sitemapcouldnotberead.com |
“পুরুষদের একাধিক বিয়ের অনুমতি থাকলেও নারীদের নেই কেন?”
“পুরুষদের একাধিক বিয়ের অনুমতি থাকলেও নারীদের নেই কেন?”
Add Comment
স্বাভাবতই আমাদের মনে প্রশ্ন আসে যে, যদি পুরুষদের বহুবিবাহের অনুমতি থাকে তবে নারীদের নেই কেন? কারন, ইসলামের মুল ভিত্তিই হল সমতা ও ন্যায়বিচার। আল্লাহতা’লা সমতা রক্ষা করেই নারী ও পুরুষ সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু নারী ও পুরুষের সামর্থ্য ও দায়িত্ব আলাদা। শারীরিক ও মানসিক উভয় দিক থেকেই নারী ও পুরুষ ভিন্ন। ইসলামে নারী ও পুরুষকে সমান দৃষ্টিতে দেখা হয় কিন্তু তারা নিশ্চয়ই এক নয়।
সুরা নিসায় (৪:২২-২৪) এমন নারীদের তালিকা দেয়া আছে যাদের মুসলমান পুরুষ বিয়ে করতে পারে না। সেখানে বিবাহিত নারীদের কথাও বলা আছে। অর্থ্যাৎ, বিবাহিত নারীদের বিয়ে করা মুসলমান পুরুষদের জন্য নিষিদ্ধ।
একজন পুরুষ যদি একাধিক বিয়ে করে তাহলে সহজেই তার সন্তানের পরিচয় পাওয়া যায়। অর্থ্যাৎ, আলাদাভাবে সেই সন্তানের পিতা-মাতা সনাক্ত করা সম্ভব। কিন্তু যদি একজন নারী যদি একাধিক বিয়ে করে তাহলে জাত সন্তানের পিতার পরিচয় নিয়ে সংশয় হতে পারে। ইসলামে মাতা-পিতা উভয়েরই সণাক্তকরণের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, যে সন্তান তার মাতা-পিতা এবং বিশেষত পিতার পরিচয় জানে না তারা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। জীবনের প্রতি পদক্ষেপেই সন্তানের তার পিতার নামের প্রয়োজন হবে।
সেক্ষেত্রে সেই সন্তানের পিতার নাম কি একাধিক হবে? যদিও আমরা জানি যে, বর্তমানে বিজ্ঞান যথেষ্টই উন্নতি সাধন করেছে এবং আজকাল নিভূলভাবে পিতা-মাতার সণাক্তকরন সম্ভব। সেক্ষেত্রে হয়তো বিষয়টি বর্তমানের জন্য প্রযোজ্য নয়।
প্রকৃতিগতভাবেই বহুবিবাহের ক্ষেত্রে নারীদের চেয়ে পুরুষেরা বেশি আগ্রহী। একইকারনে, একজন পুরুষ একের অধিক স্ত্রীর প্রয়োজন পূরণে সক্ষম। কিন্তু একজন নারী সাধারনত এই সক্ষমতার অধিকারী নয়। আলাদা আলাদা পুরুষের প্রয়োজন পূরণ করতে গিয়ে একজন নারী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হতে পারে।
শারীরিক প্রয়োজন পূরণের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। শারীরিক প্রয়োজন মেটানোর তাগিদ নারীর চেয়ে পুরুষের বেশি। যদি নারীর একাধিক স্বামী থাকে তবে দেখা যাবে, একই সময়ে তাকে একাধিক পুরুষের প্রয়োজন পূরণ করতে হতে পারে। আর এভাবে যৌণবাহিত বিভিন্ন রোগের ছড়িয়ে পড়ার সম্ভবণা অত্যধিক। কিন্তু বিপরীতক্রমে, একজন পুরুষের একাধিক স্ত্রী থাকার ক্ষেত্রে এই সমস্যার উদ্ভব হয় না। এই সাধারন কারনগুলো সহজেই বোঝা যায়, তবে হয়তো আরও বহু কারন রয়েছে যার জন্য নারীদের বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করা হয়েছে যা আমাদের পক্ষে জানা দুঃসাধ্য।