Kaosar's Profile
Vice Professor
529
Points

Questions
177

Answers
8

  • Vice Professor Asked on December 21, 2015 in No Category.

      জাতীয় পরিচয় পত্র হারিয়ে গেলে, ভুল থাকলে অথবা নতুন পরিচয়পত্র করতে গেলে কি করবেন? এছাড়াও অনেককেই জাতীয় পরিচয়পত্রের বিভিন্ন ভুলভ্রান্তি নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়। আবার যারা নতুন পরিচয়পত্র করতে চান তারাও এ বিষয়ে অনেকে অজ্ঞ। কিভাবে করব, কোথায় করব, কি কি লাগবে ইত্যাদি বিষয় জানেন না। আর এ সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করলে আশা করি সবাই উপকার পাবেন।

      পরিচয়পত্রে নিজের নাম, পিতা, মাতা, স্বামী, স্ত্রী ও অভিভাবকের নাম, জন্মতারিখ, রক্তের গ্রুপ এবং ঠিকানা সংশোধন কিংবা বদল করতে হতে পারে। এ জন্য প্রার্থীকে সাদা কাগজে ‘ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানে সহায়তা প্রদান প্রকল্প’- এর পরিচালকেরকাছে আবেদন করতে হবে। এই আবেদন আগারগাঁওয়ের ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনের সপ্তম তলায় প্রকল্প কার্যালয়ে পাওয়া ছক বা ফরমেও করা যায়।

      ফরম পূরণ করে প্রকল্প কার্যালয়ের নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা দেওয়ার পর সেখান থেকে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (প্রাপ্তি নম্বরসংবলিত) দেওয়া হয়। এতে সংশোধিত জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার তারিখ উল্লেখ থাকবে। এই তারিখের সাত দিনের মধ্যে কাউন্টার থেকে সংশোধিত পরিচয়পত্র নিতে হবে।

      নাম সংশোধনঃ কেউ পরিচয়পত্রে থাকা নিজের নাম, পিতা, স্বামী কিংবা মাতার নাম সংশোধন করতে চাইলে তাকে আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে-

      ১। এসএসসি বা সমমান সনদ
      ২। নাগরিকত্ব সনদ
      ৩। জন্মনিবন্ধন সনদ
      ৪। চাকরির প্রমাণপত্র
      ৫। পাসপোর্ট
      ৬। নিকাহনামা
      ৭। পিতা, স্বামী কিংবা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।

      আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত এসব নথি অবশ্যই সত্যায়িত হতে হবে। এ ক্ষেত্রে উল্লেখ করা নথির যার যেটি আছে, শুধু সেটি দিলেই চলবে। যেমন, যার শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির কম, তাকে এসএসসি বা সমমানের সনদের ফটোকপি জমা দিতে হবে না। আবার কেউ যদি চাকরি না করেন, তাকে চাকরির প্রমাণপত্র দিতে হবে না। আবার পাসপোর্ট না থাকলে তা দেয়ার দরকার নেই।

      নাম পরিবর্তনঃ
      জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজের নাম বদল করতে হলে আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে এসএসসি বা সমমানের সনদের সত্যায়িত ফটোকপি (শিক্ষাগত যোগ্যতা এর নিচে হলে দেয়ার দরকার নেই), বিবাহিত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে স্ত্রী বা স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সম্পাদিত এফিডেভিট এবং জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত নাম পরিবর্তনসংক্রান্ত বিজ্ঞাপনের কপি। নাম পরিবর্তনের জন্য প্রার্থীকে শুনানির দিন প্রকল্পের কার্যালয়ে কাগজপত্রের মূল কপিসহ হাজির হতে হবে।

      স্বামীর নাম সংযোজন বা বাদ দেওয়াঃ
      বিয়ের পর কেউ জাতীয় পরিচয়পত্রে স্বামীর নাম যুক্ত করতে চাইলে তাকে কাবিননামা ও স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্র আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে। আর বিবাহবিচ্ছেদের কারণে স্বামীর নাম বাদ দিতে চাইলে আবেদনকারীকে তালাকনামার সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।

      পিতা বা মাতার নাম পরিবর্তনঃ
      পিতা বা মাতার নাম পরিবর্তন করতে হলে আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে এসএসসি বা এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার সনদ অথবা রেজিস্ট্রেশন কার্ড। পিতা বা মাতার পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি। পিতা বা মাতা বা উভয়ে মৃত হলে দিতে হবে ভাই বা বোনের পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি। পিতা-মাতার নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আবেদনকারীর সাক্ষাৎকার নিতে পারেন।

      জন্মতারিখ সংশোধনঃ
      যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা সমমানের, তাদের আবেদনপত্রের সঙ্গে এসএসসি বা সমমানের সনদের সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে হবে। বয়সের পার্থক্য অস্বাভাবিক না হলে প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে উল্লেখ করা তারিখে সংশোধিত পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়। অস্বাভাবিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সনদের মূল কপি প্রদর্শন কিংবা ব্যক্তিগত শুনানিতে অংশ নিতে হতে পারে। যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা সমমানের কম, তাদের জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার আগের তারিখে পাওয়া সার্ভিস বুক বা এমপিওর কপি, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জন্ম সদন, নিকাহনামা, পাসপোর্টের কপি প্রভৃতি। এ ক্ষেত্রে প্রকল্প কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা প্রকল্প পরিচালক আবেদনকারীর সাক্ষাৎকার নিয়ে থাকেন। এ ছাড়া দরকার হলে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে সরেজমিনে তদন্ত করা হয়।

