ZoomBangla Answer's Profile
Professor
14182
Points

Questions
3

Answers
7076

  • Professor Asked on March 3, 2015 in স্বাস্থ্য.

      শিশু যখন জন্মগ্রহণ করে তখন তার চামড়া শরীরের আকৃতির তুলনায় একটু বেশি থাকে। মাস ছয়েকের মধ্যেই তা টানটান হয়ে যায়। দেখা যায়, একজন স্বাভাবিক মানুষের ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত শরীরের চামড়ায় খুব একটা ভাঁজ পড়ে না। কিন্তু এরপর ধীরে ধীরে শরীরের চামড়ার বিভিন্ন স্থানে ভাঁজ পড়তে শুরু করে। ছোটবেলা থেকে ৪০-৫০ বছর পর্যন্ত শরীরের হরমোনের প্রভাবে ‘ইলাস্টিন প্রোটিন’ প্রচুর পরিমাণে তৈরি হয়, যা মানুষের চামড়ার স্থিতিস্থাপক ধর্ম ঠিক রাখে। কিন্তু বয়স ৫০ বছর পার হয়ে গেলে ইলাস্টিন প্রোটিন তৈরি কমতে কমতে বন্ধ হয়ে যায়। এতে চামড়ার স্থিতিস্থাপকতা কমে যায়। যার ফলে চামড়ায় বিভিন্ন ধরনের ভাঁজ পড়তে শুরু করে। আবার বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শরীরের বিভিন্ন অংশের হাড় ছোট হয়ে আসে, উচ্চতাও কমে যায়। এ কারণে শরীরের আকৃতির তুলনায় চামড়ার আকার বেশি হয়ে যায়। এতে চামড়ায় ভাঁজের পরিমাণ আরো বেশি বাড়তে থাকে।

      • 616 views
      • 1 answers
      • 0 votes
    • Professor Asked on March 3, 2015 in সাধারণ.

        কমবেশি সবাই ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু সবাই সব স্বপ্ন মনে রাখতে পারেন না। এর কারণ অনেকটাই অজানা। তবে বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, যাঁরা নিয়মিত রাতে স্বপ্ন দেখেন এবং পরদিন ভোরে তা মনে করতে পারেন—তাঁদের স্মৃতিশক্তি খুবই প্রখর। সম্প্রতি একটি গবেষণার ফলাফলে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। ফ্রান্সের লিয়ং নিউরোসায়েন্স রিসার্চ সেন্টার সংশ্লিষ্ট গবেষণাটি পরিচালনা করে। এর ফলাফল ফ্রন্টিয়ার ইন সাইকোলজি সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়। গবেষণা চলাকালে ৩৬ জনের মস্তিষ্কের বৈদ্যুতিক তরঙ্গ পর্যবেক্ষণ করা হয়। এ সময় অংশগ্রহণকারীদের ঘুমের মধ্যে এবং জাগ্রত অবস্থায় বিশেষ সুর শোনানো হয়। এর মাঝে মাঝে তাঁদের নামও শোনানো হয়। এতে দেখা গেছে, যাঁরা প্রতিদিন স্বপ্ন দেখে মনে রাখতে পারেন, তাঁদের স্মৃতিশক্তি খুবই প্রখর। তবে যাঁরা মাসে মাত্র দু-একবার স্বপ্ন মনে করতে পারেন, তাঁদের স্মরণশক্তি ততটা প্রখর নয়। গবেষক পেরিন রুবি জানান, রাতে প্রখর স্মৃতি শক্তিসম্পন্ন মানুষের ঘুম বারবার ভেঙে যায়। এতে সব মিলিয়ে তাঁরা গড়ে ৩০ মিনিট জেগে থাকেন। তবে কম স্মৃতি শক্তিসম্পন্ন মানুষের ঘুম বেশি ঘন ঘন ভাঙে না। তাঁরা গড়ে ১৪ মিনিট জেগে থাকেন।

        • 536 views
        • 1 answers
        • 0 votes
      • Professor Asked on March 3, 2015 in স্বাস্থ্য.

          মানুষের মস্তিষ্কের গঠন কমবেশি একই, প্রায় ৪০ ভাগ গ্রে ম্যাটার আর ৮০ ভাগ হোয়াইট ম্যাটার। কিন্তু তারপরও ছেলেদের সাথে মেয়েদের মস্তিষ্কের কিছু গঠনগত পার্থক্য রয়েছে যার কারণে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা কথা বেশি বলে আবার মানচিত্র ছেলেরা ভালো ও দ্রুত বুঝতে পারে।

          বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে এর উত্তর পাওয়া গিয়েছে। ইন্টেলিজেন্স টেস্ট এর মাধ্যমে দেখা যায় ছেলেরা মেয়েদের তুলনায় ৭ গুণ গ্রে ম্যাটার ব্যবহার করে আবার মেয়েরা ৯ গুণ বেশি হোয়াইট ম্যাটার ব্যবহার করে। গ্রে ম্যাটার এর অন্যতম কাজ হল লজিক্যাল বিষয় যেমন অবস্থান সম্পর্কে ধারণা, মানচিত্র পঠন, গণিত, ও প্রব্লেম-সলভিং জাতীয় কাজগুলো করা। অন্যদিকে হোয়াইট ম্যাটার মস্তিষ্কের প্রসেসিং সেন্টারগুলোকে যুক্ত করে, যা ভাষাগত দক্ষতা, ইমোশনাল চিন্তা ও একসাথে অনেক কাজ করতে ভূমিকা পালন করে। যেহেতু মেয়েদের হোয়াইট ম্যাটার বেশি ব্যবহৃত হয়, তাই তারা ভাষাগত যোগাযোগে বেশি পারদর্শি। প্রকৃতপক্ষে, ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মস্তিষ্কের অনেক বেশি অংশ এই যোগাযোগের কাজে ব্যবহৃত হয় ফলে তারা ভাষাকে সামাজিক বন্ধন গঠনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারে অধিক পারদর্শি, আর ছেলেরা ভাষা ব্যবহার করে তথ্য আদানপ্রদান ও সমস্যা সমাধানের মাধ্যম হিসেবে।

          গড়ে, একজন মহিলা দিনে ৭০০০ শব্দ আর পুরুষ দিনে ২০০০ শব্দ ব্যবহার করে। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মস্তিষ্কের দুটি অংশের (হেমিস্ফেয়ার) মধ্যে যোগাযোগ আরও বেশি কার্য্যকর, তাই ছেলেরা যখন একসময়ে একটি কাজেই মনোনিবেশ করে, তখন মেয়েরা একাধিক কাজ (multi-tasking) করতে পারে। ধারণা করা হয়, এই অধিক কার্য্যকরী যোগাযোগের জন্যই মেয়েদের স্বভাবসুলভ বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায়। এই পার্থক্যগুলো প্রাগৈতিহাসিক সময় থেকেই ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে। যখন পুরুষেরা শিকারের খোঁজে বের হত এবং তাদের শিকারের অবস্থান নির্ণয় ও সমস্যা সমাধানে মস্তিষ্ক বেশি ব্যবহৃত হত, আর নিজেদের ঘরবাড়ি ও সন্তানদের নিরাপত্তা ও বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করতে মহিলাদের ভাষাগত দক্ষতা অর্জন করতে হয়েছিলো। এক্ষেত্রে এখনও অনেক গবেষণার সুযোগ রয়েছে। আশা করা যায় ভবিষ্যতে আরও নতুন তথ্য আমাদের সামনে উঠে আসবে।

          • 636 views
          • 1 answers
          • 0 votes
        • Professor Asked on March 3, 2015 in স্বাস্থ্য.

            কোনটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, ভাত না কি রুটি – এ নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ মাত্রই এ দ্বিধায় পড়ে যান। পুষ্টিবিদরা কিছু ক্ষেত্রে ভাতকে প্রাধান্য দেন, আবার কিছু ক্ষেত্রে রুটি। বিশেষ বিশেষ রোগের ক্ষেত্রে যেমন ডায়াবেটিস, কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার বেশ প্রভাব ফেলে।

            জেনে নিন ভাত এবং রুটি সম্পর্কে কিছু বিষয়, তাহলেই বুঝতে পারবেন মোটা কমাতে কোনটি বেশি সহায়ক।

            খাদ্যগুণ বিচার করতে গেলে একদিক থেকে ভাতের চেয়ে আটার রুটি বেশি ভালো। কারণ রুটি অনেক বেশি তাপশক্তি বা ক্যালরি উৎপাদন সক্ষম। যেমন, আধা ছটাক চাল থেকে পাওয়া যায় ১০২.১ ক্যালরি আর আধা ছটাক আটা থেকে পাওয়া যায় ৯৬.৪ ক্যালরি। কিন্তু যখনই রান্না হয়, তখন দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। চাল থেকে যখন ভাত তৈরি হলো তখন চালের ক্যালরি ১০২.১ থেকে নেমে দাঁড়ায় ৫৬.৭। অথচ আটার ক্যালরি ৯৬.৪ রুটি হয়ে দাঁড়ায় ১০১.২।

            সাদা ধবধবে চালের প্রতি মানুষের দুর্বলতা রয়েছে। কিন্তু ওই বেশি-ছাঁটা চালে ভিটামিন কম থাকে। আবার যখন ভাতের মাড় বা ফ্যান ফেলে দিয়ে রান্না করা হয় তখন বাদ পড়ে যায় প্রোটিন, খনিজ লবণ ও ভিটামিনের বড় একটা অংশ। গমের তুষের ক্ষেত্রেও একই ভুল করা হয়। আটা চেলে নিয়ে রুটি বানানো হয়। অথচ গমের তুষে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি১ বা থায়ামিন থাকে। সবদিক বিচার করে পুষ্টিবিদরা বলেছেন, প্রতিদিনই দুই ধরনের খাদ্যশস্য যেমন ভাত-রুটি মিশিয়ে খাওয়া উচিত। এক্ষেত্রে ভাত হলো কম ছাঁটা চালের আর রুটির ক্ষেত্রে তুষযুক্ত আটার রুটি। ভাত-রুটির প্রসঙ্গে এদের অন্তর্গত সবচেয়ে মূল্যবান উপাদান ভিটামিন বি কমপ্লেক্স সম্বন্ধে জেনে নিন কিছু বিষয় – ভাতে পানি দিয়ে রাখলে অর্থাত্ পান্তা ভাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স তৈরি হয়। তবে পান্তা ভাত ধুয়ে নিয়ে খেলে উপকার হবে না, ভেজানো পানিসহই খেতে হবে। রুটি করার সময়ও একটু বেশি পানি দিয়ে আটা মেখে বেশ কিছুক্ষণ রেখে দিয়ে তারপর রুটি করতে হয়। এতে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স তৈরি হয়। মাখা আটার লেচি অল্প একটু তুলে রেখে পরের দিন আটা মাখার সময় সেটা মিশিয়ে নিতে হয়।

            আবার সেদিনের একটু লেচি রেখে পরের দিনের ফ্রেশ আটার সঙ্গে মেখে রুটি তৈরি করতে হয়। এ পদ্ধতির সাহায্যেও রুটিতে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স তৈরি হয়। জেনে নিন চাল ও গমের আটার পুষ্টিগুণ প্রতি ১০০ গ্রাম মেশিনে ছাঁটা চালে রয়েছে – এনার্জি ৩৪৫ কিলোক্যালরি প্রোটিন ৬.৪ গ্রাম ফ্যাট ০.৪ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ৭৯.০ গ্রাম ক্যালসিয়াম ২৪ মিলিগ্রাম ফসফরাস ১৩৬ মিলিগ্রাম আয়রন ০.৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি১ ০.২১ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি২ ০.০৯ মিলিগ্রাম নিয়াসিন ৩.৮ মিলিগ্রাম তবে আতপ চালের চেয়ে সেদ্ধ চালে পুষ্টি বেশি। বিশেষ করে সেদ্ধ চালে ভিটামিন বি১ এবং কিছু খনিজ পদার্থ বেশি থাকে। প্রতি ১০০ গ্রাম গমের আটায় রয়েছে – এনার্জি ৩৪১ কিলোক্যালরি প্রোটিন ১২.১ গ্রাম ফ্যাট ১.৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ৬৯.৪ গ্রাম ক্যালসিয়াম ৪১ মিলিগ্রাম ফসফরাস ৩৭২ মিলিগ্রাম আয়রন ৩.৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি১ ০.৫৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি২ ০.১২ মিলিগ্রাম নিয়াসিন ০.৩ মিলিগ্রাম।

            সার্বিক বিবেচনায় বলা যায় খেলে সবকিছুই আপনার স্বাস্থ্য বাড়িয়ে তুলতে পারে। কিন্তু নির্দিষ্ট পরিমাণ যেকোনো খাবার আপনার সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করে তুলবে পাশাপাশি রোগমুক্তিতেও সাহায্য করবে।

            • 748 views
            • 1 answers
            • 0 votes
          • Professor Asked on March 3, 2015 in স্বাস্থ্য.

