ত্বকের পরিচর্যার জন্য আপনার সেরা দশটি উপায় বা টিপস কী যেগুলি আপনি সবসময় মেনে চলেন?
ত্বকের পরিচর্যার জন্য আপনার সেরা দশটি উপায় বা টিপস কী যেগুলি আপনি সবসময় মেনে চলেন?
আমি খুব একটা রূপচর্চায় অভ্যস্ত নই। তবে ত্বকের যত্নের জন্য কিছু নিয়ম আমি মেনে চলি, তাতে কিছু উপকারও হয়। তবে তার সংখ্যা দশটা হবে কিনা জানি না। দেখা যাক।
১। মুখে হাত না দেয়া। আজকাল এটা সবাই বলছে, কিন্তু আমি ইউনিভার্সিটির প্রথম বর্ষ থেকেই আমার এক বান্ধবীর তাড়া খেয়ে মুখে অযথা হাত দেয়া বন্ধ করতে বাধ্য হই। এর পরেই আমার ব্রণ ম্যাজিকের মত কমে যায়। তখন বুঝতে পারি ফাজিলটার কথায় যুক্তি আছে। মুখে হাত দিতেই যদি হয়, আঙুলের ডগা ব্যবহার না করে হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে ধরবেন।
২। বেশি করে পানি খাওয়া।
৩। মুখের পোরগুলো যাতে বন্ধ না হয় সেদিকে নজর রাখা। আমি মুখে কোন পাউডার, ফাউন্ডেশন, বা ভারি ক্রিম লাগাই না। আসলে আমি মেকআপই ব্যবহার করি না, কিন্তু অনেকেই মেকআপ ত্যাগ করতে রাজি হবেন না তা আমি জানি। তাদের উদ্দেশ্যে অনুরোধ থাকবে হালকা, ভাল কোয়ালিটির মেকআপ ব্যবহার করতে, যাতে আপনার ত্বকের পোরগুলো আটকে না যায়। এবং যখনই সম্ভব, মেকআপ তুলে ফেলে পরিষ্কার পানিতে মুখটাকে ধুয়ে ফেলে একটু বিশ্রাম দিয়েন বেচারাকে।
৪। পেট পরিষ্কার রাখা।
৫। দুশ্চিন্তা না করা।
৬। কপাল না কুঁচকানো। যতটা সম্ভব চেহারা প্রশান্ত রাখার চেষ্টা করুন। প্রাচীন আমলের যোগী সন্ন্যাসীদের অনুকরণে। বা ভালকানদের।
৭। অতিরিক্ত ফেসওয়াশ ব্যবহার না করা। মুখের সমস্ত স্বাভাবিক তেল তুলে ফেললে ত্বকে সহজেই বলিরেখা পড়বে, আর ইরিটেশন হবে।
৮। চুল পরিষ্কার রাখা। নোংরা চুল থেকে চেহারাতেও সংক্রমণ হয়।
৯। ঘৃতকুমারী ব্যবহার করা। প্রক্রিয়াজাত করাটা নয়, আসলটা। তবে শুনেছি কারো কারো চামড়ায় এটা সহ্য নাও হতে পারে। আগে টেস্ট করে নিয়েন।
১০। এত বেশি মাথা না ঘামানো। মানুষের চামড়ায় খুঁঁত থাকবেই, অসুখ বিসুখ হবেই। বড় বড় তারকাদেরও হয়। দু একটা ব্রণ হলে বা চামড়া একটু খারাপ হয়ে গেলে সেটাকে ব্যক্তিগত ব্যর্থতা হিসেবে নেয়ার কোন দরকার নাই। চিল করেন। সব ঠিক হয়ে যাবে আজ নয় কাল। টেনশন করলে দেরিই হবে শুধুশুধু।
বাবা, দশটা হয়ে গেল?