      ঠিকানা সংশোধনঃ
      জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা বর্তমান ঠিকানা ও ভোটার এলাকা বদল করার সুযোগ আছে। তবে সারা বছর সেই সুযোগ মেলে না। এটা শুধু ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময় করা যাবে। বর্তমানে হালনাগাদ করার কাজটি করা হয় শুধু জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে। সারা বছর ভোটার এলাকা বদলের সুযোগ থাকে না কেন, জানতে চাইলে প্রকল্পের কমিউনিকেশন অফিসার দেবাশীষ কুণ্ডু বলেন, ‘আমাদের দেশে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা, সিটি করপোরেশন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভিন্ন ভিন্ন সময়ে হয়। দেখা যায়, একই বছর একাধিক নির্বাচন হয়।

      একই বছরে কেউ যাতে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট দিতে না পারেন, তাই সারা বছর ভোটার এলাকা বদলের সুযোগ দেওয়া হয় না।’ হালনাগাদ করার সময় ভোটার এলাকা বদল করতে হলে নতুন ঠিকানার উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিস থেকে দেওয়া ফরম-১৩ অথবা ফরম-১৪ পূরণ করে উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে। তবে ঠিকানা পরিবর্তন না করে সংশোধন (বানান, বাড়ির নম্বর, সড়ক নম্বর ভুল থাকলে) করার সুযোগ ঢাকার প্রকল্প কার্যালয়ে রয়েছে।এ ছাড়া স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন বা এর কোনো তথ্য সংশোধনেরও সুযোগ আছে। ঠিকানার ছোটখাটো ভুল সংশোধন বা স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তনের সুযোগ সারা বছরই থাকে। এ জন্য আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রকল্প কার্যালয়ের নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা দিতে হবে পরিবারের কোনো সদস্যের পরিচয়পত্রের কপি, গ্যাস, বিদ্যুৎ, টেলিফোন বিলের যেকোনো একটির কপি বা কর দেওয়ার কপি। আরও জমা দিতে হবে চেয়ারম্যান বা ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্র। স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ওই ঠিকানায় নিজের নামে বা পিতা বা মাতার নামে থাকা জমি বা ফ্ল্যাটের দলিলের সত্যায়িত ফটোকপিও জমা দিতে হবে।

      রক্তের গ্রুপ সংশোধনঃ
      রক্তের গ্রুপ সংশোধন করতে হলে মেডিকেল প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।

      বিবিধ সংশোধনঃ
      জাতীয় পরিচয়পত্রে কোনো নামের আগে পদবি, উপাধি, খেতাব ইত্যাদি সংযুক্ত করা যাবে না। পিতা বা স্বামী বা মাতাকে মৃত উল্লেখ করতে চাইলে মৃত্যুর সনদ দাখিল করতে হবে। জীবিত পিতা বা স্বামী বা মাতাকে ভুলক্রমে মৃত হিসেবে উল্লেখ করার কারণে পরিচয়পত্র সংশোধন করতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচয়পত্রের কপি দাখিল করতে হবে।

      হালনাগাদ কর্মসূচির পরিচয়পত্র সংশোধনঃ
      ২০০৯ সালে হালনাগাদ কর্মসূচির সময় যাদের নাম ভোটার তালিকায় যুক্ত হয়েছে, তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে কোনো ভুল থাকলে বা হারিয়ে গেলে তাদের ২০১০ সালের ডিসেম্বরের পর প্রকল্প কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে হবে।

      পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলেঃ
      পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট থানায় ভোটার নম্বর বা আইডি নম্বর উল্লেখ করে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে। এরপর জিডির মূল কপিসহ প্রকল্প কার্যালয় থেকে নেওয়া ছকের আবেদনপত্র নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র নিতে হবে। প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে উল্লেখ করা তারিখে ডুপ্লিকেট পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়।

      যারা এখনো পরিচয়পত্র ওঠাননিঃ
      ঢাকা সিটি করপোরেশনের যেসব বাসিন্দা (ডেমরা, যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, শ্যামপুর থানা ছাড়া) ২০০৭-০৮ সালে পরিচয়পত্রের জন্য সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছেন, কিন্তু সেটি সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে গিয়ে আর আনেননি, তারা প্রকল্প কার্যালয়ে গিয়ে মূল প্রাপ্তি রসিদ জমা দিয়ে সেই পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। ডিসিসির বাইরে ঢাকা জেলার অন্যান্য উপজেলা বা থানার বাসিন্দা কিংবা দেশের অন্য কোনো জেলার বাসিন্দারা পরিচয়পত্র নির্দিষ্ট সময়ে না উঠিয়ে থাকলে, তাঁদের প্রাপ্তি রসিদ সংশ্লিষ্ট উপজেলা, থানা বা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার মন্তব্যসহ প্রাপ্তি রসিদ জমা দিয়ে পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। তাঁদের মূল প্রাপ্তি রসিদ প্রকল্প কার্যালয়ের নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র গ্রহণ করতে হবে। প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে উল্লেখ করা তারিখে তাঁদের পরিচয়পত্র দেওয়া হবে।