              ষ্টেস্টোসষ্টরন (testosterone) এক প্রকার অনালীগ্রন্থি রস (হরমোন)। এটি নারীর যৌন পিপাসা বৃদ্ধি এবং একই সাথে ত্বকের লাবন্যতা ধরে রাখার কাজে নিয়োজিত। নারী প্রাকৃতিকভাবেই তার নিজের শরীরে ষ্টেস্টোসষ্টরন (testosterone) উৎপন্ন করতে সক্ষম। কিন্তু ক্রমশ যখন তারা মধ্যবর্তী বয়সে যায় তখন testosterone এর উৎপাদন এর পরিমাণ কমে আসে। পুরুষের শরীরে একই উদ্দ্যেশ্যে প্রবাহিত হরমোন এর নাম এন্ড্রোজেনস।

              শারীরিক মিলন কিংবা অন্যকোন ভাবে নারীর শরীরে এন্ড্রোজেনস প্রবেশ করলে তার পাশ্বপ্রতিক্রিয়ায় চুল পড়া, চেহারায় পশম জন্মানো এবং কন্ঠস্বর ভারী হয়ে যেতে পারে।

              ডক্টর কার্লিস (মেডিক্যাল ডাইরেক্টর, সান্টা মনিকা, ক্যালিফর্নিয়া) এর মতে শরীরে ষ্টেস্টোসষ্টরন (testosterone) হরমোন মধ্যবয়সী নারীদের জন্য খুবই উপকারী হরমোন। এটি নারীর আবেদনময়ী শারীরিক গঠন এবং যৌন আকাঙ্খাকে সমুন্নত রাখে এবং কার্যকরী যৌনজীবন প্রাপ্তিতে সহায়তা করে। যখন শরীরে ষ্টেস্টোসষ্টরন (testosterone) কমে যায় তখন নারীর ত্বক শুষ্ক হবার সাথে সাথে যোনীমুখ শুকিয়ে আসে। হরমোনের অনিয়ন্ত্রিত ক্ষরণের ফলে এ সময় নারীর যোনী থেকে মিলনকালীন রস নির্গত হয়না, ফলে শারীরিক মিলন হয় যন্ত্রণাদায়ক। অনেক নারী ইনজেকশান এবং ঔষধের সাহায্যে শরীরে ষ্টেস্টোসষ্টরন (testosterone) এর পরিমাণ বৃদ্ধি করে থাকেন। আর এই ষ্টেস্টোসষ্টরন (testosterone)এর অভাবেই চেহারার লাবণ্যতা নষ্ট হয়ে যায়। আসুন জেনে নিই শরীরে ষ্টেস্টোসষ্টরন (testosterone) বাড়ানোর কিছু প্রাকৃতিক উপায় সম্পর্কে।

              বনাজি ঔষধের ব্যবহার :

              অনেক প্রকার ঔষধি উদ্ভিদ আছে যা শরীরে ষ্টেস্টোসষ্টরন (testosterone) বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। black cohosh এবং saw palmetto ইস্ট্রোজেন হরমোনের মত কাজ করে ষ্টেস্টোসষ্টরন (testosterone) উৎপন্ন করতে সক্ষম। Maca কে ক্যাপসুল আকারে কিংবা পাউডার করে সেবন করলে এন্ড্রোক্রাইন এবং পিটুহিটারী গ্রন্থির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। তবে মনে রাখবেন বনজ ঔষধও অনেক সময় ক্ষতিকর হতে পারে – মূলত আপনার যদি বিশেষ কোন উপাদানে এ্যলার্জি থাকে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এসব ঔষধি উদ্ভিদ ব্যবহার করা উচিৎ।

              বনজ পরিপূরক

              আপনি দুই প্রকার বনজ পরিপূরক গ্রহণ করতে পারেন।
              ক) নন-ইস্ট্রোজেনিক লতা-পতা।
              খ) পিহতোইস্ট্রোজেনিক লতা-পাতা।
              গবেষণা মতে নন-ইস্ট্রোজেনিক লতা-পাতা হরমোন এর সামঞ্জস্য বিধান করে। যদিও এ জাতীয় বনাজিতে ইস্ট্রোজেনের রাসায়নিক গঠন নেই, তবে এটি এন্ড্রোক্রাইনকে পুষ্টি প্রধান করে যা ইস্ট্রোজেন হরমোন এর সমতা বজায়ে সহায়তা করে।

              অধিক হারে সয়া খাদ্য গ্রহণ করুন :

              আপনার খাদ্য তালিকায় সয়া খাদ্য এর পরিমাণ বাড়িয়ে দিন এবং আঁশযুক্ত খাবার বেশি খান – এই দুই প্রকার খাদ্য প্রাকৃতিকভাবেই স্টেষ্টোসষ্টরন এর ক্ষরণ বৃদ্ধি করে। নিচের তালিকা থেকে প্রতিদিন কিছু না কিছু খাবার গ্রহণের চেষ্টা করুন। যেমন মূলা, বাঁধাকপি, turnips, ব্রকলী, ঝিনুক, রসুন, ব্রাসেলস স্প্রাউট, ফুলকপি এবং ডিম. তাছাড়া উচ্চ মাত্রার প্রোটিনযুক্ত খাবার, কম চর্বিযুক্ত এবং কম কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার নাটকীয় ভাবেই হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি করে।

              দরকারি fatty acids গ্রহণ করুনঃ

              ষ্টেস্টোসষ্টরন (testosterone) কোলষ্টোরল থেকে উৎপন্ন হয়। আর সে জন্যই দরকারি fatty acids গ্রহণ করে ষ্টেস্টোসষ্টরন লেভেল বাড়ানো সম্ভব। Fatty অ্যাসিড থেকে আসা canola তেল, যৈতুন তেল, মাছ এবং বাদাম থেকে আসে। যদি আপনার শরীর পরিমাণ মত Fatty acids না পায়, তবে শরীর প্রয়োজনীয় মাত্রায় ষ্টেস্টোসষ্টরন উৎপাদন করতে ব্যর্থ হবে।

              নিয়মিত ব্যয়াম করুন :

              নিয়মিত শরীরচর্চাও ষ্টেস্টোসষ্টরন বৃদ্ধিতে সহায়ক ভুমিকা পালন করে। কর্মঠ ব্যক্তিগত কার্যক্রম জীবনধারা যৌন অঙ্গসমুহে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি করে, হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখে এবং মস্তিষ্কে এন্ড্রোফিন লেভেল বৃদ্ধি করে যা যৌনকামের মানসিক চাহিদা বাড়িয়ে তোলে। শরীরচর্চা একজন নারীকে মানসিক প্রশান্তি এবং আত্মসম্মানবোধ বৃদ্ধি করে তার যৌনআকাঙ্খাকে সমুন্নত রাখে। শরীরচর্চায় যৌন সুবিধায় ভাল ফলাফল পেতে চাইলে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৬০ মিনিট করে সপ্তাহে সর্বনিন্ম ৫ দিন ব্যয়াম করা জরুরী।

              পর্যপ্ত নিদ্রা এবং রিলাক্স :

              নারী তার ষ্টেস্টোসষ্টরন লেভেল বাড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম এবং রিলাক্সেশান করা প্রয়োজন। অনিদ্রা এবং মানসিক চাপ হরমোন এর ক্ষরণ ব্যহত করে শরীরে হরমোনাল ইম-ব্যলেন্স সৃষ্টি করে। নারী যোগ ব্যয়াম, শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহনের মাধ্যমে মানসিক প্রশান্তি পদ্ধতি, গান সহ অন্যান্য বিনোদনের মাধ্যমে প্রফুল্ল মনে থাকা, শরীর ম্যসেজ, এ্যরোমা থেরাপি ইত্যদির মাধ্যমে প্রশান্ত থেকে তার যৌন অনীহা দূর করতে পারেন।

              উপরে আলোচিত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে আপনি চাইলে আপনার ত্বকের লাবণ্যতা ধরে রাখতে পারেন পাশাপাশি শরীর ও মন সুস্থ স্বাভাবিক রাখতে পারেন।

              • 1181 views
              • 1 answers
              • 0 votes
            • Professor Asked on March 3, 2015 in সাধারণ.

