কুয়াকাটা বেড়াতে যেতে মন চায়। কীভাবে গেলে ভালো হয়? কোথায় থাকবো?

    বহুদিন ধরে ভাবি কুয়াকাটা যাবো। অনেকে বলে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে বেড়াতে গিয়ে। আবার কেউ বলেন ভালোই লেগেছে। আমি বুঝতে পারছি না কী করবো। তবে আমার যাওয়ার খুব ইচ্ছা। যদি এ বিষয়ে কিছু জানান। এছাড়া আশেপাশে দেখার কী কী আছে?

    Doctor Asked on February 27, 2015 in ভ্রমণ.
    Add Comment
    1 Answer(s)

      একই জায়গায় সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বিরল দৃশ্য পৃথিবীর কটি জায়গায় আছে! সাগরের ঢেউ আছড়ে পড়া আর জেলেদের জালে তাজা মাছের লম্ফঝম্পের দৃশ্য আর কোথায় দেখা যায়! পাশেই সোনারচরের হরিণ পালের হাতছানি আর রূপারচরের রূপ সৌন্দর্য। শুঁটকিপল্লীর কর্মব্যস্ততা। আকাশের রঙে নীল হয় লাল হয় সাগরের পানি। সৈকতসংলগ্ন এলাকায় রয়েছে রাখাইন পল্লী। রাখাইনদের তৈরি তাঁতের কাপড় এবং শামুক-ঝিনুকের বাহারি অলঙ্কার ও শোপিস। পাশেই রয়েছে বৌদ্ধবিহার ও বৌদ্ধমূর্তি। প্রতি কার্তিকের পূর্ণিমায় রাস উৎসব। আরো কত কী!

      সোনারচর-রূপারচর : কুয়াকাটাকে ঘিরে সৌন্দর্যের শেষ নেই। পাশেই রয়েছে সোনারচর। নামই বলে দেয়, প্রকৃতি কতটা সৌন্দর্য বিলিয়েছে এখানে। রূপালি বালির ওপর ওখানে সারাক্ষণ ছুটছে লাল কাঁকড়া। বিশাল বনাঞ্চলে সুন্দরবনের আমেজ। সোনারচরের অভ্যন্তরে খালের দুই পাশের বন যেন সবুজের নিশ্ছিদ্র দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ওখানে ছোটাছুটি করছে হরিণ পাল। দেখা মেলে বানর, বুনো মহিষ, মেছোকুমির, মেছোবাঘ, বুনোগরু, মোরগসহ বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখির। এখানকার প্রকৃতি মুহূর্তেই পর্যটককে আপন করে নেয়। সমুদ্র সৈকতের পাশেই একই রূপ-সৌন্দর্যের লীলাভূমি রূপারচর। কুয়াকাটা থেকে ট্রলারযোগে প্রায় তিন ঘণ্টায় পৌঁছানো যায় এখানে। ক্র্যাবল্যান্ড : শীত শুরু হলেই যোগাযোগের সমস্যা কেটে যায় ক্র্যাবল্যান্ডে। প্রকৃতিপ্রেমীরা প্রকৃতির সৌন্দর্যের তৃষ্ণা মেটাতেই এখানে আসেন। ঘুরে বেড়ান ক্র্যাবল্যান্ডের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত। কুয়াকাটা থেকে ট্রলারযোগে এক ঘণ্টায় পেঁৗছানো যায় এখানে। ফাতরারচর : শাল, সেগুন, কেওড়া, গজারি, সুন্দরীসহ নানা বনবৃক্ষ। একই সঙ্গে দেখা মেলে হরিণ, বানরসহ নানা প্রাণীর। গাছ থেকে মধু আহরণ করছে বাওয়ালি। কত না সৌন্দর্যের খেলা কুয়াকাটা থেকে এক ঘণ্টার দূরে ফাতরারচরে। এ ছাড়া কুয়াকাটাসংলগ্ন তুফানিয়া, চরফরিদ ও শিপচরের সৌন্দর্যও উপভোগ্য।

