সন্তান লাভের জন্য যাকারিয়া (আঃ) কি দো’আ করেছিলেন?
সন্তান লাভের জন্য যাকারিয়া (আঃ) কি দো’আ করেছিলেন?
আল্লাহ বলেন,
ﻫُﻨَﺎﻟِﻚَ ﺩَﻋَﺎ ﺯَﻛَﺮِﻳَّﺎ ﺭَﺑَّﻪُ ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺏِّ ﻫَﺐْ ﻟِﻲْ ﻣِﻦ ﻟَّﺪُﻧْﻚَ
ﺫُﺭِّﻳَّﺔً ﻃَﻴِّﺒَﺔً ﺇِﻧَّﻚَ ﺳَﻤِﻴْﻊُ ﺍﻟﺪُّﻋَﺎﺀَ- (ﺁﻝ ﻋﻤﺮﺍﻥ ৩৮)-
‘সেখানেই যাকারিয়া তার
পালনকর্তার নিকটে প্রার্থনা
করল এবং বলল, হে আমার
পালনকর্তা! তোমার নিকট
থেকে আমাকে পূত-পবিত্র
সন্তান দান কর। নিশ্চয়ই তুমি
প্রার্থনা শ্রবণকারী’ (আলে
ইমরান ৩/৩৮) । একথাটি অন্যত্র
বর্ণিত হয়েছে নিম্নোক্ত ভাবে-
ﻛﻬﻴﻌﺺ- ﺫِﻛْﺮُ ﺭَﺣْﻤَﺔِ ﺭَﺑِّﻚَ ﻋَﺒْﺪَﻩُ ﺯَﻛَﺮِﻳَّﺎ- ﺇِﺫْ ﻧَﺎﺩَﻯ
ﺭَﺑَّﻪُ ﻧِﺪَﺍﺀ ﺧَﻔِﻴًّﺎ- ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺏِّ ﺇِﻧِّﻲ ﻭَﻫَﻦَ ﺍﻟْﻌَﻈْﻢُ ﻣِﻨِّﻲ
ﻭَﺍﺷْﺘَﻌَﻞَ ﺍﻟﺮَّﺃْﺱُ ﺷَﻴْﺒﺎً ﻭَﻟَﻢْ ﺃَﻛُﻦ ﺑِﺪُﻋَﺎﺋِﻚَ ﺭَﺏِّ ﺷَﻘِﻴًّﺎ –
ﻭَﺇِﻧِّﻲ ﺧِﻔْﺖُ ﺍﻟْﻤَﻮَﺍﻟِﻲَ ﻣِﻦ ﻭَﺭَﺍﺋِﻲ ﻭَﻛَﺎﻧَﺖِ ﺍﻣْﺮَﺃَﺗِﻲ
ﻋَﺎﻗِﺮًﺍ ﻓَﻬَﺐْ ﻟِﻲ ﻣِﻦ ﻟَّﺪُﻧﻚَ ﻭَﻟِﻴًّﺎ- ﻳَﺮِﺛُﻨِﻲ ﻭَﻳَﺮِﺙُ ﻣِﻦْ
ﺁﻝِ ﻳَﻌْﻘُﻮﺏَ ﻭَﺍﺟْﻌَﻠْﻪُ ﺭَﺏِّ ﺭَﺿِﻴًّﺎ – ( ﻣﺮﻳﻢ ২-৬ )-
‘এটি আপনার পালনকর্তার
অনুগ্রহের বিবরণ তার বান্দা
যাকারিয়ার প্রতি’ (মারিয়াম
২) । ‘যখন সে তার পালনকর্তাকে
আহবান করেছিল নিভৃতে’। ‘সে
বলল, হে আমার পালনকর্তা! আমার
অস্থি দুর্বল হয়ে গেছে এবং
বার্ধক্যের কারণে মস্তক শ্বেত-শুভ্র
হয়ে গেছে। হে প্রভু! আপনাকে
ডেকে আমি কখনো নিরাশ হইনি’।
‘আমি ভয় করি আমার পরবর্তী
বংশধরের। অথচ আমার স্ত্রী
বন্ধ্যা। অতএব আপনি নিজের পক্ষ
থেকে আমাকে একজন
উত্তরাধিকারী দান করুন’। ‘সে
আমার স্থলাভিষিক্ত হবে এবং
উত্তরাধিকারী হবে ইয়াকূব-
বংশের এবং হে প্রভু! আপনি
তাকে করুন সদা-সন্তুষ্ট’ (মারিয়াম
১৯/২-৬) ।
