জীবনে জয়ী হতে কী প্রয়োজন?
একজন মানুষ, যে প্রথম জীবনে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ভর্তি হওয়ার জন্য চেষ্টা করেছিল। ন্যাশনাল ডিফেন্স একাডেমির পরীক্ষায় সফল হয়েও সে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়নি কারণ তার সামান্য কিছু শারীরিক সমস্যা ছিল। এই শারীরিক সমস্যা মোটেই তেমন কিছু বড় নয় কিন্তু সেনাবাহিনীর দক্ষতার জন্য এই সমস্যা বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
পরবর্তীকালে সে ভারতীয় অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসেও সফল হওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তার চেষ্টা সফল হয়নি। এই মানুষটি মোটেই অদক্ষ ছিল না। কিন্তু তার দক্ষতার প্রকাশ সঠিকভাবে প্রয়োগ হয়নি। এমতাবস্থায় একজন মানুষ কি করবে? যার কাছে জীবনের আগে পরে কিছুই নেই। শুধুই হতাশা। কিন্তু এই মানুষটি তবুও হাল ছাড়েনি। সে তার অর্জন করা জ্ঞান ব্যবহার করে সমাজের অসংখ্য ছাত্র সমাজকে শিক্ষিত করতে শুরু করেন। এই মানুষটি একটি কোচিং সেন্টারে পড়ানো শুরু করেন। কিন্তু তার এই যাত্রাপথ মোটেই সহজ ছিল না। যে কোচিং সেন্টারে তিনি পড়াতেন সেখানে তার মত পার্থক্য হওয়ায় সেখান থেকেও তাকে বার করে দেয়া হয়। এই মানুষটি কখনোই শিক্ষাকে ব্যবসা হতে দিতে চাননি। তার জন্যই যতরকম বাধা বিপত্তি।
পরবর্তীকালে এই মানুষটি নিজের উদ্যোগেই অতি অল্প পারিশ্রমিকে কোচিং সেন্টার চালু করেন। করোনা মহামারীর সময়কাল এই মানুষটির জীবন একদম পরিবর্তন করে দেয়। তার পড়ানোর ধরন এবং বিষয়বস্তু ভারতবর্ষের মানুষজনকে মুগ্ধ করে দেয়। অসংখ্য মানুষ তার ভক্ত হয়ে যায়।
হ্যাঁ আপনারা ঠিকই ধরেছেন, এই মানুষটির নাম… খান স্যার। আমাদের সকলের প্রিয় খান স্যার।
আপনি জীবনে কোন কিছু শুরু করলেই সেখানে সফল হবেন এমন কোন নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু আপনি যদি জীবনে সফল হওয়ার চেষ্টা করে যান তাহলে একদিন অবশ্যই জীবনের যুদ্ধে জয়ী হবেন।