      অভিবাসীরা যেভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র পাবেনঃ
      অভিবাসী বাংলাদেশিদের জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার সুযোগ আছে। এ জন্য তাঁদের অবশ্যই দেশে আসতে হবে। তাঁদের থাকতে হবে পাসপোর্ট। আর তাতে বাংলাদেশে আসার সিল (অ্যারাইভাল সিল) থাকতে হবে। কারও যদি পাসপোর্ট না থাকে, তবে তাঁকে এমন কোনো কাগজ দেখাতে হবে, যেটা প্রমাণ করে যে তিনি বিদেশে ছিলেন। পাসপোর্ট বা সেই প্রমাণপত্র নিয়ে তাঁকে যেতে হবে তাঁর থানা বা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে। সেখানে জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া এবং ভোটার হওয়ার আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। সেখানে নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আবেদনকারীকে ফরম ও আনুষঙ্গিক কাগজপত্র নিয়ে আসতে হবে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে।

      সেই দপ্তর থেকে সব কাগজপত্র ডাকযোগে পাঠিয়ে দেওয়া হবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অধীনে থাকা ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানে সহায়তা প্রদান প্রকল্পের দপ্তরে। তবে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে কাগজপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষ করে আবেদনকারী সেগুলো হাতে হাতে নিয়ে আসতে পারেন প্রকল্পের কার্যালয়ে। এখানে আবেদনকারীর ছবি তোলা হবে, নেওয়া হবে হাতের ছাপ ও চোখের (আইরিশ) স্ক্যান। এসব কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আবেদনকারীকে প্রাপ্তি রসিদ দেওয়া হবে। তাতে আবেদনকারীকে ১৫ দিন পর আগারগাঁওয়ের ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনের সপ্তম তলায় প্রকল্পের দপ্তর থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হবে। তখন অবশ্যই প্রাপ্তি রসিদ আবেদনকারীর সঙ্গে থাকতে হবে।

      নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে হলেঃ
      বাংলাদেশে কারও বয়স ১৮ বছর হলেই কেবল তিনি ভোটার তালিকায় নাম ওঠাতে পারবেন। দেশের প্রতিটি উপজেলায় সার্ভার স্টেশন তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। এসব স্টেশনে ভোটার তালিকা তৈরি ও বিতরণের কাজ করা হবে। এগুলোয় কার্যক্রম শুরু হলে যখন যার বয়স ১৮ বছর হবে, তখন তিনি ভোটার তালিকায় নাম ওঠাতে পারবেন। এখন ১৮ বছর পূর্ণ হওয়া মাত্রই জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির সুযোগ থাকছে তাদেরই, যাদের চিকিৎসা, পড়াশোনা বা কাজের জন্য বিদেশে যেতে হবে। এ জাতীয় কোনো প্রয়োজনীয়তার প্রমাণ দেখাতে হবে।

      যোগাযোগঃ
      ভোটার তালিকাসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানতে হলে যোগাযোগ করতে হবে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানে সহায়তা প্রদান প্রকল্পের আগারগাঁওয়ের ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনের সপ্তম তলার কার্যালয়ে।

