১. মাদকাসক্ত না হওয়ারঃজীবনে যায় করি না কেনও এই কাজ কোন দিন করবোনা ইন-শা-আল্লাহ। সেটা সিগারেট হোক কি়ংবা, ড্রাগস এর মতো কোন মাদক এসব থেকে সবসময় দূরে থাকতে চেষ্টা করবো। একটা ঘটনা বলি ক্লাসমেট এর, সে প্রথম প্রথম সিগারেট খাওয়া শুরু করেছিলো, তাঁকে যখন বললাম এটা করা উচিত হচ্ছে না সে আমাকে উওর আসলো ছেলে মানুষের এর না-কি অনেক কিছু করতে হয়, ধূমপান না করলে নাকি Mard (ছেলে) হওয়ার যায় না, ও-ই দিন পর থেকে তার থেকে অনেক দূরে চলে এসেছিলাম বন্ধু হওয়ার সত্ব ও আমি জানতাম তাঁর সাথে থাকলে হয়তো আমার ও এই দিকে চলে যেতাম। দুই বছর পর জানতে পেরেছি সে না-কি এমন কোন মাদক নাই সেবন করে নাই, তার শরীরে পুরোই মাদক এর কারখানা জন্ম দিয়েছে মাত্র দুই বছর বয়সে তখন ছিলো তার বয়স ২০-২১ বছর হবে মাত্র। পরবর্তীতে তার বাবার আগ্রহে তাঁকে এসব দূরে নিয়ে গেছে বাট তবুও সে সিগারেট খাওয়া ছাড়েনি।

এই ঘটনা থেকে দুইটা জিনিস লক্ষ্য করেছি, ১। তার বাবা নিজেও সিগারেট খেতো। ২। সে এমন মানুষের সাথে চলাচল শুরু করেছিলো তাঁর পক্ষে এটা করা সম্ভব হয়েছে। [বন্ধু করা ভালো এমন কোন বন্ধু-বান্ধব করা উচিত না যাদের কারণ এমন বাজে কোন কাজে জড়িয়ে যাওয়া যায়, এমন বন্ধু না করায় ভালো] ক্লাস টেনে থাকতে একটা কথা শুনছিলাম একবারই শুনেছি কথাটা এখনো কানের মধ্যে শুনতে পাই এই কথাটি, মনে পড়ে গেলো, এটা বলেছিলো এক টিচার তুমাদের বয়স এখনো মাত্র শুরু, তোমরা যদি ইন্টার পর্যন্ত এই সিগারেট কে হাত লাগাতে না পারো তাহলে তুমরা দেখবো তুমরা কখনো সিগারেট খাওয়ার জন্য আগ্রহ জন্ম নিবেনা তোমাদের মনে। এই কথাটা চম্বুক এর মতো লেগেগেছে হৃদয়ের মাঝে। বর্তমান সময়ে তো ক্লাস 6 এর বাচ্চারাও সিগারেট খাওয়া শুরু করে দেয় ওরা তো খাওয়া শুরু করে কি জন্য খাওয়া শুরু করে সেটা ওরা জানে না।

২।কোন সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় না দেওয়া। আমি চেষ্টা করবো সবসময় যত সম্ভব সোশ্যাল মিডিয়ায় জগত থেকে দূরে থাকতে। সময় লস করতে মন চাইলে এমন কাজ করায় ভালো। আমি মনে করে সময় লস ছাড়া আর কিছু না তবে এটা সবার ক্ষেত্রে না, অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবসার মিডিয়ায় পরিণত করেছে ওরা সোশ্যাল মিডিয়ায় থেকে আয় করে আমরা সময় দি ওই মিডিয়ায় তাদের পণ্য হয়ে।

৩। সময় নষ্ট করা উচিত না। সময় অনেক মূল্যবান। সময় একবার চলে গেলে আর কখনে ফিরে পাবো না এই সময় নষ্ট মানে আমার টাকাই নষ্ট হচ্ছে এটা অনেক বুঝেনা আমিও বুঝতাম না সময় আমাকে এটার কতটা মূল্যবান সেটা বুঝিয়ে দিয়েছে।

৪। ইমোশনাল না হওয়া।এটা মারাত্মক ক্ষতিকারক ইমোশনাল মানে হলো আপনি সব জায়গায় ঠকতে পারবেন। ইমোশনাল মানুষকে টাকা দিয়ে ক্রয় করা যায়না তবে ইমোশনাল দিয়ে ক্রয় করা যায়। আপনি ইমোশনাল যতই হবেন ততই ঠকতে হবে আপনার লাইফ থেকে অনেক কিছু নিয়ে নিবে এই ইমোশন।

৫। কারো সাথে বেইমানি না করা।আমি যায় করিনা কেনও কারও সাথে বেইমানি করতে পারবো না। তর্ক না করা তর্কতে কারো লাভ হয় না শুধু মনের মধ্যে বিবাদ জন্ম দেয় আর কিছু না। এটা থেকে দূরে থাকতে পারলেই ভালো।