ZoomBangla Answer's Profile
Professor
14182
Points

Questions
3

Answers
7076

  • Professor Asked on February 28, 2015 in স্বাস্থ্য.

      জন্মগতভাবে অনেকের লিঙ্গ বাঁকা হয়ে থাকে। হস্তমৈথুনের কারণে লিঙ্গ বাঁকা হবার সম্ভাবনা নেই।

      • 621 views
      • 1 answers
      • 0 votes
    • Professor Asked on February 28, 2015 in স্বাস্থ্য.

        হ্যাঁ বিষয়টি সত্যি যে পুরুষের শুক্রাণুর গতি বৃদ্ধিতে গাজরের অসাধারণ ভূমিকা রয়েছে। কেননা নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে শাক-সব্জী সুস্থ সবল শুক্রাণু তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে।

        সম্প্রতি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ পাবলিক হেলথের গবেষকরা দাবি করেছেন গাজর একাই ডিম্বাণুর দিকে শুক্রাণুর গতি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। গাজরের সঙ্গে লেটুস, পালংও বাড়িয়ে দিতে পারে শুক্রাণুর গতি।

        গাজর, লেটুস, পালংয়ের মত সব্জীতে বিটা-ক্যারোটিন নামের এক জাতীয় অ্যান্টিঅক্সিডান্ট থাকে। গবেষকদের মতে এই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ডিম্বাণু অভিমুখে শুক্রাণুর গতি ৬.৫% থেকে ৮% বাড়িয়ে দিতে পারে। অন্যদিকে, টমেটোর মধ্যে লাইকোপেন নামক এক ধরনের প্রোটিন থাকে। টম্যাটোর লাল রংয়ের জন্য দায়ি এই প্রোটিন। লাইকোপেন অস্বাভাবিক আকৃতির শুক্রাণুর উৎপন্নকে প্রতিহত করে।

        • 664 views
        • 1 answers
        • 0 votes
      • Professor Asked on February 28, 2015 in স্বাস্থ্য.

          প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ গ্লাস পানি খাওয়া শরীরের জন্য জরুরী। তবে সকালে খালি পেটে পানি খাওয়া আরও অনেক বেশি উপকারি। জেনে নিন এর উপকারিতা কী কী।

          কেন খাবেন :

          – মানুষের শরীরের ৭০% থাকে পানি। শরীরের সব কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার জন্য পানি খাওয়া জরুরী।
          – মানুষের মস্তিষ্কের প্রায় ৮৫ ভাগই পানি।
          – মানুষের মাংশপেশীর প্রায় ৭৫% পানি।
          – রক্তের ৮২% পানি।

          উপকারিতা :

          ত্বক সুন্দর হয়ঃ

          সকালে প্রতিদিন খালি পেটে পানি খেলে রক্তের দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায় এবং ত্বক সুন্দর ও উজ্জ্বল হয়।

          হজম প্রক্রিয়াঃ

          রাতে ঘুমানোর ফলে দীর্ঘ সময় ধরে হজম প্রক্রিয়ার তেমন কোনো কাজ থাকে না। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করার জন্য অন্তত এক গ্লাস পানি খেয়ে নেয়া উচিত।

          কোষ গঠন করেঃ

          প্রতিদিন সকালে নাস্তার আগে এক গ্লাস পানি খেলে নতুন মাংসপেশি ও কোষ গঠনের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়।

          ওজন কমেঃ

          প্রতিদিন সকালে অন্তত ১৬ আউন্স হালকা গরম পানি খেলে শরীরের মেটাবলিসম ২৪% বেড়ে যায় এবং শরীরের ওজন কমে।

          মলাশয় পরিষ্কার করেঃ

          প্রতিদিন খালি পেটে এক গ্লাস করে পানি খেলে মলাশয় পরিষ্কার হয় যায় এবং শরীর নতুন করে খাবার থেকে পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে সহজেই।

          অসুখ কমায়ঃ

          প্রতিদিন সকালে মাত্র এক গ্লাস পানি খেলে বমি ভাব, গলার সমস্যা, মাসিকের সমস্যা, ডায়রিয়া, কিডনির সমস্যা, আথ্রাইটিস, মাথা ব্যাথা ইত্যাদি অসুখ কমাতে সহায়তা করে।


          • 588 views
          • 1 answers
          • 0 votes
        • Professor Asked on February 28, 2015 in স্বাস্থ্য.

