কীভাবে আমি নিজেকে শক্তিশালী করব?
এই দুজনের মধ্যে আপনি কার মতো শক্তিশালী হতে চান? যদি প্রথম জনের মতো হতে চান তবে জিমে যেতে হবে আর দ্বিতীয় জনের মতো হতে চাইলে আপনাকে লাইব্রেরীতে যেতে হবে।
জিমের ক্ষেত্রে আপনাকে একজন দক্ষ প্রশিক্ষকের শরণাপন্ন হতে হবে। তিনি শরীর গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ডায়েট, কৌশল, রুটিন ইত্যাদি বাতলে দেবেন। লাইব্রেরীর ক্ষেত্রে আপনি একজন বোদ্ধা পাঠককে সঙ্গী করতে পারেন। তিনি ভালো বই বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করবেন। পাশাপাশি তার সাথে সাহিত্য, দর্শন, জ্ঞানবিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করতে পারবেন।
আপনি হয়তো এমন কোনো বিজ্ঞানীকে জীবনে দেখেননি যার শরীর রেসলার কিংবা বডিবিল্ডারদের শরীরের মতো। কারণ তারা শক্তিটা জমা করেন পেশীতে নয়, মগজে। আবার আপনি হয়তো এমন কোনো রেসলার/বডিবিল্ডারকেও দেখেননি যিনি বিজ্ঞানী হয়েছেন। কারণ তারা শক্তিটাকে মগজে নয়, পেশীতে জমা করেন।
এক গবেষণায় দেখা গেছে ৯৩.০৩% জ্ঞানীগুণী মানুষ শারীরিকভাবে হালকাপাতলা ধরনের হয়ে থাকেন। তাদের মস্তিষ্ক এত বেশি সক্রিয় থাকে যে প্রতিদিন উৎপাদিত শক্তির একটি বড় অংশ চলে যায় মস্তিষ্ক চালনায়। অন্যদিকে রেসলার/বডিবিল্ডারদের উৎপাদিত শক্তির বড় অংশ ব্যয় হয় শরীর গঠনে। এই কারণে একজন মানুষ একই সাথে বিজ্ঞানী ও বডিবিল্ডার হয়েছেন, এমনটা দেখা যায় না বললেই চলে।
এখন সিদ্ধান্ত আপনার—জিমে যাবেন নাকি লাইব্রেরীতে যাবেন। তবে আপনি শারীরিকভাবে শক্তিশালী হতে চান অথবা বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে শক্তিশালী হতে চান—উভয় ক্ষেত্রে সুস্থসবল থাকা অপরিহার্য। এখানে বলা প্রয়োজন যে শক্তিশালী হওয়া আর সুস্থসবল থাকা এক ব্যাপার নয়। কেউ শারীরিকভাবে শক্তিশালী না হয়েও সুস্থসবল থাকতে পারে। সেজন্য শরীরচর্চা, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং প্রচলিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই যথেষ্ট।