তেলযুক্ত খাবার আমাদের শরীরে কত পরিমাণে ক্যালরি সংযুক্ত করতে পারে? এর পরিবর্তে আমরা কী করতে পারি?
তেলযুক্ত খাবার আমাদের শরীরে কত পরিমাণে ক্যালরি সংযুক্ত করতে পারে? এর পরিবর্তে আমরা কী করতে পারি?
যদি আমরা খাদ্যের ক্যালরি হিসাব করতে শুরু করি তবে এটা ভুললে চলবে না যে এতে ফ্যাট যথেষ্ট পরিমাণে থাকে। এক গ্রাম ফ্যাট থেকে ৯ ক্যালরি পাওয়া যায়। একটি সাধারণ রুটির ক্যালরি ৯০, কিন্তু এতে যদি ঘি লাগানো হয় অর্থাৎ ঘি দিয়ে ভাজা হয় তবে এর ক্যালরি বেড়ে হয় ১৮০। ঠিক এইভাবে যদি ১০০ গ্রাম রান্না করা সবজিতে ৩০ ক্যালরি থাকে তবে এক চামচ তেল সেটিকে ৭৫ ক্যালরিতে পরিণত করবে।
এখনও এমন লোক অনেকেই আছেন যারা মনে করেন যে, কিছু কিছু তেলে নামমাত্র ক্যালরি পাওয়া যায় এবং তার দ্বারা শরীরের কোনোরকম ক্ষতি হয় না। ঘি এবং তেলের কোম্পানিগুলো তাদের বিজ্ঞাপনের সময় স্যাচুরেটেড, মোনো-স্যাচুরেটেড এবং পোলি স্যাচুরেটেড প্রভৃতি শব্দ ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই ৩টির মাঝে কোনো পার্থক্যই নেই। জলপাই এবং সূর্যমুখীর তেলকে ক্ষতিকারক বলে মনে করা হয় না। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। সমস্ত তেলেই ক্যালরি আছে এবং সেটাই আপনার হার্টের ক্ষতি করে। এক চামচ ঘি বা তেল দুটোতেই ক্যালরির মাত্রা একই অর্থাৎ ৯ ক্যালরি।
আমাদের দেশে এমন অনেক খাবারই আছে যেগুলো প্রচুর পরিমাণে তেল বা ঘি দিয়ে রান্না করা হয়। সুদীর্ঘকাল থেকে বংশ পরম্পরায় এভাবেই রান্না হয়ে আসছে। কোনো গৃহিণীই তেল বা ঘি ছাড়া তরকারি, মিষ্টি বা স্ন্যাকস বানানোর কথা ভাবতেই পারেন না। অনেকে তো ভাত, রুটি, পাউরুটিতেও এই ঘি লাগিয়ে খেয়ে থাকেন। এই ঘি এবং তেলের ক্যালরি বাচ্চা ও কম ওজনের ব্যক্তির জন্য প্রত্যক্ষভাবে উপকারী কিন্তু এগুলো পরোক্ষভাবে তাদের ক্ষতিই করছে। আর বেশি ওজনের মানুষদের জন্য তো কোনো কথাই নাই। এটি তাদের মৃত্যুর কারণও হতে পারে কেননা তেলে প্রাপ্ত ট্রাইগ্লিসরাইড হৃদরোগ ডেকে আনে।
ওজন কমানোর জন্য আপনাকে সবার আগে নিজের খাদ্যতালিকা থেকে তেলের মাত্রা কমিয়ে আনতে হবে। এখন থেকেই আপনি জিরো অয়েল কুকিংয়ের সাহায্য নিতে পারেন।