      • 1137 views
      • 1 answers
      • 0 votes
    • সারাদিন অফিসের পর রাতে একটা বিয়ের দাওয়াত। পার্লারে গিয়ে সাজবার সময় হয়ে উঠে না, একটু সময় নিয়ে ভালো করে সাজবারও সময় হাতে নেই, অগত্যা বিয়েবাড়িতে নিজেকে যেন মনে হচ্ছে একদম ফিকে। এখনকার ব্যস্ত সময়ে এরকম পরিস্থিতিতে পড়ার অভিজ্ঞতা অনেকেরই আছে। কিন্তু এর সমাধানও আছে। মেকআপ বা সাজগোজ মানেই যে সারাদিন আয়নার সামনে বসে থাকতে হবে তা নয়। ঝটপট মেকআপ করার পদ্ধতিটা জানলেই হলো।এখন বাজারে অনেক রকম পণ্য পাওয়া যায়,যা ব্যবহারে মেকআপ করা খুবই সহজ হয়ে গেছে। যেমন তরল ফাউন্ডেশনের বদলে প্রেসড পাউডার ব্যবহার করা যায়। টিন্টেড ময়েশ্চারাইজার লাগিয়েও খুব সহজেই একটা সজীব ভাব আনা যায় চেহারায়। বাইরে থেকে ফিরেই প্রথমে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিন। একটু বরফ ঘষে নিতে পারেন। এবার ময়েশ্চারাইজার দিতে হবে। তরল ফাউন্ডেশন ব্যবহার করাটা বেশ সময়সাপেক্ষ। আর মেকআপ করাতে দক্ষ না হলে কম সময়ে সেটা ভালোভাবে দেয়াও সম্ভব হয় না। এর বদলে প্রেসড বা কমপ্যাক্ট পাউডার ব্যবহার করাই ভালো। মুখে দাগ থাকলে বা চোখের নিচে কালি ঢাকতে কনসিলার ব্যবহার করতে পারেন। এটা কিন্তু ফাউন্ডেশনের মতো ব্যবহার করা যায়। হাত দিয়ে একটু কনসিলার নিয়ে মুখে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তরল ফাউন্ডেশন যদি দিতেই চান তবে আঙুলে একটু ফাউন্ডেশন নিয়ে ছোট ছোট ফোঁটার মতো করে সারা মুখে লাগান। এরপর ভালোভাবে মিশেয়ে নিন। বেইসটা করা হয়ে গেলে মেকআপ করার বাকি ধাপগুলো একদম সোজা। এরপর শিমার দিয়ে নিন। চোখে গ্লিটার আইলাইনার ব্যবহার করলে বেশ জমকালো দেখায়। এটা ব্যবহারও সহজ। আইশ্যাডোতেও গ্লিটার ব্যবহার করতে পারেন। কালো বা ধূসর আইশ্যাডো দিয়ে স্মোকি ভাবও আনতে পারেন। এরপর গাঢ় করে কাজল লাগিয়ে নিন। মাসকারা দিন কয়েকবার। চোখের সাজটা জমকালো হলে এমনিতেই আপনাকে বেশ উজ্জ্বল দেখাবে l পিচ বা বাদামি ব্লাশঅন আলতোভাবে গালে লাগাতে পারেন। সবশেষে লিপস্টিক দিয়ে নিন। গ্লস লিপস্টিক ব্যবহার করাই ভালো। অথবা লিপস্টিক দিয়ে এর ওপর গ্লস বুলিয়ে নিন। ব্যস হয়ে গেল ঝটপট মেকআপ। সঙ্গে প্রেসড পাউডার, কাজল ও লিপগ্লস রাখুন, যাতে কিছু সময় পর আবার আপনার সাজ ঠিকঠাক করে নিতে পারেন।তবে এ গরমে গ্লস না দেয়াটাই ভালো। অনেক সময় পার্টির আগে শ্যাম্পু করার সময় পাওয়া যায় না। চুলটা একটু তেলতেলে হয়ে গেলে চুলের গোড়ায় একটু ট্যালকম পাউডার ছড়িয়ে দিন। তারপর আঙুল চালিয়ে চুলে তা মিলিয়ে দিন। এরপর ব্রাশ দিয়ে আঁচড়ে নিন। চুল বেশ ঝরঝরে দেখাবে।

      • 1118 views
      • 1 answers
      • 0 votes
    • অনেকেই ঠোঁটের আর্দ্রতা ও নমনীয়তা ধরে রাখার কারণে লিপবাম ব্যবহার করেন। যা করা একদমই উচিত নয়। কারণ সব ধরণের লিপবাম ঠোঁটের জন্য উপযুক্ত নয়।
      স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে, ফিলিপিনসের ম্যানিলা শহরের চর্মরোগবিশেষজ্ঞ ভারমেন ভেরাল্লো রাওয়েল ঠোঁট শুষ্ক হওয়া থেকে প্রতিকার এবং কোন ধরণের লিপবাম ঠোঁটের জন্য ভালো সে সম্পর্কে কিছু পরামর্শ দেন।
      ঠান্ডা মৌসুমে ঠোঁট শুষ্ক হওয়ার প্রবনতা স্বাভাবিকভাবেই বাড়তে থাকে। ঠোঁটের আদ্রতা কমে যাওয়ার একটি বড় কারণ হচ্ছে এই সময়ে ত্বকে পানি সরবারহের পরিমাণ কম থাকে। এছাড়া পরিবেশ যেমন, ঘরের ভিতর হিটার ব্যবহার করলে এবং বেশি গরম পানি দিয়ে গোসল করার ফলেও এমনটা হতে পারে।
      পাশাপাশি ঠোঁটের ভিতর থাকা সাবেইসাস গ্রন্থির ঘাটতি থাকলেও ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। সহজভাবে বলা যায়, ঠোঁটের আদ্রতা ধরে রাখার মতো তরলে ঘাটতি হলেই ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
      রাওয়েল জানান, বেশিরভাগ লিপবামেই অ্যালার্জি হতে পারে এমন উপাদান থাকে যা ব্যবহারের ফলে ঠোঁটের ত্বকে অস্বস্তি বোধ হতে পারে এবং ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
      তাছাড়া অনেক সময় লিপবামগুলোতে ত্বকে শীতল অনুভূতির জন্য পুদিনা বা মিন্ট উপাদান দেওয়া হয়। লিপবামে বৈচিত্র্য আনার জন্য বিভিন্ন রং যুক্ত করা হয় এবং এই প্রসাধনী দীর্ঘদিন সংরক্ষণের জন্য বেনজাইল অ্যালকোহল, লানোলিন ও প্রপাইলিন গ্লাইকল ব্যবহার করা হয় যা ত্বকের উপকারের থেকে অপকারই করে বেশি।
      রাওয়েল বলেন, “যেসব লিপবামে এসব উপাদান থাকে সে সব লিপবাম স্বল্পসময়ের জন্য ত্বক শীতল এবং তৈলাক্ত রাখতে সাহায্য করে। তবে এধরণের উপকরণ যুক্ত লিপবাম ব্যবহারে ধীরে ধীরে ঠোঁট আরও বেশি শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।”
      তিনি আরো বলেন, “নারকেল তেল সমৃদ্ধ লিপবাম ঠোঁটের জন্য ভালো। কারণ নারকেলে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান। তাছাড়া নারিকেল তেলের সঙ্গে পেট্রোলাটাম যুক্ত করেও লিপবাম হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।”
      বেশি সুগন্দিময় লিপবাম ,লিপজেল, চ্যাপস্টিক ব্যবহার করা উচিত নয় ।

      • 921 views
      • 1 answers
      • 0 votes
    • Vice Professor Asked on June 8, 2015 in সাধারণ.

