ZoomBangla Answer's Profile
Professor
14182
Points

Questions
3

Answers
7076

  • Professor Asked on March 3, 2015 in No Category.

      আঁচিল এক ধরনের টিউমারের মত গ্রোথ। ত্বকের অংশ বিশেষ শক্ত, মোটা, খসখসে দানার মত বৃদ্ধি পায়। এটি ভাইরাল ওয়ার্টস এইচপিভি বা হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস দ্বারা শরীরে সংক্রমিত হয়।

      আঁচিল দূর করার উপায়

      সার্জিক্যাল উপায় :

      চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে আঁচিল দূর করা হয়। এটাই সবচেয়ে নিরাপদ উপায়।

      অ্যাপল সিডার ভিনেগার :

      বাড়িতে বসে আঁচিল দূর করতে পারেন। এক টুকরো তুলায় অ্যাপল সিডার ভিনেগার নিয়ে আঁচিলের উপর রেখে ব্যান্ডেজ করে রাখুন। এভাবে প্রায় ১ ঘণ্টার মতো রাখতে হবে। প্রতিদিন ব্যবহার করুন যতদিন না আঁচিল দূর হয়।

      ৫% আয়োডিন :

      সকালে এবং রাতে এক ফোটা করে লাগিয়ে ব্যান্ডেজ করে রাখুন। ১ সপ্তাহের মধ্যেই আঁচিল উঠে আসবে।

      রসুন :

      আধা কোয়া রসুন আঁচিলের উপর রেখে সারারাত ব্যান্ডেজ করে রাখুন। কিছুদিন পর আঁচিল রিমুভ হবে।

      কলার খোসা :

      কলার খোসার ভেতরের অংশ আঁচিলের উপর রাখুন। নিয়মিত ব্যবহারে আঁচিল শুকিয়ে পড়ে যাবে।

      বেকিং সোডা আর ক্যাস্টর অয়েল :

      এক চিমটি বেকিং সোডার সাথে কয়েক ফোটা ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে আঁচিলের উপর সারারাত রাখুন। কিছুদিন ব্যবহারে আঁচিল দূর হবে।

      স্ট্রবেরি :

      আঁচিলের উপর স্ট্রবেরি কেটে লাগিয়ে রাখুন। কিছুদিন ব্যবহারে আঁচিল মিলিয়ে যাবে।

      আঙ্গুরের রস :

      কিছু আঙ্গুর নিয়ে রস করে আঁচিলের উপর লাগান প্রতিদিন, কয়েকবার করে। এটা কিছুটা সময়সাপেক্ষ। কিন্তু নিয়মিত ব্যবহারে আঁচিল থেকে মুক্তি পাবেন।

      কিছু টিপস এবং সতর্কতা :

      – যেকোন একটি উপায় মেনে এক সপ্তাহ দেখুন। যদি এর মধ্যে অপসৃত না হয়, তবে অন্য পদ্ধতি অবলম্বন করুন। কেননা ব্যক্তিভেদে পদ্ধতি পার্থক্যের সৃষ্টি করে। আপনার সাথে মানিয়ে যায়, এমন পদ্ধতি বাছাই করে নিন।

      – একটু সময় লাগলেও ধৈর্য্ ধরে চর্চা করুন।

      – পটাশিয়াম খুব ভালো কাজ করে। উপরের পদ্ধতি গুলোর অধিকাংশই পটাশিয়াম সমৃদ্ধ।

      – আঁচিল কখনই খোঁচাখুঁচি করবেন না। এতে রক্তপাত হবে এবং পুনরায় ওই স্থানে আঁচিল হবে।

      – সার্জিক্যালভাবে করতে গেলে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানেই করুন।

      আঁচিল সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে, যদি রিমুভ করতে চান সেক্ষেত্রে ঘরে বসেই করতে পারেন আবার চিকিৎসকের পরামর্শ-ও নিতে পারেন। চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই এক্ষেত্রে ভালো। যদি ক্যান্সারের লক্ষণ বলে মনে করেন, তবে চিকিৎসকের সাহায্য গ্রহণ করুন।

      • 0 views
      • 12521 answers
      • 0 votes
    • Professor Asked on March 3, 2015 in No Category.

        ঘামের দুর্গন্ধ কেন হয় :

        আমাদের ত্বকে যেসব ব্যাকটেরিয়া বসবাস করে যখন তারা এপোক্রাইন গ্ল্যান্ড ও ইকক্রাইন গ্ল্যান্ড থেকে নির্গত ঘাম ভেঙ্গে প্রপানয়িক এবং ভ্যালেরিক এসিডে রূপান্তরিত করে তখন ঘামের দুর্গন্ধ পাওয়া যায়। অনেকে বলে থাকেন ত্বকে ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বেড়ে গেলে এমনটি হয় কিন্তু আসলে যখন ব্যাকটেরিয়া প্রোটিনকে এসিডে পরিণত করছে তখনি এমনটি হয়ে থাকে। ব্যাকটেরিয়া তার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ বা আবহাওয়া না পেলে প্রোটিন ভাঙতে থাকে। এমনকি সোডিয়ামযুক্ত খাবার বেশি খেলেও এমনটি হয়।

        শরীরে ঘামের দুর্গন্ধ প্রতিরোধে করনীয় :

        ০১. আর্ম পিট-

        আর্ম পিট বা বগলে এপোক্রাইন গ্ল্যান্ড অনেক বেশি থাকে। ফলে ঘামের উৎপত্তি এখানে অনেক বেশি।

