ZoomBangla Answer's Profile
Professor
14182
Points

Questions
3

Answers
7076

  • Professor Asked on February 28, 2015 in No Category.

      নতুন ব্যবসা শুরুর আগেই উদ্যোক্তাদের প্রধান চিন্তা হয়ে দাঁড়ায় এর জন্য অর্থ সংগ্রহ করা। আর ব্যবসাটি টিকিয়ে রাখতে কিভাবে অর্থ সংগ্রহ করতে হবে, এমনটা জানা না থাকলে যে কোনো নতুন উদ্যোক্তারই বিপদে সম্ভাবনা থাকে। এমন সমস্যায় শুধু আপনিই নন, অনেকেই পড়েন। এমন অবস্থাতে আপনি যা যা করেবেন :

      ১. নিজের অর্থ : বহু উদ্যোক্তাই সফল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দাঁড় করিয়েছেন সম্পূর্ণ নিজের অর্থে। নিজে কিছু অর্থ সংগ্রহ করে তা দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারলে সবচেয়ে নির্ভাবনায় থাকা যায়। আর এটি ব্যবসা শুরুর একটি বনেদি উপায় হিসেবে খ্যাত। অল্প ব্যয়ের ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি যথেষ্ট কার্যকর হতে পারে। তবে ব্যয় যদি বেশি হয় তাহলে অন্য উৎস দেখতেই হবে। আর এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার আগেই ব্যবসার খরচের পাশাপাশি নিজের জীবনযাপনের খরচও হিসাব করতে হবে।

      ২. ব্যবসা ঋণ : বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যাংকগুলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য ঋণ দেয়। আর নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য এ ধরনের ঋণ নেওয়া কিছুটা কঠিন হলেও একেবারে অসম্ভব নয়। আপনি যদি ব্যাংকগুলোর সব চাহিদা পূরণ করতে পারেন তাহলে ঋণ পাওয়াও সম্ভব। এক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে পেশাগত জীবনে আপনার ইমেজ ও পরিচিতি। এ ছাড়া ভালোভাবে করা বিজনেস প্ল্যান ঋণদাতাদের সন্তুষ্ট করতে সহায়ক হতে পারে।

      ৩. ব্যক্তিগত ঋণ : ব্যবসা শুরুর পর সেটা টিকিয়ে রাখার জন্য উদ্যোক্তার যথাসম্ভব চেষ্টা করতে হয়। আর এসব চেষ্টার অন্যতম হতে পারে ব্যক্তিগত ঋণ নিয়ে তা ব্যবসায় বিনিয়োগ করা। অনেকেই নিজের বাড়ির উন্নয়ন কিংবা গাড়ি কেনার কথা বলে ঋণ নিয়ে তা ব্যবসায় বিনিয়োগ করেন। এ ছাড়া এ ধরনের পরিস্থিতিতে পরিবারের সদস্য ও বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকে অনেকেই ধার করার চেষ্টা করেন। এক্ষেত্রে অর্থ সংগ্রহে কিছুটা সতর্কতার প্রয়োজন রয়েছে। যাদের দ্রুত অর্থ প্রয়োজন হতে পারে, তাদের কাছ থেকে অর্থ না নেওয়াই ভালো। কারণ ব্যবসায় ক্ষতি হলে এ অর্থ শোধ করতে আপনার বহু বছর লেগে যেতে পারে।

      ৪. আর্থিক প্রণোদনা ও সহায়তা : আপনি যদি দারুণ কোনো ব্যবসা করার পরিকল্পনা করেন তাহলে আর্থিক প্রণোদনা বা সহায়তার সন্ধানও পেয়ে যেতে পারেন। বহু দেশের সরকার এ ধরনের সহায়তা দেয়। অনেক স্থানে সরাসরি অর্থসহায়তা না দিলেও অন্যভাবে সহায়তা দেওয়া হয়। যেমন সহজ নীতিমালা, ট্যাক্স ছাড়, সহজ শর্তে ব্যবসা পরিচালনার স্থান, মূলধন সহায়তা, পণ্য পরিবহনে সহায়তা কিংবা ক্রেতা খুঁজতে সহায়তা দেওয়া।

      ৫. বুদ্ধির পরিচয় দিয়ে : ব্যবসার প্রাথমিক অবস্থায় উদ্যোক্তা নানাভাবে বুদ্ধির পরিচয় দিতে পারেন। প্রচুর পরিশ্রম ও মেধা খাটিয়ে যথাসম্ভব কম খরচ করে ব্যবসা পরিচালনা করা এ ধরনের একটি উদ্যোগ। এজন্য প্রয়োজন হয় অভিজ্ঞতা ও বিচক্ষনতা।

      ৬. সরকারি সহায়তা : বাংলাদেশসহ বহু দেশেই সরকার নতুন উদ্যোক্তা তৈরি ও কিছু নির্দিষ্ট ব্যবসার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের সহায়তার ব্যবস্থা রাখে। এ ছাড়া রয়েছে ব্যবসায়ীদের প্রশিক্ষণ ও তার পাশাপাশি অর্থ ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা।