                নখ ভাঙ্গার সমস্যা সবারই হয়ে থাকে না। যাদের নখ কিছুটা নরম প্রকৃতির হয়ে থাকে তাদের নখ একটু বড় হলেই ভেঙ্গে যায়। এক্ষেত্রে নখ বড় রাখা যায় না, ফলে নখের সৌন্দর্যই নষ্ট হয়ে যায়।

                নখ কেন ভাঙ্গে :

                সাধারণত নখ ভেঙ্গে যাওয়া একটি রোগ। কিডনি বা থাইরয়েডের সমস্যা, পুষ্টির অভাব, আয়রন কিংবা অন্যান্য খনিজ পদার্থের অভাবে নখ ভেঙ্গে যায়। রাসায়নিক কেমিক্যালের ছোঁয়ায়ও নখ ভেঙ্গে যেতে পারে।

                নখ ভাঙ্গা প্রতিকার :

                – নখ ভাঙ্গা রোধে প্রথমেই আপনাকে পানির ব্যবহার কমিয়ে দিতে হবে। বাসার দৈনন্দিন কাজে যতোটুকু সম্ভব পানি বাঁচিয়ে চলুন। সম্ভব হলে গ্লাভস ব্যবহার করুন।

                – যত্রতত্র নখ ব্যবহারে যত্নশীল হতে হবে। কৌটার মুখ খুলতে কিংবা লেবেল ওঠাতে টুলস হিসেবে নখকে ব্যবহার না করাই ভালো। এতে নখের ভঙ্গুরতা বৃদ্ধি পায়।

                – নখ ভাঙ্গা রোধে নখের আর্দ্রতা রক্ষা করা খুবই জরুরি। এজন্য ভালো ব্র্যান্ডের cuticle oil নখে লাগাতে পারেন। এছাড়া রাতে শোবার আগে নখে অলিভ অয়েল মাখলে নখ শক্ত ও উজ্জ্বল হয়। গোসলের পর পরই নখে ভ্যাসলিন লাগান। এতে ভেজা নখের সুরক্ষা হবে।

                – বেশি বেশি নেইল পলিশ বা রিমুভার ব্যবহারে নখ দুর্বল হয়ে যায়। ঘরের কাজকর্ম বেশি পরিমাণে করলে চারকোণা আকৃতির নখ না রাখাই ভালো। নখ ভাঙ্গার সম্ভাবনা অনেকখানি কমে যাবে।

                – এরপরও না কমলে ভালো কোনো Dermatologist -এর পরামর্শ নিন।

                • 705 views
                • 1 answers
                • 0 votes
              • Professor Asked on March 3, 2015 in সাধারণ.

                  হ্যাঁ কথাটি আসলেও সত্যি যে, যেকোনো বিষেয়ে নারীরা পুরুষের তুলনায় কম সন্তুষ্ট থাকেন। এটা হতে পারে তাদের মানসিক তৃপ্তির কারণে। এ সম্পর্কে একটি গবেষণার ফলাফল তুলে ধরা হলো যেখানে দেখানো হয়েছে নারীরা সবক্ষেত্রেই পুরুষের তুলনায় বেশি অসুখী।

                  নতুন এক সমীক্ষা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে পুরুষ নারীদের তুলনায় বেশি সুখী ও স্বাস্থ্যবান। যুক্তরাজ্যের গবেষকদের পরিচালিত দুই হাজার মানুষের ওপর সমীক্ষা থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে।

                  ‘হেলথ অ্যান্ড হ্যাপিনেস’ নামে এ সমীক্ষায় দেখা যায়, পুরুষদের মধ্যে সুখী মানুষের সংখ্যা বেশি। এ ছাড়াও অন্যদের চোখে পুরুষদের ওজন, আকৃতি, আচরণ অপেক্ষাকৃত ভালো।

                  অন্যদিকে নারীদের মধ্যে জরিপে দেখা যায় তারা তুলনামূলকভাবে আত্মকেন্দ্রিক ও কিছুটা কম সন্তুষ্ট থাকেন। এ জরিপে নারীদের ‘হ্যাপিনেস লেভেল’ পাওয়া যায় ৪৯%। তবে নারীরা পুরুষের তুলনায় ডায়েটিংয়ের চেষ্টা বেশি করেন।

                  পুরুষরা স্ট্রেস বা চাপে কম ভোগেন। প্রায় ৬০ ভাগ পুরুষ জানিয়েছেন, তারা প্রতি মাসে প্রায় একবার করে স্ট্রেসের শিকার হন। কিন্তু নারীদের ক্ষেত্রে এ হার প্রতি সপ্তাহে একবার।rupcare_girls are sad1

                  শতকরা ৭০ ভাগের চেয়েও বেশি পুরুষ জানিয়েছেন তাদের খুব কম সময়েই বিষণ্নতা বা মন খারাপ হয়। অন্য দিকে প্রায় অর্ধেক নারী জানিয়েছেন, তাদের প্রতি মাসে কমপক্ষে একবার করে মন খারাপ হয় বা অসুখী হন।

                  এ ছাড়াও মাথা ব্যথা ও হজমে গণ্ডগোলের বিষয়ও নারীর তুলনায় পুরুষের কম হয়। অধিকাংশ পুরুষ জানিয়েছেন তাদের খুব কমই মাথা ব্যথা হয়। অন্যদিকে ৬৪ ভাগ নারী জানিয়েছেন, প্রতি মাসে কমপক্ষে একবার বার তার বেশিবার তাদের এ ধরনের সমস্যা হয়।

                  ৭০ ভাগ পুরুষ জানিয়েছেন, তাদের প্রতি মাসে একবার বা তার কম হজমে গণ্ডগোল হয়। কিন্তু প্রায় অর্ধেক নারী জানিয়েছেন, তাদের এটি সপ্তাহে একবার হয়। অনেকের ক্ষেত্রে এ সমস্যা নিত্যনৈমিত্তিক।

                  • 674 views
                  • 1 answers
                  • 0 votes
                • Professor Asked on March 3, 2015 in সাধারণ.

