হাসি খুশি ভাবে বাঁচবো কিভাবে?

    Add Comment
    1 Answer(s)

      হাসিখুশি থাকার জন্য :

      আগে নিজেকে ভালোবাসেন,তারপর অন্য কাউকে।তাহলে সবসময় নিজে ভালো থাকতে পারবেন।নিঃস্বার্থ হলেই বারবার কষ্ট পাবেন।

      আপনার সম্মানের জায়গাটা যদি কেউ বুঝতে না পারে,সেখানে না থাকাই ভালো।

      আপনি যা,তেমন ই থাকুন।আপনার ভদ্র ব্যবহারকে যারা দুর্বলতা ভাবে তাদের থেকে দূরে থাকুন।কারন তারা আপনার জন্য বিপজ্জনক।

      যারা আপনাকে সব সময় পেইন দেয়, তাদের থেকে দূরে থাকুন।কারন একমাত্র পেইন ই আপনাকে সুইসাইডের মতো ভয়াবহ অবস্থায় নিতে বাধ্য করে।

      সবসময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন, অন্তত নিজের জন্য বাঁচুন।জীবনটা অনেক সুন্দর,একটু চেষ্টা করেই দেখুন না.

      এরজন্য আপনি যা করতে পারেন :

      ১) মানুষের সাথে খারাপ ব্যবহার করার ইচ্ছে আমার নাই।

      ২) যতটুকু পারি মিশতে চেষ্টা করি,

      ৩) হাসিমুখে যতটুকু পারি কথা বলি,সম্মান করি।।

      ৪) খারাপ ব্যবহার করে বহুত সম্মান অর্জন করতে পারবো, দিনশেষে তাদের চোখে খারাপ হবো, সেটা আমার দরকার নাই।

      মোটকথা, বাঁচবোই বা কদিন,, তাই হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করি, যদি কারো খারাপ লাগে একান্ত বলতে পারেন, কিছু মনে করবো না।

      কারণ অনেকে মনে করে অনেক সিনিয়র হয়েছি তবুও কেন এমন পোস্ট করি।। কিন্তু সত্যি বলতে আমার মধ্যে সেই ম্যাচুরিটি আছে কিন্তু সেটা করতে গেলে অনেক গম্ভীর হয়ে থাকতে হয়, গম্ভীর হয়ে থাকতে পারি না, আমি মন খুলে কথা বলতে ভালোবাসি।

      তবে যাই বলি না কেন ভালো থাকার সহজ উপায় কী?

      এই প্রশ্নের সবচেয়ে সহজ উত্তর হলো- হাসি।

      হ্যাঁ, ভালো থাকতে হলে হাসিখুশি থাকার চেয়ে সহজ উপায় আর হয়না। যিনি যতটা হাসিখুশি থাকবেন, দিন শেষে তিনি নিজেকে ততটাই সুখী হিসেবে আবিষ্কার করবেন। দীর্ঘদিন সুস্থ ও সুখী মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকতে চাইলে হাসিখুশি থাকার বিকল্প নেই-

      ১. হাসি দেহকে ক্যান্সার রোগ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করবে। আমেরিকার ক্যান্সার ট্রিটমেন্ট সেন্টারে ক্যান্সার রোগীদের হাসানোর জন্য বিশেষ থেরাপি দেয়া হয়ে থাকে। যা একজন ক্যান্সার রোগীর দেহের ব্যথা দূর করে ও মন ভালো রাখে।

      ২. যে সব মানুষ বেশি হাসে তাদের হার্টের সমস্যা তুলনামূলক ভাবে খুব কম এবং যারা কম হাসেন তাদের হার্টের সমস্যা হয়ে থাকে। তাছাড়া যারা বেশি হাসতে পারেন না তারা তাদের ব্যক্তিগত জীবনেও নানা রকমের সমস্যায় থাকেন।

      ৩. কাজ যেমনই হয়ে থাকুক না কেন সেই কাজটিকে আনন্দের সাথে করার চেষ্টা করুন। কর্মক্ষেত্রে দুর্দান্ত উপায়ে, দলবদ্ধভাবে ও মানসিক ভাবে শক্তি নিয়ে কাজ করতে হাসি খুশি থাকা খুবই জরুরি।

      ৪. হাসি মানুষকে একে অপরকে কাছাকাছি রাখতে সাহায্য করে থাকে। যে কোন ধরণের রাগ দূর করতে সুন্দর একটি হাসির উপকারিতা অনেক বেশি। হাসি আপনার মনের সমস্ত দুশ্চিন্তা দূর করবে ও আপনাদের সম্পর্ক ভালো রাখতে সাহায্য করবে।

      ৫. হাসি আমাদের মস্তিষ্কের এনডোরফিন (হরমোন) নামের একটি কেমিক্যাল নিঃসরণ করে থাকে যা আমাদের দেহের ব্যথা দূর করে থাকে। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির একটি জরিপে দেখা গিয়েছে যে মানুষ যত বেশি হাসবে তার দেহের ব্যথা তত বেশি কমে যাবে।

      ৬. হাসি মানসিক চাপ দূর করে থাকে। তাই যখনই যেমন অবস্থায় থাকুন না কেন মন ভালো রাখতে ও মানসিক চাপ দূরে রাখতে হাসুন।

      ৭. হাসি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আপনি যখন হাসেন তখন আপনার দেহের রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায় এবং অক্সিজেন গ্রহণের মাধ্যমে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।

      Professor Answered on January 2, 2023.
      Add Comment
    • RELATED QUESTIONS

    • POPULAR QUESTIONS

    • LATEST QUESTIONS

    • Your Answer

      By posting your answer, you agree to the privacy policy and terms of service.