            চোখের তলায় ভাঁজ, বলিরেখা, খোলা রোমকূপ, নির্জীব ত্বক এসবই বয়সের ছাপের লক্ষণ। বয়স বাড়লে ত্বকে তার প্রভাব পড়বেই। তবে নিয়মিত পরিচর্যায় ত্বক সতেজ ও সুন্দর রাখা সম্ভব। দীর্ঘদিন ধরে ত্বকের যত্ন না নিলে বেশি বয়সের অনেক আগেই ত্বকে বয়সের ছাপ দেখা যায়। তাই অবহেলা না করে শুরু থেকেই ত্বকের যত্ন নেয়া উচিত।

            রোদ থেকে বাঁচুন

            ত্বকের সবচেয়ে ক্ষতি করে রোদ। সারাদিন বাইরে রোদের মধ্যে থাকলে, ইউভি রশ্মি থেকে সেল ড্যামেজ হয়। এজিংয়ের অন্যতম কারণ এই সেল ড্যামেজ। এর ফলে ত্বকের বিভিন্ন স্তর, বিশেষ করে সাপোর্টিভ লেয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রোদে বের হওয়ার অন্তত ২০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন লাগাবেন। সমুদ্রের ধারে, বরফের জায়গায় সূর্যরশ্মি থেকে বেশি ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই সাঁতার কাটার সময় বা সমুদ্রের ধারে বেড়াতে গেলে বা পাহাড়ে ঠাণ্ডা জায়গায় গেলে সঙ্গে অবশ্যই সানস্ক্রিন নেবেন।

            ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখুন

            স্বাভাবিক ও শুষ্ক ত্বক ভালো রাখার জন্য ময়েশ্চার খুব জরুরি। বেশিক্ষণ এয়ারকন্ডিশনে থাকলে আরো বেশি করে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা দরকার। অতিরিক্ত গরমে বা ঠাণ্ডায় ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, ত্বক ভঙ্গুর হয়ে পড়ে, বলিরেখা দেখা যায়। সাধারণত সাবান, পানি দিয়েই আমরা ত্বক পরিষ্কার করে থাকি। সাবান ব্যবহারের ফলে ত্বকের স্বাভাবিক অ্যাসিড ব্যালেন্স নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ফলে ত্বকে ময়েশ্চারাইজারের অভাব দেখা যায়। শুষ্ক ত্বকের জন্য সাবানের বদলে ক্লিনজিং জেল ব্যবহার করুন। এটি ত্বকের ওপর জমে থাকা ধুলা-ময়লা পরিষ্কার করে দেয়। দিনে দুবার ত্বক পরিষ্কার করুন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ত্বক পরিষ্কার করা খুবই জরুরি।

            ত্বকের পুষ্টি বা নারিশিং নিশ্চিত করুন

            ত্বকের ময়েশ্চার ধরে রাখার জন্য নারিশিং জরুরি। শুষ্ক ত্বক ভালো রাখার জন্য নাইট কেয়ার রুটিন মেনে চলুন। আপনার নারিশিং ক্রিমের উপকরণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন, এনজাইম ইত্যাদি রয়েছে কি না দেখে নিন।

            নজর দিন ত্বকের সব জায়গাতেই

            স্ক্রিন কেয়ার রুটিনে ত্বকের বিশেষ অংশগুলোর দিকে নজর দিতে ভুলবেন না। ঘাড়, চোখ ও হাতের অংশে সহজে বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করে। ফোলা চোখের সমস্যা কমাতে বরফ ঠাণ্ডা পানি বা ঠাণ্ডা দুধ চোখের পাতার ওপর ১০-১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। যেহেতু শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় হাতে অনেক আগেই বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করে, তাই বাসন ধোয়া, কাপড় কাচার সময় রবার গ্লাভস পরতে পারেন। গোসল বা বাড়ির কাজ করার পর হাতে ভালোভাবে ক্রিম ম্যাসাজ করে নিন। দুই টেবিল চামচ চিনি, কয়েক ফোঁটা তেল, লেবুর রস হাতে নিয়ে ভালো করে ঘষে নিন।


            • 608 views
            • 1 answers
            • 0 votes
          • Professor Asked on February 28, 2015 in স্বাস্থ্য.

