দ্রুত ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটিয়ে “সুপার হিউম্যান” হয়ে উঠবো কিভাবে?
দ্রুত ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটিয়ে “সুপার হিউম্যান” হয়ে উঠবো কিভাবে?
আপনি কি জানেন, মানু্ষের ব্যক্তিত্বের বিকাশ সবচেয়ে কোন পদ্ধতিতে তাড়াতাড়ি ঘটে? যদি না জেনে থাকেন, তাহলে নিচের বাক্যগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন।আমি নিশ্চিত করে বলছি, আপনি যদি নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলোর ঠিকঠাক উত্তর দিতে পারেন তাহলে আপনার ভিতরে যে লুকায়িত হিউম্যান সুপার পাওয়ার রয়েছে তা আপনি খুব সহজে-ই উপলব্ধি করতে পারবেন। এবং ব্যক্তিত্বের বিচারে আপনার ধারে-কাছে কেউ থাকবে না। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন সেই প্রশ্ন যা আপনাকে রাতারাতি জিরো থেকে হিরো বানিয়ে দিতে ম্যাজিকের মতো কাজ করবে।
তার আগে, আমরা আমাদের অস্তিত্বকে নিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করে নি, যাতে প্রশ্ন গুলোর মর্মার্থ খুব সহজে বুঝতে পারি। প্রথমত, ঘুম ভাঙ্গা চোখ নিয়ে সকাল থেকে আমাদের অস্তিত্বের প্রবাহ শুরু হয়, সারাদিন কত কিছুর মাঝে আমরা ব্যস্ত থাকি! নিজের স্বার্থ, সুপ্ত হিংসা এমন আরও অনেক খল চরিত্রের চাহিদা মেটাতে সময় ফুরিয়ে যায়, সূর্য মামা-ও ফিরে যায় আপন নীড়ে, চারিদিকে নেমে আসে অন্ধকারের তিব্র কালো ছোঁয়া। তখনও থেমে নেই আমাদের ভেতরে বসবাস করা খল চরিত্রগুলির আকাশচুম্বি চাওয়া।
গোলামের মতো আমি-আপনি তাদের চাহিদা পূরণ করতে করতে কখন যে মানুষ থেকে অমানুষ হয়ে গেছি তার কোন খেয়াল থাকে না!…কারনে অকারনে অন্যের প্রতি জুলুম করছি, দেশের টাকা খুব সুচারুভাবে বিদেশে পাচার করছি, নিজের প্রিয়জনদের ক্ষনে ক্ষনে ঠকাচ্ছি, সৃষ্টিকর্তার প্রতি দায়িত্ব ভুলে গিয়ে তার বিরুদ্ধ আচরন করছি, দুনিয়ার সুখ শান্তির জন্য ভাল-মন্দ যা করা দরকার করে যাচ্ছি, ক্ষমতায় যেতে ধর্মটাকে আস্তে করে সামনে নিয়ে এসে সিঁড়ি বানাতে শরিরে একটুও কাঁপুনি ধরছে না!
এ কোন মানুষ আমি-আপনি?..এই পৃথিবী কি আমাদের নিয়ে ঠাট্টা-মশকরা করে না? একবার ভাবুন তো, আপনি জন্মের পর যতটুকু সুন্দর পৃথিবী দেখেছেন,আপনি কি চান না আপনার সন্তানের জন্য তার চেয়ে সুন্দর পৃথিবী রেখে যেতে!!!?…হ্যাঁ, অবশ্যই চান। কেননা আপনিও মায়ার বাঁধনে বাধা এক পাখি, যে পাখির কু-সত্তার অন্তরালে লুকায়িত আছে বিশাল আকারের একটি সু-সত্তার মহান ভান্ডার। তাছাড়া এ ভান্ডার আবিষ্কার করা পাখির জন্য খুব একটা কষ্টের বিষয়ও না, পাখি তথা আমি-আপনি নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলির যথাযথ উত্তর দিয়ে নিজের ভেতরে নেতিয়ে পড়া সু-ব্যক্তিত্বকে জাগিয়ে তুলে হয়ে যেতে পারি সুপার হিউম্যান পাওয়ারের অধিকারী!
ব্যক্তিত্ব বিকশিত করে সুপার হিউম্যান পাওয়ার বা ক্ষমতা পাবেন যে প্রশ্নগুলোর মাধ্যমেঃ
শর্তঃ প্রতিটা প্রশ্ন পড়ার পর,এক মিনিট চোখ বন্ধ করে ওই প্রশ্নের উত্তর উপলব্ধি করার চেষ্টা করবেন।
১) আমি কি আমার জীবনের সর্বোৎকৃষ্ট ব্যবহার করছি,যা মহাপ্রভু আমাকে দিয়েছেন?
২) আমি কি নির্ভরযোগ্য কিছু না করে জীবনকে অপব্যয় বা বিনষ্ট করছি?
৩) আমার চরিত্রের দূর্বল দিক কি কি?
৪) আমি কি সম্পূর্ণভাবে সম্মানীয়,বিশ্বাসী ও নির্ভর্যোগ্য?
৫) আমি কি অপরের সাহায্য বা দানমূলক কাজ না করে শুধুমাত্র নিজের সুখ-শান্তি,স্বাচ্ছন্দ্য,অঢেল অর্থোপার্জন কিংবা পদোন্নতির চেষ্টা করছি?
৬) কেউ কি আমার দ্বারা কষ্ট বা আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে? আমি কি তার যথোচিত ক্ষতি পূরণের জন্য কোনরুপ ব্যবস্থা নিয়েছি?
৭) কাউকে কি আমি জীবনে সাহায্য করেছি? আর এমন কেউ আছে যাকে আমি সাধ্যমত সাহায্য করিতে পারি?
৮)বআমি কি আমার অতীতের কু-অভ্যাস সমূহ পরিত্যাগ করতে সংকল্পবদ্ধ?
৯) আমি যদি উল্লেখিত কোনটার প্রতি দূর্বল হই আমি কি উহা সংশোধন ও দমন করিতে নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো?
প্রিয় পাঠক, উপরোক্ত প্রশ্নগুলো আপাতদৃষ্টিতে খুব সাধারণ মনে হতে পারে কিন্তু এর মধ্যে রয়েছে নিজেকে নতুন করে আবিস্কারের এক মহা ঔষধ, আত্মশুদ্ধির এক মহান বার্তা, এবং এই আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে নিজের ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটিয়ে সমাজ, রাষ্ট্র, সর্বোপরি সৃষ্টিকর্তার নিকট নিজেকে সুপার হিউমান কিংবা সুপার ম্যান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। এই প্রশ্নগুলো রোভার স্কাউটসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের “আত্মশুদ্ধিকরণ” পর্যায়ে করা হয়ে থাকে, যাতে সংগঠনের সদস্যদের মনে একধরনের অনুতাপের জন্ম হয়, এবং পরবর্তীতে তারা এগুলো কাটিয়ে উঠতে পারে।
ধন্যবাদ, ভাল লাগলে মন্তব্য করে আরো উত্তর লিখতে উৎসাহিত করুন, নিশ্চয় আপভোট অপেক্ষা মন্তব্যে গুরুত্ব দেওয়া সকল লোকিই সুপার ম্যান☺