      ৭. বিনিয়োগকারী খুঁজে দেখুন : আপনি যদি ব্যবসার দারুণ কোনো আইডিয়া নিয়ে আসতে পারেন তাহলে তা বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করতে পারে। আর এভাবে আপনি যেমন ব্যবসা ভালোভাবে চালানোর জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে পারবেন তেমন পারবেন দ্রুত সাফল্য অর্জন করতেও। নতুন বিনিয়োগকারী পেলে অবশ্য আপনার ব্যবসার মালিকানাও ভাগাভাগি করতে রাজি থাকতে হবে। আর বিনিয়োগকারীরা সাধারণত উচ্চ প্রবৃদ্ধির ব্যবসার ক্ষেত্রেই এগিয়ে আসেন। এর মধ্যে থাকতে পারে প্রযুক্তি, বায়োটেকনোলজি কিংবা বিকল্প জ্বালানীশক্তি।

      ৮. সাধারণের অর্থ সংগ্রহ : ক্রাউডফান্ডিং নেটওয়ার্ক নামে একটি ব্যবস্থা রয়েছে, যারা দারুণ সব আইডিয়ার জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে সহায়তা করে। আর এতে অর্থ দেয় সাধারণ জনগণ। আপনার যদি দারুণ কোনো সৃজনশীল আইডিয়া থাকে তাহলে এদের সাহায্য নিতে পারেন। এ ছাড়াও আপনার যদি যথেষ্ট সুনাম থাকে তাহলে পরিচিত-অপরিচিত মানুষের কাছ থেকে ব্যবসার জন্য অর্থ সংগ্রহ করাও অসম্ভব নয়।(ওএসপি)

      • 0 views
      • 12521 answers
      • 0 votes
    • Professor Asked on February 28, 2015 in স্বাস্থ্য.

        আপনার প্রশ্ন বেশ কয়েকটি, তাই কয়েকটি ধাপে দেয়া হলো জবাব।

        ভারী স্তনের ব্যাপারটি জিনের ওপরে নির্ভর করে, এবং আমাদের দেশের নারীদের স্তন স্বাভাবিক ভাবেই পশ্চিমা দেশের মেয়েদের তুলনায় ভারী হয়ে থাকে। অনেক নারীরই বিয়ের আগে স্তন অতিরিক্ত ভারী হতে পারে। এবং এই স্তন নিয়ে বিয়ের আগে, পরে কিংবা বেশি বয়সে- সবক্ষেত্রেই দেখা দিতে পারে নানান রকম সমস্যা। এই সমস্যাগুলো দেয়া হলো নিচে।

        -বেশি ভারী স্তনের জন্য পিঠে ব্যথা হওয়া খুব স্বাভাবিক। আজকাল অনেক নারীই প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে স্তন বড় করান। এতে তাঁদের মেরুদণ্ডে তথা পিঠে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় বহুগুণে।

        – একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর স্বাভাবিকভাবেই নারীদের স্তন ঝুলে যেতে থাকে। বেশি বড় স্তন হলে খুব বাজে ভাবে শেপ নষ্ট হয়ে যায় স্তনের, যা শত চেষ্টা করেও ফিরিয়ে আনা যায় না।

        – তরুণী বয়সেই বেশি ভারী স্তন হলে নির্দিষ্ট বয়সের আগেই স্তনের আকৃতি নষ্ট হয়ে যায়।

        – বেশি ভারী স্তনে অনেক ক্ষেত্রেই আকৃতি সুডৌল হয় না, ত্বকে টাইট ভাব থাকে না। ফলে সৌন্দর্য হানি হয়।

        – বেশি ভারী স্তনের কারণে কাঁধে ব্যথা হতে পারে।

        – সন্তান হবার পর স্তনের আকৃতি বৃদ্ধি পায়। কম বয়সে বেশি ভারী স্তন হলে সন্তান জন্মের পর স্তন খুব বেশি বড় হয়ে যায় যা দৃষ্টিকটু লাগে ও নানানরকম সমস্যা তৈরি করে।

        ভারী স্তনে মোটামুটি এই সমস্যা গুলোই হয়। তবে শারীরিক সমস্যা ছাড়াও হতে পারে কিছু সম্পর্কগত সমস্যা। যেমন, স্তনের সুডৌল ভাব নিয়ে স্বামীর আপত্তি থাকতে পারে। বা তিনি মনে করতে পারেন যে আপনার বিবাহ বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক ছিল।


        • 755 views
        • 1 answers
        • 0 votes
      • Professor Asked on February 28, 2015 in স্বাস্থ্য.

          অনেকেরই এমনটা কালো দাগ হয়ে থাকে শুধু কনুইয়ে নয় হাঁটুতেও। এটা অনেক সময় জন্ম থেকেই কালো দাগ হয় আবার কাজের চাপেও কনুই বা হাঁটুতে দাগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে এই দাগ সহজেই দূর করা যায়। আসুন জেনে নিই কীভাবে এই দাগ দূর করবেন।

          পদ্ধতি-১

          প্রথমে একটি লেবু কেটে কনুই ও হাঁটুতে কিছুক্ষণ ঘষতে থাকুন। তবে
          খেয়াল রাখবেন যেন কোনো কাটাছেঁড়া থাকলে সেখানে লেবুর রস না লাগে। কালো দাগের ওপর লেবুর রস লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।

          লেবুর রস শুকিয়ে গেলে চিনি ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে কালো দাগগুলোর ওপর ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সেটা ম্যাসাজ করুন। এতে ওই অংশের মৃত ত্বকের অংশটুকু উঠে আসবে। এবার হাঁটু আর কনুই ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম লাগান। অল্প করে না দিয়ে বেশি করে দেবেন, যাতে দাগ ঢেকে যায়। এভাবে প্রতিদিন ব্যবহার করতে থাকুন। আস্তে আস্তে দাগ হালকা হয়ে আসবে।

          পদ্ধতি-২

          ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা আর ১ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে কালো দাগগুলোর ওপর ম্যাসাজ করুন। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে প্রতিদিন করতে থাকুন।

          সতর্কতা

          – হাঁটু আর কনুইয়ে ভর দিয়ে কোনো কাজ না করার চেষ্টা করুন।
          – খেয়াল রাখবেন, হাঁটু আর কনুই যেন কখনও শুষ্ক না হয়।


          • 556 views
          • 1 answers
          • 0 votes
        • Professor Asked on February 28, 2015 in স্বাস্থ্য.

            চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতি মানুষকে জীবনের নানা প্রতিবন্ধকতা থেকে মুক্তির পথ দেখাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন এক আবিস্কার চিকিৎসা জগতে নতুন এক সম্ভাবনার দরজা খুলে দিতে যাচ্ছে। যেসব বাবা-মায়ের প্রতিবন্ধী সন্তান জন্ম দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি, তাদের জন্য তৈরী হয়েছে নতুন এক আশার আলো। বিজ্ঞানীরা বলছেন প্রতিবান্ধী সন্তান হওয়ার পেছনে বাবা-মায়ের যেসব ঝুঁকিপূর্ণ জিন দায়ী সেখানে তৃতীয় এক ব্যক্তির দান করা সুস্থ জিন ভ্রূণের শরীরে প্রতিস্থাপন করে সেই প্রতিবন্ধিত্ব কাটিয়ে তোলা সম্ভব। শুধু তাই নয়, একবার সুস্থ জিন প্রতিস্থাপন করা হলে বংশ পরম্পরায় সেই পরিবর্তনের সুফল ধরে রাখা সম্ভব হবে বলে তারা বলছেন।

            যুক্তরাষ্ট্রের অরিগন হেলথ্ অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটির ডঃ শুখরাত মিতালিপফ ব্যাখ্যা করেছেন ”মায়ের শরীর থেকে বিশেষ করে তার ডিম্বানু থেকে পরিবর্তিত ডিএনএ বহনকারী জিন ভ্রূণের মধ্যে সঞ্চালিত হয়। কাজেই কোনো পরিবারে মহিলার শরীরে যদি এধরনের রোগবাহী জিন থাকে তা শিশুর শরীরে ঢোকার এবং এর থেকে ওই শিশুর মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা পূর্ণমাত্রায় থাকে। কাজেই ওই দম্পতি যদি সুস্থ ও রোগের আশঙ্কামুক্ত শিশুর জন্ম দিতে চায়- এই পদ্ধতি সেক্ষেত্রে কার্যকর হবে।

            আমরা যেভাবে এটা করছি সেটা হল ওই মহিলার একটা ডিম আমরা বের করে নিচ্ছি- তার থেকে রোগবাহী জিনটি বের করে ফেলছি। এবং সেখানে নতুন যে জিনটি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হচ্ছে – সেটি আসছে অন্য এক মহিলার দান করা ডিম থেকে।”

            এই পদ্ধতিতে একজন সন্তান জন্মের জন্য প্রয়োজন হচ্ছে তিন ব্যক্তির – বাবা মা এবং তৃতীয় এক মহিলার। এই প্রক্রিয়ায় তৃতীয় ব্যক্তি অর্থাৎ দাতা মহিলা শুধু সুস্থ ও রোগমুক্ত একটি মাইটোকন্ড্রিয়া দিচ্ছে। কারণ বিকল মাইটোকন্ড্রিয়াই বিভিন্নধরনের প্রতিবন্ধিত্বের কারণ হয়। মাইটোকন্ড্রিয়া কোষের মধ্যে শক্তি তৈরি করে- কোষ কীভাবে কাজ করবে তা নির্ধারণ করে। তার ওপরই নির্ভর করে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ বা কলা ঠিকমত কাজ করবে কি না। আমাদের মুখচোখ কেমন দেখতে হবে বা আমাদের আচরণ কেমন হবে তা মাইটোকন্ড্রিয়া ঠিক করে না। বাবা-মায়ের যে জিন শিশুর পরিচয়ের মূল বাহক এই পদ্ধতি তার ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।

            আইভিএফ পদ্ধতি ব্যবহার করে এভাবে শিশুজন্মের বিষয়টি আইনানুগ করতে ব্রিটিশ সরকার এখন উদ্যোগী হয়েছে এবং এ ব্যাপারে আইন পাশ হলে ব্রিটেনই হবে প্রথম দেশ যেখানে এই পদ্ধতিতে সন্তানজন্ম সম্ভব হবে। এই আবিষ্কার পৃথিবীর বহু অনাগত শিশুকে প্রতিবন্ধীত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি দেবে এমনটি আশা করা যায়।


            • 534 views
            • 1 answers
            • 0 votes
          • Professor Asked on February 28, 2015 in স্বাস্থ্য.

