মেধা বলে কি কিছু আছে?
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নটরডেম কলেজ বা হলিক্রসের শিক্ষার্থীদের প্রশংসা আপনি নিশ্চয়ই শুনে থাকবেন। কেন? কারণ, তারা মেধাবী। কিন্তু প্রশ্ন যখন এমন, মেধা বলে কি আসলে কিছু আছে? তখন তো বিষয়টা একটু অন্যরকম।
মেধা বলে কিছু আছে কি নেই, সেই বিতর্কে আমি যাচ্ছি না। তবে, মেধা যেই অর্থে বর্তমান সমাজে প্রচলিত, তা নিয়ে আমার বিরোধ রয়েছে। কারণ, বর্তমান সমাজে জিপিএ-৫ পেলে তথা জেলখানার পাঁচ নম্বর কক্ষে প্রবেশ করতে পারলেই তাকে মেধাবী ভাবা হয়। আবার, কেউ অপারগ হলে তাকে আর শিক্ষার্থী বলেই মানতে চান না অনেকে। একই ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়েে চান্স পাওয়া না পাওয়া নিয়েও ঘটে। পুরোটাই ভ্রান্ত।
সবার মাঝেই পটেনশিয়ালটি আছে। সবারই কোনো না কোনো বিষয়ে পারদর্শী হওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। পরিপার্শ্বের কাজ হলো তাকে সহযোগিতা করা। কিন্তু করা হচ্ছে উল্টোটা।
মেধা বলে তাহলে কি কিছুই নেই?
কিছু তো একটা আছে। এই যে ডাক্তাররা শিশুদের পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে বলেন। মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়ক খাবার খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কেন? যাতে করে বাচ্চার মস্তিষ্ক শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এরপর, এই যে বিশেষজ্ঞরা আমাদেরকে মস্তিষ্ক চর্চা করতে বলেন। ব্রেইন স্টর্মিং করতে বলেন। কী কী করলে মাথা শক্তিশালী হবে সেসব পরামর্শ দেন। কেন? যাতে করে আমাদের মস্তিষ্ক তার শক্তি ধরে রাখতে পারে এবং উন্নতি করতে পারে। এই যে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা, এটাই মেধা।
আর এই পুরো বিষয়টা মানুষের নিয়ন্ত্রণে। অভ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। আপনি চর্চা করলেই আপনার মেধা জেগে উঠবে। তবে, মস্তিষ্কেরও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সৃজনশীল অংশ রয়েছে। আছে ড্যামেজ হওয়ার পথ। কিন্তু কোনো কিছুই চেষ্টার ঊর্ধ্বে নয়। ওই যে মেধা, ওটাও মূলত চেষ্টা ও চর্চার ফসল। অস্তিত্বের সূচনা থেকেই এই চর্চা শুরু হয়।