        • আর্ম পিট পরিষ্কার রাখুন – প্রতিদিন anti-bacterial সাবান দিয়ে পরিষ্কার করুন। এতে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমন কম হবে আর ঘামও কম হবে। ফাইনাল ফলাফল শরীরে ঘামের দুর্গন্ধ কম হবে।

        • আর্ম পিটের লোম পরিষ্কার করুন – বগলের লোম জমে থাকা ঘামকে বাষ্পীভূত হতে দেয় না, ব্যাকটেরিয়া অনেক সময় ধরে দূর্গন্ধ তৈরি করে। তাই নিয়মিত আর্ম পিট ওয়াক্স করুন।

        • diodarent ব্যবহার – diodarent ত্বককে আরও বেশি এসিডিক করে তোলে, যা ব্যাকটেরিয়ার জন্য অগ্রহণযোগ্য অবস্থা। Antiperspirant গ্লান্ডের sweating কার্যকারিতাকে বন্ধ করে দেয় ফলে শরীরে কম ঘাম হয়।

        ০২. গরম পানি দিয়ে গোসল করুন –

        প্রতিদিন অন্তত একবার গোসল করুন। মনে রাখবেন গরম পানি শরীরে থাকা ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে আর যদি আবহাওয়া গরম থাকে তাহলে চেষ্টা করবেন কয়েকবার গোসল করে নিতে।

        ০৩. ন্যাচারাল ফাইবার যুক্ত কাপড় পরিধান করুন –

        সিল্ক, সুতি জাতীয় কাপড় ত্বককে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে দেয়। ফলে ঘাম সহজে বাস্পায়িত হতে পারে।

        ০৪. ঘামযুক্ত পায়ের ট্রিটমেন্ট –

        পায়ে ঘামের দুর্গন্ধ থাকলে জুতা খোলার সঙ্গে সঙ্গে সবার সামনে নিজেকে কি বিব্রতকর অবস্থাতেই না পড়তে হয়।

        • পায়ের তালুতে গরম পানির ছোঁয়া – আগেই বলেছি গরম পানি ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। তাই প্রতিদিন অন্তত একবার হালকা গরম পানি দিয়ে পা ধুয়ে নেয়ার চেষ্টা করবেন।

        • মোজা – মোজার কাপড় টা এমন হওয়া উচিত যেন বাতাস এর ভেতর দিয়ে আসা যাওয়া করতে পারে। উল আর ম্যানমেড ফাইবারের সংমিশ্রণে তৈরি মোজাই উৎকৃষ্ট। প্রতিদিন পরিষ্কার ভাবে ধোয়া মোজা পরবেন।

        • জুতা – চামড়ার জুতা পায়ের ঘাম বাষ্পীভূত হতে সাহায্য করে। পর পর দুইদিন একই জুতা পরবেন না, কারণ জুতার ভেতরের ঘাম শুকানোর জন্য এক রাত যথেষ্ট না।

        ০৫. লেবু এবং মধু –

        লেবুর সাথে মধুর সংমিশ্রণ ঘামের দুর্গন্ধ প্রতিরোধের অন্যতম প্রধান ঘরোয়া উপায়। খুবই সিম্পল ,একটি বাটিতে হালকা গরম পানি নিন, তাতে ২ টেবিল চামচ মধু আর ৩ টেবিল চামচ লেবুর রস নিন। তারপর আপনার যেসব স্থান ঘামে সে সব জায়গায় এই সলিউশন দিয়ে রিন্স করে নিন। তারপর শুকনো তোয়ালে দিয়ে মুছে ফেলুন। লেবু শরীরে ঘামের পরিমান কমিয়ে আনে।

        ০৬. ভিনেগার :

        আপনি শুনে হয়ত অবাক হবেন যে ভিনেগার অতিরিক্ত ঘামের পরিমাণ অনেক কমিয়ে আনে। রাতে ঘুমানোর আগে ভিনেগার আপনার আর্ম পিটে লাগিয়ে ঘুমান আর সকালে উঠে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত করতে থাকলে আস্তে আস্তে আপনি ঘামের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন।

        ০৭. গরম পানির সাথে নিম এক্সট্রাকট-

        নিম এক্সট্রাকট একটি শক্তিশালী প্রাকৃতিক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসকারি। যা শরীরের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। একটি বাটিতে ফুটন্ত গরম পানি নিয়ে তাতে কিছু নিমের পাতা ছেড়ে দিন। তারপর অপেক্ষা করুন ২০ মিনিট। এই কয় মিনিটে নিম পাতা থেকে সমস্ত নির্যাস বের হয়ে যাবে আর পানিও একটু ঠাণ্ডা হয়ে আসবে। এবার শুকনো তোয়ালে এই পানিতে ডুবিয়ে আপনার যেসব স্থান ঘামে সেসব স্থান মুছে নিন।

        ০৮. টি ট্রি অয়েল-

        যদিও এটা আমাদের দেশে সহজলভ্য নয় তবুও কেও যদি পেয়ে থাকেন তবে ঘামের দুর্গন্ধ সারাবার কাজে ব্যবহার করতে পারেন। টি ট্রি অয়েল ও ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার জন্য উপকারী। একটি স্প্রে বোতলে পানি ভরুন তারপর এর সাথে ৩ ফোটা অয়েল মিশান। প্রতিদিন গোসল করার আগে ব্যবহার করুন।

        ০৯. রোজ ওয়াটার বা মিনট বাথ –

        গোসল করার আগে বালতিতে কিছু পুদিনা পাতা বা কয়েক ফোঁটা গোলাপ পানি দিন। তারপর ঐ পানি দিয়ে গোসল করুন। এতে তাৎক্ষনিকভাবে আপনার শরীর dioderize হবে।