                    আত্মবিশ্বাসী এমন একটি শব্দ যার অধিকারী সবাই হতে পারেন না। অনেকেই এই মহান গুণটির অভাবে জীবনে সফলতার মুখ দেখতে পারেন না। সাবেক ফরচুন ৫০০ এক্সিকিউটিভ ও লেখক বেকি ব্ল্যালক জানান যে কেউ আত্মবিশ্বাসী হতে শিখতে পারে। এটা এমন একটা দক্ষতা যা নিজেই শেখা যায়। আসুন বেকি ব্ল্যালকের তাত্ত্বিক ব্যাখায় কীভাবে আত্মবিশ্বাসী হওয়া যায় তা জেনে নিই।

                    ১. তাদের স্থানে আপনার চিন্তাটা নিয়ে নিন

                    গড়ে প্রত্যেক মানুষ প্রতিদিন ৬৫ হাজার চিন্তা করে থাকে। ব্ল্যালক বলেন, এসব চিন্তার ৮৫ থেকে ৯০ ভাগই নেতিবাচক। এগুলো হতে পারে কোনো ভয়ের বিষয়বস্তু বা সম্ভাবনার কথা কল্পনা। কোনো আগুন ধরলে আপনার হাত যদি পুড়ে যায়, তাহলে মস্তিষ্ক পরবর্তীতে এ ধরনের পরিস্থিতি এড়িয়ে চলার জন্য খুবই সতর্ক হয়ে যায়। এ সতর্ক হওয়ার ফলে তৈরি হয় ভয়ের। যা পরবর্তীতে নিজের বিপক্ষে কাজ করা শুরু করে।

                    কিন্তু আপনি যদি বুঝতে পারেন, মস্তিষ্ক এভাবে কাজ করে এবং সেই নেতিবাচক ভাবনাকে সরিয়ে রাখেন তাহলে তা সত্যিই কাজের হয়। এজন্য আপনাকে বুঝতে হবে যে, এগুলো শুধুই চিন্তা। এগুলো সবসময় সত্যিকার অবস্থা তুলে ধরে না।

                    ২. শেষের মাঝে শুরু

                    ‘আপনি কি করতে চান?’ বা ‘আপনি কি হতে চান?’ বহু মানুষকে এমন জিজ্ঞাসা করলে তারা পরিষ্কার করে কোনো উত্তর দিতে পারে না। কিন্তু এটা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, যার উত্তর জানা উচিত। আপনি যেখানে যেতে চান, তার একটি পথনির্দেশ থাকা উচিত আপনার।

                    ৩. কৃতজ্ঞতা দিয়ে দিন শুরু করুন

                    প্রত্যেক দিন শুরু করুন কিছু কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মাধ্যমে। আপনি যে সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন, তা পৃথিবীর সাতশ’ কোটি মানুষের অধিকাংশেরই নেই। আপনি যদি দিনের শুরুতেই এসব বিষয় আপনার দৃষ্টিভঙ্গীতে প্রবেশ করাতে পারেন, তাহলে তা নিঃসন্দেহে আপনার সারা দিনের কার্যক্রমে ভালো প্রভাব রাখবে।

                    ৪. প্রতিদিন একবার নিজের গণ্ডীর বাইরে বের হন

                    আপনার নিজস্ব এলাকার একটি মজার বিষয় হলো, একে বাড়ানো যায়। প্রতিদিন যদি আপনি নিজস্ব এলাকার বাইরে বের হন, তাহলে তা প্রতিদিন বড় হবে। আর যদি সে এলাকার ভেতরেই থাকেন, তাহলে তা ক্রমে ছোট হতে থাকবে। এ কারণে নিজের গণ্ডীর বাইরে বের হওয়া হতে পারে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর অন্যতম পদক্ষেপ।

                    ৫. থামানো গাড়িকে কেউ তাড়া করে না

                    আপনি যদি এগিয়ে যেতে থাকেন তাহলে বিরোধী পক্ষ আপনাকে প্রশ্ন, সমালোচনা, সন্দেহ এবং নানাভাবে তাড়া করবে। এটা হতে পারে একটা ভালো বিষয় যে, আপনি এগিয়ে যাচ্ছেন।

                    তবে পাশাপাশি আপনার সমালোচনাকে গ্রহণ করতে হবে এবং সে অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে হবে।

                    ৬. উত্থান-পতনের জন্য প্রস্তুত থাকুন

                    আমাদের আত্মবিশ্বাস নষ্ট করার জন্য ব্যর্থতা দায়ী নয়, দায়ী নয় সাহায্য পাওয়ার অভাবও। আমরা কোনো প্রচেষ্টার পর জানতে পারি ঠিক কী কারণে তা ব্যর্থ হলো। এরপর আমরা তার জন্য অন্য কোনো প্রচেষ্টা শুরু করতে পারি। যত বেশি উত্থান-পতন হবে, আপনার লক্ষ্য ততই নিকটে আসার মতো আত্মবিশ্বাস গড়ে উঠবে।

                    ৭. একজন পরামর্শদাতা বের করুন

                    আপনি যে পথেই থাকুন না কেন, সে পথে পাবেন আপনার পূর্বসুরী। তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিন। তাদের মাঝ থেকে খুঁজে নিন আপনার আদর্শ।

                    ৮. সতর্কভাবে বেছে নিন সঙ্গী

                    আপনার বেশভূষা, ইতিবাচকতা-নেতিবাচকতা ইত্যাদি তৈরি হয় আশপাশের পাঁচজন মানুষের গড় থেকে। এ কারণে কাদের সঙ্গে আপনি ঘোরাঘুরি করছেন, এ বিষয়ে সতর্ক হোন। যেসব মানুষ আপনাকে উৎসাহ দেয় এবং উচ্চ স্থানে যেতে উৎসাহিত করে তাদের সঙ্গে যাতায়াত করুন।

                    ৯. আগেই প্রস্তুতি নিন

                    প্রত্যেক পরিস্থিতিতেই আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখা আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য খুবই দরকারি। আপনার কি বক্তব্য দিতে হবে? অনেকবার অনুশীলন করুন, রেকর্ড করুন ও শুনুন। প্রথমবার গুরুত্বপূর্ণ কারো সঙ্গে দেখা করবেন? সম্ভাব্য সমস্ত পদ্ধতিতে তার সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহ করুন। ইন্টারনেট এ ক্ষেত্রে কাজে লাগতে পারে। যেকোনো বিষয়ে আগে থেকে প্রস্তুত থাকলে তা আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলবে।

                    ১০. পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও অনুশীলন করুন

                    বহু তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে এটা নিশ্চিত করে বলা যায় যে, পর্যাপ্ত ঘুম, অনুশীলন ও পর্যাপ্ত পুষ্টিসম্পন্ন খাবার আপনার মুড ভালো করবে এবং কর্মক্ষমতা ও আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলবে। প্রতি সপ্তাহে তিনবার মাত্র ২০ মিনিটের শারীরিক অনুশীলন আপনাকে বিষণ্ণতা ও অ্যালঝেইমার্সের মতো রোগ থেকে দূরে রাখবে।