              মার্কিন গবেষকরা আভাস দিয়েছেন যে এবার আর ওষুধ নয় সরাসরি কৃত্রিম পুরুষাঙ্গ আসছে অক্ষম পুরুষদের জন্য। এ পুরুষাঙ্গ যৌনসুখও দেবে ষোলোআনা।

              জানা গেছে, জন্মসূত্রে বা দুর্ঘটনার কারণে অনেক পুরুষই স্ত্রীর যৌন কামনা চরিতার্থ করতে অক্ষম। সংসার বাঁচাতে অনেকেই ট্যাবলেট-তেল-মলম তাবিজ-কবচ-ঝাড়ফুঁক নিয়ে থাকেন। কিন্তু ফলাফল শূন্য। তাদের জন্যই এ কৃত্রিম পুরুষাঙ্গ তৈরি করা হয়েছে।

              যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর ক্যারোলিনার ওয়েক ফরেস্ট ইনস্টিটিউট ফর রিজেনারেটিভ মেডিসিন সেন্টারের গবেষকরা সম্প্রতি দাবি করেছেন, তারা ৬টি কৃত্রিম পুরুষাঙ্গ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ দপ্তরের ছাড়পত্র পাওয়া গেলে এই প্রযুক্তি বাণিজ্যিকভাবে কাজে লাগানো হবে।

              গবেষকদের মতে, জন্মসূত্রে অনেক পুরুষের লিঙ্গের আকারগত ত্রুটি থেকে যায়। আবার অনেকের সে সমস্যা না থাকলেও সঙ্গমের সময় পুরুষাঙ্গের সঠিক কাঠিন্য ও উত্থান সম্ভব হয় না। এসব কারণে তারা যৌন মিলনে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারেন না। শারীরিক অক্ষমতার কারণে যৌনসঙ্গীর চাহিদা মেটাতে না পেরে হীনমন্যতায় ভুগতে দেখা যায় বহু পুরুষকে। বিবাহ বিচ্ছেদের পিছনেও এর প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে বলে জানা যায়। এই সমস্ত ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সমাধান হবে কৃত্রিম পুরুষাঙ্গ। এর দ্বারা যৌন মিলনে স্বাচ্ছন্দ্য আসবে। রতিসুখ জোগাতে যৌনাঙ্গের স্বাভাবিক কাজই করবে কৃত্রিম এই অঙ্গ।

              কীভাবে নির্মাণ হয় কৃত্রিম পুরুষাঙ্গ?

              মার্কিন গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রধানত হাত বা থাইয়ের পেশি থেকে ল্যাবরেটরিতে কৃত্রিম লিঙ্গ গড়া হয়েছে। এর কাঠিন্য ও উত্থান স্বাভাবিক করতে ব্যবহার করা হয়েছে পেনাইল প্রস্থেটিক প্রযুক্তি। কৃত্রিম লিঙ্গের বহিরাঙ্গে পেশি সংযোগ গঠনকারী প্রোটিন কোলাজেন থেকে তৈরি এক বিশেষ কোষ তৈরি করা হয়েছে। এই কোলাজেন প্রথমে সংগ্রহ করা হয় কোনও স্বাভাবিক পুরুষাঙ্গের কোষ থেকে। এরপর দাতা কোষগুলি থেকে তার ডিএনএ রাসায়নিক উপায়ে ধুয়ে ফেলে দেয়া হয়েছে। তারপর রোগীর দেহে অবস্থিত লিঙ্গ অথবা অঙ্গহানির ক্ষেত্রে লিঙ্গের অবশিষ্ট অংশ থেকে সংগ্রহ করা কোষের সঙ্গে সেই কোলাজেন মিশিয়ে তা রোগীর দেহে ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রবেশ করানো হয়।

              বৈজ্ঞানিকদের দাবি, ইতিমধ্যে খরগোশের ক্ষেত্রে কৃত্রিম পুরুষাঙ্গ ব্যবহার করে সুফল পাওয়া গেছে।


              • 692 views
              • 1 answers
              • 0 votes
            • Professor Asked on February 28, 2015 in স্বাস্থ্য.

                হ্যাঁ ওষুধের মাধ্যমে নারীদের যৌন উত্তেজনা বাড়ানো সম্ভব। বাজারে এমন কিছু সেক্সুয়াল ওষুধ পাওয়া যায় যেগুলো নারী পুরুষ উভয়েরই যৌন উত্তেজনা বাড়াতে সক্ষম। তবে এগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ক্ষতিকর বলে এই ওষুধগুলো সেবন না করাই ভালো। ধন্যবাদ

                • 720 views
                • 1 answers
                • 0 votes
              • Professor Asked on February 28, 2015 in স্বাস্থ্য.

                  যেকোনো সময় হতে পারে। বিশেষ করে রাতে হতে পারে।

                  • 1256 views
                  • 1 answers
                  • 0 votes
                • Professor Asked on February 28, 2015 in স্বাস্থ্য.