              অনিয়মিত মাসিক বা ইরেগুলার মেনস্ট্রুয়েশন নানা কারণে হতে পারে। অনেক সময় এটি প্রজননতন্ত্রের বিভিন্ন জটিলতার পূর্বাভাস দেয়। আবার অনেকের স্বাভাবিক ভাবেই অনিয়মিত মাসিক হয়। তবে যাই হোক না কেন এটি আমাদের দুশ্চিন্তাগ্রস্থ করে নি:সন্দেহে। অনিয়মিত মাসিকের চিকিৎসায় যুগ যুগ ধরে চলে আসছে নানা ভেষজ পদ্ধতি, যেগুলোর উপকার বৈজ্ঞানিকভাবেও প্রমাণিত হয়েছে। যদি আপনার শরীরে মারাত্মক কোন সমস্যা না থাকে তাহলে এর থেকে উপকার পাবার আশা করতেই পারেন।

              ঘরোয়া ভেষজ পদ্ধতি :

              • নিয়মিত কাঁচা পেপে খেলে অনিয়মিত মাসিকের জন্য অনেক উপকারী। তবে যারা গর্ভবতী তাদের কাঁচা পেপে না খাওয়াই ভাল, এতে গর্ভপাত হতে পারে।

              • বটগাছের শেকড় ১০ মিনিট গরম পানিতে ফুটিয়ে ছেকে, সেই পানিতে ২-৩ টেবিল চামচ গরুর দুধ মিশিয়ে প্রতিদিন রাতে ঘুমাবার আগে খেতে হবে।

              • মাসিক নিয়মিত করণে মৌরি খুবই ভাল একটি পথ্য হিসাবে কাজ করে।

              • আঙুর ফলও পিরিয়ড রেগুলার করার জন্য খুবই কার্যকরী। প্রতিদিন আঙুরের জুস খেলে বা খাবারের তালিকায় আঙুর থাকলে ভবিষ্যতে মাসিক নিয়মিত রাখতে সহায়তা করে।

              • করলার রসও অনিয়মিত মাসিকের ক্ষেত্রে উপকারী।

              • প্রতিদিন ধনিয়াপাতা বা ধনিয়া গুড়া দিনে তিনবার করে খেলে মাসিক নিয়মিতকরণে অনেক ভুমিকা রাখে।

              • ২টি মূলাকে সামান্য পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে এক কাপ মাঠার সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন পান করলে মাসিক নিয়মিত করতে সাহায্য করে।

              • অনিয়মিত মাসিকের পথ্য হিসাবে ডুমুর যুগ যুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ৪-৫টি ডুমুর ফল কেটে পানিতে সেদ্ধ করে ছেকে সেই পানি নিয়মিত খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

              • গাজরে রয়েছে প্রচুর বেটা ক্যরোটিন, যা মাসিক নিয়মিত করতে সাহায্য করে।

              • এলোভেরা বা ঘৃতকুমারীর শাস রূপচর্চার পাশাপাশি মাসিক নিয়মিত করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

              • ঋতুচক্র শুরুর সম্ভাব্য সময়ের এক দুই সপ্তাহ আগে থেকে আখ বা গেন্ডারির রস খেলে আশা করা যায় সময়মতো মাসিক হবে।

              মনে রাখবেন উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো গর্ভবতী নন এমন মহিলাদের জন্যই প্রযোজ্য। গর্ভবতী মায়েদের শরীরে এই উপাদানগুলো বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরী করতে পারে। এজন্য যারা বিবাহিত তাদের আগে নিশ্চিত হতে হবে যে তারা গর্ভবতী হয়েছেন কিনা।

              একটা বিষয় মনে রাখা উচিত শরীরে আয়রনের অভাব থাকলেও মাসিক অনিয়মিত হতে পারে। এজন্য ভেষজ এই পদ্ধতিগুলোর পাশাপাশি আয়রন বা লৌহ সমৃদ্ধ খাবার যেমন: গরু, ভেড়া, মুরগির মাংস; কলিজা, ডিম; চিংড়ি, টুনা মাছ; পালং শাক, মিষ্টি আলু, মটরশুটি, ব্রকোলি, বাধাকপি, ফুলকপি; সুজি, গম, বার্লি; স্ট্রবেরি, তরমুজ, খেজুর, গাব; টমেটো, ডাল, ভুট্টা, শস্যদানা ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে।

              আর এতেও যদি উপকার না পান সেক্ষেত্রে কোন গাইনি ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।


              • 751 views
              • 1 answers
              • 0 votes
            • Professor Asked on February 28, 2015 in স্বাস্থ্য.

                শুধুমাত্র নিজের স্ত্রী ছাড়া অন্য কারো সাথে ওরাল সেক্সেও এইচআইভির ঝুঁকি থাকে অনেক বেশি। মনে রাখবেন ওরাল সেক্স খুবই বিপজ্জনক হয়ে উঠে যদি তা নিজের স্ত্রীর সাথে শুধু না হয়ে থাকে। নতুবা এইডস-এ আক্রান্ত হবার সম্ভবনা থাকে অনেক বেশি।

                • 733 views
                • 1 answers
                • 0 votes
              • Professor Asked on February 28, 2015 in স্বাস্থ্য.

