14182
Points
Questions
3
Answers
7076
বিষয়টি দৃষ্টিভঙ্গির উপরে নির্ভরশীল। কেননা চশমা পরলে কোনো কোনো মেয়েকে সুন্দর লাগে আবার কাউকে খুব একটা ভালো লাগে না। তবে মেয়েদের সেক্সি লাগে কি না তা বলা সম্ভব না। এটা যার যার রুচি এবং দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার।
- 700 views
- 1 answers
- 0 votes
টা সত্যি কথা যে শীতের সময় ব্যথা একটু বেশি লাগে | কিন্তু একটু ভালো করে চিন্তা করে দেখুন, যদি আপনি শীতের সময় ব্যাডমিন্টন খেলে একটু ঘেমে উঠেন, তাহলে কিন্তু আর সেই ব্যথাটা লাগে না | এ থেকেই বোঝা যায় যে শীতের সময়ে ব্যথা বেশি লাগার কারণ হলো শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়া।
শীতের সময় শরীরের রক্ত চলাচল কমে যায়, আর সেজন্য শরীরের চামড়া একটু চেপে বসে। এ কারণে শীতকালে অনেককেই দেখতে একটু শুকনো লাগে। এই চামড়ার চাপ এবং শীত দুটি মিলে শরীরের নার্ভ অনেক বেশি সেনসিটিভ হয়ে উঠে | তার উপর শীতের সময় সারা শরীর একটু আড়ষ্ট থাকে। এক্ষেত্রে শরীরের এক জায়গায় ব্যথা লাগলে তা আশেপাশের নার্ভ গুলোকেও উত্তেজিত করে, আর এই জন্যই ব্যথা বেশি লাগে |
- 930 views
- 1 answers
- 0 votes
পৃথিবীর সব জায়গার জলবায়ু এক রকম নয়। স্থান বিশেষে আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্যে পার্থক্য হয়ে থাকে। মূলত এই কারণেই মানুষের গায়ের রং ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। তবে আবহাওয়ার পার্থক্যের কারণে মানুষের গায়ের রং বদলাতেও পারে।
অনেক সময় দেখা যায় ছোটবেলার লাল টুকটুকে ফরসা গায়ের রং বড় হতে হতে কুচকুচে কালো হয়ে যায়। এটি হয়ে থাকে এ কারণে যে বড় হওয়ার সাথে সাথে ঘরের বাহিরে বের হলে সূর্যের আলোতে তার ত্বক পুড়ে যায়। ফলে ত্বক কালো হয়ে যায়। সকল মানুষের চামড়ার নিচে সবার রক্ত লাল হলেও বংশগতি, জলবায়ুর প্রভাব, জাতিগত সত্তার কারণে গায়ের রং আলাদা আলাদা। আবার কখনো কখনো নানা রোগ-বালাই, বিশেষ করে হরমোনের প্রভাবে গায়ের রঙে পরিবর্তন হতে পারে। রং পাল্টাতে পারে নানা ওষুধপত্রের প্রভাবেও।
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা :
আমাদের ত্বকে রয়েছে মেলানোসাইট নামের বিশেষ কোষ, যেটি তৈরি করে মেলানিন নামের রঞ্জক পদার্থ। এই মেলানিনই ঠিক করে কার গায়ের রং কেমন হবে। মেলানিনের মাত্রা আবার নির্ভর করে জাতিসত্তা, বংশগতি, সূর্যালোকের উপস্থিতির ওপর। মেলানিন তৈরি বেড়ে গেলে ত্বকের রং গাঢ় বা কালো হয়ে যায়, যেমনটা ঘটে রোদে পুড়লে, আবার মেলানিন অস্বাভাবিক কমে গেলে রং ফ্যাকাসে সাদা হয়ে যাবে, যেমন শ্বেতী রোগে। এই মেলানিনকে প্রভাবিত করে দেহের কিছু হরমোনও।