                    ১১. বড় করে শ্বাস নিন

                    এ উপায়টি খুবই সহজ। শ্বাস নিলে আপনার দেহ অক্সিজেন গ্রহণ করে। বড় করে শ্বাস নিলে আপনার রক্তের মাধ্যমে মস্তিষ্কে অক্সিজেন প্রবেশ করে। এতে আপনার মস্তিষ্কের চেতনা বৃদ্ধি পায়। কোনো শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে বড় করে শ্বাস নেওয়া এ কারণে গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি বড় করে শ্বাস নিতে অভ্যস্ত না হন, তাহলে এখনই তার অভ্যাস করুন।

                    ১২. সামান্য গড়মিল থাকলেও এগিয়ে যান

                    একটি চাকরিতে নিয়োগদাতারা নারীদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত আবেদনপত্র না পাওয়ায় তার অনুসন্ধান শুরু করে। তারা জানতে পারে, পুরুষরা পদটির জন্য সব শর্ত পূরণ না করলেও তাতে আবেদন করে। কিন্তু নারীরা সম্পূর্ণ শর্ত পূরণের জন্য অপেক্ষায় থাকে।

                    তার মানে এই নয় যে, কোনো চাকরিতে আপনার যোগ্যতা না থাকলেও আবেদন করতে হবে। কিন্তু বিষয় হলো আপনি যদি কোনো চাকরির জন্য উল্লেখিত শর্তগুলোর অধিকাংশ পূরণ করতে পারেন তাহলে আপনি নিজেকে সে পদের জন্য যোগ্য মনে করতে পারেন।

                    ১৩. কারো সাহায্য চাইতে ভুলবেন না

                    আপনি যা চাইছেন, তা মানুষকে অনুমান করতে দেবেন না। এ বিষয়ে আপনার অনুমান করতে হবে বিষয়টি কী। কোনো বিষয়ে মানুষের সাহায্য চাইলে তাদের আগ্রহ দেখে আপনি অবাক হবেন। বেশিরভাগ মানুষই সাহায্য করার জন্য আগ্রহী থাকেন এবং খুব কম মানুষই ‘না’ বলেন।

                    • 717 views
                    • 1 answers
                    • 0 votes
                  • Professor Asked on March 3, 2015 in সাধারণ.

                      বাঙালি জীবনের অসাম্প্রদায়িক, সার্বজনীন একটি উৎসব হল পহেলা বৈশাখ, বর্ষবরণের দিন, শুভ নববর্ষ। এদিনটি প্রতিটি বাঙালির জীবনে নিয়ে আসে উৎসব আমেজ আর ফুরফুরে বাতাসের দিন বসন্ত। আলপনা আঁকা শাড়ি আর পাঞ্জাবি ছাড়া যেন এদিনটিকে আর পালন করাই যায় না। সাথে লাল সবুজ আর সাদার মিশেলে হাতে, গালে ফুলকি আঁকা এখন হাল ফ্যাশন হয়ে দাড়িয়েছে। প্রতি বছরই ক্রমশ বাড়ছে বর্ষবরণের আমেজ। স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলের সরাসরি সম্প্রচারের কল্যানে এখন রমনার বটমূল থেকে পুরো ঢাকা হয়ে প্রতিটি বিভাগীয় শহর, জেলা শহর, উপজেলা, ইউনিয়ন, গ্রাম পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে ঘটা করে নববর্ষ পালনের সংস্কৃতি। শুধু গ্রাম নয় শহর উপশহর রাজধানীর ঢাকারও বিভিন্ন অলিগলিতে বসে বৈশাখি মেলা। পান্তা- ইলিশ, বাঁশি, ঢাক -ঢোলের বাজনায় আর মঙ্গল শোভাযাত্রায় পূর্নতা পাচ্ছে বাঙালির এ উৎসব মুখরতা। কিন্তু যদি বলি এই নববর্ষের ইতিহাস কত দিনের ? হয়ত অনেকে বলবেন সেই অনেক বছর আগের ইতিহাস থেকে চলে আসছে বর্ষবরণ। আবার অনেকে হয়ত জানেন এর প্রকৃত ঠিকুজি কুষ্ঠি (ইতিহাস)।

                      বাংলা নববর্ষের ইতিহাস :

                      হিন্দু সৌর পঞ্জিমতে, বাংলায় বারোটি মাস অনেক আগে থেকেই পালন হয়ে আসছে। কিন্তু গ্রেগরীয় পঞ্জিকায় দেখা যায়, এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় এই সৌর বছর গণনা শুরু হত। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায়, ভারত বর্ষে মোঘল সাম্রাজ্য শুরুর পর থেকে আরবী বছর হিজরী পঞ্জিকা অনুযায়ী তারা কৃষিপণ্যের খাজনা আদায় করত। কিন্তু হিজরী সাল চাঁদের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় কৃষি ফলনের সাথে এর কোন মিল পাওয়া যেত না। আর তখনই সম্রাট আকবর এর সুষ্ঠু সমাধানের জন্য বাংলায় বর্ষপঞ্জি সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহন করেন। সম্রাটের আদেশ অনুযায়ী সে সময়কার বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদ আমীর ফতেহউল্লাহ সিরাজী সৌর বছর ও আরবী হিজরী সালেরও ওপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সনের নিয়ম তৈরীর কাজ শুরু করেন। বাংলা বছর নির্ধারন নিয়ে লেখা বিভিন্ন বইয়ের প্রাপ্ত তথ্যমতে, ১৫৮৪ খ্রিষ্টাব্দের ১০ ই মার্চ বা ১১ ই মার্চ থেকে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। তবে পরীক্ষামূলক এই গননা পদ্ধতিকে কার্যকর ধরা হয় ১৫৫৬ সালের ৫ নভেম্বর তারিখ থেকে অর্থাৎ সম্রাট আকবরের সিংহাসন আরোহনের তারিখ থেকে। প্রথমে ফসলি সন বলা হলেও পরে বঙ্গাব্দ বা বাংলা বর্ষ নামে পরিচিতি পেতে শুরু করে।

                      বাংলা মাসের নামকরণ :