                  বয়স এবং উচ্চতা অনুযায়ী ওজন না হওয়াটা অনেকের কাছেই বিব্রতকর একটি বিষয়। অনেকে বেশি খেয়েও ওজন বাড়াতে পারেন না। আবার অনেকে কি ধরনের খাবার খাবেন তা নিয়ে থাকেন দ্বিধা-দ্বন্দ্বে। ওজন কম বেশি হওয়ার সাথে বংশগত এবং শারীরিক কিছু ব্যাপার জড়িত। তা সত্ত্বেও খাদ্যাভ্যাসও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ওজন কম সমস্যায় যারা ভুগছেন, সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং কিছু নিয়ম মেনে চললে শরীর অনুযায়ী স্বাভাবিক ওজন লাভ করা তাদের পক্ষে অসম্ভব কিছু নয়।

                  প্রতিদিন শরীরকে দিতে হবে একটু বাড়তি ক্যালরি

                  প্রতিদিন আমরা যে খাবার খাই তা থেকে আমরা ক্যালরি পাই। এই ক্যালরি দৈনন্দিন কাজে খরচ হয়। বাকি যেটুকু অবশিষ্ট থাকে সেটা শরীরে সঞ্চিত হয়। এভাবেই আমাদের ওজন বাড়ে। তবে দৈনিক ক্যালরি গ্রহণ বৃদ্ধি করতে অবলম্বন করতে হবে একটু সতর্কতা। আপনি যদি বেশি বেশি আইসক্রিম, ভাজাপোড়া, ফাস্টফুড খান তাহলে তা শুধু আপনার শক্তির অপচয় হবে এবং নানা রোগ বাসা বাধবে। এমন খাবার বেছে নিতে হবে যেগুলোর ক্যালরি বেশি কিন্তু পুষ্টিকর। যেমন: বাদাম এবং শস্যদানা, চকোলেট, বাদামের মাখন, চিংড়ি, স্ট্রবেরী, কন্ডেনস্‌ড মিল্ক, ডিম, সয়াবিন, কিসমিস, খেজুর, নারকেল দুধ, বাদামী চাল (মোটা চাল), ওটমিল, সিসামি বাটার বা তাহিনি, দই, কলা, অলিভ অয়েল, আঙুরের জুস, আনারস, আপেল, কমলা। দুগ্ধজাত খাবার এবং উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার থাকতে হবে প্রতি বেলার খাদ্য তালিকায়।

                  প্রকৃতির সাথেই থাকুন সফলতা হবে আপনারই

                  আপনারা হয়তো ভাবছেন আমি শুধু দামি দামি খাবারের কথা বলছি! আসলে উপরের যেই খাবারগুলো বলা হয়েছে এগুলো ওজন বাড়ানোর জন্য সাধারণত সবার আগে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু প্রাকৃতিক যেসব খাবার যেমন শাক-সবজি, ফলমূল এগুলোও কিন্তু ওজন বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট। একবার চিন্তা করে দেখুন পৃথিবীতে যেসব বিশাল ওজনের প্রাণী আছে সবগুলোই কিন্তু তৃণ, লতাপাতা আর ফল-মূল খেয়ে জীবন-ধারণ করে। খাবারকে শরীরের জ্বালানী মনে করুন, যদি ভাল জ্বালানী নেন তাহলে শরীর ঠিক থাকবে আর খারাপ জ্বালানী নিলে শরীরের কার্যক্রম ব্যহত হবে। তবে শর্ত হলো একটাই প্রাকৃতিক খাবার যেমন শাক-সবজি, ফলমূল একটু বেশি করে খেতে হবে।

                  খেতে ইচ্ছা না করলে ব্লেন্ড করে খান

                  আপনার যদি সবসময় খেতে ইচ্ছা না করে তাহলে খাবারগুলো ব্লেন্ড করে ফেলুন। আপনি খুব সহজে বিভিন্ন ড্রিংক তৈরি করে নিমেষেই পেতে পারেন শত শত ক্যালরি। ড্রিংক হিসাবে কলা, খেজুর এর সাথে একটু মাখন, দুধ অথবা আম, পেস্তা বাদাম, স্ট্রবেরি, কমলা ইত্যাদি শ্রেষ্ঠ। সব সময় এসব পুষ্টিকর উপাদান দিয়ে জুস তৈরি করে হাতের কাছে রাখুন। এগুলো আপনার শরীরের মাংস পেশীগুলোকে সুগঠিত করতে যথেষ্ট প্রোটিন সরবরাহ করবে।

                  আপনি যদি ব্যায়াম না করেন তাহলে আজই শুরু করুন

                  আমাদের সবার ধারণা ব্যায়াম শুধু ওজন কমানোর জন্যই কাজ করে। কিন্তু এটি ঠিক নয়। ব্যায়াম করলে শরীর একটিভ হয় এবং পুষ্টি উপাদানগুলো ঠিক মতো কাজে লাগে। ঠিক সময়ে ক্ষুধা লাগে, এবং তখন খাদ্য গ্রহণের রুচিও বৃদ্ধি পায়। প্রতিদিন হালকা কিছু ব্যায়ামই এর জন্য যথেষ্ট।

                  আপনার খাদ্যাভ্যাস আর শরীর চর্চার পাশাপাশি যেই জিনিসটা লাগবে তা হলো পর্যাপ্ত ঘুম এবং দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকা। দৈনিক ৬-৭ ঘণ্টা ঘুম এবং অন্যান্য বিষয়গুলো মেনে চললে আশা করা যায় আপনার ওজন বাড়ানোর লক্ষ্য পূরণ হবেই।

                  ওজন বাড়াতে অভ্যাস পরিবর্তন

                  যাদের এজন কম তাদের বেশিরভাগের মধ্যে দেখা যায় খাবার ঠিকমতো চিবিয়ে খান না। খাবার ঠিকমতো না চিবালে হজমও ভাল হয় না। আর হজম ভাল না হলে পুষ্টি ঠিক মতো কাজে লাগে না।

                  যারা খাবারের পর অত্যাধিক পানিয় যেমন চা কফি পান করেন তাদের অনেক প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান যেমন লৌহ শোষন ব্যহত হয়। এজন্য খাবারের পর অতিরিক্ত পানিয় এমনকি সাধারণ পানি কম পান করা উচিত।