কারণ :
রং কালো হওয়ার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো রোদে পোড়া। ত্বককে রোদের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে বাঁচানোর জন্য মেলানোসাইট মেলানিন উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়, ফলে ত্বক কালো হয়ে যায়। ছোটবেলার ফরসা রং তাই বড় হতে হতে রোদে পুড়ে বাইরে ঘুরে ধীরে ধীরে কালচে হয়ে যায়। অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির অকার্যকারিতায় ধীরে ধীরে ত্বক, ত্বকের ভাঁজ, সন্ধির ওপর ও অনাবৃত স্থান কালো হয়ে যায়। একে বলে অ্যাডিসনস ডিজিজ। গর্ভকালীন হরমোনের প্রভাবে মুখে ও অন্যান্য স্থানে কালচে বর্ণ ধরে, একে বলে মেলাসমা। জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খেলেও এমন হতে পারে। এ ছাড়া কেমোথেরাপি দিলে বা মিনোসাইক্লিন জাতীয় ওষুধের প্রভাবেও গায়ের রং কালো হয়ে যেতে পারে। লিভার সিরোসিস বা যকৃতের দীর্ঘমেয়াদি রোগে গায়ের রং কাদার মতো বর্ণ ধারণ করতে পারে। রক্তে লৌহ জমে যায় হিমোক্রোমাটোসিস নামের জেনেটিক জটিলতায়, যাতে লৌহ বিপাক মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। এই রোগে লৌহ জমে গিয়ে দেহের রং তামার মতো হয়ে যায়, সঙ্গে ডায়াবেটিসও হয় বলে এর অপর নাম ব্রোনজ ডায়াবেটিস। স্থূলতা, ডায়াবেটিস বা ইনসুলিন রেজিট্যান্সের কারণে দেহের ভাঁজে ভাঁজে, যেমন বগলে, ঘাড়ের ত্বক ঘোর কালো বর্ণ নেয়, একে বলে অ্যাকানথোসিস নাইগ্রিকেনস। নানা রকমের ক্যানসারের কারণে দেহের ত্বকের রং পরিবর্তিত হতে পারে। থাইরয়েড হরমোনের অভাবে গায়ের রং হলদে ফ্যাকাশে দেখায়। আর জন্ডিসে তো হলুদ দেখায়।
এসব সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম কারণেই মানুষের গায়ের রং দিনদিন বদলায়। এগুলো ছঅড়াও দেখা যায় রুপচর্চাতেও গায়ের রং আগের চেয়ে অনৈক বেশি উজ্জ্বল বর্ণ হয়েছে। কারণ হল গায়ে জমে থাকা ময়লা রুপচর্চার ফলে পরিস্কার হয়ে যায়। ফলে ফর্সা দেখায়।
- 1240 views
- 1 answers
- 0 votes
এমন অনেক নারী আছেন যাদের স্তনের আকার বংশানুক্রমে কিছুটা ছোট আকৃতির হয়ে থাকে। তারা তাদের স্তনের আকার কিছুটা বড় করতে চান। অবশ্য অনেকে বলে থাকেন যে বিয়ের পরে স্তনের আকৃতি বড় হয়ে যায় কিন্তু তা আদতে তেমন পরিবর্তিত হয় না।
সাধারণত গ্লান্ডুলার টিস্যু এবং বিশেষ প্রকার চর্বির সমন্বয়ে নারীর স্তন গঠিত। অনেকে মনে করে থাকেন যে নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়ামের ফলে স্তনের অঅকার পরিবর্তন করা সম্ভব। কিন্তু আসলে এই ব্যায়ামগুলো স্তনের আকার পরিবর্তিত করতে পারে না। ব্যায়ামের ফলে স্তনের নিচের “পেক্টরিয়াল পেশী” উন্নত হয়ে থাকে যেটাতে মনে হবে স্তনের আকার পরিবর্তন হয়েছে এবং কিছুটা উপরের দিকে উন্নত হয়েছে।