                      বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলা মাসের নামগুলো বিভিন্ন তারকারাজির নাম থেকে নেয়া হয়েছে। যেমনঃ বিশাখা থেকে বৈশাখ, জেষ্ঠ্যা থেকে জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়া থেকে আষাঢ়, শ্রবণা থেকে শ্রাবণ, ভাদ্রপদ থেকে ভাদ্র, কৃত্তিকা থেকে কার্তিক, অগ্রইহনী থেকে অগ্রহায়ণ, পূষ্যা থেকে পৌষ, মঘা থেকে মাঘ, ফল্গুনি থেকে ফাল্গুণ এবং চিত্রা থেকে চৈত্র। আগেকার দিনে অগ্রহায়ণ মাসে ধান কাটা শুরু হত বলে এই মাসকে বছরের প্রথম মাস ধরা হত। তাই এ মাসের নামই রাখা হয় অগ্রহায়ণ। অগ্র অর্থ প্রথম আর হায়ন অর্থ বর্ষ বা ধান। সম্রাট আকবরের সময়ে একটি বিষয় ছিল অত্যন্ত কষ্ট সাধ্য, তা হল মাসের প্রত্যেকটি দিনের জন্য আলাদা আলাদা নাম ছিল। যা কিনা প্রজা সাধারণের মনে রাখা খুবই কষ্ট হত। তাই সম্রাট শাহজাহান ৭ দিনে সপ্তাহ ভিত্তিক বাংলায় দিনের নামকরণের কাজ শুরু করেন। ইংরেজী বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় ইংরেজি ৭ দিনের নামের কিছুটা আদলে বাংলায় ৭ দিনের নামকরণ করা হয়। যেমন : সানডে- রবিবার। সান অর্থ রবি বা সূর্য আর ডে অর্থ দিন। এভাবে বর্ষ গণনার রীতিকে বাংলায় প্রবর্তনের সংস্কার শুরু হয় মোঘল আমলে।

                      বর্ষ বরণের প্রবর্তিত রুপ :

                      তখনকার দিনে শুধু কৃষিকাজ করার তাৎপর্যকে ধারণ করেই বাংলায় বছর গণনার রীতি চালু হয়। কিন্তু বহির্বিশ্বের সাথে বাঙালিদের যোগাযোগ নিরবিচ্ছিন্ন রাখার সুবিধার্থে বাংলাদেশের সব জায়গাতেই খ্রিষ্ট্রীয় সন ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশে প্রতিবছর ১৪ ই এপ্রিল নববর্ষ পালিত হয়। বাংলা একাডেমী কর্তৃক নির্ধারিত পঞ্জিকা অনুসারে এ দিনটিকে নির্দিষ্ট করা হয়েছে। বাংলা দিনপঞ্জির সাথে হিজরী ও খ্রিষ্ট্রীয় সনের মৌলিক কিছু পার্থক্য রয়েছে। তা হলো হিজরী সাল চলে চাঁদের সাথে আর খ্রিষ্ট্রীয় সাল চলে ঘড়ির সাথে। একারণে হিজরী সনের নতুন তারিখ শুরু হয় সন্ধ্যায় নতুন চাঁদের আগমনের মধ্য দিয়ে, ইংরেজি দিন শুরু হয় মধ্যরাতে আর বাংলা সনের শুরু হয় ভোরের সূর্য ওঠার সাথে সাথে।

                      নতুন বছর বরণে বাঙালি আয়োজন :

                      বাংলাদেশে বর্ষবরণের মূল আয়োজন মূলত ঢাকার রমনা পার্কের বটমূলকে (অনেকে বলেন অশ্মথ মূল) ঘিরেই। সেই আনন্দ আয়োজন আর পান্তা ইলিশের বাঙালিয়ানায় পুরো জাতি নিজেকে খুঁজে ফিরে ফেলে আসা গত দিনগুলোর স্মৃতি রোমন্থন আর নতুন অনাগত সময়কে বরনের ব্যস্ততায়। পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি জাতিই নিজেদের ইতিহাস সংস্কৃতিকে বরনের জন্য বিশেষ বিশেষ দিনকে স্মরণীয় করে রাখে।

                      যেমন প্রাচীন আরবীয়রা ‘ওকাজের মেলা’, ইরানী’রা ‘নওরোজ উৎসব’ ও প্রাচীন ভারতীয়রা ‘দোলপূর্ণিমায়’ নববর্ষ উদযাপন করে থাকত। ( উল্লেখ্য, ইরানী’রা এখনো অনেক ঘটা করেই নওরোজ উৎসব পালন করে থাকে)। এখানে বলে রাখা ভাল, পূর্বপাকিস্তান সব সময়ই বাঙালি সংস্কৃতিকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করত। রবীন্দ্রনাথের কবিতা ও গান প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারীর প্রতিবাদে ১৯৬৫ সাল ( ১৩৭৫ বঙ্গাব্দে) ছায়ানট নামের একটি সংগঠন রমনা পার্কে পহেলা বৈশাখ বর্ষবরণ উৎসব পালনের আয়োজন করে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এসো হে বৈশাখ……এসো , এসো….গানের মাধ্যমে তারা স্বাগত জানাতে শুরু করে নতুন বছরকে।বর্ষবরন এগিয়ে যায় আরো এক ধাপ। বিস্তৃত হতে শুরু করে ছায়ানট নামের সংগঠনটির। যা এখন বাংলাদেশের সংস্কৃতির ক্ষেত্রে একটি মহিরূহে পরিণত হয়েছে। ১৯৭২ সালের পর থেকে রমনা বটমূলে বর্ষবরণ জাতীয় উৎসবের স্বীকৃতি পায়। ১৯৮০ সালে বৈশাখী মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে এক ধাপ বাড়তি ছোঁয়া পায় বাংলা নববর্ষ বরণের অনুষ্ঠান। ছড়িয়ে পড়ে সবার অন্তরে অন্তরে। প্রতি বছরই তাই কোটি বাঙালির অপেক্ষা থাকে কবে আসবে বাংলা নববর্ষ।

                      আধুনিকতার ছোয়ায় বর্ষবরণের অনুষ্ঠান মালা :

                      বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর কল্যাণে এখন ভোরে রমনা বটমূলে শুরু হওয়া বর্ষ বরণের অনুষ্ঠান উপভোগ করে কয়েক কোটি বাঙ্গালি। ছায়ানটের শিল্পীদের পরিবেশনায় বৈশাখকে বরণের সব প্রস্তুতি করা হয় আগেভাগে। পহেলা বৈশাখের দিন ভোরেই শুরু হয় বিভিন্ন স্থানে উম্মুক্ত কনসার্ট, বাউল, লালন, জারী-সারি, মুর্শেদী গানের আসর । আর শহুরে এ্যামিউজমেন্ট পার্কের স্বাদ থাকলেও পহেলা বৈশাখের দিন অন্তত নাগর দোলায় চড়তে চায় অনেক শিশুই।

                      পান্তা ইলিশ:

                      বর্ষবরণের অন্যতম অনুসঙ্গ হল পান্তা-ইলিশ । যেন এই পান্তা-ইলিশ না হলে আর পহেলা বৈশাখের কোন আমেজই থাকে না। বেশ তো এই সুযোগে রমনার লেকের পাড়েই অনেকে বসে পড়েন ইলিশ পান্তা খেতে। সাথে থাকে কাঁচা মরিচ। মানে সম্পূর্ণ ভাবেই বাঙালিয়ানার পরিচয় দিতে যেন ব্যস্ত সবাই।

