“নিজেকে সময় দেওয়া” বলতে ঠিক কী বোঝানো হয়?
“নিজেকে সময় দেওয়া” বলতে ঠিক কী বোঝানো হয়?
নিজকে সময় দেওয়া বলতে মূলত যেটা বোঝায় তা সহজ বাংলায় বলতে গেলে অনেকটা এমন হবে যে, আমরা মাঝেমধ্যে অন্যের প্রতি খেয়াল রাখতে গিয়ে নিজের অনেক কিছু বিসর্জন দিয়ে ফেলি যেটা পরবর্তীতে আমাদের জন্যই ভয়ানক হয়ে দাড়ায়।।যেমন, আমরা যখন কাউকে খুব গুরুত্ব দেই তখন সব কিছু ফেলে রেখে তাকে নিয়েই ভাবতে থাকি কিংবা ইমোশনের বলি হয়ে নিজের প্রয়োজন কিংবা দরকারকে পকেটে মুড়িয়ে রেখে অন্যের চাওয়া গুলোকে বেশী প্রাধান্যতা দিয়ে ফেলি।।
উদাহরণ দিতে গেলে এভাবে বলতে হবে যে ,আপনার পকেটে আছে শুধুমাত্র ২০০ টাকা।এখন আপনি চাচ্ছেন ভাত ভর্তা দিয়ে লাঞ্চ করতে।।আপনার প্রেমিকার পছন্দ আবার ফ্রাইড রাইস…ওই পরিস্থিতিতে আপনার প্রেমিকা্র পছন্দ আর ইমোশোন কে প্রাধান্য দিতে গিয়ে আপনি ফ্রাইড রাইস দিয়ে লাঞ্চ করলেন।তারপর তাকে বিদায় দিয়ে আপনি বাসায় ফিরছেন…আপনার পকেটে আছে আর মাত্র ২০ টাকা।।আপনার বাসায় যাবার জন্য রিক্সা ভাড়া প্রয়োজন ৪০ টাকা…
ঠিক সেই মুহুর্তে আপনি ২০ টাকার অভাবে রিক্সায় যেতে না পেরে নিজে অনেক পথ কান্তি নিয়ে হেটে হেটে বাসায় গেলেন…
এবার একটু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখুন তো যে উপরের ঘটনায় আসলে কি ঘটলো??
ওখানে আর কিছুই না ,অন্যের পছন্দকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে আপনি নিজের প্রয়োজন কে বিসর্জন দিয়ে দিলেন…
“নিজেকে সময় দেওয়া” বলতে মূলত বুঝায় যে আপনি নিজেকে নিয়ে ভাবুন…আপনার চাহিদা গুলো বুঝুন…নিজের জন্য কি ভালো হবে কি মন্দ হবে সেগুলো বুঝে দেখুন…আপনার জন্য কোনটা প্রয়োজনীয় আর কোনটা অপ্রয়োজনীয় সেটা ভেবে দেখুন…আপনার কোথায় কোথায় গ্যাপ আছে সেটা খুঁজে বের করুন আর কিভাবে সেই গ্যাপ পুরন করা যায় সেটাও বুঝে দেখুন…
এক কথায় নিজের সাথে নিজে বোঝাপোড়া করুন…নিজেকে জানতে হবে…এই সুন্দর পৃথীবিতে কি উদ্দ্যেশ্যে আপনাকে সৃষ্টি করা হয়েছে সেই উদ্দেশ্য টা খুঁজে বের করুন…নিজেকে জানুন…আপনার ভেতরে কি কি আছে সেগুলো খুঁজে বের করুন…থাকলে সেগুলোকে কি করে কাজে লাগানো যাবে সেটাও বুঝুন…
নিজের সাথে নিজে বোঝাপোড়া করুন…
পরিশেষে একটা কথাই বলতে চাই যে ,আপনার ভেতরেই একটা গোটা জগত আছে…সেটাকে আবিষ্কার করার জন্যই নিজেকে জানতে হবে…আর নিজেকে সময় না দিলে এগুলো কোনোটাই সম্ভব নয়…