        এছাড়া :

        ১০. সব সময় নিজেকে শুকনো রাখার চেষ্টা করুন। গোসল করার পর ভালো ভাবে শরীর শুকিয়ে ভালো মানের diodarent ব্যবহার করুন।

        ১১. শশাতে পানির ভাগ বেশি থাকে যা শরীরের গন্ধ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন একটি করে শশা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

        ১২.ডায়টেশিয়ানের মতে সালফিউরিক সম্মৃধ খাবার যেমন ব্রকলি, বাধাকপি, ফুলকপি পরিমাণে কম খেতে হবে। কারণ এগুলোতে মিনারেল সালফার থাকে যা গন্ধযুক্ত গ্যাস আমাদের ত্বকের সাহায্যে নির্গত করে।

        তাহলে কিভাবে শরীরে ঘামের দুর্গন্ধ দূর করবেন এই ব্যাপারে আর কোন সংশয় থাকার কথা না। কারণ উপরের সাধারন প্রাকৃতিক উপায় আর টিপস আপনাকে মুক্তি দিবে সকল বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে আর আপনিও থাকবেন প্রতিনিয়ত ক্লিন, ফ্রেশ।

        • 0 views
        • 12521 answers
        • 0 votes
      • Professor Asked on March 3, 2015 in No Category.

          কোনো কিছু চোখের দিকে এগিয়ে আসার সময় চোখের পাতা খুব দ্রুত বন্ধ হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও আমাদের চোখে অনেক ধরনের ছোটোখাটো পদার্থ প্রবেশ করতে পারে। মূলত ধুলোকণা, কীট পতঙ্গ, ছোট ইট পাথর বা কাঠের টুকরা থেকে শুরু করে সুই, বাশ, ছোটো খেলার বল নানা কিছু আছে এই তালিকায়। এসব কে এক কথায় ফরেন বডি (Foreign body) বলা হয়। এসবের কারনে আমাদের চোখে প্রথমে খচখচে একটা অনুভুতি হয় যা বেশ পীড়া দায়ক। দ্রুত বের করে নেয়া না হলে এসব ফরেন বডি কর্নিয়ায় ঘষা লেগে চোখের প্রভুত ক্ষতি করতে পারে, ক্ষতির এক পর্যায়ে চোখ অন্ধ হয়ে যাওয়াও অস্বাভাবিক নয়।

          অনেক সময় এসব ফরেন বডি এতো ছোট হয় যে খালি চোখে এদের দেখাও যায়না, তাই চোখে কোনো কিছু পড়ার পরে যখন খচখচ করার মত অনুভুতি হয়, চোখ দিয়ে অবিরত পানি পড়ে, তাকালে চোখ জ্বালা করে এবং চোখ বন্ধ রাখলে আরাম হয়, চোখ লাল হয়ে যায় তখন ধরে নিতে হবে চোখের পাতা এবং কর্নিয়া বা স্ক্লেরার মাঝে কোনো ফরেন বডি আটকে আছে।

          এমন অনুভুতি হলে সবাই, বিশেষ করে বাচ্চারা খুব ঘন ঘন চোখ কচকাতে বা চুলকাতে থাকে, এমন কাজটি একেবারেই করা যাবেনা। দেখা যায় এমন সহজ কিছু পড়ে থাকলে কটন বাড (Cotton bud) বা তুলো একটু পেচিয়ে অন্যের সাহায্য নিয়ে আলতো করে বের করে আনার চেষ্টা করতে হবে। বের করে আনা গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এনটিবায়োটিক মলম ও ব্যান্ডেজ প্যাড দিয়ে একদিন ঐ চোখ ঢেকে রাখাটাই উত্তম। ফরেন বডি বের করা না গেলে বা চোখে ফুটো হয়ে গেলে বা ক্ষতিকর কিছু পড়লে দ্রুত চক্ষু হাসপাতালে অথবা চক্ষু বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।

          • 0 views
          • 12521 answers
          • 0 votes
        • Professor Asked on March 3, 2015 in No Category.

            আলফ্রেড নোবেল মূলত তার বিখ্যাত ডিনামাইট আবিষ্কারের মাধ্যমে ধনী হয়েছিলেন। আসুন ছোট্ট করে জেনে নিই বিখ্যাত এই মানুষটির জীবনী।

            আলফ্রেড বের্নহার্ড নোবেল (সুয়েডীয় Alfred Nobel আল্‌ফ্রেএদ্‌ বের্ন্‌হাড্‌ নোবেল্‌; জন্মঃ ২১ অক্টোবর, ১৮৩৩ – মৃত্যুঃ ১০ ডিসেম্বর, ১৮৯৬) একজন সুয়েডীয় রসায়নবিদ, প্রকৌশলী, উদ্ভাবক এবং অস্ত্র নির্মাতা। তিনি ডায়নামাইট আবিষ্কার করেন। তিনি ব্যবসায়েও বিশেষ প্রসিদ্ধি অর্জন করেছিলেন। বিখ্যাত ইস্পাত নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোফোর্স এর মালিক ছিলেন অনেকদিন, প্রতিষ্ঠানটিকে এক সময় অন্যতম বৃহৎ অস্ত্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেন। তার নামে ৩৫০টি ভিন্ন ভিন্ন পেটেন্ট ছিল যার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হচ্ছে ডায়নামাইট। মৃত্যুর আগে উইল করে তিনি তার সুবিশাল অর্থ সম্পত্তি নোবেল ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার জন্য রেখে যান। উইলে আরও বলে যান, নোবেল ইনস্টিটিউটের কাজ হবে প্রতি বছর নোবেল পুরস্কার এর অর্থ প্রদান করা।