                      মঙ্গলশোভা যাত্রা :

                      বর্ষবরণের অনুষ্ঠান মালায় ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। ১৯৮৯ সালে এই শোভাযাত্রার প্রচলন শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা। পহেলা বৈশাখের দিন সকাল গড়িয়ে যখন রমনা টি.এস.সি শাহবাগে মানুষের উপচে পরা ভিড় থাকে, তখন শুরু হয় মঙ্গলশোভা যাত্রা।
                      বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে শোভাযাত্রা বের হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এখানে পশু পাখির মুখাকৃতির ছবিসহ গ্রামীণ ঐতিহ্যের নানা অনুসঙ্গকে ফুটিয়ে তোলা হয় নানা রং বেরং-এর মুখোশ ও আলপনার মাধ্যমে। ছেলে বুড়ো সবাই তখন মেতে ওঠে বর্ষবরণের মঙ্গলশোভা যাত্রার আনন্দে।

                      মেলা :

                      বৈশাখ মাস বলতে তো মেলার মাসকেই বোঝায়। একসময় শুধু গ্রাম গঞ্জে মেলা হলেও এখন এর পরিধি বিছিয়েছে শহরের বড়সর এপার্টমেন্ট ও হাই-সোসাইটিতেও। তবে পার্থক্য থাকে গ্রামের আর শহুরে মেলার। বাঁশের বেতের তৈজষ আর নানা জাতের খেলার সামগ্রী, নারকেল মুড়কিসহ আরো কত কি থাকে এসব মেলায়- তার ইয়ত্তা নেই। মেলার সময়ে নৌকাবাইচ, লাঠি খেলা, কুস্তির আসর বসে। এখনও বাংলাদেশের চট্টগ্রামে লালদীঘীর ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় জব্বারের বলি খেলা। আর বর্ষবরণের এই মেলা প্রবাসীদের জন্য হয় মিলন মেলা। দীর্ঘ ব্যস্ততার অবসরে বৈশাখী মেলা প্রবাসী বাঙালিদের দেয় অফুরন্ত আনন্দ। জাপানে প্রতি বছরই অনেক ঘটা করে বিশাল পরিসরে আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলা। জাপান প্রবাসীদের এ মিলন মেলার রেশটা থাকে সারা বছর জুড়ে। এছাড়া নিউইয়র্ক, লন্ডনসহ বিশ্বের অন্যান্য বড় বড় শহরগুলোতে বসে বৈশাখী মেলার আয়োজন।

                      হালখাতা :

                      প্রাচীন বর্ষবরণের রীতির সাথে অঙ্গাঅঙ্গি ভাবেই জড়িত একটি বিষয় হল হালখাতা। তখন প্রত্যেকে চাষাবাদ বাবদ চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সকল খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করে দিত। এরপর দিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখ ভূমির মালিকরা তাদের প্রজা সাধারণের জন্য মিষ্টান্ন দিয়ে আপ্যায়নের ব্যবস্থা রাখতেন। যা পরবর্তিতে ব্যবসায়িক পরিমন্ডলে ছড়িয়ে পড়ে। দোকানীরা সারা বছরের বাকীর খাতা সমাপ্ত করার জন্য পহেলা বৈশাখের দিনে নতুন সাজে বসে দোকানে। গ্রাহকদের মিষ্টিমুখ করিয়ে শুরু করেন নতুন বছরের ব্যবসার সূচনা। এ উৎসব গুলো সামাজিক রীতির অংশ হিসেবে পরিণত হয়েছে প্রতিটি বাঙালির ঘরে। এখনো গ্রাম গঞ্জে নববর্ষে হালখাতার হিড়িক পড়ে বাজার, বন্দর ও গঞ্জে।

                      আধুনিক নববর্ষের সূচনা :

                      আধুনিক নববর্ষ পালনের তত্ত্ব তালাশ করতে গিয়ে জানা গেল ১৯১৭ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশদের বিজয় কামনা করে সে বছর পহেলা বৈশাখে হোম কীর্ত্তণ ও পূজার আয়োজন করা হয়েছিল। এরপরে ১৯৮৩ সালে একই ভাবে ভাল কিছু উদ্যোগ নেয়া হয় নববর্ষ পালনের জন্য। মোদ্দা কথা ১৯৬৭ সালের আগে ঘটা করে পহেলা বৈশাখ পালন করা হয়নি। এরপর থেকে প্রতিবছরই বাড়তে থাকে পহেলা বৈশাখ বরণের সাড়ম্বরতা।

                      বৈশাখ এলেই এর সাথে আসে কালবৈশাখীল তান্ডবের কথা। প্রলয়ংকরী ঝড়ে লন্ডভন্ড করে বসত ভিটা, জমি জিরেত, তারপরেও আবারো ফিরে দাঁড়ায় ঝড়ঝঞ্জার সাথে লড়াই করা প্রতিটি বাঙালি। নতুন করে বাঁচার স্বপ্নে শুরু হয় ঘর বাঁধা। এসব দুঃখ-দূর্যোগকে ভুলে পুরো জাতিই মেতে ওঠে পহেলা বৈশাখের নববর্ষ পালনের আনন্দে। জাতীয় এই উৎসবটি এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসবে পরিণত হয়েছে। এদিনে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই বাংলা বছরের প্রথম দিনকে বরণের আন্দদে থাকে মাতোয়ারা। উৎসব প্রিয় বাঙালিরা জাতীয় উন্নয়নে এসব পার্বন থেকে নতুন সঞ্জিবণী শক্তি নিয়ে দেশের জন্য কাজ করলেই আর পিছিয়ে থাকবেনা আমার প্রিয় স্বদেশ, বাংলাদেশ। স্বাগতম বাংলা নববর্ষ ১৪২১ বঙ্গাব্দ। সকল অশুভ শক্তিকে পেছনে ফেলে নতুনের দিনের শুভ সূচনা হোক, জাতি খুঁজে নিবে নতুন মুক্তির দিশারী।

                      • 806 views
                      • 1 answers
                      • 0 votes
                    • Professor Asked on March 3, 2015 in সাধারণ.

                        রাতে নখ কাটা যায় না এই কথাটি একটি কুসংস্কার। তবে খেয়াল করে দেখবেন বিভিন্ন কুসংস্কারগুলো মানুষের কল্যাণার্থেই আবিষ্কৃত হয়েছে। এই যেমন ধরুন বলা হয়ে থাকে যে রাতে সুঁই দিয়ে কাজ করা হয় না বা নখ কাটা হয় না। এর ব্যাখ্যায় বলা যায় হয়ত অন্ধকারে যেকোনো ধরনের অঘটন ঘটতে পারে বলেই এই ধরনের কথা বলা হয়েছে।

                        • 766 views
                        • 1 answers
                        • 0 votes