সে কেমন মানুষ ? প্রথমেই সে আপনার শুভাকাঙ্খী মানুষ। বিদেশের কথা জানি না তবে আমাদের উপমহাদেশের একটা অলিখিত প্রথা ছিল, ছেলেরা প্রেম প্রস্তাব, বিবাহ প্রস্তাব দেবে, মেয়েদের নাকি বুক ফাটলেও মুখ ফোটে না।

এখন সেসব অতীত, এখন সবার সব ফোটে।

তবে হ্যাঁ, ওই যে বললাম একটা অলিখিত নিয়ম, সেটা এখনো সুপ্ত অবস্থায় কোথাও না কোথাও আছে। এটা বলছি নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই।

জীবনে যখন প্রথমবার কলেজের প্রথম বর্ষে একটি সহপাঠিনী মেয়েকে ভালো লাগে, তাকে বলতে সাহস হত না। পরে যখন জানলাম সে অন্য একটি সম্পর্কে জড়িয়েছে, সেদিন ধপ করে আমার মনের কথাটা বলেদি (প্রস্তাব নয়, আমার এমন অনুভূতি ছিল এই কথাটা শুধু), সে উত্তরে বলেছিল, যদি আগে বলতাম কিছু হলেও হতে পারত 😆, আমি তাকে আর কখনোই এসব নিয়ে বিব্রত করিনি, নিজেও আস্তে আস্তে নির্লিপ্ত হয়ে যাই।

বছর খানেক পরে, একটি মেয়ের সাথে খুব ভালো বন্ধুত্ব হয়। খানিক পরে, বুঝি সে ইতি উতি করছে। একদিন আর না পেরে সে নিজেই স্বীকার করে ফেলে। আর ব্যাস। শুরু হয় প্রথম প্রেম জীবন। সেটা ঘটনাবহুল ভাবে শেষ হয় বছর তিন পরে। যাইহোক তিক্ততা ভাগ করতে এই উত্তর না। তখন সেই quora বাংলা ব্যাবহার করতে শুরু করেছি। এইবার নিজেকে নির্লিপ্ত করতে পুনরায় বেশ বেগ পেতে হয়েছিল , ব্যাপক যুদ্ধ চলেছিল নিজের ভিতরে।

আবার দিন যায় মাস যায়, বছর যেতেই, quora এর এক বান্ধবী, অনেকদিনের পরিচয় ছিল তার সাথে quora তেই। নির্লিপ্ত হওয়ার সাথে সাথে অনুভব করি, আবার কোনো এক উত্তরের হিমেল হওয়া গায়ে লাগছে। সেও স্বীকার করেই ফেলল আর থাকতে না পেরে। তারপর আর কি চলতে শুরু করলাম একসাথে। যদিও ১.৫ বছর হতে চলল, তার সাথে একদিনও সামনাসামনি দেখা হয়নি। সে এখন আমাকে খোঁচা মারে এখন, “তোমার তো প্রস্তাব দেওয়ার মুরোদ হল না, সেই যে প্রথমবার একবার না শুনলে আর কাউকে প্রপোজই করলে না, তুমি যদি বলতে তাহলে দুইদিন না না করে তারপর হ্যাঁ বলতাম, কিছুই করলে না।”

আমি চুপচাপ হাসি।

এতটা বলার অর্থ এই যে, কোনো মেয়ে আপনাকে প্রস্তাব দিচ্ছে মানে এই না যে তার চরিত্র প্রশ্ন যুক্ত হবে। তবে আগেই বললাম, অলিখিত নিয়ম অনুসারে মেয়েরা প্রস্তাব পেতেই চায়। কেউ কেউ তো গুনে গুনে রাখে ট্রফির মত।

আপনাকে যদি কোনো মেয়ে প্রস্তাব দেয়, তাকে প্রশ্নবিদ্ধ না করে, যদি আপনারও তার প্রতি অনুভূতি থাকে তবে সানন্দে এগিয়ে যান। কারণ এটা নিশ্চিত তিনি আপনাকে ভালোবাসেন।