      দর্শণার্থী ও ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য এই সৈকতে আছে ভাড়ায় চালিত মটর সাইকেল ও ঘোড়া। ভাড়া সাধারণত দূরত্ব ও সময় অনুযায়ী হয়। কুয়াকাটার আশে পাশের বেশ কয়েকটি চর আছে। সেগুলি দেখতে আপনি যেতে পারেন স্পিডবোট ও ট্রলার কিংবা ইঞ্জিন চালিত বড় নৌকায় করে। কুয়াকাটায় সমুদ্র সৈকতের আশেপাশে বেশ কয়েকটি পিকনিক স্পট রয়েছে। সেগুলিতে রান্না করার সকল ব্যবস্থা আছে। চুলা, খড়ি, হাড়ি, পাতিল থেকে বাবুর্চি পর্যন্ত। মুদ্র উপকূলে পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য রয়েছে- সমুদ্র ভ্রমণকারী জাহাজ ও ট্রলার এবং স্পিড বোট। এসব জাহাজ ও ট্রলারে উঠে পর্যটকরা সুন্দরবনের অংশ বিশেষ ফাতরার চর, সোনার চর, কটকা, হাঁসার চর, গঙ্গামতির লেক ও সুন্দরবনসহ গভীর সমুদ্রে বিচরণ করে অফুরস্ত আত্মতৃপ্তিতে নিজেদের ভরে তোলে। সমুদ্র ভ্রমণকারী জাহাযে থাকা খাওয়ার সু-ব্যবস্থা রয়েছে।

      কুয়াকাটায় সীমিত সংখ্যক দোকান আছে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় ও সৌখিন জিনিসপত্র ক্রয় করতে পারবেন সেসব দোকান থেকে। দাম অপেক্ষাকৃত একটু বেশি হলেও অনেক নতুন নতুন আইটেম পাবেন। কুয়াকাটায় দেখার আরেক আকর্ষণ শুঁটকিপল্লি। কুয়াটায় শুটকি পল্লী থাকায় এখানে অনেক কম দামে বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছের শুটকি পাবেন। ইলিশ, রূপচাঁদা, হাঙর, লইট্যা, শাপলাপাতাসহ অসংখ্য প্রজাতির মাছ রোদে শুকিয়ে শুঁটকি বানিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা হয়। বিশাল এলাকায় চ্যাঙ বানিয়ে শুঁটকি তৈরির পদ্ধতি দেখা আরেক মজার অভিজ্ঞতা।

      রাখাইন পল্লীঃ
      কলাপাড়া উপজেলার পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সৈকতের মনোরম দৃশ্য উপভোগের সাথে পর্যাটকদের জন্য রয়েছে বারতি আকর্ষন আদিবাসী রাখাইনদের স্থাপথ্য নিদর্শন। রাখাইন সম্প্রদায়ের প্রায় দুইশত বছরের পুরানো ঐতিহ্য রয়েছে। “গৌতম বুদ্ধের” বিশাল আকৃতির মূর্তি দেখতে পারেন। দেশের সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ মন্দিরটির অবস্থান কুয়াকাটা থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে রাখাইন পল্লীতে। গৌতম বুদ্ধের এই ধ্যানমগ্ন মূর্তিটি ৩৬ ফুট উঁচু এবং এর ওজনসাড়ে ৩৭ মন। কুয়াকাটা থেকে সেখানে যাওয়ার জন্য মটর সাইকেল প্রধান বাহন। জানা গেছে, মন্দিরের নির্মান সৌন্দর্য চীনের স্থাপত্য অনুসরন করা হয়েছে।দেখে মনে হবে থাইল্যন্ড বা মিয়ানমারের কোন মন্দির।মন্দিরের ভিতরের ভাব গম্ভীর পরিবেশ।

