একা একা থাকলে কী কী সুবিধা ও কী কী অসুবিধা হতে পারে?
একা একা থাকলে কী কী সুবিধা ও কী কী অসুবিধা হতে পারে?
১.স্বাধীনতা
একা থাকার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটা। নেই কোনো বিপত্তি,নেই বাধা দেবার কেউ। নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী চলো, যা খুশি করো। কারও হস্তক্ষেপ না চাইলে একা থাকাটা আপনার জন্য।
২.নিজেকে নিয়ে ভাবার সুযোগ
আমরা যখন একা থাকি তখন নিজেদের নিয়ে ভাবি। নিজেকে নিয়ে ভালোভাবে চেনার সময়টা একসাথে থাকলে হয়ে ওঠে না যা বর্তমান সময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিজেকে আবিষ্কার জীবনে চলার পথটা অনেক সহজ করে দেয়।
৩. কারও কথামতো চলতে হয় না
অনেক সময় দেখা যায় আমরা কোন সিদ্ধান্ত নিতে গেলে অন্যরা এতে বাধা দেয়। প্রায় সময় ওই কাজটা আর করা হয়ে ওঠে না। কারও কথা ভাবতে হয় না। কারও কথায় কান না দিয়ে নিজের বুদ্ধিতে চলা যায়। এতে অনেক কিছু উপলব্ধি করা হয়।
৪. স্বাবলম্বী হওয়া
একা থাকার একটি বড় সুবিধা হলো এতে স্বাবলম্বী হওয়া যায় বা হতে হয়। হোক সেটা আর্থিক বা সামাজিক কিংবা উভয়ই। স্বাবলম্বী না হলে একা থাকা যায় না। দিনশেষে, নিজের কাজগুলো নিজেকেই করতে হয়।
৪. জীবনকে উপলব্ধি করা
জীবনের প্রয়োজনে আমাদের নানা ধরনের মানুষের সাথে মিশতে হয়। হরেক রকম অভিজ্ঞতা ও মানুষের সাথে মিশে জীবনকে নতুনভাবে উপলব্ধি করা হয়।
একা থাকার সুবিধা তো বলা হলো এবার বলা যাক অসুবিধার কথা। সবকিছুর মতো এরও রয়েছে কিছু অসুবিধা।
১.একাকিত্ব
আমরা অনেক সময় নিজেকে খুব একা ভাবি। কারও সান্নিধ্যের দরকার পড়ে। যদি আপনি একজন ডিপ্রেসড মানুষ হোন তবে তো কথাই নেই। একা থাকা অসুবিধার মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড়।
২.একা নিজেই সবকিছু সামলানো
একা থাকলে নিজেকে সবকিছু সামলাতে হয় যা অনেকেই পারেন না। তবে আপনি যদি সবার সাথে সুসম্পর্ক স্থাপনে বিশ্বাসী হোন তবে প্রয়োজনে কারও সাহায্য পাওয়া তেমন কঠিন হবে না।
একা কেউ থাকতে পারে না। পরিবার থেকে দূরে থাকলেও বন্ধু-বান্ধব ও মানুষের সাথে মিশতে হয়। নতুবা কেউ একা বাঁচতে পারে না।