      বিশ্বের প্রায় এক তৃতীয়াংশ পুরুষ টাক সমস্যায় ভুগে থাকেন। নানান কারনে পুরুষেরা এই সমস্যার শিকার হন। চুল পড়ার হার বৃদ্ধি পেয়ে সৃষ্টি হয় টাকের। দিনে প্রায় ১০০টি চুল পড়াকে মোটামুটি স্বাভাবিক ধরা হয়ে থাকে। কারন নতুন চুল গজানোর জন্যও চুল পড়ে। কিন্তু এর চেয়ে বেশী চুল পড়া শুরু হলে এবং নতুন চুল না গজালে তা অবশ্যই লক্ষণীয় ব্যাপার। টাক সমস্যা ছেলেদের জন্য একটি অস্বস্তিকর ও কষ্টদায়ক একটি সমস্যা। কারন মাথায় চুল কমে গেলে অনেকেই নিজেকে নিয়ে একটু হীনমন্যতায় ভুগে থাকেন।

      কিন্তু ছেলেরা চাইলে একটু সতর্কতা অবলম্বন করে এই সমস্যা প্রতিরোধ করতে পারেন। এর জন্য শুধু ছেলেদেরকে অনুসারী হতে হবে মেয়েদের। ছেলেদের একটি বদঅভ্যাস হলো দেহ, চুল, ত্বক এসবের প্রতি তেমন যত্নশীল না হওয়া। আর এরই প্রভাব পড়ে দেহের ওপর। সুতরাং ভাগ্যকে দোষ দিয়ে লাভ নেই, নিজে সতর্কতার সাথে একটু যত্নশীল হন। দেখে নিন টাক থেকে বাঁচার কিছু উপায়।

      নিয়মিত হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিস্কার রাখুন
      ছেলেরা গোসল খুবই তাড়াহুড়ো করে করেন। চুল কম বলে সপ্তাহে ২ বারও শ্যাম্পু ব্যবহার করেন না। কিন্তু এটা খুবই ক্ষতিকর আপনার চুলের জন্য। প্রতিদিন না হলেও ১ দিন পরপর শ্যাম্পু করুন চুলে। আর এক্ষেত্রে বেছে নিন কোন হালকা শ্যাম্পু বা বেবি শ্যাম্পু। চুলের গোড়ায় ময়লা জমতে দেবেন না কোনো ভাবেই। ময়লা জমলেই চুল পড়া বেড়ে যায়।

      তেল ব্যবহার করুন
      ছেলেদের মধ্যে চুলে তেল দেয়ার ব্যাপারটি একদমই দেখা যায় না। কিন্তু চুলের গোড়া শক্ত করার জন্য চুলে তেল দেয়া খুব জরুরী। রাতের বেলা একটু তেল নিয়ে বসে যান চুল ম্যাসাজ করতে। সারারাত রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। চুলের গোড়া মজবুত হবে। নারকেল তেল, বাদাম তেল কিংবা অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন। সরিষার তেল থেকে দূরে থাকুন।

      পেঁয়াজ বা রসুন কিংবা লেবুর রস ব্যবহার করুন
      চুলের প্রতি একটু যত্নশীল হন। চুলে পেঁয়াজ বা রসুন কিংবা লেবু- যে কোনো একটি চিপে নিয়ে রস চুলে লাগান। নিয়মিত ১ সপ্তাহ ব্যবহারে চুল পড়া বন্ধ হবে। টাকের হাত থেকে বাঁচবেন।

      গ্রিন টী ব্যবহার করুন
      চুলে গ্রিন টীর ব্যবহার নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে। ব্যবহার করা গ্রিন টীর টী-ব্যগ কিংবা চিনি ছাড়া তৈরি গ্রিন টী চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন ১ ঘণ্টা। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ৩ বার করুন। চুল পড়া বন্ধ করবে ও নতুন চুল গজাবে।

      চুল শুকোতে দিন
      চুল ছোট বলে গোসল করে বের হবার পর মাথায় তোয়ালে ঘষে ঘষে চুল শুকোতে দেখা যায় অনেককেই। এই ব্যাপারটি সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে চলুন। তোয়ালে মাথায় ঘোষলে চুলের গোড়া নরম হয়। চুল আপনা আপনি শুকোতে দিন। এতে চুলের গোড়ায় আদ্রর্তা ঠিক মত বজায় থাকবে।

      ধূমপান বন্ধ করুন
      যদি দেখেন আপনার চুল পড়ে যাচ্ছে কিন্তু নতুন চুল গজাচ্ছে না তাহলে জেনে রাখবেন এটা আপনার ধূমপানের অভ্যাসের সাথে সম্পর্কিত। ধূমপানের কারনে নতুন চুল গজানো বন্ধ হয়ে যায়। যে চুল গুলো পড়ে যায় তার জন্য নতুন করে চুল না গজালে টাক পরা অবশ্যম্ভাবী। তাই ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করুন।

      চুল পরা রোধের কিছু টিপস

      •দিনে ৬-৮ গ্লাস পানি পান করুন।
      •ভেজা চুল আঁচড়াবেন না।
      •ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার খান।
      •ব্যায়াম করুন।
      •অতিরিক্ত স্টাইলিং থেকে দূরে থাকুন।
      •যতটা সম্ভব মানসিক চাপ মুক্ত থাকুন।

      • 921 views
      • 1 answers
      • 0 votes
    • Vice Professor Asked on June 5, 2015 in সাধারণ.