            ব্যক্তিগত জীবন :

            ১৮৩৩ সালে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে আলফ্রেড নোবেল জন্মগ্রহণ করেন। সে বছরই তার বাবা ইমানুয়েল নোবেল দেউলিয়া হন। ১৮৩৭ সালে ইমানুয়েল নোবেল স্টকহোমে তার পরিবার রেখে প্রথমে ফিনল্যান্ড এবং পরে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে যান ভাগ্যের সন্ধানে। সেন্ট পিটার্সবার্গে একটি মেকানিক্যাল ওয়ার্কশপ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৪২ সালে পরিবারের সবাইকে সেন্ট পিটার্সবার্গে নিয়ে আসেন ইমানুয়েল। ১৮৭২ সালে আলফ্রেড নোবেলের বাবা ইমানুয়েল মৃত্যুবরণ করেন। ১৮৮৯ সালে নোবেলের মা আন্দ্রিয়েতি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি অবিবাহিত ছিলেন।

            কর্মজীবন :

            ১৮৫০-১৮৫২ সাল পর্যন্ত আলফ্রেদ নোবেল ফ্রান্সের পারি গিয়ে টি. জুলস পিলৌজ গবেষণাগারে কাজ করেন কিছুদিন। জার্মানি, ইতালি এবং যুক্তরাষ্ট্রেও ভ্রমণ করেন। ১৮৫৩-১৮৫৬ সালেক্রিমিয়ার যুদ্ধের সূচনা। যুদ্ধের প্রথম দিকে নোবেল কোম্পানি অনেক সমৃদ্ধি অর্জন করে, কিন্তু যুদ্ধ শেষে যখন রুশ সামরিক বাহিনী অর্ডার উঠিয়ে নেয়া তখন দেউলিয়া হয়ে যায়। আলফ্রেদ নোবেল মরিয়া হয়ে নতুন পণ্য উৎপাদনের চেষ্টা করতে থাকেন। তার রসায়ন শিক্ষক নিকোলাই এন. জিনিন তাকে নাইট্রোগ্লিসারিন এর কথা মনে করিয়ে দেন।
            ১৮৬২ সালে নোবেল নাইট্রোগ্লিসারিন নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন। ১৮৬৩ সালে নোবেল তার প্রথম নাইট্রোগ্লিসারিন-জাত পণ্যের পেটেন্ট করেন। একে ইংরেজিতে বলা হচ্ছিল “ব্লাস্টিং অয়েল”, এটি এক ধরণের বিস্ফোরক। এরপর “ব্লাস্টিং ক্যাপ” নামক একটি ব্যবস্থা উদ্ভাবন করেন যা নাইট্রোগ্লিসারিন বিস্ফোরণের ট্রিগার হিসেবে কাজ করবে। এ সময়ই তিনি স্টকহোমে চলে আসেন এবং এখানেই গবেষণা চালিয়ে যান।

            ১৮৬৪ সালে স্টকহোমের হেলেনেবোর্গে নাইট্রোগ্লিসারিন প্রস্তুতির সময় বিস্ফোরণে আলফ্রেড নোবেলের ভাই এমিল মারা যায়। নোবেল পরীক্ষা চালিয়ে যান এবং স্টকহোমে “নাইট্রোগ্লিসারিন এবি” নামক একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন। ১৮৬৫ সালে নোবেল তার ব্লাস্টিং ক্যাপ নকশাটির আরও উন্নতি সাধন করেন। সুইডের থেকে জার্মানি চলে এসে হামবুর্গ শহরের নিকটে ক্রুমেল নামক স্থানে “আলফ্রেড নোবেল অ্যান্ড কোম্পানি” কারখানাটি নির্মাণ করেন। ১৮৬৬ সালে নোবেল যুক্তরাষ্ট্রে “ইউনাইটডে স্টেটস ব্লাস্টিং অয়েল কোম্পানি” প্রতিষ্ঠা করেন। একটি ভয়াবহ বিস্ফোরণে ক্রুমেলের কারখানাটি ধ্বংস হয়ে যায়। এলবে নদীতে একটি ভেলা ভাসিয়ে তাতে নোবেল নাইট্রোগ্লিসারিন বিস্ফোরককে আরও নিরাপদ করার চেষ্টা চালিয়ে যান। এ সময়ই তিনি বুঝতে পারেন, নাইট্রোগ্লিসারিনের সাথেকাইসেলগুর (সিলিকনের মত অধঃক্ষেপ, ডায়াটোমেশাস মাটি হিসেবেও পরিচিত) মেশালে তা স্থিত হয়। এই নতুন মিশ্র বিস্ফোরকের নাম দেন ডায়নামাইট। ১৮৬৭ সালে ডায়নামাইটের জন্য পেটেন্ট অর্জন করেন। ১৮৭১ সালে নোবেল স্কটল্যান্ডের আর্ডিয়ারে “ব্রিটিশ ডায়নামাইট কোম্পানি” প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৭৭ সালে এই কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছিল “নোবেল’স এক্সপ্লোসিভ কোম্পানি”। ১৮৭৩ সালে ৪০ বছর বয়সে নোবেল প্রভূত সম্পত্তির অধিকারী হন। পারি (প্যারিস) গিয়ে মালাকফ এভিনিউ এ থিতু হন। একই বছর আর্ডিয়ারের কারখানায় নাইট্রোগ্লিসারিন ও ডায়নামাইট উৎপাদন শুরু হয়। ১৮৭৫ সালে নোবেল “ব্লাস্টিং গিলাটিন” উদ্ভাবন করে পরের বছর পেটেন্ট করেন। ফ্রান্সের পারিতে “সোসাইটি জেনারেলে পৌর লা ফেব্রিকেশন দে লা ডাইনামাইট” প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৭৬ সালে জার্মানির হামবুর্গে আলফ্রেড নোবেল অ্যান্ড কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ডাইনামাইটাকটাইঙ্গেসেলশাফট (ডিএজি)।