      ইকোপার্ক ও জাতীয় উদ্যানঃ
      সমুদ্র সৈকতের একেবারে কোল ঘেঁষে প্রায় ২০০ একর জায়গায় ষাটের দশকে পরিকল্পিত ভাবে গড়ে উঠা নারিকেল কুঞ্জ, ঝাউবন, গঙ্গামতি সংরক্ষিত বন , পশ্চিমদিকের ফাতরার বন ও মহিপুরের রেঞ্জের বনাঞ্চল নিয়ে গড়ে উঠেছে ইকোপার্ক ও জাতীয় উদ্যান । সমুদ্রের অব্যাহত ও অপ্রতিরোধ্য ভাঙ্গনে ইতিমধ্যেই নারিকেল কুঞ্জ অনেক খানিই বিলিন হয়েছে । এর পূর্ব দিকে বনবিভাগ কর্তৃক ১৫ হেক্টর বালুভূমিতে তৈরি করা হয়েছে মনোলোভা ঝাউবন । মানব সৃষ্ট হলেও গোধূলী বেলায় সমুদ্র সৈকতে দাড়িঁয়ে ও বিশেষ করে পূর্ণ চন্দ্রালোকিত জ্যোৎস্না রাতে যখন বেলাভূমি থেকে নারিকেল বীথি ও ঝাউবাগানের দিকে দৃষ্টি নিপতিত হয় তখন নিতানত্দ বেরসিক দর্শকের কাছে ও তা এক অমলিন স্বর্গীয় আবেদন সৃষ্টি করে । আর দিনে ঝাউবনের ভিতর দিয়ে যখন সমুদ্রের নির্মল লোনা বাতাস বয়ে যায় তখন বতাসের শোঁ শোঁ আওয়াজ এক নিরবিচ্ছিন্ন ঐক্যতান করে শ্রোতার কানে আনে অনির্বাচনীয় মাদকতা।

      কীভাবে যাবেনঃ
      ঢাকা থেকে সড়কপথে এর দূরত্ব ৩৮০ কিলোমিটার, বরিশাল থেকে ১০৮ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে বেশ কয়েকটি বাস এখন সরাসরি কুয়াকাটা যায়। ঢাকা থেকে সরাসরি বিআরটিসি, দ্রুতি পরিবহন, সাকুরা পরিবহনসহ একাধিক পরিবহনের গাড়ীতে গাবতলী কিংবা সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে কুয়াকাটায় আসতে পারবেন। এছাড়া যে কোন স্থান থেকে রেন্ট-এ-কার যোগেও আসতে পারেন। আপনি বাসে গেলে আপনাকে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে ২০০ মিটার দূরে নামিয়ে দিবে। ঢাকা থেকে কুয়াকাটা বাসে যেতে মোট সময় লাগে প্রায় ১২/১৩ ঘন্টা। ভাড়া ৫০০-৫৫০ টাকা। খুলনা থেকে কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে সকাল ৭ টায় একটি বিআরটিসি বাস ছাড়ে। খুলনা থেকে যেতে সময় লাগে প্রায় ৭/৮ ঘন্টা। আর উত্তরবঙ্গ রংপুর, দিনাজপুর, সৈয়দপুর থেকে আসতে চাইলে সৈয়দপুর থেকে খুলনা পর্যন্ত রূপসা অথবা সীমান্ত আন্তঃনগর ট্রেনে করে আসতে পারবেন। রাত্রের টেনে আসলে সকাল ৭ টার বিআরটিসি বাসে করে কুয়াকাটা যেতে পারবেন।