      চেহারাটাই আমাদের বাহ্যিক সৌন্দর্য প্রকাশ করে। আর তাই নিজের চেহারার সুরক্ষায় না জানি কী কী করে থাকি আমরা সকলেই। কী করলে ত্বক ভালো থাকবে, কী করলে চেহারার উজ্জলতা বাড়বে, বলিরেখা কম করার জন্য কী কী করতে হবে- এই সকল তথ্য আমাদের অনেকেরই জানা। কিন্তু এত কিছুর পরও যখন চেহারার সৌন্দর্য দিন দিন কমতে থাকে, তখন মনটাই খারাপ হয়ে যায়। অথচ আমরা জানিও না যে চেহারার অনেক যত্ন নেয়ার পরও কেবলমাত্র ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণে সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে প্রতিনিয়ত! হ্যাঁ, আমাদের সবারই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এমন কিছু রয়েছে যা ক্ষতি করে আমাদের ত্বকের। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক সৌন্দর্যের ক্ষতি করে এমন খাবারের তালিকাটি।

      ফাস্টফুড জাতীয় খাবারঃ ফাস্টফুড আমাদের দেহে ফ্যাট জমা করে আমাদের ওজন বাড়ায় তা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু ফাস্টফুড আমাদের চেহারার জন্যও অনেক বেশি ক্ষতিকর।

      ফাস্টফুড আমাদের দেহের পানির পরিমাণ কমিয়ে দেয়। এতে ত্বকে পানির মাত্রা কমে গিয়ে ত্বক শুষ্ক এবং রুক্ষ হয়ে পড়ে। ফলে ত্বক ফাটা এবং ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দেয়।rupcare_bad food3

      লবণঃ লবণ আমাদের খাবারের খুব প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। লবণ ছাড়া রান্নায় স্বাদ হয় না। কিন্তু এই লবণই আমাদের সৌন্দর্যের মারাত্মক ক্ষতি করে প্রতিদিন। অনেকেরই বাড়তি লবণ খাওয়ার অভ্যাস আছে। লবণ বেশি খেলে দেহে ফ্লুইডের পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে অল্প বয়সে ত্বক ঝুলে পরার সম্ভাবনা দেখা দেয়। তাই পাঁপড়, আঁচার, সল্টেড খাবার, বিস্কিট এবং বাড়তি লবণ খাওয়া বন্ধ করুন।

      অতিরিক্ত চা কফি পান করাঃ চা/কফি একটি রিফ্রেশিং ড্রিংক হিসেবে অনেকেই পান করে থাকেন। পরিমিত চা/কফি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ভালো। কিন্তু অতিরিক্ত চা/কফি পান করলে আমাদের ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হয়। চা/কফির ক্যাফেইনের জন্য ত্বক খুব দ্রুত বুড়িয়ে যায় এবং ত্বকে বলিরেখা পরে। তাই চা/কফি পানের মাত্রা কমিয়ে দিন। দিনে ২ কাপের বেশি চা/কফি পান করবেন না।

      কোমল পানীয়ঃ কোমল পানীয় এবং এনার্জি ড্রিংকস ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে। এই সকল কোমল পানীয়তে অনেক বেশি মাত্রায় চিনি এবং কার্বন ডাই অক্সাইড থাকে যা আমাদের দেহে পৌঁছে রক্তের সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। ফলে আমাদের ব্রণের সমস্যা সহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।

      লাল মাংসঃ সুস্বাদু বলে লাল মাংস আমরা অনেকেই বেশ তৃপ্তি সহকারে খেয়ে থাকি। কিন্তু লাল মাংস আমাদের ত্বকের জন্য অনেক ক্ষতিকর। লাল মাংস খাওয়ার ফলে ত্বকে ফ্রি রেডিক্যাল দেখা দেয়। তাই লাল মাংস এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।

      টিনজাত এবং ফ্লেভারড খাবারঃ সময় বাঁচাতে আমরা অনেক সময় টিনজাত খাবারের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পরি। কিন্তু এতে করে আমরা আমাদের নিজেদের ত্বকের ক্ষতি করছি নিজেরাই। টিনজাত খাবারে অনেক ধরণের কেমিক্যাল, প্রিজারভেটিভ এবং ফ্লেভার ব্যবহার করা হয় যা দেহের পাশাপাশি ত্বকের জন্যও অনেক ক্ষতিকর। এমনকি চামড়ার ক্যান্সারের জন্যও এই টিনজাত এবং ফ্লেভারড খাবারগুলো দায়ী।

      • 789 views
      • 1 answers
      • 0 votes
    • Vice Professor Asked on February 26, 2015 in স্বাস্থ্য.

        ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ধূমপানের কুফল হিসেবে ফুসফুসের ক্যান্সার, হার্টের রক্তনালী সরু হয়ে হার্ট এ্যাটাকের ঝুঁকি বৃদ্ধি, মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলে বাধা, যৌন ক্ষমতা হ্রাসসহ নানা ক্ষতিকর দিক রয়েছে ধূমপানের। অনেকেই ধূমপান নামক এই ঘাতককে চিরতরে নির্বাসনে দিতে চান কিন্তু নানা কারণে ধূমপান আর ছাড়া হয় না। বিশেষজ্ঞগণ ধূমপানের আসক্তি থেকে নিজেকে রক্ষার ১৩টি উপায় বলে দিয়েছেন। এসব অনুসরণ করলে অবশ্যই ধূমপান ছাড়া সম্ভব।

        এই ১৩টি উপায় হচ্ছে-
        ০ প্রথমে সিদ্ধান্ত নিন কেন ধূমপান ছাড়া আপনার জন্য জরুরী। অর্থ্যাৎ কি কারণে ধূমপান ছাড়তে চান। যেমন ক্যান্সার ও হার্ট এ্যাটাকের ঝুঁকি কামাতে।

        ০ কোন ধরনের থেরাপি বা মেডিকেশন ছাড়া ধূমপান ছাড়া ঠিক নয়। কারণ সিগারেটের নিকোটিনের ওপর ব্রেইন অনেক ক্ষেত্রে নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। ছেড়ে দিলেই নানা উপসর্গ শুরু হয়। তাই সিগারেটের বিকল্প থেরাপির কথা চিন্তা করতে হবে।

        ০ নিকোটিনের বিকল্প গাম, লজেন্স ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে।

        ০ নিকোটিনের বিকল্প ওষুধ সেবন করা যেতে পারে।

        ০ একা একা ধূমপান না ছেড়ে পরিবারের অন্যান্য সদস্য (যদি ধূমপায়ী থাকেন), বন্ধু-বান্ধব ও সহকর্মীদের উৎসাহিত করে একসঙ্গে ধূমপান ত্যাগের ঘোষণা দিন।

        ০ মানসিক চাপ কমাতে চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে হালকা ম্যাসাজ নিন।

        ০ অ্যালকোহল পরিহার করুন।

        ০ মনোযোগ অন্যদিকে নিতে ঘর পরিষ্কার করতে চেষ্টা করুন।

        ০ ধূমপান ত্যাগের জন্য বার বার চেষ্টা করুন। একবার ছেড়ে দিলে দ্বিতীয় বার আর ধূমপান করবেন না।

        ০ নিয়মিত ব্যায়াম করুন।

        ০ প্রচুর পরিমাণ সবুজ শাক-সবজি ও রঙিন ফলমুল খান।

        ০ ধূমপান বন্ধ করে যে আর্থিক সাশ্রয় আপনার হবে তার একটা অংশ হালকা বিনোদনে ব্যয় করুন।

        ০ আর ধূমপান ছাড়ুন বন্ধু-বান্ধব বা প্রেমিককে খুশী করার জন্য নয়, বরং আপনার সুস্বাস্থ্যের জন্যই এটা করেছেন। এমন জোরালো অবস্থান নিন।

        • 613 views
        • 1 answers
        • 0 votes
      • Vice Professor Asked on February 25, 2015 in স্বাস্থ্য.

          ওজন কমানোর জন্য খাদ্যে ক্যালরির মাত্রা কমানো এবং তার সাথে সম্পর্কিত ব্যায়ামগুলি করা খুবই প্রয়োজন। কিন্তু যদি মস্তিষ্ককে নিয়ন্ত্রিত করা না যায় তবে খাদ্যের ওপরও নিয়ন্ত্রণ থাকে না এবং নিয়মিতভাবেও চলাফেরা করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।

          বেশি ওজনের ব্যক্তিদের জন্য যোগ এবং ব্যায়াম ( শারীরিক ও মানসিক) খুবই প্রয়োজন। ধ্যানের সাহায্যে আমাদের একাগ্রতা বৃদ্ধি পায় এবং শান্তি ও প্রসন্নতা বজায় থাকে। এটি অভ্যাস করতে বেশি সময় লাগে না এবং অর্থও খরচ করতে হয় না। কিন্তু যোগাসনের মাধ্যমে পেট সঠিক আকার পাবে এবং আপনি নিজেকে তরতাজা অনুভব করবেন।

          চিন্তাগ্রস্থ মস্তিষ্কের প্রকৃতিই হল অস্থিরতা। এর জন্য যেকোনো ধরনের খাবার খাওয়ার ইচ্ছা জাগে। মানসিক চাপ, উত্তেজনা এবং হতাশার কারণে অসুবিধা বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে যোগাসন আপনাকে সাহায্য করতে পারে। আমাদের মস্তিষ্ককে বিচার বুদ্ধিসম্পন্ন মস্তিষ্ক বলা হয়ে থাকে। এটি বুদ্ধি সজীবতা এবং স্মৃতি রক্ষা করতে সহায়তা করে। এটি সমস্ত ঘটনাকে খুব ভালোভাবে পরীক্ষা নীরিক্ষা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। এটি খুব ভালোভাবেই জানে যে ফ্যাটে প্রচুর ক্যালরি থাকে। সুতরাং এটি আপনাকে সেটি খাওয়ার পরামর্শ দেবে না। চিন্তাগ্রস্থ দিকটি বিচার বিবেচনার ওপরে প্রভাব বিস্তার করে ফ্যাটযুক্ত খাবার গ্রহণ করাতে শুরু করে। সমস্ত মোটা মানুষরাই জানেন যে উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার এবং মিষ্টি তাদের পক্ষে একেবারেই ঠিক নয়। কিন্তু চিন্তাগ্রস্থ মস্তিষ্কও নিয়ন্ত্রণে থাকে না। এর ফলে তারা নিজেদের খাদ্যের দিকেও নজর দিতে পারেন না।

          তথ্যসূত্র :
          ওজন কমানোর জন্য ২০১ টি পরামর্শ
          ডাঃ বিমল ছাজেড়

          • 693 views
          • 1 answers
          • 0 votes
        • Vice Professor Asked on February 25, 2015 in স্বাস্থ্য.

