যন্ত্রণাদায়ক পিরিয়ড হলে কখন যেতে হবে ডাক্তারের কাছে?
যন্ত্রণাদায়ক পিরিয়ড হলে কখন যেতে হবে ডাক্তারের কাছে?
আমাদের দেশের বেশিরভাগ নারীই এখনও ঋতুস্রাব বা পিরিয়ডের ঘটনাকে একটি লজ্জাজনক ও ঘৃণিত বিষয় ভেবে এটাকে যতটা সম্ভব এড়িয়ে যেতে যান, যা কোনভাবেই ঠিক নয়। যদি মাসিকের ব্যাথা কোন নারীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যহত করে, তবে অবশ্যই তার একজন ভাল স্ত্রী-রোগ বিশেষজ্ঞ বা Gynecologistএর সাহায্য নেয়া দরকার। কোনো নারী যদি নিম্নোক্ত বিষয়গুলির কোনটি অনুভব করেন তবে ডাক্তারের সেবা নেয়া একান্ত জরুরী, এগুলি হল-
• IUD প্রতিস্থাপনের পর ব্যথা শুরু হলে।
• তিনমাসের অধিক সময় ধরে যন্ত্রণাদায়ক মাসিক স্রাব ঘটলে।
• মাসিকের রক্ত জমাটবদ্ধ আকারে বের হলে।
• পেট কামড়ানোর (Cramping) সাথে সাথে ডায়রিয়া ও শরীর দুর্বল (Nausea) হয়ে আসলে।
• মাসিক ছড়াই শ্রোণিদেশ বা তলপেটে (Pelvic Region) ব্যাথা অনুভব করলে।
হঠাৎ করে তলপেটে ব্যাথা শুরু হওয়া সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে। কোন সংক্রমণের চিকিৎসা না করা হলে তা পরবর্তীতে দেহের টিস্যুতে দাগ ধরিয়ে দিতে পারে যা তলপেটের অঙ্গসমূহকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে যা পরবর্তীতে বন্ধ্যাত্ব (Infertility) বয়ে আনতে পারে। যদি কোন নারীর এ ধরনের সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দেয় তাহলেও তার দ্রুত ডাক্তার দেখাতে হবে। লক্ষণগুলি হলো-
• জ্বর
• তলপেটে প্রচন্ড ব্যথা
• হঠাৎ ব্যাথা হওয়া, বিশেষ করে গর্ভাবস্থায়
• প্রচন্ড বাজে গন্ধযুক্ত যোনিরসের নির্গমন
যেহেতু ঋতুস্রাব বা মাসিক মেয়েদের জীবনের একটি গুরুত্বপুর্ণ ও স্বাভাবিক ঘটনা তাই এটাকে কোনভাবেই আড়াল করে বা চেপে রাখা উচিত না। মেয়েদের উচিৎ এর সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন হওয়া এবং এর প্রক্রিয়াসমূহ সম্পর্কে সম্পুর্ণভাবে অবগত থেকে একটি সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা এবং অন্যকেও সাহায্য করা।