কীভাবে অনলাইন বিপণন করব?
ধন্যবাদ একটি সুন্দর প্রশ্ন করার জন্য। অনলাইন বিপণন অনেক বড় একটি এরিয়া, যেখানে সবার আগে আপনাকে একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করে আগাতে হবে, না হলে আপনাকে সামনে বিপদে পড়তে হবে এটা নিশ্চিত। আপনার লক্ষ্য হয়ে যাওয়ার পর কিছু টিপস এন্ড ট্রিকস কাজে লাগাতে পারেন যেগুলো আমি এই পোস্টের মাধ্যমে খুব সহজ করে আপনাকে বুঝিয়ে দিচ্ছি। পোস্টটি একটু বড় হতে পারে তবে টিপসগুলো শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়বেন আপনার অনেক উপকারে আসবে।
(১) আপনার টার্গেটেড অডিয়েন্সকে চিহ্নিত করুন:
এটাই হচ্ছে মূল ভিত্তি যার উপরে পুরো মার্কেটিংটাকে সাজাতে হবে। অনেকেই এই ধাপটাকে কাজে লাগাতে চায় না যার কারণে তার মার্কেটিংয়ে অনেক টাকা খরচ হয় এবং তার অনলাইন মার্কেটিং কাজে আসে না।
👉 আপনার আদর্শ কাস্টমারদের প্রয়োজনীয়তা, উদ্বিগ্নতা, আগ্রহ এবং অনলাইন আচরণ গবেষণা করুন এবং এখানে লেজার ফোকাস দিন।
👉 আপনার আদর্শ কাস্টমারদের ফিডব্যাক গুলোকে সংগ্রহ করুন সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন ধরনের জরিপের মাধ্যমে এবং রিভিউ এর মাধ্যমে।
(২) কনটেন্ট ইজ কিং:
আপনি বিশ্বাস করুন, না হয় না বিশ্বাস করুন। বর্তমান কনটেন্টকে বলা হয় রাজা এবং অনেকেই বলে থাকে সাম্রাজ্য। কনটেন্ট মার্কেটিং এ মনোযোগ দিন এবং এখান থেকে আপনার টার্গেটেড কাস্টমারের লিড, এনগেজমেন্ট এবং কনভারশন খুব তাড়াতাড়ি নিয়ে আসুন।
(৩) সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং:
👉 সঠিক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করুন আপনার টার্গেট কাস্টোমার যদি লিঙ্কডিনে সব থেকে বেশি সময় কাটায় তাহলে সেখানে প্রচার প্রচারণা বেশি করুন।
👉 সোশ্যাল মিডিয়াতে কনটেন্টগুলোকে বেশি বেশি এনগেজমেন্ট রাখার চেষ্টা করুন। অর্থাৎ আপনার কনটেন্ট গুলোর মধ্যে তথ্য, ইমোশন এবং কাহিনী যুক্ত করে পোস্ট করুন।
মনে রাখবেন আপনি যদি এ ধরনের কনটেন্ট তৈরি করতে না পারেন তাহলে যিনি ভালো পারে তার কাছ থেকে তৈরি করে নিন কারণ এটা আপনার সম্পদ, খরচ নয়।
(৪) ওয়েবসাইট মার্কেটিং করুন:
একটি মোবাইল ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট তৈরি করুন এবং সেখানে আপনার কাস্টমারদেরকে বিভিন্ন অফার দেওয়ার মাধ্যমে নিয়ে আসুন সেখান থেকে পরবর্তীতে ভালো রেজাল্ট নিয়ে আসা যায়।
কিভাবে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে একটি অসাধারণ মার্কেটিং এবং সেলস তৈরি করা যায় এই নিয়ে আমি একটি বিস্তারিত গাইলে নিয়ে আসছি সেখান থেকে এর বিস্তারিত ধারনা পেয়ে যাবেন।
(৫) ইমেইল মার্কেটিং:
মনে রাখবেন আপনার কাস্টমার যদি ইমেইল মার্কেটিং এ আগ্রহ প্রকাশ করে তাহলে এখানে মার্কেটিং করা শুরু করুন। কারণ এখন পর্যন্ত সবথেকে সস্তা মার্কেটিং চ্যানেল হচ্ছে ইমেইল মার্কেটিং।
(৬) পেইড ক্যাম্পেইন পরিচালনা করুন:
এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আপনার বাজেট কিরকম এবং আপনারা লক্ষ্য কি রকম? সেটার উপর বিবেচনা করে আপনাকে টাকা খরচ করে ক্যাম্পেইন করতে হবে সোশ্যাল মিডিয়াতে এবং গুগল সার্চ ইঞ্জিনে।
এগুলো হচ্ছে মোটামুটি খুব সাধারণ এবং কার্যকরী টিপস এছাড়াও আমি আপনাকে কিছু বোনাস দিয়ে যাচ্ছি।
💣 বাজেট এবং লক্ষ্যের উপর উপর নির্ভর করে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং ব্যবহার করতে পারেন বর্তমান সময়ে সবথেকে বেশি কার্যকর এবং দ্রুত ফলাফল নিয়ে আসে দেয় এই মার্কেটিং কলা কৌশল।
💣আপনার মার্কেটিং প্রসেসকে অটোমেশন করুন, বর্তমান সেই ধরনের টেকনোলজি বিদ্যমান রয়েছে এটা অনেক বেশি কার্যকর এবং এখানে খরচ অনেক কম হয়
💣 কাস্টমারের ডাটাকে বিশ্লেষণ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিন এবং A/B টেস্ট করুন।
পোস্টটি শেষ করতে হচ্ছে, তবে সর্বশেষ মার্কেটিং একটি খরচের জায়গা বুঝে শুনে করতে না পারলে আপনার টাকা জ্বলতেই থাকবে। একটি বিশেষ পরামর্শ থাকবে যদি আপনার খুব প্রয়োজন হয় অনলাইন মার্কেটিং কে কার্যকর করার জন্য তাহলে একজন বিজনেস কনসাল্ট অথবা মার্কেটিং কনসাল্টের সাথে পরামর্শ করুন।