            নোবেল একজন ব্যক্তিগত সচিব ও গৃহপরিচারিকা খুঁজতে শুরু করেন। এ সময় তার সাথে বার্থা কিনসে ভন চিনিক আন্ড টেত্তাউ-এর পরিচয় হয় এবং তাকেই ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে পছন্দ করেন। কিন্তু কিছুদিন পরেই তিনি নোবেলের চাকরি ছেড়ে দিয়ে শান্তি আন্দোলন শুরু করেন। এই নারীকেই আমরা বের্থা ফন সুটনার নামে চিনি যিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেছিলেন।

            ১৮৮০ সালে নোবেলের ইতালীয় এবং সুইজারল্যান্ডীয় কোম্পানি একত্রিত করে “ডায়নামাইট নোবেল” গঠন করা হয়। ১৮৮১ সালে পারি-র বাইরে সেভরানে নোবেল জমি ও একটি গবেষণাগার ক্রয় করেন। ১৮৮৫ সালে ডিএজি এবং জার্মানির আরও কিছু ডায়নামাইট কোম্পানি একত্রিত করে “জার্মান ইউনিয়ন” প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৮৮৬ সালে DAG এবং নোবেল’স এক্সপ্লোসিভ কোম্পানি একত্রিত করে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে “নোবেল-ডায়নামাইট ট্রাস্ট কোম্পানি” প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৮৭ – বিস্ফোরক পাউডার “ব্যালিসটিট” উদ্ভাবনের জন্য ফ্রান্সে পেটেন্ট লাভ করেন নোবেল।

            ১৮৯১ সালে ব্যালিস্টাইট নিয়ে ফরাসি সরকারের সাথে বিতর্কের পর আলফ্রেদ নোবেল পারি ত্যাগ করে ইতালির সান রেমো-তে বসবাস শুরু করেন। ১৮৯৩ সালে নোবেল র‍েগনার সোলম্যান-কে নিয়োগ করেন যাকে পরবর্তীতে তিনি তার উইল এবং টেস্টামেন্ট এর প্রয়োগকর্তা হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। ১৮৯৪ সালে আলফ্রেড নোবেল সুইডেনের কার্লস্কোগাতে একটি ছোট মেশিন-ওয়ার্কস এবং একটি বাড়ি ক্রয় করেন। ১৮৯৫ – পারি-র সুয়েডীয়-নরওয়েজীয় ক্লাবে নোবেলের তৃতীয় এবং শেষ উইল স্বাক্ষরিত হয়।

            • 0 views
            • 12521 answers
            • 0 votes
          • Professor Asked on March 3, 2015 in No Category.

              নোবেল পুরস্কার । বিশ্বের সর্বোচ্চ ও মর্যাদাপূর্ন পুরস্কার। ১৯০১ সালে শুরু হওয়া এই মর্যাদাপূর্ন পুরস্কারের ১১০তম আসর বসেছিলো ৩-১৩ অক্টোবর নরওয়েতে।

              এই পুরস্কারের প্রবক্তাঃ

              ১৮৩৩ সালের ২১ অক্টোবরের কোন এক প্রহরে সুইডেনের স্টকহোমে জন্মগ্রহন করেন শিল্পপতি ইমানুয়েল নোবেল ও মা অ্যানড্রিয়েটি নোবেলের ৩য় সন্তান আলফ্রেড বার্নার্ড নোবেল। ।
              তার অপর দুই ভাই হলো রবার্ট নোবেল ও লুডিগ নোবেল। আলফ্রেড নোবেল ছিলেন তৃতীয় ও সর্বশেষ ভাই। তিনি ব্যক্তিজীবনে ছিলেন রসায়নবিদ, প্রকৌশলী, উদ্ভাবক ও অস্ত্রনির্মান প্রতিষ্ঠানের মালিক।

              আলফ্রেড নোবেলের মোট আবিষ্কারের সংখ্যা ৩৫৫। যার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত আবিষ্কার ডিনামাইট। এতো বিশাল সংখ্যক আবিষ্কার করে প্রচুর টাকা রোজগার করেন সুইডেনে জন্ম নেওয়া এই বিজ্ঞানী। সেই টাকা দিয়েই তিনি প্রতিষ্ঠা করেন বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানজনক পুরষ্কার ‘নোবেল পুরষ্কার’।

              পুরস্কার প্রতিষ্ঠার পিছনের কাহিনীঃ

              নোবেল পুরষ্কার প্রতিষ্ঠার পেছনের গল্পটা বেশ মজার। আলফ্রেড নোবেলের অধিকাংশ আবিষ্কারই ছিল আগ্নেয়াস্ত্র। ডিনামাইট বা অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্র যেমন মানুষের কল্যানের কাজে ব্যাবহৃত হয়, তেমনি ব্যবহৃত হয় ধ্বংসাত্বক কাজেও। সে কারনে অনেক নিন্দা জোটে আলফ্রেড নোবেলের কপালে।