                  রান্না করতে হবে ভাল করে। মনে রাখবেন সুস্বাদু খাবার বা তৃপ্তি নিয়ে আমরা যে খাবার খাই, তা শরীরে বেশি কাজে লাগে। এর জন্য খাবারের সাথে বিভিন্ন রকম ফল এবং সবজি দিয়ে সালাদ বা চাটনি খেতে পারেন।

                  কিছু বদঅভ্যাস আছে, যেগুলো কাজে লাগিয়ে ওজন বাড়ানো যেতে পারে।
                  যেমন:
                  – টিভি দেখার সময় খাওয়া

                  – একই খাবার দিয়ে দিনের শুরু এবং শেষ করা

                  – প্লেটের সবটুকু খেয়ে শেষ করে ফেলা।

                  – যাত্রাপথে খাওয়া।

                  ওজন বাড়াতে সাপ্লিমেন্ট ওষুধ

                  কিছু ফুড সাপ্লিমেন্ট আছে যেগুলো ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। যেমন কিছু ভিটামিন এবং মিনারেল, হেলথ্‌ ড্রিংক ইত্যাদি। আপনার শরীরের ঘাটতির কথা চিন্তা করে এগুলো গ্রহন করলে উপকার পাওয়া যায়। তবে অপ্রয়োজনীয় ভাবে এগুলো গ্রহনে ক্ষতির সম্ভাবনা আছে। এ জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এগুলো ব্যবহার করা উচিত।

                  স্বাস্থ্যকর ফ্যাট বাছাই করা

                  প্রচুর পরিমাণ স্বাস্থ্যকর ফ্যাট খেতে হবে। স্বাস্থ্যকর ফ্যাট বলতে ডিমের কুসুম, প্রাণিজ ফ্যাট, নারকেল দুধ, কলা অর্থাৎ পুষ্টিকর যেসব খাবারের সাথে ফ্যাট পাওয়া যায়।


                  • 734 views
                  • 1 answers
                  • 0 votes
                • Professor Asked on February 28, 2015 in স্বাস্থ্য.

                    হাসি এবং কান্না দুটোই মানুষের আবেগতাড়িত বিষয় এবং দুটোই স্নায়ুতন্ত্রের সাথে জড়িত। আমরা যখন অনেক বেশি আনন্দ পাই তখন হাসি অঅর যখন অনক বেশি কষ্ট পাই তখন কাঁদি। তবে হাসি ও কান্নাকে কখনই দমিয়ে রাখা উচিত না। কান্না বা হাসি চাপিয়ে রাখলে শরীর ও মনে অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে। আপনার যদি হাসতে ইচ্ছা করে তবে প্রাণখুলে হাসুন এবং কাঁদতে ইচ্ছা করলে মন ভরে কাঁদুন। খেয়াল করে দেখবেন যারা কান্নাকে দমিয়ে রাখেন তারা মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসি এবং কান্নার সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম কিছু উপকারিতা আছে যা আমাদের শরীর ও মনকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখে।

                    রক্তচাপ কমাতে ও শরীর ভালো রাখতে হাসি-কান্না

                    আমরা সবাই জানি যে হাসি আমাদের টেনশন কমায়, শরীর ভালো রাখে বিশেষ করে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে হাসি । বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যে, হাসির রয়েছে নানারকম শারীরিক ও মানসিক উপকারিতা। হাসি শরীরে রক্তের প্রবাহ ও অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়িয়ে রক্তের চাপ কমায় ফলে হৃদরোগের আশংকা অনেকটা হ্রাস পায়। আপনি কি জানেন কান্নাও একই কাজ করে! মনোবিজ্ঞানীরা সাম্প্রতিক গবেষণার মাধ্যমে জানিয়েছেন যে, মানসিক চাপ কমাতে, কর্মদক্ষতা বাড়াতে ও শারীরিক ভাবে ফিট থাকতে হাসির পাশাপাশি কান্নাকাটিরও সমান ভূমিকা রয়েছ। আরো মজার তথ্য জানিয়েছেন গবেষকরা, আমাদের মস্তিষ্কের একই জায়গা থেকে কান্না ও হাসির অনুভূতি আসে। হাসি যেভাবে রক্তচাপ কমিয়ে শরীরকে সুস্থ্ রাখে, কান্নাও তাই করে।

                    মানসিক চাপ কমাতে হাসুন ও কাঁদুন

                    মানসিক চাপ ভারসাম্য নষ্ট করে আর কান্না মানসিক ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করে। কান্না মানুষের সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমকে রিলিজ দিয়ে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেয়। আর আপনি যদি প্রচন্ড দুঃখের সময় বা মন খারাপ হলে কান্না চাপিয়ে রাখেন তাহলে তা আপনার মানসিক ভারসাম্যকে বিপর্যস্থ করে এমনকি শরীরের উপরও খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।

                    আর হাসির কথা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আপনার আনন্দকে দ্বিগুণ করে দিয়ে সকল মানসিক স্ট্রেস বা উদ্বেগ নিমিষে কমিয়ে দিতে প্রাণখোলা হাসির জুড়ি নেই। দুশ্চিন্তামুক্ত ভালো মন যে কোনো রোগের মহাষৌধ। আর মনকে দুশ্চিন্তামুক্ত রাখতে হলে বেশি করে হাসুন। প্রাণ মন উজাড় করে হাসুন, উচ্চস্বরে হাসুন। দেখবেন আপনার মন কেমন পল্কার মতো হালকা লাগছে।

