সারাদিন অফিসের পর রাতে একটা বিয়ের দাওয়াত। পার্লারে গিয়ে সাজবার সময় হয়ে উঠে না, একটু সময় নিয়ে ভালো করে সাজবারও সময় হাতে নেই, অগত্যা বিয়েবাড়িতে নিজেকে যেন মনে হচ্ছে একদম ফিকে। এখনকার ব্যস্ত সময়ে এরকম পরিস্থিতিতে পড়ার অভিজ্ঞতা অনেকেরই আছে। কিন্তু এর সমাধানও আছে। মেকআপ বা সাজগোজ মানেই যে সারাদিন আয়নার সামনে বসে থাকতে হবে তা নয়। ঝটপট মেকআপ করার পদ্ধতিটা জানলেই হলো।এখন বাজারে অনেক রকম পণ্য পাওয়া যায়,যা ব্যবহারে মেকআপ করা খুবই সহজ হয়ে গেছে। যেমন তরল ফাউন্ডেশনের বদলে প্রেসড পাউডার ব্যবহার করা যায়। টিন্টেড ময়েশ্চারাইজার লাগিয়েও খুব সহজেই একটা সজীব ভাব আনা যায় চেহারায়। বাইরে থেকে ফিরেই প্রথমে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিন। একটু বরফ ঘষে নিতে পারেন। এবার ময়েশ্চারাইজার দিতে হবে। তরল ফাউন্ডেশন ব্যবহার করাটা বেশ সময়সাপেক্ষ। আর মেকআপ করাতে দক্ষ না হলে কম সময়ে সেটা ভালোভাবে দেয়াও সম্ভব হয় না। এর বদলে প্রেসড বা কমপ্যাক্ট পাউডার ব্যবহার করাই ভালো। মুখে দাগ থাকলে বা চোখের নিচে কালি ঢাকতে কনসিলার ব্যবহার করতে পারেন। এটা কিন্তু ফাউন্ডেশনের মতো ব্যবহার করা যায়। হাত দিয়ে একটু কনসিলার নিয়ে মুখে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তরল ফাউন্ডেশন যদি দিতেই চান তবে আঙুলে একটু ফাউন্ডেশন নিয়ে ছোট ছোট ফোঁটার মতো করে সারা মুখে লাগান। এরপর ভালোভাবে মিশেয়ে নিন। বেইসটা করা হয়ে গেলে মেকআপ করার বাকি ধাপগুলো একদম সোজা। এরপর শিমার দিয়ে নিন। চোখে গ্লিটার আইলাইনার ব্যবহার করলে বেশ জমকালো দেখায়। এটা ব্যবহারও সহজ। আইশ্যাডোতেও গ্লিটার ব্যবহার করতে পারেন। কালো বা ধূসর আইশ্যাডো দিয়ে স্মোকি ভাবও আনতে পারেন। এরপর গাঢ় করে কাজল লাগিয়ে নিন। মাসকারা দিন কয়েকবার। চোখের সাজটা জমকালো হলে এমনিতেই আপনাকে বেশ উজ্জ্বল দেখাবে l পিচ বা বাদামি ব্লাশঅন আলতোভাবে গালে লাগাতে পারেন। সবশেষে লিপস্টিক দিয়ে নিন। গ্লস লিপস্টিক ব্যবহার করাই ভালো। অথবা লিপস্টিক দিয়ে এর ওপর গ্লস বুলিয়ে নিন। ব্যস হয়ে গেল ঝটপট মেকআপ। সঙ্গে প্রেসড পাউডার, কাজল ও লিপগ্লস রাখুন, যাতে কিছু সময় পর আবার আপনার সাজ ঠিকঠাক করে নিতে পারেন।তবে এ গরমে গ্লস না দেয়াটাই ভালো। অনেক সময় পার্টির আগে শ্যাম্পু করার সময় পাওয়া যায় না। চুলটা একটু তেলতেলে হয়ে গেলে চুলের গোড়ায় একটু ট্যালকম পাউডার ছড়িয়ে দিন। তারপর আঙুল চালিয়ে চুলে তা মিলিয়ে দিন। এরপর ব্রাশ দিয়ে আঁচড়ে নিন। চুল বেশ ঝরঝরে দেখাবে।