লবন খাওয়ার অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিকগুলো কি?
লবন খাওয়ার অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিকগুলো কি?
লবণ বেশি খেলে ভবিষ্যতে নিম্নোক্ত সমস্যাগুলো হতে পারে:
☆শরীর ডিহাইড্রেশন রাখেঃ
শরীরকে হাইড্রেট রাখা খুব জরুরী। কিন্তু খাবার পাতে অতিরিক্ত পরিমাণ লবণ শরীরকে ডিহাইড্রেশন করে তোলে। তাই আপনার খাদ্য থেকে এই উপাদানটি অপসারণ করা ভালো।
☆ উচ্চ রক্তচাপঃ অতিরিক্ত পরিমাণ লবণ খাওয়ার ফলে রক্ত চাপ বেড়ে যেতে পারে। ব্লাড প্রেসার রোগীদের লবণ না খাওয়াই উত্তম।
☆ ওজন হ্রাসঃ ওজন হ্রাসঃ খাবার পাতে লবণ দ্রুত চর্বি হ্রাস করতে সহায়ক। তাই অতিরিক্ত লবণ খেলে ওজন আরও কমে যেতে পারে। তাই যাদের ওজন কম তাদের লবণ না খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
☆ হাড়ের ক্ষতি হতে পারেঃ অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ করলে হাড় থেকে ক্যালসিয়াম ক্ষয় হতে পারে। যা অস্টিওপরোসিসের সমস্যা হতে পারে। যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। তাই লবণ খাওয়া পরিত্যাগ করলে আপনার দীর্ঘায়ু হতে পারে। যাদের হার্টের অসুখ রয়েছে বিশেষত বয়স্কদের লবণ খাওয়া পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে।
☆ স্ট্রোক হওয়ার প্রবণতাঃ বাইরের খাবার যেমন জাঙ্ক ফুড বা স্ট্রিট ফুডগুলিতে বেশি করে লবণের পরিমাণ থাকে। এই ধরনের খাবার আমাদের মারাত্মক ক্ষতি করে দিতে পারে। কিন্তু আমরা এই ধরনের খাবার খেতে পছন্দ করে থাকি। যার ফলে হার্টের রোগ এবং স্ট্রোকের প্রবণতা থাকে। গবেষণায় দেখা যায়, বিশ্বজুড়ে স্ট্রোক আক্রান্ত মৃত্যুর সংখ্যা ৭০ শতাংশ। তাই দৈনিক খাবারের লবণে এর পরিমাণ কমানো না হলে স্ট্রোক আক্রান্ত মৃত্যুর সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলবে।
☆ কিডনির সমস্যাঃ কিডনির সমস্যাঃ অত্যাধিক পরিমাণ লবণ খাওয়ার জন্য হৃদ চাপ বেড়ে যায়। যার ফলে কিডনি থেকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম নিঃসৃত হয় এবং কিডনিতে পাথর সৃষ্টি হয়। কিডনির সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য লবণ খাওয়া বন্ধ করা মাস্ট।
☆ ডায়াবেটিস হওয়ার সমস্যাঃ লবণের কারনে ব্লাড প্রেসার বেড়ে যায়। যার ফলে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভবনা থাকে।