ব্যায়ামগুলো যেভাবে করবেন :
ডাম্বল চেষ্ট প্রেস (Dumble chest press) :
মেঝে বা বেঞ্চে সোজা হয়ে শুয়ে দুই হাতে দুটি ডাম্বল নিয়ে তা বুকের সমতলে ধরুন। লক্ষ্য রাখবেন আপনার দুই হাতের কনুই ঘাড়ের সমান সরলরেখায় থাকে কি না। এবার ডম্বল আস্তে আস্তে সোজা উপরের দিকে উঠান। হাত একেবারে সোজা হয়ে গেলে ১৫ সেকেন্ডের মত সেই অবস্থানে রাখুন। প্রতিদিন এই ব্যায়াম ১০ বার পুনরাবৃত্তি করুন।
কোবরা স্ট্রেচ্ (Cobra Stretch) :
দুই পা একত্র করে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলে ভর দিয়ে পা সোজা রাখুন। দুই হাতের তালু মেঝেতে রাখুন। হাতের তালু কাঁধের সামনে স্থাপন করুন। এবার হাতের উপর ভর রেখে কোমর থেকে মাথা পর্যন্ত শরীরের উপরের অংশ ক্রমশঃ উপরের দিকে উঠান। হাত পুরা সোজা হওয়ার পর পিঠ ধনুকের আকারে আসলে আকাশের (উপরের) দিকে তাকান। আবার আস্তে আস্তে পূর্বের অবস্থানে ফিরে যান। এভাবে ১০ বার পুনরাবৃত্তি করার পর শেষ অবস্থানে (পিঠ ধনুকের মত বাকা থাকা থাকা অবস্থায়) প্রায় ৬০ সেকেন্ডের মত এই অবস্থানে অপেক্ষা করুন। তবে লক্ষ্য রাখবেন এমনভাবে যেন চাঁপ না পড়ে যাতে মেরুদন্ডে ব্যথা অনুভব হয়।
প্রেইস পোজ স্ট্রেচ (Praise Pose Strech) :
হাটু গেড়ে নামাজের ভঙ্গিতে বসুন। তবে পায়ের পাতা সোজা না রেখে তা এমনভাবে রাখুন যাতে দুই পায়ের পাতা মেঝেতে ঠেকে থাকে (অনেকটা ক্রস করে রাখার মতো)। এবার দুই হাতের আঙুলে আঙুলে আঁকড়ে ধরে তা মাথার পিছনে স্থাপন করুন। তারপর ক্রমশঃ মাথাকে যথা সম্ভব হাঁটুর কাছাকাছি নিয়ে যান। এই অবস্থানে কিছুক্ষণ অবস্থান করুন। প্রতিদিন কয়েকবার করে এ ব্যায়ামটি করতে পারেন।
চেষ্ট লিপ্ট (Chest left) :
আপনার জামি’র (চিন) নিচে হাতের পাতা রেখে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এবার মাথা, বাহু এবং বুক ভুমি থেকে ৫ হতে ৬ ইঞ্চি পরিমাণে উপরে উঠান। এ অবস্থানে ১০ সেকেন্ডের মত অপেক্ষা করুন। এ ব্যায়ামটি দিনে ৫ থেকে ১০ বার করতে পারেন।
ডাউনওয়ার্ড ডগ (Downward Dog) :
পদ্ধতিটির নাম শুনেই অনুমাণ করতে পারছেন আপনার হাতের তালু এবং হাঁটুতে ভর করে কুকুরের/ছোটদের জন্য ঘোড়া যেভাবে সাজি সেই ভঙ্গিতে অবস্থান নিন। এবার শরীরের মধ্য অংশ তথা নিতম্ব আকাশ/ছাদের দিকে উচু করতে থাকুন। হাটুর ভর ছেড়ে দিয়ে হাতের তালু এবং পায়ের পাতার উপর ভর দিয়ে নিতম্ব যথা সম্ভব উপরের দিকে উঠান। শেষ অবস্থানটা হবে ইংরেজী “V” অক্ষরের উল্টারুপের মত। এই পদ্ধতির পুনরাবৃত্তি কয়েকবার করুন।
- 2375 views
- 1 answers
- 0 votes
