কিছু উপস্থিত বুদ্ধির উদাহরণ দেবেন কি?
১) স্বামী বিবেকানন্দ-
একবার স্বামীজী সাংবাদিকের সাথে দেশীয় তৈরি জিনিসের ব্যবহার বাড়ানো আর বিদেশী পণ্যের ব্যবহার কমানোর ব্যাপারে আলোচনা করছিলেন। কিন্তু নিজেই যে বিদেশী জুতা পড়ে আছেন তা ভুলে গিয়েছিলেন!
বিদেশী সাংবাদিক তাচ্ছিল্যের সুরে জিজ্ঞাসা করলেনঃ
সাংবাদিকঃ তো আপনি তাহলে কেন বিদেশী জুতা পড়ে আছেন?
স্বামীজীঃ (কোন সময়ের অপচয় না করে) “কারণ বিদেশী উপনিবেশকারীদের দেখাতে চাই তাদের স্থান আমাদের দেশে ঠিক কোথায় হওয়া উচিত।”
২) রাজা ও জ্যোতিষঃ
একদিন এক জ্যোতিষ ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে পরের দিন রানী মারা যাবেন। পরের দিন যখন সে সত্যিই মারা গেল, তখন রাজা জ্যোতিষকে হত্যা করতে চান কারণ তিনি ভেবেছিলেন যে তার ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ করার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে রানীকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করেন।
প্রহরীরা জ্যোতিষকে দরবারে নিয়ে এলেন এবং রাজা তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ” আপনি তো ভালো ভবিষ্যদ্বাণী করেন! তাহলে বলুনতো আপনি কখন মারা যাবেন?”
জ্যোতিষ ভয়ে ভয়ে বললেন, “হে মহারাজ, আমি আপনার ঠিক ৩ দিন আগে মারা যাবো!”
জ্যোতিষ এর প্রাণ বেঁচে গেল।
৩) সাক্ষাত্কারঃ
চাকরির যাচাই বাছাইয়ের সময় এক তরুণকে সাক্ষাত্কারের ক্ষেত্রে জিজ্ঞাসা করা হলোঃ
” আপনাকে কি ১০টা সহজ প্রশ্ন করবো নাকি ১টা কঠিন প্রশ্ন করবো? ভালভাবে ভেবে বলুন।”
“১টা কঠিন প্রশ্ন করুন স্যার।”
“ভাল, আপনার জন্য শুভকামনা” সাক্ষাত্কারক বললেন, “আপনি নিজের পছন্দ নিজেই করেছেন! এখন আমাকে এইটা বলুন … প্রথমে কোনটা আসে, দিন বা রাত?”
কিছুক্ষণ চিন্তা করে ছেলেটি বললেন, “এটা দিন হবে স্যার!”
“কিভাবে” সাক্ষাত্কারক জিজ্ঞাসা করলেন।
“দুঃখিত স্যার, আপনি আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে আপনি আমাকে দ্বিতীয় কোনও কঠিন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবেন না!”
তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন !!!
৪) অ্যালবার্ট আইনস্টাইন এবং তার ড্রাইভারঃ
তাঁর বিখ্যাত থিওরি অফ রিলেটিভিটি দেওয়ার পরে, আলবার্ট আইনস্টাইন যেখানেই যেতেন সেখানে বক্তৃতা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর সাথে সর্বদা তাঁর বিশ্বস্ত ড্রাইভার হ্যারি ছিলেন, যিনি পিছনের বেঞ্চে বসে এই প্রতিটি বক্তৃতায় যোগ দিতেন।
একদিন আইনস্টাইন একটি বক্তৃতা শেষ করার পরে এবং অডিটোরিয়াম থেকে নিজের গাড়িতে উঠে আসার সময়, হ্যারি তাকে সম্বোধন করে বলেন, “প্রফেসর আইনস্টাইন, আমি আপনার বক্তৃতা অনেকবার শুনেছি, যদি আমাকে কখনও সুযোগ দেওয়া হয়, আমি নিজেই হুবহু বলতে পারবো।”
আইনস্টাইনের জবাব, “খুব ভাল। আমি পরের সপ্তাহে ডার্টমাউথ যাচ্ছি। তারা সেখানে আমাকে চেনে না। আপনি আইনস্টাইন হিসাবে বক্তৃতা প্রদান করতে পারেন, এবং আমি হ্যারি হিসাবে আপনার স্থান গ্রহণ করব!”
এটাই হলো… পরের সপ্তাহে উনার ড্রাইভার বক্তৃতা দিলেন আর আইনস্টাইন পেছনে বসে খেলছিলেন, অবসর উপভোগ করছিলেন।
যখন বক্তৃতা শেষ হলো আর নিচে নেমে আসছিলেন তখন এক গবেষক তাকে থামিয়ে তত্ত্ব নিয়ে এক জটিল সমীকরণের প্রশ্ন করলেন। হ্যারি তখন বললেন,
“প্রশ্নটা খুবই সোজা! তাই আমি আমার ড্রাইভারকে এর ব্যাখ্যা করার জন্য পাঠাচ্ছি!!”
৫) আমি আর আমার উনিঃ
আমি আর আমার উনি প্রতিদিনই মজা করি, একসাথে খাওয়া দাওয়া করি, ঘুরি, ক্লাসে যাই…
সাধারণত তার আর আমার কথোপকথন হাইড বা লুকানো থাকে। দেখতে চাইলে পাসওয়ার্ড দিতে হয়। তো আমি একদিন বাড়িতে এসে ক্লান্তিতে বিছানায় শুয়ে পড়লাম। তাই মেসেজ দেয়ার সময় তাকে দ্রুত কিছু লেখে দিলাম,
“আমি তোমাকে পেয়ে সত্যিই খুশি। তুমি একজন দারুণ মানুষ। তুমি আমাকে প্রতিদিন হাসি খুশি রাখো এবং আজ তুমি আমার দিনটিকে বিশেষ করে তুলেছ। আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি।”
সেন্ড বাটনে চাপার পরে খেয়াল করলাম আমি আমার উনাকে দেই নি!! যাহ…
আমি তো ভয়ে শেষ, গলা, মুখ শুকিয়ে গেল। যার কাছে গেছে সে আবার আমার আমার বয়সী, আমার পরিবারের পরিচিত। আমি ভয়ে ছিলাম সে আবার কিছু বলে দেয় কিনা!
তারপর আমি এক আইডিয়া পেলাম এবং তাকে মেসেজ দিলামঃ
“আজ বন্ধু দিবস…আপনার প্রিয় ১০ জন বন্ধুর কাছে এই মেসেজটি দিন আর দেখুন তারা কি প্রতিক্রিয়া দেখায়! যদি ৫ জনের উত্তর পান তাহলে নিজেকে সৌভাগ্যশালী ধরে নেবেন! দয়া করে মেসেজটা ছড়িয়ে দিন।”