জীবন সম্পর্কে পরিকল্পনা করার সর্বোত্তম উপায় কী?
জীবন সম্পর্কে পরিকল্পনা করার সর্বোত্তম উপায় কী?
ক্যারিয়ারে ভালো করতে অবশ্যই। আগে নিজেকে জানতে হবে। নিজের সবচেয়ে বড় যুক্তিক্তসংগত ইচ্ছাগুলো শনাক্ত করতে হবে। আরও গভীরে গিয়ে নিজের অভ্যন্তরীণ ইচ্ছা এবং যুক্তিযুক্ত লক্ষ্যগুলোর মধ্যে। সংযোগ স্থাপন করতে হবে। লক্ষণগুলো শনাক্ত করতে কিছু সময় এবং প্রচেষ্টা লাগলেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া।
(পেশাদার জীবনবৃত্তান্ত তৈরি)
সুযোগ সব জায়গায় আছে, তাই নিজেকে সব সময় একটি উন্নত মানের জীবনভান্তের সঙ্গে প্রস্তুত রাখতে হবে। জীবনবৃত্তান্ত মূলত আপনার বলার উপায় ‘আপনি আসলে কোন বিষয়ে দক্ষ, কী করতে ভালোবাসেন, আপনার দক্ষতা দিয়ে কীভাবে
নিজেকে সব সময় একটি উন্নত মানের জীবনবৃত্তান্তের সঙ্গে প্রস্তুত রাখতে হবে। জীবনবৃত্তান্ত মূলত আপনার বলার উপায় ‘আপনি আসলে কোন বিষয়ে দক্ষ, কী করতে ভালোবাসেন, আপনার দক্ষতা দিয়ে কীভাবে প্রতিষ্ঠানকে করতে পারেন’।
(প্রতিষ্ঠানকে সাহায্য করতে পারেন।)
(দীর্ঘমেয়াদি পেশা বেছে নিন)
সচেতনতা ব্যক্তিগত উন্নতির একটি অপরিহার্য চাবিকাঠি। আপনার অভ্যন্তরীণ চিন্তাভাবনা, আপনার শক্তি, আপনার আকাঙ্ক্ষা এবং আপনার অসুবিধাগুলো সম্পর্কে সচেতন হওয়ার মাধ্যমে, আপনি যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, তার সঙ্গে আপনি আপনার জীবনকে মানিয়ে নিতে পারেন। এতে আপনি অনেক সুবিধাও শাবেন। নিজের সম্পর্কে যা জানেন, সেই অনুসারে যদি দীর্ঘমেয়াদি পেশা বেছে নেন, তবে এটি আরও
ভালো। এমন একটি কর্মজীবনের পথ বেছে নেওয়া উচিত, যা আপনার বৈশিষ্ট্য এবং গুণাবলি সুবিধা দেয়।
(দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত থাকুন)
সফল পেশাদারদের সঙ্গে অন্যদের মুন পার্থক্য দায়িত্ববোধের জায়গায়। অনেক সময় এমন হয় কোনো একটি বিষয় সম্পর্কে আপনি জানেন, কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে অনেক সময় প্রয়োগ। সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যায়। যখনই এমন কিছু ঘটবে, তখন তা আপনাকে মেনে নিতে
হবে। আপনার সব কর্মের জন্য দায়বদ্ধতা গ্রহণ করতে হবে। ভুলের জন্য কাউকে দোষারোপ করা যাবে না।
(সর্বদা নিজের মান বাড়ান)
মানুষ তাঁর চিন্তাভাবনা, বিশ্বাস ও আচরণ দ্বারা প্রভাবিত হয়। যদি আপনার মান উচ্চ হয়, তবে আপনি যা করতে পারবেন তার চেয়ে কম নিয়ে আপনি কখনোই সন্তুষ্ট হবেন না। উচ্চমানসম্পন্ন লোকেরা সাধারণের তুলনায় বেশি সফল হয়। তাই সব সময় নিজেকে একটু একটু করে উন্নত করার চেষ্টা করুন।
(নিজের অবস্থান তুলে ধরুন।)
ব্র্যান্ডিং আজকাল খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বড় বড় কোম্পানির মার্কেটপ্লেসে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করছে। এটি একটি পুরোনো ব্যবসায়িক কৌশল, যা প্রায় প্রতিটি পেশাদার কোম্পানিই গ্রহণ করে। আপনার ব্র্যান্ডিং হলো মার্কেটপ্লেসে আপনার ইমেজ। পেশাদার কর্মীদের তাঁদের নাম এবং পরিষেবাগুলো ব্র্যান্ড করা উচিত এবং ক্রমাগত এএটি উন্নত করা উচিত। তাই আপনি যে বিষয় নিয়ে কাজ করছেন তা নিয়ে ব্লগ শুরু করতে পারেন, পেশাদার সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল তৈরি করে কর্মক্ষেত্রে নিজের অবস্থান অন্যদের সামনে তুলে ধরতে পারেন।
(নিজস্ব নেটওয়ার্কিং তৈরি করুন)