মন খারাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার সবচেয়ে ভঅলেঅ উপায় হল নিজেকে নিজে উপহার দেয়া। এমন কেউ পৃথিবীতে নেই যে উপহার পেতে পছন্দ করেন না। উপহার পেলে সবারই মন ভালো হয়ে যায়। আপনার যদি বিশ্বাস না হয় তাহলে একবার ট্রাই করেই দেখুন না। দেখবেই সেকেন্ডের মধ্যে আপনার মন খারাপ কোথায় উধাও হয়ে গেছে।
এছাড়া দেখুন :
খুব মন খারাপ লাগছে? জেনে নিন তাৎক্ষণিকভাবে মন ভালো করার বিশেষ ৮ টি উপায় :
অনেক বেশি মন খারাপ থাকলে তা স্বাভাবিক কাজকর্মের উপর খারাপ প্রভাব পড়তে থাকে। কাজে ঠিকমতো মন বসে না, এবং দেখা যায় অনেক ক্ষেত্রেই ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
আপনার সন্তানের কি প্রায়ই মন খারাপ থাকে? জেনে নিন আপনার করণীয় :
আধুনিক জীবনযাত্রার জটিলতা যে শুধু বড়দের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, তা কিন্তু একেবারেই নয়! ছোটরাও এই জটিল লড়াইয়ের সমান অংশীদার। প্রতিযোগিতা, একাকিত্ব, ঈর্ষা, আকাঙ্ক্ষা – সবই তাদের ছোট্ট জগতের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে
কারো মন খারাপ দূর করতে করুন এই ৫টি কাজ :
আজকাল মানুষের সময় কই অন্য কারো মন ভালো করার? তবুও আমাদের মাঝে কেউ কেউ এখনো আছেন, যারা অন্যদের মন খারাপ সহ্য করতে পারেন না মোটেও। বিশেষ করে নিজের খুব প্রিয় কারো কষ্ট আমাদেরকেও স্পর্শ করে যায়, প্রভাব ফেলে আমাদের সম্পর্কে।
- 777 views
- 1 answers
- 0 votes
অনুশোচনা মানুষের একটি আবেগ যা মূলত কোনো পাপ কর্মের পরের অনুভব হিসেবে বিবেচ্য। কোনো ব্যক্তি পাপ কাজ করার পরে অনেক সময় অপরাধবোধ করে থাকেন। বিবেক তাকে বারবার ধিক্কার দিতে শুরু করে তার করা পাপকর্মটির জন্য। এই অবস্থাটিকেই অনুশোচনা বলে। একজন পাপী চাইলে এই অনুশোচনার মাধ্যমে নিজেকে পরিশোধন করতে পারেন।
অনুশোচনা মানুষের অন্যান্য আবেগের মতই মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষ বা নিউরনে ঘটে থাকে।
কারও অনুশোচনা হয় কারও হয় না এই বিষয়টি আসলে যার যার চিন্তাভাবনা বা বিবেকের বিষয়। আমরা সবাই একই রক্তে মাংসে গড়া মানুষ হলেও সবাই কিন্তু ভালো স্বভাবের হয় না। আমাদের মাঝেও তো ভালো মন্দ রয়েছে। সেরকমই কেউ তার পাপকর্মটি সম্পর্কে বুঝতে পারে, অনুশোচনার মাধ্যমে ভালো হয়, আবার কেউ বুঝতে পারে না, অনুশোচনা না করে আরও পাপকাজ করে।
- 680 views
- 1 answers
- 0 votes