              ১৮৮৮ সালের মার্চে আলফ্রেডের বড়ভাই লুডভিগ ফ্রান্সে ঘুরতে গিয়ে ক্যানসিসে মারা যান। লুডভিগ ছিলেন তুখোড় একজন প্রকৌশলী, ভালো ব্যবসায়ী ও অসাধারন মানবিক। এক ফ্রেঞ্চ পত্রিকা ভুলে ধরে নেয় আলফ্রেড নোবেলই মারা গেছেন।

              সেই পত্রিকা তখন আলফ্রেডের মৃত্যুর সংবাদ ছাপে।অথচ আলফ্রেড তখনো জীবিত। সেখানে তারা আলফ্রেডেকে বর্ণনা করে ‘মার্চেন্ট অব ডেথ বা মৃত্যুর সওদাগর’ হিসাবে, যার শিরোনামে লিখেছিলো “The merchand of death is dead”। আলফ্রেড মানুষ হত্যার বিভিন্ন অস্ত্র তৈরি করে প্রচুর টাকা উপার্জন করেছেন, কিন্তু সেই টাকা পুরো মানব জাতির কল্যানের কোনো কাজে ব্যয় করেননি বলে তার প্রচন্ড নিন্দা করে এমনি তার বৈজ্ঞানিক আবিস্কার উদ্ভাবনের কথা উল্লেখও করেনি। পত্রিকার এই লেখাটি আলফ্রেড নোবেল নিজে পড়েন। পড়া শেষে তিনি বেশ কষ্ট পান।

              তিনি উপলদ্ধি করলেন তিনি নিজেকে একজন “মৃত্যু ব্যবসায়ী” হিসেবে পরিচিত করে মরতে দিতে পারেন না। মানুষের মনে তার সম্পর্কে সম্মানজনক ইতিবাচক পরিচয় রেখেই মরতে হবে। কী করা যায় ? সে ভাবনায় পেয়ে বসে । ১৮৯৫ সালে এসে এ প্রশ্নের সমাধান তিনি পান।

              অনেক চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেন তাঁর উপার্জিত অর্থ মানব কল্যানের কাজে ব্যয় করবেন। এরপর ১৮৯৫ সালের নভেম্বর মাসে আলফ্রেড নোবেল তার মোট উপার্জনের ৯৪% (৩ কোটি সুইডিশ ক্রোনার) দিয়ে তার উইলের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করেন নোবেল পুরষ্কার।

              এই বিপুল অর্থ দিয়েই শুরু হয় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান। ১৯৬৮ যোগ হয় অর্থনীতিতে।

              আলফ্রেড নোবেলের উইলঃ

              আমার সম্পত্তির পুরোটাই নিম্নলিখিতভাবে কাজে লাগানো হবে : ‘আমার অছিমণ্ডলী সমস্ত মূলধন নিরাপদ কোম্পানির কাগজে বিনিয়োগ করে একটি ফান্ড গঠন করবেন। এই মূলধন থেকে উপার্জিত সুদ প্রতি বছর পুরস্কারস্বরূপ বণ্টন করা হবে। আগের বছর যারা মানবজাতির কল্যাণে সর্বোত্তম সেবা করেছেন বলে গণ্য হবেন, চলতি বছর এ পুরস্কার তাদের মধ্যে বণ্টন করে দেয়া হবে। উল্লিখিত সুদের অর্থকে সমান পাঁচ ভাগে ভাগ করে নিম্নবর্ণিত পদ্ধতিতে বণ্টন করা হবে— * পদার্থ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার বা উদ্ভাবন করেছেন যিনি, একভাগ পাবেন তিনি। * সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ কোনো রাসায়নিক তথ্য আবিষ্কার বা তার উন্নয়ন করেছেন যিনি—একভাগ পাবেন তিনি। * শরীরবৃত্ত অথবা ভেষজ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করেছেন যিনি—একভাগ পাবেন তিনি। * সাহিত্য ক্ষেত্রে বিশেষ আদর্শপূর্ণ অভিনব কিছু যিনি সৃষ্টি করেছেন—একভাগ পাবেন তিনি। * জাতিগুলোর মধ্যে ভ্রাতৃত্ব স্থাপনের জন্য স্থায়ী সেনাবাহিনীর বিলোপসাধন বা হ্রাস করার জন্য এবং শান্তি পরিষদগুলোর অনুষ্ঠান ও উন্নয়নের জন্য সর্বাপেক্ষা অধিক অথবা শ্রেষ্ঠ কাজ করেছেন যিনি—একভাগ পাবেন তিনি। পদার্থ ও রসায়নবিদ্যা সংক্রান্ত পুরস্কারগুলো সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্স কর্তৃক প্রদত্ত হবে। শরীরবৃত্ত অথবা ভেষজ সংক্রান্ত পুরস্কার বিতরণ করবে স্টকহোমের ক্যারোলাইন ইনস্টিটিউট। সাহিত্য ক্ষেত্রে পুরস্কার প্রদান করবে স্টকহোম একাডেমি। শান্তিসেবীদের জন্য নির্দিষ্ট পুরস্কার বিতরণ করবে নরওয়েজিয়ান স্ট্যাটিং নির্বাচিত পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি। আমার সুস্পষ্ট ইচ্ছে যে, পুরস্কারগুলো বিতরণ সম্পর্কে প্রার্থীর জাতীয়তার কোনো প্রশ্ন তোলা হবে না। তিনি স্ক্যানডিনেভিয়ান হন বা বা না হন, যোগ্যতম ব্যক্তিমাত্রই পুরস্কার লাভ করতে পারবেন। প্যারিস স্বাক্ষর ২৭ নভেম্বর আলফ্রেড নোবেল

