জীবনের কোন কোন ক্ষেত্রে স্বার্থপর হওয়া উচিত? কেন?
জীবনের কোন কোন ক্ষেত্রে স্বার্থপর হওয়া উচিত? কেন?
আমি মনে করি, নিজের প্রেমের ক্ষেত্রে স্বার্থপর হওয়া উচিৎ।
নিজের প্রেমের সংবাদ নি:স্বার্থ ভাবে বিলিয়ে বেড়ানো উচিৎ নয়। কখনোই নয়, নো, নেভার।
কারণ, কে কী বলে না বলে ? প্লাস, কেসটা অন্যরকমও তো কিছু হতে পারে।
আমার যার সাথে একটু মানে ইয়ে ছিলো, সেটা আমি আমার একটা বন্ধুকে গোপনে বলেছিলাম। সে আমাদের বন্ধু মহলে সবাইকে বলে দিলো।
পরে দেখলাম, তারা একদিন এই ব্যাপারে আমাকে সাহায্য করবে বইল্যা ডাইক্যা নিয়া, আমারে মাইর ধইর কইরা ওই মেয়েটার কাছ থিক্যা সরে যেতে বললো, জ্ঞান দিলো, ভালো কইরা পড়াশোনা কর, প্রেম কইরা জীবন যাইবো না।
এর বেশ কিছুদিন পরে, একদিন রাস্তায় দেখলাম, ওই যে বন্ধুটাকে আমার প্রেমের কথাটি গোপনে বলেছিলাম, সেই বন্ধুটি গাড়ী চালিয়ে যাচ্ছে, আর বন্ধুটির পাশে ও বসে আছে, কপালে জ্বল জ্বল করছে, সিঁদুরের টিপ।
ও, (মানে বন্ধুটি না, আমার ইয়ে আর কী) গাড়ী থেকে আমাকে দেখে, একটু হেসে আমার দিকে, একটা ফ্লাইং কিস ছুঁড়ে দিলো।
আমি যাচ্ছিলাম টিউশনি পড়াতে সাইকেলে করে, ওকে এই অবস্থায় দেখে, মাথা ঘুরে, আমি সাইকেল সহ রাস্তার পাশে ড্রেনে পড়ে যাই।
যাক, কোনোরকমে ড্রেন থেকে সাইকেল নিয়ে, একপায়ে স্যান্ডেল (একটি স্যান্ডেল ড্রেনের কাদার ভেতর ঢুকে গেছে, চেষ্টা করেও টেনে তুলতে পারি নি) উঠে দাঁড়ালাম।
এইবার ওদের চলে যাওয়া গাড়ীটির দিকে তাকাতে গিয়ে দেখি, বন্ধুটি গাড়ী থামিয়ে, জানালার কাঁচ নামিয়ে, হাত দেখিয়ে, আমাকে ডাকছে। ভাবলাম, ওরা হয়তো আমার কাছে, দু:খ, টু:খ প্রকাশ করবে, হয়তো মেয়েটি বলবে, ক্ষমা করে দিও আমাকে, এইসব।
সাইকেলটাকে স্ট্যান্ড করিয়ে, দৌড়ে গেলাম গাড়ীর কাছে।
ধুর কী ভাবি আমি এইসব, বোকার মতো ?
উল্টে, বন্ধুটি, আমাকে বললো,
“শোন, (ওকে দেখিয়ে) তুই ওর সাথে প্রেম করতে চাইছিলি তো, কিনতু, আমি ওকে বিয়ে করে ফেলছি। কেন বুঝলি ? আরে, একটা লড়ঝড় মার্কা পাতি সাইকেল তুই সামলাইতে পারিস না, বউ সামলাইবি ক্যামনে ?”
আর, ওকেও দেখলাম বন্ধুটির কথা শুনে, এক্কেবারে কুলুকুলু করে হেসে, বন্ধুটির বুকে ওর মাথা রাখলো।
ছি:।