                    ওষুধের পরিবর্তে হাসি

                    জার্মান লাফটার থেরাপিস্টের প্রধান মিশেল শেফনার জানান, “মস্তিষ্ক সচল রাখতে হাসির অনবদ্য ভূমিকা রয়েছে কারণ যখন কেউ উচ্চস্বরে হাসে তখন তাঁর মস্তিষ্কে নানা উদ্দীপনার সৃষ্টি হয় যা মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলের স্বাভাবিকতা ধরে রাখে।“ শুধু তাই নয়, ডা. রেমন্ড মুদিও অনেকটা একই কথা বলেন। তিনি তাঁর ‘লাফ আফটার লাফ : দি হিলিং পাওয়ার অভ হিউমার’ গ্রন্থে লিখেছেন, “হাসির সাথে শরীরের স্বাস্থ্যগত অবস্থার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আপনারা খেয়াল করে দেখবেন যে, হাসির সময় পেশীর টান অনেকটা আলগা হয়ে যায়। তাই দম ফাটানো হাসি পেশীর ব্যথা নিমেষে দূর করে দিতে পারে।“

                    হাসির নিরাময় ক্ষমতার বিস্মিত সত্যটি উপলব্ধি করে এখন অনেক চিকিৎসকরাই ওষুধের পরিবর্তে হাসতে উৎসাহিত করেন। এরকমই একটি পদ্ধতির কথা আমরা প্রায় সকলেই জানি তা হচ্ছে লাফটার থেরাপি। এই থেরাপিতে রোগীকে উচ্চস্বরে চিৎকার করে হাসতে হয়, এই উচ্চস্বরে হাসির মাধ্যমেই তাঁর পেশী সক্রিয় হয়, হার্ট রেট বেড়ে যায় এবং ব্যাথা নিরাময়ে সাহায্য করে।

                    দুঃখ বেদনার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত হতে কাঁদুন

                    আমাদের মনের আবেগ প্রকাশের একটি প্রাকৃতিক উপায় হচ্ছে কান্না। যখন আমাদের মন দুঃখিত থাকে তখন আমরা বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হই। আস্তে আস্তে এই বিষণ্ণতা হতাশায় পরিবর্তিত হয়, তারপর তা মনের চাপ বাড়িয়ে মাথা ব্যথা বা অন্যান্য শারীরিক সমস্যার উপসর্গ হিসেবে দেখা দেয়। এই দুঃখ বেদনার ক্ষতিকর প্রভাব কাটিয়ে উঠার জন্য তাই প্রয়োজন কান্নার। এই বিষয়ে আরেকটু পরিষ্কার ধারণা দেয়ার জন্য আমরা যুক্তরাষ্ট্রের বায়োকেমিস্ট ডা. উইলিয়াম ফ্রাইয়ের কথা তুলে ধরতে পারি। তিনি বলেন যে, “দুঃখ, বেদনা, মানসিক আঘাত দেহে টক্সিন বা বিষাক্ত অণু সৃষ্টি করে আর কান্না এই বিষাক্ত অণুগুলোকে শরীর থেকে বের করে দেয়। এ কারণেই দুঃখ ভারাক্রান্ত ব্যক্তি ভালভাবে কাঁদতে পারলে নিজেকে অনেক হালকা মনে করে।“

                    তাই কাঁদার সময়ও মন খুলে কাঁদুন। দরকার হলে হাউমাউ করে বা ফুঁপিয়ে কাঁদুন। অন্যের সামনে কাঁদতে অস্বস্তি হলে বাথরুমে যেয়ে পানির কলটি ছেড়ে দিয়ে বা মিউজিক ছেড়ে দিয়ে কাঁদুন, কিন্তু কাঁদুন। মনের কষ্ট কখনো মনে পুষে রাখবেন না। কান্নার মাধ্যমে আপনি আপনার মনের যতো জমানো কষ্ট, ক্ষোভ, রাগ, হতাশা, ব্যাথা-বেদনা আছে তা বের করে দিন। কান্নার ফলে আপনি আবার সহজ হয়ে নিজের মধ্যে নতুন শক্তি পাবেন আরেকবার এগিয়ে চলার।


                    • 1035 views
                    • 1 answers
                    • 0 votes
                  • Professor Asked on February 28, 2015 in স্বাস্থ্য.

                      আমরা সাধারণভাবে জানি যে দিনের বেলায় ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো কিন্তু ইউনিভার্সিটি অফ ক্যামব্রিজের সম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, দিনের ওই ঘুম মানুষের আয়ু কমে যাওয়ার কারণ। গবেষণার ফলাফলে বলা হয়েছে, মধ্যবয়সী এবং বৃদ্ধদের দিনের ঘুম মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়। ওই ঘুম মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।

                      ওই গবেষণায় দেখা গেছে, ৪০-৬৫ বছরের মানুষ যারা দিনে এক ঘণ্টা বা এর বেশি ঘুমায় তাদের আয়ু অনেক কম, তাদের চাইতে যারা দিনে ঘুমায় না। ওই গবেষণাদলের প্রধান গবেষক ইউ লেং বলেন, “দিনে ঘুমের অভ্যাস শ্বাসসম্পর্কিত নানা রোগের জন্ম দেয়। বিশেষ করে দিনের ঘুমের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হন ৬৫ বছর বা তার চেয়ে একটু কম বয়সী মানুষরা।”