            আমরা যখন বিশ্রাম করি তখন আমাদের অধিকাংশ মাংসপেশীগুলি কোনো রকম কাজ করে না। ফলে আমাদের অধিক ক্যালরির প্রয়োজন পড়ে না। কোষগুলির বেঁচে থাকার জন্য সামান্য খাদ্যের প্রয়োজন পড়ে। হৃদয়ের গতিবেগ ধীর হয়ে যায় এবং খাদ্য পরিপাক প্রক্রিয়াও ধীর গতিতে সম্পন্ন হয়। এই সমস্ত কার্যের জন্য খুবই কম ক্যালরির প্রয়োজন পড়ে যেমন প্রতি মিনিটে অর্ধেক থেকে এক ক্যালরি। শরীরের এই কম ক্যালরি হারকে বাসাল এবং রেস্টিং মেটাবলিক রেট (BMR বা RMR) বলা হয়ে থাকে।

            খেলার সময়, ছোটার সময় বা জগিং করার সময় আমাদের মাংসপেশীগুলির অনেক বেশি শক্তির প্রয়োজন হয়। সেটা আমাদের BMR হারের থেকে প্রায় ১০ গুণ বেশি হয়। যদি আমরা প্রচন্ড গতিতে ছুটি তবে প্রতি মিনিটে ১২ ক্যালরির প্রয়োজন পড়ে।

            ক্যালরি গ্রহণ এবং সেটা খরচ করার ভারসাম্যতার ওপরেই আমাদের ওজন কমা বা বড়া নির্ভর করে। যদি আমরা প্রতিদিন ১৬০০ ক্যালরি গ্রহণ করি এবং ১৬০০ ক্যালরিই নিঃশেষিত করি তবে আমাদের ওজন একটুও বৃদ্ধি পাবে না। এই কারণে ওজন কমানোর শুধু ২ টি প্রক্রিয়াই আছে। ক) ক্যালরিমুক্ত ভোজন করা, খ) শারীরিক ব্যায়াম করা। এবারে আসুন জেনে নিই শারীরিক ব্যায়ামের সাহায্যে কীভাবে ওজন কমানো যায়।

            শারীরিক গতিবিধির ভিত্তিতে ক্যালরি খরচকে ৩ শ্রেণিতে ভা করা যেতে পারে। যেমন :

            ক) আরামদায়ক : অধ্যাপক, দর্জি, নাপিত, মুচি, ডেস্ক জব, অবসরপ্রাপ্ত কর্মজীবী, গৃহিণী ইত্যাদি। এরা বেশিরভাগ সময় বসে বসে আরামদায়ক জীবনযাপন করেন।

            খ) মধ্যম : জেলে, কুমোর, কৃষক, রাজমিস্ত্রী, রিক্সাচালক ইত্যাদি। এরা হালকা শারীরিক পরিশ্রম করেন।

            গ) ভারী : পাথর খোদাইকারী, খনিতে কাজ করা কামার, কাঠুরে ইত্যাদি। এরা সারাদিনই হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করেন।

            আসুন জেনে নিই ওজন কমানোর জন্য কিছু সাধারণ গতিবিধি সম্পর্কে।

            যদি আপনাকে প্রতিদিন ১-২ ঘণ্টা হাঁটার জন্য বলা হয় তাহলে সেটা আপনার পক্ষে হয়ত সম্ভব হয়ে উঠবে না কারণ আপনার ব্যস্ত জীবন থেকে এই সময়টুকু বের করা কষ্টকর হয়ে পড়বে। তবে আপনি প্রতিদিন অন্তত আধা ঘণ্টা হাঁটা এবং যোগাসনের জন্য ব্যয় করতেই পারেন। এরজন্য যা যা করবেন :

            -পরিবারের সদস্যদের সাথে একসাথে হাঁটুন।
            -প্রথম প্রথম বেশি হাঁটবেন না। ধীরে ধীরে সময় বাড়িয়ে দিন।
            -যদি সম্ভব হয় তবে লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করুন।
            -হাঁটার সময়ে আরামদায়ক কাপড় এবং জুতা পরুন।
            -রাস্তায় চলাচলের সময়ে যতটা পারেন হাঁটার চেষ্টা করুন।
            -নিজের বাচ্চাদের সাথে খেলুন।
            -জগিং, সাঁতার এবং সাইকেলিংয়ের মত ভিন্ন ভিন্ন দৈহিক চর্চা করুন।
            -প্রতিদিন অন্তত একবার সকালে অথবা সন্ধ্যায় জগিংয়ে বের হন।

            • 834 views
            • 1 answers
            • 0 votes