মুদ্রা দোষ কীভাবে পরিত্যাগ করা যায়?
মুদ্রা দোষ কীভাবে পরিত্যাগ করা যায়?
মুদ্রা দোষ মূলত একটা মানসিক রোগ। মুদ্রা দোষ অনেক ধরনের হতে পারে। দাঁত দিয়ে নখ কাটা, বারবার হাত-পা কিংবা মাথা ঝাঁকানো, অযথাই সবার সামনে নাক বা কান পরিষ্কার, অপ্রয়োজনীয় কথা বারবার বলতে থাকা, এর সবই মুদ্রাদোষ।
এপ্রসঙ্গে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মেখলা সরকার বলেন, ‘উদ্বেগ কিংবা মানসিক অবসাদ মুদ্রাদোষের কারণ হতে পারে। বিশেষ করে মানুষ যখন চিন্তামগ্ন থাকে, তখন নিজের অজান্তেই অপ্রয়োজনীয় সব কাজ বারবার করতে থাকে। মুদ্রাদোষগুলো দুই ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। মৃদু কিংবা তীব্র। সব ধরনের মুদ্রাদোষকে মানসিক রোগ বলা ঠিক হবে না। বিশেষ করে মানুষ চিন্তামগ্ন অবস্থায় যে কাজগুলো করে, অন্যান্য সময় সাধারণত সে কাজগুলো করে না।’
মুদ্রা দোষ থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলে মুদ্রাদোষের কথা মনে করা যাবে না, ভুলে থাকতে হবে । ‘আজ থেকে এমন কাজ আর কখনো করব না’ এভাবে মুদ্রাদোষ থেকে বেরিয়ে আসা যায় না। কেন না, কোনো কিছুতে দৃঢ় সংকল্প মানে সেই কাজটি বারবার মনে করা। এতে উদ্বেগ বেড়ে যেতে পারে, নিজেকে অস্বাভাবিক মনে হতে পারে, কাজের কাজ কিছু হবে না। একইভাবে পরিবার-পরিজন যেন রোগীকে তার সমস্যার কথা মনে করিয়ে না দেয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। উদ্বেগের কারণ খুঁজে বের করে তা কমানোর ব্যাবস্থা করতে হবে।
আর মুদ্রা দোষজনিত সমস্যা গুরুতর হলে তা শারীরিক ক্ষতির কারণ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে মনস্তত্ত্ববিদ বা সাইকিয়াট্রিস্টের শরণাপন্ন হতে হবে এবং তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।