      তবে বরিশালের পর সড়কযোগে কুয়াকাটায় পৌঁছাতে আপনাকে দপদপিয়া, লেবুখালী, কলাপাড়া, হাজীপুর ও মহিপুরসহ ৫টি ফেরী পারাপার হতে হবে। তবে যে সকল পর্যটকরা ঢাকা থেকে নৌ পথে কুয়াকাটায় আসতে চান, তারা ২ টি ফেরীর দূর্ভোগ থেকে রেহাই পেতে পারেন। ঢাকা সদরঘাট থেকে বিলাসবহুল ডাবল ডেকার এম.ভি পারাবত, এম.ভি সৈকত, এম.ভি সুন্দরবন, এম.ভি সম্পদ, এম.ভি প্রিন্স অব বরিশাল, এম.ভি পাতারহাট, এম.ভি উপকূল লঞ্চের কেবীনে উঠে সকালের মধ্যে পটুয়াখালী কিংবা কলাপাড়া নেমে রেন্ট-এ-কার যোগে এবং পটুয়াখালী-কুয়াকাটা রুটের বাসে চড়ে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা পৌঁছাতে পারেন। ঢাকা থেকে উল্লেখিত রুটসমূহের লঞ্চগুলো বিকাল ৫ থেকে সন্ধ্যা ৭ টার মধ্যে লঞ্চ ঘাট ত্যাগ করে থাকে। লঞ্চে সিঙ্গেল কেবিন ভাড়া ৬০০ টাকা। কলাপাড়া থেকে কুয়াকাটার ২২ কি.মি. রাস্তার চরম বেহাল দশা আর ৩টি ফেরীর ঝামেলায় এক ঘন্টার রাস্তা যেতে ৪ ঘন্টা সময় লেগে যায়।

      কুয়াকাটায় থাকার ব্যবস্থাঃ
      কুয়াকাটায় আবাসন সংকট অবশ্য একটি অন্যতম সমস্যা। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় কুয়াকাটায় অবস্থিত দুই ডাক বাংলোর কক্ষ সংখ্যা বাড়িয়ে আধুনিক আবাসনে রূপান্তরিত করা এবং একই সময় স্থাপন করা হয় কুয়াকাটা সাগর কন্যা পর্যটন হলিডে হোমস। এলজিইডির রয়েছে দুটি, সড়ক ও জনপথের একটি, জেলা পরিষদের দুটি রাখাইন কালচার একাডেমীর একটি রেস্ট হাউস। এসকল স্থান জায়গা করে নিতে হলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পূর্ব অনুমতি নিতে হয়। এছাড়া ব্যক্তিগত উদ্দ্যোগে এ পর্যটন নগরীতে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় প্রায় অর্ধশতাধিক আবাসিক হোটেল, মোটেল। এর মধ্যে আধুনিক মান সম্মত হোটেল গুলোর মধ্যে রয়েছে- হোটেল নীলঞ্জনা, হোটেল বি-ভিউ, হোটেল গোল্ডেন প্যারেজ, হোটেল বীচ-ভেলী, হোটেল ফ্যামিলী হোমস, কুয়াকাটা গেষ্ট হাউজ, হোটেল সাগর কন্যা, হোটেল আল হেরা, হোটেল আকন, হোটেল সি-গার্ডেন, হোটেল স্মৃতি সহ আরো একাধিক হোটেল ও মোটেল।

      কোথায় খাবেনঃ
      ঘরোয়া পরিবেশে মান সম্মত খাবারের জন্য হোটেল সেফার্ড, খাবার ঘর-১, খাবার ঘর-২, এসব খাবারের হোটেল গুলো আপনার আবাসিক হোটেলে খাবার সরবরাহ করে থাকে। এছাড়া পর্যটন এলাকায় ছোট ছোট অনেক খাবারের হোটেল রয়েছে- কলাপাড়া হোটেল, হোটেল মান্নান, হোটেল বরিশাল ইত্যাদি। এসব হোটেলে কম খরচে মান সম্মত খাবার পাওয়া যায় ও সরবরাহ করা হয়।
      বাস থেকে নামার পর অনেক দালাল ঘিরে ধরবে। তারা যেসব হোটেল থেকে কমিশন পায় সেখানে নিয়ে যেতে চাইবে। নিজে রুম না দেখে হোটেলে উঠবেন না। আর অগ্রীম টাকা ভুলেও দেবেন না।