শীতের দিনে আসলে আমাদের মুখ থেকে যা বের হয় তা ধোঁয়া নয় এটি বাতাসের এক ধরনের ঘনীভবন। আমরা নি:শ্বাসের সাথে যে বাতাসটি গ্রহণ করে থাকি তা হালকা গরম হয়ে বের হয়। আর যখন এটি বাহিরের ঠান্ডা বাতাসকে আঘাত করে তখন তা ঘনীভূত হয়ে ধোঁয়ার সৃষ্টি করে। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোনো তরল পদার্থে উচ্চ তাপমাত্রায় যেভাবে বাষ্পায়িত হয়। আরো সহজভাবে বলা যায়, শীতের সময় বাতাস খুব ঠাণ্ডা থাকে।এ সময় বাতাসে লক্ষ লক্ষ পানির কণা ভেসে বেড়ায়। বাতাসের তুলনায় আমাদের শরীরের তাপ তখন বেশি থাকে। কথা বলার সময় তাই মুখ দিয়ে গরম বাতাস বের হয়। মুখ দিয়ে বের হওয়া ঐ বাতাস বাইরের ঠাণ্ডা পানি কণার সাথে মিশে ঘন পানি কণায় পরিণত হয়। এই ঘন পানি কণাগুলোকে তখন ধোঁয়ার মতো দেখায়।
খেয়াল করে দেখবেন শীতকালে আপনি যখন আপনার হাতের উপরে মুখ দিয়ে বাতাস দিবেন তখন তা অপেক্ষাকৃত গরম অনুভূতি যোগাবে কারণ বাহিরের ঠান্ডা বাতাসের তুলনায় শরীরের গরমের কারণে মুখের বাতাসটি অনেক বেশি গরম থাকে। ফলে বাহিরের ঠান্ডা আবহাওয়ার মাঝে মুখের বাতাসটি আপনাকে গরম অনুভূতি যোগায়।
- 747 views
- 1 answers
- 0 votes
ভেঙ্গে যাওয়া হাড় জোড়া লাগানো এক ধরনের জটিল প্রক্রিয়া। আমাদের হাড়ের গাঠনিক অখণ্ডতা নিয়ন্ত্রিত হয় কতগুলো কমপ্লেক্স প্রসেসের মাধ্যমে। খুব সহজে বললে হাড়ের ভেতর তিন ধরনের কোষ আছে। অস্টিওসাইট, অস্টিউব্লাস্ট এবং অস্টিওক্লাস্ট। অস্টিওসাইটগুলো হাড়ের গঠনের অন্যতম কোষ। অস্টিওব্লাস্ট হচ্ছে এমন কতগুলো কোষ যেগুলো বিভাজিত হয়েছে অস্টিওসাইট তৈরী করে এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ অনু যোগ করে। অন্যদিকে অস্টিওক্লাস্ট কিছু পদার্থ (ফ্যাক্টর) তৈরী করার মাধ্যমে অস্টিওসাইটকে ধ্বংস করে। আমাদের হাড়ে এই অস্টিওব্লাস্ট ও অস্টিওক্লাস্ট সবসময় একটিভ থাকে। হাড়ের একাগ্রতা (ইন্টেগ্রিটি) নিয়ন্ত্রিত হয় এই দুটো প্রক্রিয়ায় ব্যালেন্সের মধ্যে দিয়ে।
অন্যদিকে, যখন আমাদের শরীরে কোন আঘাত হয় তখন ইনফ্লেমেশন ও হিরিং নামক দুটো ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাড়ের ক্ষেত্রেও হিলিং প্রসেসের মাধ্যমে ভাঙ্গা যায়গায় নতুন হাড়ের অংশ তৈরী হয়। তবে সেটা মূল হাড়ের পূর্ণাঙ্গ গঠন যুক্ত না। হাড় যখন ভেঙ্গে যায় তখন এই ভাঙ্গা অংশদুটোকে যদি পরস্পর কাছাকাছি লাগিয়ে দেয়া যায় তাহলে প্রথমে হিলিং প্রসেসের মাধ্যমে একটি প্রাথমিক জোড়া তৈরী হয়। অত:পর অস্টিওব্লাস্ট ও অস্টিওক্লাস্ট একটু একটু করে ভাঙ্গা ও গড়ার মধ্য দিয়ে হাড়কে তার পূর্ণাঙ্গ আকারে ধীরে ধীরে ফিরিয়ে নিয়ে আসে।
- 585 views
- 1 answers
- 0 votes
ঘুমিয়ে থাকে মানে মৃত অবস্তাই থাকে। মৃত মানুষ কানে শুনে না।
- 480 views
- 1 answers
- 0 votes
বাড়ি করার স্বপ্নটি প্রতিটি মানুষেরই স্বপ্ন। নিজের একটি সাধের বাড়ি থাকবে যার প্রতিটি ইটের কণায় নিজের কষ্টের ছাপ থাকবে। আপনার মনেও এই স্বপ্ন যে বাবান মৃত্যুর আগে তার স্বপ্নটাকে বাস্তবায়িত করতে চান। এক্ষেত্রে ঋণ অনেক প্রতিষ্ঠানই দিয়ে থাকে তবে একেক প্রতিষ্ঠানের নিয়ম একেক রকম। আসুন প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম এবং নিয়মকানুন ছোট্ট পরিসরে জেনে নিই।
বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো গৃহঋণ দিয়ে থাকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরাসরি গৃহঋণ দেয় না। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে এই ঋণ দিয়ে থাকে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি এ খাতে গ্রাহকদের এক কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার আদেশ জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন
বাংলাদেশের যেকোনো সুস্থ নাগরিক, যাঁর নির্দিষ্ট আয় আছে, তিনি গৃহঋণ পেতে পারেন। রাজউক অনুমোদিত নকশার ওপর ভিত্তি করে প্রকৌশলী যে আনুমানিক হিসাব দেবেন, তার ৮০ শতাংশ ঋণ দেওয়া হয়। ঢাকা-চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় ঋণের পরিমাণ সর্বোচ্চ ৪০ লাখ টাকা। এর বাইরে অন্যান্য এলাকায় ১৫ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হয়। তবে সম্প্রতি ঢাকা-চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য এই ঋণের পরিমাণ ৫০ লাখ টাকা অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানায় ওই প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ। সে ক্ষেত্রে ঢাকা-চট্টগ্রামে সুদের হার ১২ শতাংশ। এ ছাড়া অন্যান্য এলাকার সুদের হার ১০ শতাংশ এবং ঋণ পরিশোধের মেয়াদ ১৫ বছর। প্রতি মাসের কিস্তিতে সরল সুদে এই টাকা পরিশোধ করতে হয়।
ডিবিএইচ
ঋণের কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ নেই। সম্পত্তির পরিমাণ, ঋণ পরিশোধের সামর্থ্যের ওপর ভিত্তি করে ঋণ দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে ঋণ পরিশোধ করতে হবে ২০ বছরের মধ্যে। সুদের হার নয় থেকে ১৬ শতাংশ।
আইডিএলসি
গ্রাহকের সম্পদের পরিমাণের ৭০ শতাংশ পর্যন্ত গৃহঋণ দিয়ে থাকে এই প্রতিষ্ঠান। সুদের হার ১৩ থেকে ১৪ শতাংশ। পরিশোধের সময়কাল ২০ বছর। প্রবাসীদেরও এ ঋণের সুবিধা দেওয়া হয়। এ ছাড়া চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীদের আয় ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা হলে, তিনি এ প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হন।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংক
সাধারণত যাঁদের আয় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা, তাদের এই ব্যাংক থেকে ঋণ দেওয়া হয়। ঋণের পরিমাণ দুই থেকে ৭৫ লাখ টাকা। সুদের হার ১৩ শতাংশ। ঋণ পরিশোধের সময় ১৫ বছর। বাড়ি নির্মাণ খরচের ৭০ শতাংশ ঋণ দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতার বয়স ২৫ থেকে ৬৫ বছর হতে হবে। প্রসেসিং ফি ঋণের পরিমাণের শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ।
