কীভাবে সংসার সুখী হতে পারে?
১ম সমস্যা: ইগো
আপনার ইগো থাকলে সঙ্গীর সাথে বসবাস এ সমস্যা হবে। ইগো হলো Self Importance. আপনি নিজেকে যতো বেশি গুরুত্ব দিবেন, সেই অনুযায়ী সঙ্গীর থেকে সাড়া না পেলে; একসময় তার থেকে দূরে চলে যাবেন। এজন্য নিজেকে অধিক গুরুত্ব না দিয়ে, অপরকে গুরুত্ব দিন। সম্পর্ক টিকে যাবে।
২য় সমস্যা: ব্যক্তিত্ব এর অভাব
পার্টনার এর মধ্যে ব্যক্তিত্বের অভাব দেখা দিলে, তার প্রতি দিনে দিনে রূচি নষ্ট হয়ে যায়। একসময় সম্পর্ক তিক্ততায় পরিণত হয়। সম্পর্কও একসময় নষ্ট হয়ে যায়।
৩য় সমস্যা: বিশ্বাসহীনতা
পার্টনার এর প্রতি যদি কখনও বিশ্বাস হারিয়ে যায়, সেই বিশ্বাস অতি সহজে আর ফিরে আসে না। সঙ্গীকে বিশ্বাস না করতে পারলে, তার প্রতি শ্রদ্ধাবোধও একসময় হারিয়ে যায়। ফলে বিচ্ছেদ অতি সন্নিকটে চলে আসে।
৪র্থ সমস্যা: মূল্যায়ন না করা
সঙ্গীর কাজে-কর্মে উৎসাহ প্রদান না করলে কিংবা ভালো কাজের মূল্যায়ন না করলে, একসময় দূরত্ব বেড়ে যায়। এর ফলেও বিচ্ছেদ ঘটে।
৫ম সমস্যা: ভালবাসার রিচার্জ না করা
অনেকসময় ভালবাসা একঘেয়েমি হয়ে যেতে পারে। তখন নতুনত্ব আনতে হয়। নিজেকে রিচার্জ করে নিতে হয়। নতুন কৌশলে ভালবাসা রপ্ত করতে হয়। ভিন্ন কোনোভাবে সঙ্গীর কাছে ভালবাসা বিনিময় করা যায়। ভালবাসা শেষ হবার আগেই রিনিউ করে নিতে হয়।
৬ষ্ঠ সমস্যা: সঙ্গীর পরিবারের প্রতি অনীহা
স্বার্থপরতা থাকলে হবে না। সঙ্গীর বাবা-মা, ভাই-বোন কিংবা আত্মীয়স্বজনের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। এটার ঘাটতি দেখা দিলে সম্পর্ক খুব খারাপ এর দিকে যেতে পারে। এজন্য সঙ্গীর পরিবারের প্রতি সবসময় সদাচারণ করতে হবে। নইলে হতে পারে বিচ্ছেদ।
৭ম সমস্যা: চারিত্রিক ত্রুটি/পরকিয়া
সঙ্গী কোনো অনৈতিক কাজে লিপ্ত হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিচ্ছেদ ঘটে। একসময় মেনে নিলেও একটা সময়ে আর ক্ষমা করা সম্ভব হয় না। এজন্য এরকম সম্পর্ক বেশিদিন টিকে না।
৮ম সমস্যা: ৩য় কোনো ব্যক্তিকে মূল্যায়ন করা বা বিশ্বাস করা
৩য় ব্যক্তির কাজে প্রশংসা করা, মূল্যায়ন করা, গুরুত্ব দেওয়া, বিশ্বাস করা। একসময় এই ৩য় ব্যক্তির প্রতি ক্ষোভ জন্মায়। বেশিদূর যায় না এরকম সম্পর্ক।
৯ম সমস্যা: অসুস্থ প্রতিযোগিতা
এখন যত শিক্ষিত হচ্ছে, তত প্রতিযোগিতা বাড়ছে। কিন্তু সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক চিন্তা থেকে দূরে থাকতে হবে। পরস্পরের প্রতি ছাড় দেবার মানসিকতা থাকতে হবে। সম্পর্ক একসময় মারামারি পর্যায়ে চলে যায়। এই সম্পর্ক বেশিদিন টিকে না।
১০ম সমস্যা: ক্ষমা করতে না শেখা/ক্ষমা চাইতে না শেখা
বাঙ্গালীদের মধ্যে সাধারণত ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টা তেমন দেখা যায় না। ভুল যারই হবে না কেনো, অন্য পক্ষের নিকট থেকে নি:শর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। তা না হলে একটা ক্ষোভ মনে থেকে যায়। একসময় এটা বাসা বাঁধতে থাকে। জমে জমে এটা অনেকদূরে নিয়ে যায়। সম্পর্ক ধীরে ধীরে নষ্ট হতে থাকে।