      কুয়াকাটায় পর্যটকদের থাকার জন্য বেশ কিছু হোটেল গড়ে উঠেছে। নীচের কিছু মানসম্পন্ন হোটেলের ঠিকানা ও ভাড়া দেয়া হলো। আশা করি সবার কাজে লাগবে।

      ভাড়ার ব্যাপারে একটা কথা। হোটেলে গুলোর পাবলিশড রেট এখানে দেয়া হলো তবে কুয়াকাটাতে বছরভর ৪০-৫০% ডিসকাউন্ট পাওয়া যায়। তাই অবশ্যই হোটেল নেবার সময় বারগেইন করবেন।

      ১. হলিডে হোমস (পর্যটন করপোরেশন)
      কুয়াকাটা
      ফোন : ০১৭১৫-০০১১৪৮৩

      ভাড়া :
      নন এসি টুইন : ১১০০/-
      ইকোনমি : ৮০০/-

      ২. ইয়োথ ইন (পর্যটন করপোরেশন)
      কুয়াকাটা
      ফোন : ০৪৪২৮-৫৬২০৭

      নন এসি টুইন : ১৫০০/-
      এসি টুইন : ২৫০০/-

      ৩. হোটেল স্কাই প‌্যালেস,
      পর্যটন এরিয়া, কুয়াকাটা
      ফোন : ০১৭২৭-৫০৭৪৭৯

      ভাড়া :
      নন এসি কাপল : ১২০০/-
      নন এসি টুইন : ১৪০০/-

      ৩. হোটেল বনানী প‌্যালেস,
      পর্যটন এরিয়া, কুয়াকাটা
      ফোন : ০১৭১-৩৬৭৪১৯২

      ভাড়া :
      নন এসি টুইন/কাপল : ১২৫০/- (নীচতলা), ১৬৫০/- (উপরের তলা)
      ডরমেটরী : ৪০০০/- (৮ বেড)

      ৪. হোটেল নীলাঞ্জনা
      রাখাইন মার্কেট, কুয়াকাটা
      ফোন : ০১৭১২-৯২৭৯০৪

      ভাড়া :
      নন এসি সিঙ্গেল : ৮৫০/-
      নন এসি টুইন : ১৪৫০/-

      ৫. বিশ্বাস সি প‌্যালেস হোটেল
      বেড়ি বাধ, কুয়াকাটা
      ফোন : ০১৭৩-০০৯৩৩৫৬

      ভাড়া :
      নন এসি টুইন : ১৮০০/-
      ৩ বেডেড রুম : ২০০০/-

      ৬. সাগর কণ্যা রিসোর্ট লি:
      পশ্চিম কুয়াকাটা, কুয়াকাটা
      ফোন : ০১৭১১-১৮১৭৯৮

      ভাড়া :
      নন এসি কাপল : ১২০০/- (নীচতলা), ১৫০০/- (উপরের তলা)
      নন এস টুইন : ১৮০০/-

      ৭. হোটেল কুয়াকাটা ইন
      সদর রোড, কুয়াকাটা
      ফোন : ০১৭৫-০০০৮১৭৭

      ভাড়া :
      ইকোনমি টুইন/কাপল : ১৫০০/-
      ইকোনমি ফ্যামিলি রুম : ১৮৫০/- (১ ডাবল, ১ সিঙ্গেল)

      ৮. কিংস হোটেল,
      সাগর পাড়, কুয়াকাটা
      ফোন : ০১৭১৩-২৭৭৬৩০

      ভাড়া :
      ইকোনমি ডাবল : ৬০০/-
      নন এসি ডিলাক্স : ৮০০/-

      Professor Answered on February 27, 2015.
      Add Comment
    • RELATED QUESTIONS

    • POPULAR QUESTIONS

    • LATEST QUESTIONS

    • Your Answer

      By posting your answer, you agree to the privacy policy and terms of service.