ছোট বোনের সাথে কথা বললেও স্ত্রী নোংরা সন্দেহ করে…
আমি বিবাহিত। আমার বিয়ে হয়েছে ফ্যামেলিগত ভাবে। বিয়ের রাতেই জানতে পারি আমার স্ত্রীর অন্য একটা ছেলের সাথে সম্পর্ক আছে । তাকে আমার সাথে জোর করে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে। আমি ব্যাপারটি আমার বাবা এবং তার বাবাকে জানাই। দুই পরিবারে বসে মিট মাট করে।
আমরা সংসার করে আসছি আট বছর। আমাদের একটা মেয়ে আছে ,চার বছর বয়স তার। এই বিয়ের আট বছরে আমি কখনই সুখী না আমার স্ত্রীকে নিয়ে । কারণ ও একটা না একটা অনৈতিক দন্ড নিয়ে লেগেই থাকে । আর শুধু শুধু আমাকে সন্দেহ করে । যার কোন ভিত্তি নেই । এমন কি আমার ছোট বোনের সাথে কথা বল্লেও তার নোংরা সন্দেহ হয়। কি বিচ্ছিরি মনমানসিকতা!
আমি আমার মেয়েটার মুখের দিকে চেয়ে তার সব অশান্তি সহ্য করে আসছি। আর পারছিনা। এখন সে আত্মহত্যা করার হুমকি দেয়। আমার কাছ থেকে সে মুক্তি চায়। আমি এখন কী করবো?
অনেক তো সহ্য করেছেন ভাই, আর কত? আপনিও তো মানুষ! যে মানুষ আপনার সাথে থাকতেই চায় না, তাঁকে জোর করে ধরে রাখার চেষ্টা করে লাভ হবেও না আসলে। কারণ তাঁর মন পড়ে থাকবে অন্য কোথাও। দেখা যাবে চোখের আড়ালে অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছেন। আসলে সবচাইতে ভালো হতো বিয়ের সময়েই যখন সত্য জানলেন, তখন তাঁকে মুক্ত করে দিলে। তাহলে আপনিও সুখী হতেন আর সেও।
স্ত্রী যেহেতু আত্মহত্যার ভয় দেখিয়ে তালাক চায়, রাজি হয়ে যান। তাঁকে বলে দিন যে নিজেই যেন তালাক দেয়, আপনি দেবেন না। আপনি দিলে সব দোষ সে আপনার ওপরে চাপাবে। মেয়েকে নিয়ে চিন্তা করবেন না। পিতা যখন আপনি, সেটা আজীবন পিতাই থাকবেন। বা স্ত্রীকে মেয়ে আপনাকে দিলে তালাক দেয়ার শর্তও দিতে পারেন।
স্ত্রী আসলে কখনোই আপনার সাথে সুখী ছিল না। অতীতের কষ্ট তাঁর মন থেকে মোছেনি আর এটার জন্য তিনি আপনাকেই দায়ী ভাবেন। তাই একের পর এক ঝামেলা করেই গেছেন। মনে শান্তি না থাকলে এমনই হবে। নিজের বোনকে নিয়ে সন্দেহ করা তো খুব ছোট মনের পরিচায়ক। যত দিন যাবে, এই সমস্যা বাড়বে। কারো ইচ্ছা না থাকলে তাঁকে সম্পর্ক আটকে রাখার আসলে কোন উপায় নেই। পরে আসলেই আত্মহত্যা করে বসলে আপনি একটা বড় ধরণের সমস্যায় পড়বেন।
পরামর্শ দিয়েছেন-
রুমানা বৈশাখী
এডিটর ইন চার্জ (প্রিয় লাইফ-সায়েন্স ও প্রিয় আনসার)
প্রিয়.কম
বিশেষ দ্রষ্টব্য
আমি কোন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক বা আইনজীবী নই। কেবলই একজন সাধারণ লেখক আমি, যিনি বন্ধুর মত সমস্যাটি শুনতে পারেন ও তৃতীয় ব্যক্তির দৃষ্টিকোণ থেকে কিছু পরামর্শ দিতে পারেন। পরামর্শ গুলো কাউকে মানতেই হবে এমন কোন কথা নেই। কেউ যদি নতুন কোন দিক নির্দেশনা পান বা নিজের সমস্যাটি বলতে পেরে কারো মন হালকা লাগে, সেটুকুই আমাদের সার্থকতা।