আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় আফসোস শেয়ার করবেন কি?
আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় আফসোস শেয়ার করবেন কি?
২০ সালের শেষের দিকে একদিন আব্বু অনেক কথা শুনাইছিলো। তখন এইচ এস সি প্রথম বর্ষে ছিলাম, সারাদিন ফোন নিয়ে পরে থাকতাম। দিন রাত ২৪ ঘন্টায় ১৮ ঘন্টাই মোবাইল নিয়ে কাটতো। আব্বু যদিও সবসময় দেখতো না কিন্ত ঠিকই বুঝতো, এইজন্য ওইদিন প্রচুর কথা শুনাইছিলো। আব্বুর সেদিনের কথা শুনে আমার প্রচুর অভিমান হয়েছিলো। নিজের দোষটা চোখে না পরলেও আব্বুর কথা গুলো সারাদিন মাথায় ঘুরতো। সেদিন রাতেই আব্বু বাজারে থেকেই কল দেয় আমাকে। দোকানে দোকানে ঘুরে এটা ওটা দেখায়ে বলে এটা খাবি? ওইটা খাবি? আমি সেদিন প্রচন্ড অভিমানে প্রতিবার না না বলেছি। তখন শীতকাল ছিলো, রাস্তার পাশে চিতই পিঠা, ভাপা পিঠা বিক্রি হইতো। শেষে রাস্তার পাশের একটা দোকানে গিয়ে ভাপা পিঠা খেতে খেতে বললো তুইও নে। তখনো অভিমান করে না বলে দিয়েছিলাম। বার বার অনুরোধ করে শেষে আব্বু অসহায়ের মতো আমার দিকে তাকায়ে চুপ হয়ে গেলো। তাও সেদিন আমার মনে হয়নি আব্বুর মন রাখার জন্য হলেও খাওয়া দরকার। এরপরে আর অল্প কয়েকটা দিন গেলো। আব্বু অসুস্থ হয়ে গেলো। এরপর চির বিদায়। সেদিন যদি আমি এই অভিমান টা না করতাম এই রাত টা হতে পারতো আব্বুর শেষ সময়ে তার সাথে কাটানো আমার সবচেয়ে ভালো সময়। বাবা যাওয়ার পরে দুনিয়া অনেক বদলে গেছে। এখন আর শাসন করার অমন কেউ নেই, আর অভিমান করা তো ভুলেই গেছি। যদি কোন ভাবে সম্ভব হতো সেই রাতে আবার ফিরে যাওয়া, তাহলে আমি চলে যেতাম। নিজের জীবনের বিনিময়ে হলেও যেতাম। এই একটা রাতের আফসোস আমার সারাটা জীবন থেকে যাবে।