফেরানোর পূর্বে সাহু সিজদা করবে।

    এখানে আরেকটি মাসআলা উল্লেখ করা জরূরী মনে করছি। ইমাম রুকূতে গেলে অনেক লোক (যারা পরে নামাযে শামিল হচ্ছে) জোরে জোরে গলা খোকরানী দেয়, কেউ কেউ বলে (ইন্নাল্লাহা মা‘আছ্‌ ছাবেরীন), কখনো জোরে জোরে পা ফেলে। যাতে করে ইমাম একটু দেরী করে রুকূ থেকে উঠেন। এ সমস্ত কাজ সুন্নাতের খেলাফ। এতে ইমাম এবং মুক্তাদীদের নামাযে একাগ্রতা নষ্ট হয়। আবার ইমাম রুকূ অবস্থায় থাকলে অনেকে দ্রুত বরং খুব জোরে দৌড়িয়ে নামাযে আসে। অথচ বিষয়টি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কেননা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,

    إِذَا أُقِيمَتِ الصَّلَاةُ فَلَا تَأْتُوهَا تَسْعَوْنَ وَأْتُوهَا تَمْشُونَ عَلَيْكُمُ السَّكِينَةُ فَمَا أَدْرَكْتُمْ فَصَلُّوا وَمَا فَاتَكُمْ فَأَتِمُّوا

    “যখন নামাযের ইকামত প্রদান করা হয় তখন তাড়াহুড়া করে নামাযের দিকে আসবে না। বরং হেঁটে হেঁটে ধীর-স্তীরতা এবং প্রশান্তির সাথে আগমণ করবে। অতঃপর নামাযের যতটুকু অংশ পাবে আদায় করবে। আর যা ছুটে যাবে তা (পরে) পূর্ণ করে নিবে।”

    Professor Answered on July 9, 2015.
    Add Comment
  • RELATED QUESTIONS

  • POPULAR QUESTIONS

  • LATEST QUESTIONS

  • Your Answer

    By posting your answer, you agree to the privacy policy and terms of service.