প্রাইম ব্যাংক
সম্পত্তির মূল্যের ওপর ৭০ শতাংশ ঋণ দেওয়া হয়। ঋণের পরিমাণ পাঁচ থেকে ৭৫ লাখ টাকা। সুদের হার ১৩ শতাংশ। ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ১০ বছর। ভ্যাটসহ সার্ভিসচার্জ রয়েছে।
ইস্টার্ন ব্যাংক
ঋণের পরিমাণ পাঁচ থেকে ৭৫ লাখ টাকা। ঋণগ্রহীতার মাসিক গড় আয়ের ৫০ গুণ পরিমাণ ঋণ দেওয়া হয়। ঋণ পরিশোধের সময়সীমা তিন থেকে ২০ বছর। ঋণগ্রহীতাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে এবং তার বয়সসীমা ২২ থেকে ৫৭ বছর। ঋণের পরিমাণ পাঁচ থেকে ১৫ লাখ টাকা হলে সুদের পরিমাণ ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ। ঋণগ্রহীতার সম্পত্তির পরিমাণের ৮০ শতাংশ ঋণ দেওয়া হয়।
ঢাকা ব্যাংক
চাকরিজীবী, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, যাঁদের আয় ন্যূনতম ৪০ হাজার টাকা, তারা ঋণ পাওয়ার যোগ্য। সম্পত্তির মূল্যের ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়। পাঁচ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে হয়। ঋণের পরিমাণ পাঁচ থেকে ৭৫ লাখ টাকা। সুদের হার ১২ থেকে ১৩ শতাংশ। প্রসেসিং ফি ১ দশমিক ২৫ থেকে ১ দশমিক ৫ শতাংশ ।
এইচএসবিসি ব্যাংক
ঋণগ্রহীতার রেজিস্ট্রেশন খরচসহ সম্পত্তির ক্রয়মূল্যের সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ গৃহঋণ দেওয়া হয়। ঋণের পরিমাণ সাত লাখ ৫০ হাজার থেকে ৭৫ লাখ টাকা। ঋণ পরিশোধের সময়সীমা পাঁচ থেকে ২০ বছর। সুদের হার ৯ শতাংশ। ঋণগ্রহীতা চাকরিজীবী হলে তাঁর ন্যূনতম আয় ৪০ হাজার এবং নিজস্ব প্রতিষ্ঠান আছে, এমন কেউ বা ব্যবসায়ী হলে তাঁর আয় ৫০ হাজার টাকা হতে হবে। এ ব্যাংকে চলছে ‘বৈশাখী অফার’। এই বছরের এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এ অফার। এতে সুদের হার ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক
এ ব্যাংক থেকে ঋণ পেতে হলে ঋণগ্রহীতাকে চাকরিজীবী, পেশাজীবী বা ব্যবসায়ী হতে হবে এবং তাঁদের মাসিক আয় হতে হবে ন্যূনতম ২৫ হাজার টাকা। ন্যূনতম বয়স ২৫ বছর। ঋণগ্রহীতার সম্পত্তির পরিমাণের ৮০ শতাংশ ঋণ দেওয়া হয়। মোট ঋণের পরিমাণ ৭৫ লাখ টাকা। সুদের হার ১২ দশমিক পাঁচ শতাংশ থেকে ১৪ দশমিক ২৫ শতাংশ। প্রসেসিং ফি ঋণের পরিমাণের ১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং সঙ্গে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রযোজ্য। ঋণ পরিশোধের সময় ২০ বছর।
- 550 views
- 1 answers
- 0 votes