              নোবেল ফাউন্ডেশনঃ

              আলফ্রেড নোবেল উইলে স্বাক্ষর করেন ১৮৯৫ সালে, কিন্তু পুরষ্কার ঘোষণার সার্বিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর এই উইল বাস্তবায়নের দায়িত্ব অর্পিত হয় রাগনার সোহলমান এবং রুডলফ লিলিযেকুইস্ট নামের দুই ভদ্রলোকের উপর। ১৮৯৭ সালে আইনসভায় নোবেলের উইল পাস হওয়ার পর এই দুই ভদ্রলোক গঠন করেন নোবেল ফাউন্ডেশন। মজার ব্যাপার হচ্ছে, নোবেল ফাউন্ডেশন থেকে পুরষ্কার দেওয়া হলেও এই ফাউন্ডেশন নোবেল পুরষ্কারের বিজয়ী নির্বাচন করে না। এই ফাউন্ডেশনের মুল কাজ হলো নোবেলের রেখে যাওয়া অর্থের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন করা এবং নোবেল পুরষ্কারের সার্বিক ব্যবস্থাপনা করা।

              পুরষ্কার ঘোষনার দায়িত্ব নোবেল ভাগ করে দিয়ে যান তার উইলে
              * পদার্থ বিজ্ঞান এবং রসায়ন এর পুরষ্কার ঘোষনা করার দায়িত্ব দেন রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সকে।
              * চিকিৎসা শাস্ত্রের পুরষ্কার দেওয়ার দায়িত্ব দেন ক্যারোলিন্সকা ইন্সটিটিউটকে।
              * সুইডিশ একাডেমি কে দায়িত্ব দেন সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী ঘোষনা করার দায়িত্ব।
              * শান্তি পুরষ্কার ঘোষনার দায়িত্ব দেন নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটিকে।
              এখানে আরেকটা মজার ব্যাপার আছে। তা হলো, যে সময় নোবেল পুরষ্কার প্রতিষ্ঠা করা হয় তখন সুইডেন ও নরওয়ে ছিলো একসঙ্গে যা পরবর্তীতে ভেঙ্গে যায়। ফলে নোবেল পুরষ্কার ঘোষনার দায়িত্ব ভাগ হয়ে যায় দুই দেশের মধ্যে।

              নোবেল মনোনয়ন প্রক্রিয়াঃ

              শুরুতে নির্বাচক প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্নসুত্র থেকে কয়েক হাজার নাম সংগ্রহ করে নিজ নিজ বিষয়ের বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠায়। সেখান থেকে যাচাই বাছাই করে একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরী করা হয় । পরবর্তীতে তৈরী করা হয় মনোনয়নের সংক্ষিপ্ত তালিকা।

              সেপ্টেম্বর মাসে পরবর্তী বছরের জন্য মনোনয়ন আহবান করে। ৩১ জানুয়ারীর মধ্যে মনোনয়ন জমা দিতে হবে। সেই মনোনয়ন থেকে সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হয়। এই তালিকার উপরে কমিটির সদস্যদের ভোটাধিকারের মাধ্যমে নির্বাচন করা হয় পুরস্কার। পুরস্কার ঘোষনা হয় অক্টোবর মাসে। আর পুরো বছরে ধরে চলে মনোনয়ন প্রক্রিয়া।

              যে সব বিষয়ে পুরস্কার প্রদান করা হয়ঃ

              * পদার্থ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার বা উদ্ভাবন করেছেন যিনি, একভাগ পাবেন তিনি।
              * সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ কোনো রাসায়নিক তথ্য আবিষ্কার বা তার উন্নয়ন করেছেন যিনি—একভাগ পাবেন তিনি।
              * শরীর অথবা ভেষজ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে যার আবিস্কার গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন বলে বিবেচিত হবে, তিনি পাবেন এক অংশ( উইলকৃত অর্থ মনোনীত ব্যক্তিকর্তৃক নিরাপদ খাতে বিনিয়োগপ্রাপ্ত লাভের)
              * সাহিত্য ক্ষেত্রে যার কাজ মানবের আদর্শকে সবচেয়ে দারুন ভাবে চিত্রায়িত করেছে – একভাগ পাবেন তিনি।
              * যিনি জাতিতে জাতিতে শান্তি ও ভ্রাতৃত্ব স্থাপনের জন্য স্থায়ী সেনাবাহিনীর বিলোপসাধন বা হ্রাস করার জন্য এবং শান্তি পরিষদগুলোর অনুষ্ঠান ও উন্নয়নের জন্য সর্বাপেক্ষা অধিক অথবা শ্রেষ্ঠ কাজ করেছেন যিনি—একভাগ পাবেন তিনি।

              অর্থনীতিতে কোন নোবেল নাই

              আলফ্রেড নোবেলের উইলে অর্থনীতিতে নোবেল দেয়ার কোন উল্লেখ নাই। মূলতঃ নোবেলে স্মৃতিতে দ্য ব্যাংক অব সুইডিশের দেয়া পুরস্কার ।যা নোবেলের একই সময় ও একই সমমানের হওয়ায় তা নোবেল পুরস্কারের মতো। সুইডেনের ব্যাংকের ৩০০ তম বার্ষিকীতে ১৯৬৮ সালে প্রবর্তিত হয়ে ১৯৬৯ সাল থেকে দেয়া হয় এই পুরস্কার। এর নাম “The Sveringes Riksbank Prize in Economic Scicenes in Memory of Alfred Nobel”