                      ইংল্যান্ডের ১৬ হাজার মানুষের ওপর ১৩ বছর ধরে ওই গবেষণা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউ লেং। ৪০-৭৯ বছর বয়স্কদের মধ্যে যারা প্রতিদিন এক ঘণ্টার কম সময় দিনে ঘুমান তাদের আয়ু ১৪ শতাংশই ওই গবেষণা চলাকালীন ১৩ বছরের মধ্যে মারা গেছেন। আর যারা প্রতিদিন এক ঘণ্টা বা তার বেশি সময় ঘুমান তাদের ৩২ শতাংই আরো কম সময়ের মধ্যেই দেহত্যাগ করেছেন। গবেষকরা বলেছেন, আরো যেসব বিষয় মানুষের মৃত্যুকে তরান্বিত করে তাহল, ধুমপান, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা প্রভৃতি।

                      • 607 views
                      • 1 answers
                      • 0 votes
                    • Professor Asked on February 28, 2015 in স্বাস্থ্য.

                        মুখে গন্ধ হওয়ার কারণ :

                        ১. আপনি দাঁতের যত্ন নিচ্ছেন না

                        ২০১২ সালে ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ওরাল সায়েন্সে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়, দাঁতের পরিচ্ছন্নতা না থাকার জন্য শতকরা ৮৫ ভাগ দায়ী মানুষের বদ অভ্যাস। আর এর পেছনে কাজ করে মুখের ভেতরে খাদ্যকণা ঠিকমতো পরিষ্কার না করা। এর কারণে মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া জন্মায়, জানালেন নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ মার্ক গিবার। আমেরিকান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশনের কনজ্যুমার অ্যাডভাইজার ডেন্টিস্ট রিচার্ড এইচ প্রাইস বলেন, জিহবার নিচে অক্সিজেন ছাড়া বেঁচে থাকা এ ব্যাকটেরিয়া সালফার কম্পাউন্ড উৎপাদন করে যার গন্ধ অনেকটা পচা ডিমের মতো। আর এ গন্ধ দূর করতে হলে দিনে অন্তত দুইবার দাঁত ব্রাশ করতে হবে।

                        ২. যথেষ্ট পানি খান না

                        দেহে পানির অভাবে খুব অল্প পরিমাণ সেলিভা উৎপন্ন হয়। সেলিভা মুখের এসব ব্যাকটেরিয়াকে পরিষ্কার করে। পানির অভাবে মুখের ভেতর শুকনো থাকে এবং সেলিভা মরে যায়। এই মৃত সেলিভা কোষ থেকেও বাজে গন্ধ তৈরি হয়।

                        ৩. অ্যালার্জিও দায়ী

                        অ্যালার্জির কারণে অনেকে নাক দিয়ে শ্বাস নিতে পারেন না। তখন মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে হয় এবং এতে মুখের ভিতরটা শুকিয়ে যায়। ফলে সেই একই সমস্যা। নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ ডেল আমান্ডা টেইলর বলেন, অ্যালার্জির সমস্যা থাকলেও মুখে দুর্গন্ধ হয়। অ্যালার্জির চিকিৎসা নিন।

                        ৪. বাজে গন্ধ উৎপন্নকারী খাবার বেশি খেলে

                        এটা বলে বোঝাতে হবে না যে, রসুন খেলে মুখে দুর্গন্ধ হবেই। আবার দুধ খুবই ভালো খাদ্য। কিন্তু এ দ্রব্য মুখে এক ধরনের শ্লেষ্মা উৎপন্ন করে যা দুর্গন্ধ তৈরি করে, জানালেন ডেন্টিস্ট মার্থা অ্যান কিলস। এ জাতীয় উচ্চমাত্রার কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ খাবার বেশি খেলে বাজে গন্ধের শ্লেষ্মা হয়। তাই এগুলো বেশি পরিমাণ খাবেন না।

                        ৫. সাইনাস অথবা টনসিলে সংক্রমণ থাকলে

                        সাইনাসে সংক্রমণ ঘটলে বাজে গন্ধ আসে মুখ থেকে। ডাক্তারের পরামর্শ মতো অ্যান্টিবায়োটিক বা নেটি পট থেরাপির মাধ্যমে সাইনাসের বাজে শ্লেষ্মা দূর করা যায়, জানালেন নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ জেমস এন পালমার। এ ছাড়া টনসিলে সংক্রমণ ঘটলে এক ধরনের ক্যালসিয়াম পাথর জন্মে যা কটু গন্ধ সৃষ্টি করে।

                        ৬. এসিডিটির সমস্যা

                        এসিডিটির ফলে পাকস্থলীর জ্বালাপোড়া থেকে ভিনেগারের মতো গন্ধ তৈরি হয়। টক জাতীয় ঢেকুর হয়ে তা মুখে বাজে গন্ধ ছড়িয়ে দেয়।

                        ৭. ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে

                        মুখে খুব বাজে ধরনের গন্ধ ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধির কারণে হতে পারে। তবে তা কদাচিৎ দেখা যায়। এ গন্ধের বৈশিষ্ট্য অনেকটা টক এবং পনিরের মতো। যে সব মানুষের নানা ব্যাধির কারণে বেশি পরিমাণ তেজক্রিয় রশ্মির পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়, তাদের এমনটি হতে পারে।


                        • 666 views
                        • 1 answers
                        • 0 votes