জবাবে আল্লাহ বললেন,
ﻳَﺎ ﺯَﻛَﺮِﻳَّﺎ ﺇِﻧَّﺎ ﻧُﺒَﺸِّﺮُﻙَ ﺑِﻐُﻼَﻡٍ ﺍﺳْﻤُﻪُ ﻳَﺤْﻴَﻰ ﻟَﻢْ ﻧَﺠْﻌَﻞْ ﻟَﻪُ
ﻣِﻦ ﻗَﺒْﻞُ ﺳَﻤِﻴًّﺎ- ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺏِّ ﺃَﻧَّﻰ ﻳَﻜُﻮﻥُ ﻟِﻲ ﻏُﻼَﻡٌ
ﻭَﻛَﺎﻧَﺖِ ﺍﻣْﺮَﺃَﺗِﻲ ﻋَﺎﻗِﺮﺍً ﻭَﻗَﺪْ ﺑَﻠَﻐْﺖُ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻜِﺒَﺮِ ﻋِﺘِﻴًّﺎ –
ﻗَﺎﻝَ ﻛَﺬَﻟِﻚَ ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺑُّﻚَ ﻫُﻮَ ﻋَﻠَﻲَّ ﻫَﻴِّﻦٌ ﻭَﻗَﺪْ ﺧَﻠَﻘْﺘُﻚَ
ﻣِﻦ ﻗَﺒْﻞُ ﻭَﻟَﻢْ ﺗَﻚُ ﺷَﻴْﺌًﺎ- ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺏِّ ﺍﺟْﻌَﻞْ ﻟِﻲ ﺁﻳَﺔً ﻗَﺎﻝَ
ﺁﻳَﺘُﻚَ ﺃَﻻَّ ﺗُﻜَﻠِّﻢَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱَ ﺛَﻼَﺙَ ﻟَﻴَﺎﻝٍ ﺳَﻮِﻳًّﺎ- ﻓَﺨَﺮَﺝَ
ﻋَﻠَﻰ ﻗَﻮْﻣِﻪِ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤِﺤْﺮَﺍﺏِ ﻓَﺄَﻭْﺣَﻰ ﺇِﻟَﻴْﻬِﻢْ ﺃَﻥْ ﺳَﺒِّﺤُﻮﺍ
ﺑُﻜْﺮَﺓً ﻭَّﻋَﺸِﻴًّﺎ- ( ﻣﺮﻳﻢ ৭-১১)-
‘হে যাকারিয়া! আমি
তোমাকে একটি পুত্র সন্তানের
সুসংবাদ দিচ্ছি। তার নাম হবে
ইয়াহইয়া। ইতিপূর্বে এই নামে
আমি কারু নামকরণ করিনি’। ‘সে
বলল, হে আমার পালনকর্তা! কেমন
করে পুত্র সন্তান হবে? অথচ আমার
স্ত্রী বন্ধ্যা। আর আমিও
বার্ধক্যের শেষপ্রান্তে উপনীত’।
‘তিনি বললেন, এভাবেই হবে।
তোমার প্রভু বলে দিয়েছেন যে,
এটা আমার জন্য খুবই সহজ। আমি তো
ইতিপূর্বে তোমাকে সৃষ্টি
করেছি, যখন তুমি কিছুই ছিলে
না’। ‘সে বলল, হে আমার
পালনকর্তা! আমাকে একটি
নিদর্শন প্রদান করুন। তিনি বললেন,
তোমার নিদর্শন এই যে, তুমি (সুস্থ
অবস্থায়) একটানা তিন দিন
লোকজনের সাথে কথাবার্তা
বলতে পারবে না’। ‘অতঃপর সে
কক্ষ থেকে বের হয়ে তার
সম্প্রদায়ের কাছে এল এবং
ইঙ্গিতে তাদেরকে সকাল-
সন্ধ্যায় আল্লাহকে স্মরণ করতে
বলল’ (মারিয়াম ১৯/৭-১১) ।