              পুরস্কার হিসাবে যা প্রদান করা হয়ঃ

              ১৯০০ সালের নোবেল পুরষ্কার ঘোষণার কিছু নিয়ম নির্ধারন করা হয়। সেই নিয়ম অনুসারে প্রত্যেক নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা, একটি গোল্ড মেডেল এবং একটি সার্টিফিকেট পেয়ে থাকে। এই অর্থের পরিমান নির্ভর করে নোবেল ফাউন্ডেশনের আয় এর উপর। যদি একাধিক ব্যক্তি একই ক্ষেত্রে পুরষ্কারের জন্য নির্বাচিত হন, তাহলে তাদেরকে এই ভাগ করে দেয়া হয়। শুধু মাত্র শান্তি পুরষ্কারের জন্য কোনো ব্যাক্তির বাইরে কোন প্রতিষ্ঠানকেও নির্বাচন করা যায়।

              প্রথম নোবেলঃ

              এই সব নিয়ম কানুন ঠিক করে প্রথম পুরষ্কার ঘোষণা করা হয় ১৯০১ সালে- আলফ্রেড নোবেলের উইল স্বাক্ষরের ৫ বছর পর।
              * পদার্থ বিজ্ঞানে পুরষ্কার পান জার্মান বিজ্ঞানী রন্টজেণ্ট। এক্স-রে আবিষ্কার করার স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরষ্কার পান তিনি।
              * রসায়নে অনবদ্য অবদান রাখায় জ্যকব হান্ট হফ নোবেল পান সেই বছর।
              * চিকিৎসায় নোবেল পান এমিল বেরিংডিপথেরিয়ার প্রতিষেধক আবিষ্কার করে ।
              * সাহিত্যে নোবেল দেওয়া হয় সুলি ফরুডহোমকে।
              * শান্তিতে যুগ্ম ভাবে নোবেল পুরষ্কারে ভূষিত হন ফরাসী নাগরিক ফেডেরিক পুসি এবং রেড ক্রসের প্রতিষ্ঠাতা জীন হেনরী ডুনান্ট।
              আর এভাবেই পথ চলা শুরু করে পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানজনক পুরষ্কার- নোবেল পুরষ্কার।

              নোবেল প্রদানের সময়কালঃ

              আলফ্রেড নোবেলে মৃত্যুদিবস ১০ ডিসেম্বর নরওয়ের অসলোতে শান্তিু পুরস্কার এবং সুইডেনের স্টকহোমে বাকী পুরস্কার তুলে দেয়া হয় বিজয়ীদের হাতে। শান্তি পুরস্কার অসলোতে দেয়া হয় নোবেলের ইচ্ছানুযায়ী।

              পুরস্কার ঘোষনাকারী সংস্থাঃ

              ১.নোবেল কমিটি অব দ্য নরওয়েজিয়ান পার্লামেন্ট : শান্তি
              ২.রয়েল সুইডিশ একাডেমি অব সাইন্সেস : পদার্থ,রসায়ন,অর্থনীতি
              ৩.সুইডিশ একাডেমি : সাহিত্য
              ৪.ক্যারেলিনস্কা ইনস্টিটিউট : চিকিৎসাবিজ্ঞান

              • 0 views
              • 12521 answers
              • 0 votes
            • Professor Asked on March 3, 2015 in No Category.

                লাঠি এবং মানুষ

                • 0 views
                • 12521 answers
                • 0 votes
              • Professor Asked on March 3, 2015 in No Category.

                  উপকরণ :

                  ডো-ময়দা ২ কাপ, তেল কোয়ার্টার কাপ (মাখানোর জন্য) লবণ পরিমাণমত, পানি পরিমাণমত।

                  পুর :

                  গাজর গ্রেট (ভাপ দেয়া) ১ কাপ, গুঁড়া দুধ আধা কাপ। দুধের খিসসা আধা কাপ, কিসমিস বাদাম কুচি পরিমাণমত, চিনি আধা কাপ, এলাচ গুঁড়া আধা চা চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ ও ভাজার জন্য তেল প্রয়োজনমত।

                  প্রস্তুত প্রণালী :

                  ময়দা, লবণ, তেল ও ময়ান দিয়ে পরিমাণমত পানি দিয়ে শক্ত ডো করে ২০ মিনিট রেখে দিতে হবে। গাজর, চিনি, গুঁড়া দুধ, ঘি, খিসসা, কিসমিস, বাদাম, এলাচা গুঁড়া দিয়ে ঘন করে পাকিয়ে ডো দিয়ে রুটি বেলে ভেতরে গাজরের পুর দিয়ে ডুবোতেলে ভেজে পরিবেশন করুন।

                  • 0 views
                  • 12521 answers
                  • 0 votes
                • Professor Asked on March 3, 2015 in No Category.

                    সম্পর্কের ধরণের উপরে উপহার দেয়ার ভিন্নতা নির্ভর করে। তাছাড়া একজনের পছন্দ, অপছন্দ, রুচির উপরেও নির্ভর করে তাকে কী ধরনের উপহার দেয়া উচিত। আপনি নিজেই চিন্তা করে দেখুন আপনার কাছের মানুষটি কী পছন্দ করেন বা কী উপহার দিলে তিনি অনেক বেশি খুশি হবেন। সেই অনুযায়ী তাকে উপহারটি কিনে দিন।

                    • 0 views
                    • 12521 answers
                    • 0 votes
                  • Professor Asked on March 3, 2015 in সাধারণ.

                      জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট অনুষদ সংখ্যা কতটি ?

                      • 563 views
                      • 1 answers
                      • 0 votes
                    • Professor Asked on March 3, 2015 in সাধারণ.

                        ডেকে দিলে ভালো।

                        • 523 views
                        • 1 answers
                        • 0 votes