বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে থাকতে করণীয় কী কী?
বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে থাকতে করণীয় কী কী?
বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ কর্ম ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকতে গেলে আপনাকে দুটো বিষয়কে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে এবং এই দুটো বিষয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সারাজীবন আপনার কাজে লাগবে।
- SWOT Analysis
- Calculation of Productivity
আপনার কর্মক্ষেত্র মানে যুদ্ধক্ষেত্র আর এই যুদ্ধক্ষেত্রে আপনাকে টিকে থাকতে হলে কৌশল নিয়ে টিকে থাকতে হবে।
আর যেকোনো যুদ্ধের প্রথম ও প্রধান কৌশল হল SWOT বিশ্লেষণ আর এই কৌশল আপনাকে সফল হতে সব থেকে বেশি ভুমিকা রাখবে।
আমরা অনেকেই এই গুরুত্বপূর্ণ কৌশলটা ব্যবহার করতে চাই না। এটার যে অনেক গুরুত্ব আছে কেউ ভাল বুজতেই চায় না। শুধুমাত্র এই কৌশল আপনাকে ১০০% বুঝতে সাহায্য করবে যে আপনি কতটা সফল হবেন?
আর দ্বিতীয় পয়েন্ট আপনাকে সাহায্য করবে কিভাবে আপনার কাজের গতি বাড়াতে হবে? আপনার দিন দিন উন্নতি কেমন হবে? কোথায় আপনাকে বেশি কাজ করতে হবে আর কোথায় আপনাকে কম সময় দিতে হবে?
তাই প্রথমে SWOT বিশ্লেষণ দেখা যাক তারপর প্রডাক্টিভিটি ক্যাল্কুলেশন।
SWOT Analysis
এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিশ্লেষণ যা একটি ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান জন্য SWOT এনালাইসিস সাহায্য করে আসলে কি আমাদের জন্য কাজ করে এবং কি আমাদের জন্য কাজ করে না এবং কিভাবে আমরা বিশ্লেষণ করবো যে আমাদের কি ডিসিশন নিতে হবে?
- S – Strength – আমার মূল শক্তি গুলো কি কি যা আমি কর্মক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারি?
- W – Weakness – আমার দুর্বলতা কোথায়?
- O – Opportunity – আমার জন্য কি কি সুযোগ আছে যা আমাকে সাহায্য করবে আমার বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ কে ভালো রাখতে এবং সেটা আমি কিভাবে কাজে লাগাতে পারি?
- T – Threats – এমন কি থ্রেট আছে যা আমাকে বর্তমান কোন কিছু করতে বাধা দিবে এবং ভবিষ্যতেও কোনো কিছু করতে বাধা দিবে?
সুতরাং আমাকে মনে রাখতে হবে, আমার শক্তি কে আরো শক্তিশালী করতে হবে। আমার দুর্বলতা গুলোকে শক্তিতে পরিণত করতে হবে।
আমার সুযোগ গুলোর প্রতি নিয়মিত সময় দিতে হবে এবং নিয়মিত আমার দুর্বলতা গুলো কে লক্ষ্য রাখতে হবে কারণ এগুলো আমাকে আমার ভবিষ্যৎ কে ভালোভাবে গঠন করতে আমাকে সাহায্য করবে।
এই বিশ্লেষণ টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে যে এটা আপনাকে প্রতি 6 মাস পরপর পরিমাপ করতে হবে এবং কোথায় কোথায় উন্নতি দরকার সে সমস্ত জায়গা গুলো আপনাকে নিয়মিত ভাবে উন্নতি সাধন করতে হবে।
Calculation of Productivity
আমরা মানুষ কতটা প্রডাক্টিভ সেটাকে নিয়মিতভাবে আমাদেরকে বের করতে হবে কারণ এটা এক ধরনের হিসাব।
একটা চিরন্তন সত্য কথা অবশ্যই মনে রাখবেন “কোন কিছুকে যদি আমরা হিসাব করে বের করতে না পারি, তাহলে সেখানে কোনদিনও উন্নয়ন সম্ভব না”
If we can’t figure something out, then development is never possible there
আমি কোথায় আছি আর কোথায় যাবো এই দুটো প্রশ্নের উত্তরের জন্য আমাকে প্রডাক্টিভিটি অনেক সাহায্য করবে। প্রডাক্টিভিটির মাধ্যমে আমি আমার নিজেকে নিয়মিতভাবে পরিমাপ করতে পারব।
যেমনঃ
ধরেন আপনি সেলস এ কাজ করছেন এখন সেখানে কি ধরনের প্রডাক্টিভিটি আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে।
- আপনার আজকে 10 টা পোটেনশিয়াল ক্লায়েন্ট কন্টাক করার কথা ছিল কিন্তু আপনি করতে পারছেন 8 টা তাহলে এখানে আপনার কিছুটা প্রডাক্টিভিটি কমেছে।
- আজ আপনাকে টেলি কলিং করার কথা ছিল 20 টা আপনি করেছেন 22 টা তার মানে এখানে আপনার কিছুটা প্রডাক্টিভিটি বেড়েছে।
- আজকে আপনার কোম্পানি ভিজিট করার কথা ছিল 10 টা কিন্তু আপনি করেছেন 8 টা এখানে আপনার কিছুটা প্রডাক্টিভিটি কমেছে।
এভাবে আপনাকে প্রডাক্টিভিটি পরিমাপ করে দেখতে হবে এবং দিন দিন এর উন্নতি নিশ্চিত করতে হবে তাহলে আপনি বর্তমান এবং ভবিষ্যতে কর্মক্ষেত্রে সবথেকে সফল হতে পারবেন।
আর আমি আগেও বলেছি প্রডাক্টিভিটি আপনাকে হিসাব করতে শেখাবে যে আপনি এখন আছেন কোথায়, যাবেন কোথায়?
আর সবশেষে যেটা আরো গুরুত্বপূর্ণ সেটা হচ্ছে আপনাকে আপনার কর্মক্ষেত্রের মধ্যে 100% ফোকাস নিশ্চিত করতে হবে এবং যে কাজটা আপনি করছেন সে কাজেকে সবথেকে বেশি ভালবাসতে হবে।
যদি আপনি তিন ঘন্টার জন্য আনন্দ পেতে চান তাহলে আপনাকে একটা মুভি দেখে আনন্দ নিতে হবে।
যদি আপনি সাত দিনের জন্য আনন্দ পেতে চান তাহলে আপনাকে কোন ট্যুরে যেতে হবে।
যদি আপনি সারাজীবন আনন্দ পেতে চান তাহলে আপনাকে আপনার কাজকে ভালবাসতে হবে।
আমার এই পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন আপনাদের পরিচিত বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে আর অবশ্যই Upvote 👍 করে আমাকে উৎসাহিত করবেন যাতে আমি পরবর্তীতে এ ধরনের ভাল ভাল পোষ্ট আপনাদের সামনে নিয়ে উপস্থিত হতে পারি।
এ ধরনের আরো বেশ কিছু বিজনেস টিপস, মোটিভেশনাল টিপস, এবং ক্যারিয়ার অরিয়েন্টেড টিপস পেতে আমাকে অনুসরণ করুন যাতে পরবর্তীতে আমার পোস্টগুলো আপনি সবার আগে পেতে পারেন।
ধন্যবাদ 🙏