প্রেম কি আসলে একটা মোহ?
আমার মতে হ্যাঁ। আমি এইটা দুই ভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করবো।
প্রথমত বৈজ্ঞানিক ভাবে ভাবা যাক। আমি যদি বলি যে, আমি পাঁচ রছর বয়সে একটি মেয়ের প্রেমে পড়েছি। কি হাসি পাচ্ছে না? হুম, হাসি পাওয়ারই কথা এইটা। কারন ওই সময়ে আমার প্রেম জন্ম হওয়াটা অস্বাভাবিক। তখন একজন মানুষের মধ্যে ওই আবেগের জন্মও হয়না।
ডোপামিন শব্দটা এর আগে হয়তো অনেকে শুনেছেন। ডোপামিনকে কখনো ‘feel-good’ হরমোনও বলা। ”এছাড়া যৌনতা , সুস্বাদু খাবার এবং শরীরচর্চা (বা খেলাধূলা) এসব প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যে পুরস্কার স্বরূপ আনন্দ অনুভূতির আচরণিক সাড়াদানে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে” ডোপামিন – উইকিপিডিয়া।
চিত্র: ডোপামিনের সংকেত।
তার মানে কি, প্রেমের সাথে যৌনতার একটা সম্পর্ক আছে? সরাসরি মুখের উপরে না বললেও সম্পর্ক লক্ষণীয়। যখন একটি প্রাপ্ত বয়স্ক নর ও নারী ভালোলাগা থেকে একজন আরেক জনর সামনে বসে ঠিক তখনি তাদের মস্তিষ্ক থেকে এই ডোপামিন হরমনটি নিংসৃত হয়। আর তখন হয়তো তাদের মধ্যে একধরনের ভাবের আবির্ভব হয়। আর এইটা হওয়াটাও স্বাভাবিক। নাহলে বুঝতে হবে আপনার ডাক্তারের সরনাপন্ন হতে হবে। যাইহোক আমি ওই দিকে যাচ্ছি না। আমি শুধু একটি সম্পর্কের কথাই বলছি। এই হরমনটি মাঝে মাঝে আপনাকে নিয়ন্ত্রনও করছে।
দ্বিতীয়ত মনেব আবেগ। আর আরেগ বিষয়টা আমার মতে দুই রকমের হতে পারে। ভালো আর খরাপ। এসব আবার মাঝে মাঝে মনমানসিকতার উপরও নির্ভর করে । সবার মাঝেই আবার যে, প্রেমের মাঝে যৌনতার গন্ধ আছে বিষয়টা আবার তাও না। কেউ কেউ আছে নিজের মনকে নিয়ন্ত্রন করতে পারে, তাদের কথা আলাদা।
#তাই আমি বলবো প্রত্যক্ষ হোক আর পরোক্ষ হোক প্রেম একটা মোহ। আর এই মোহে পড়ে অনেকে হারায় তাদের মোহনীয় জীবন, সময়। অনেকে হয়ে ওঠে আবার কবি, সাহিত্যিক (বিজ্ঞানী হয়েছে বলে আমার মনে পড়েনা)।