টেনশন বা স্ট্রেস থেকে দূরে থাকার উপায় কি?
টেনশন বা স্ট্রেস থেকে দূরে থাকার উপায় কি?
বাচ্চা থেকে বুড়ো যারা হাইপার টেনশনের শিকার হয়ে যাচ্ছে তার একমাত্র কারণ আধুনিকতা বা ব্যস্ততম জীবন, এমনটাই মনে করেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। এ শতাব্দী বয়ে এনেছে অনিশ্চয়তা, প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতা, অর্থনৈতিক মন্দা এবং বিশ্বসংকট। ক্যালিফোর্নিয়ার বিশিষ্ট টেনশন বিশেষজ্ঞ ডা. হ্যান্স সেমের অভিমত, ‘ টেনশন প্রশমনে ওষুধ গ্রহণ অপেক্ষা দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন অধিক ফলদায়ী।’ সৃজনশীল কাজে নিজেকে নিয়জিত রেখে ব্যর্থতার ভাবনাকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে। হতাশার অতীতকে বিদায় জানানোর পাশাপাশি অশুদ্ধ প্রতিযোগিতা ও অহেতুক দুশ্চিন্তা পরিহার করতে হবে। এসব থেকে বিরত থাকাই হবে টেনশনমুক্ত জীবনের আধার।
জেনে নিন টেনশনের সময় কিছু করণীয়ঃ
ছোট্ট করে একটা মাসাজ নিয়ে নিন, এতে পেশি শিথিল হবে। টেনশন কমবে।
গরম জলে পা ডুবিয়ে রাখুন, টেনশন থেকে মুক্তি পাবেন।
হালকা গরম পানিতে গোসল করলে টেনশন দূর হবে।
অফিসে কাজের অনেক চাপ থাকলে বা কোনও কারণে মাথা গরম হলে চেয়ার ছেড়ে উঠে একটু হাঁটুন। হাত, পা নাড়াচাড়া করলে রক্ত চলাচল ভাল হয়ে স্বস্তি পাবেন। টেনশন কমে আসবে।
শরীরে অক্সিজেনের অভাবে হলে পেশি শক্ত হয়ে জায়, টেনশন বেশি হয়। এসময় হালকা স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ করুন যাতে পেশি শিথিল ও সচল হয়।
যোগ ব্যায়াম করলে টেনশন কমে।
ডিহাইড্রেশন টেনসন বাড়ায়। নার্ভাস লাগলে গলা শুকিয়ে যায়। টেনশন হলে অল্প অল্প করে পানি পান করতে থাকুন।
পর্যাপ্ত ঘুমের দিকে লক্ষ্য রাখবেন। অন্তত ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা ঘুম যেন হয়। নতুবা মাথা কাজ কম করবে। সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধা হবে। টেনশন বেশি হবে।
খাওয়া-দাওয়া সময় মত করতে হবে। শরীরে অস্বস্তি যেমন টেনশন বাড়ায়, তেমনই খালি পেটে থাকলেও মাথা কাজ করে না।
পরিশেষে নিজেকে বোঝান যে টেনশন করে কোনও লাভ নেই। চিন্তা করে কোনও সমস্যার সমাধান হয় না। তা টেনশন থেকে যত সম্ভব দূরে থাকুন। মাথা ঠান্ডা রাখলে অনেক জটিল সমস্যারও সমাধান করে ফেলা যায়।