                    দেরিতে সন্তান চাইলে বা কোনো সন্তান না চাইলে পরিবার-পরিকল্পনার পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়। এর মাঝে কতোগুলো অস্থায়ী অর্থাৎ যতোদিন এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে ততোদিন মহিলাটি গর্ভবতী হবে না। ব্যবহার বন্ধের পর বাচ্চা চাইলে আবার সন্তান ধারণ সম্ভব। খাবার বড়ি, কনডম, ওটঈউ, ইনজেকশন, নরপ্ল্যান্ট এদের মধ্যে অন্যতম।মহিলাদের জন্য লাইগেশন ও পুরুষদের জন্য ভ্যাসেকটমি স্থায়ী বন্ধ্যাকরণ পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত।

                    প্রাকৃতিক পদ্ধতি :

                    যে সকল মহিলার প্রতিমাসে মাসিক হয় সাধারণত ধরে নেয়া হয় তাদের মাসিক শুরু হবার ১০ থেকে ১৮তম দিনের যেকোনো ১ দিন ডিম্বাশয় থেকে ১টি পরিপক্ক ডিম্বাণু নিঃসরিত হয়। ডিম্বাণুটি নিঃসরণের পর মাত্র ১ দিন সময় থাকে তা নিষিক্ত হবার জন্য। এ কারণে কেউ যদি ঐ সময়ে দৈহিক মিলন থেকে বিরত থাকেন তবে তার সন্তান ধারণের সম্ভাবনা কম থাকে।

                    অন্যভাবে বলা যায় মাসিক শুরু হবার পর থেকে পুরো সময়টিকে ৩ ভাগে ভাগ করে গড়ে মাঝের ১০ দিন দৈহিক মিলন থেকে বিরত থাকলে তা জন্মনিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ১ম ১০ দিন এবং শেষ ১০ দিন সময় নিরাপদ। তবে অনিয়মিত মাসিকের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য নয়।

                    যে সময়ে মহিলাদের ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নিঃসৃত হয়, খুব খেয়াল করলে দেখা যায় জরায়ুর মুখ থেকে সে সময়ে পরিষ্কার, স্বচ্ছ, টানলে দৈর্ঘ্য বড় হয় এরকম স্রাব নিঃসৃত হয়। আর নিরাপদ সময়ে অস্বচ্ছ, আঠালো, টেনে বাড়ানো যায় না এমন স্রাব নিঃসৃত হয়।

                    এছাড়া শরীরের তাপমাত্রা এ সময় কিছুটা বৃদ্ধি পায়। এসব বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রেখে অনেকেই তাদের উর্বর সময় বেছে নিয়ে ঐসময়ে দৈহিক মিলন থেকে বিরত থেকে জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।

                    সেসব মায়েরা সন্তান জন্মদানের পর শিশুদের কেবল মাত্র বুকের দুধ খাওয়ান তাদের ক্ষেত্রে এই বুকের দুধ খাওয়ানোটাই শতকরা ৯৮ ভাগ ক্ষেত্রে জন্মনিয়ন্ত্রণের কাজ করে।

                    আমাদের দেশে অনেক ধরনের আধুনিক, নিরাপদ ও কার্যকর জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি প্রচলিত আছে। দম্পতিরা পদ্ধতিগুলোর সুবিধা, কার্যকারিতা ও ব্যবহার বিধি ভালোভাবে জেনে এদের মধ্য থেকে নিজেদের পছন্দমতো ও উপযুক্ত পদ্ধতি বেছে নিতে পারেন।

                    জন্মনিয়ন্ত্রণ অস্থায়ী ব্যবস্থাসমূহ

                    খাবার বড়ি :

                    বহুল ব্যবহৃত ১টি অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ‘খাবার বড়ি’। ১টি বড়ির পাতায় সাধারণত ২৮টি বড়ি থাকে। ২১টি সাদা রঙের বড়ি এবং ৭টি খয়েরি রঙের আয়রন বড়ি। সাদা বড়িতে ২টি হরমোন আছে যা গর্ভধারণ প্রতিরোধ করে।
                    এটি প্রতিমাসে ডিম্বাণু নিঃসরণ বন্ধ রাখে। জরায়ুর মুখের রসকে ঘন করে ফলে শুক্রাণু জরায়ুতে প্রবেশ করতে পারে না এবং নিষিক্ত ডিম্বাণুকে জরায়ুতে গেঁথে যেতে দেয় না।

                    সঠিকভাবে গ্রহণ করলে এটি ৯৭ থেকে ৯৯ ভাগ কার্যকর। মাসিকের ১ম দিন থেকে ২১ দিন পর্যন্ত নিয়মিত একই সময়ে সাদা বড়ি খেতে হয়। এরপর প্রতিদিন ১টি করে আয়রন বড়ি বা লাল বড়ি খেতে হবে। খয়েরি বড়ি বা আয়রন বড়ি খাওয়া শুরু করার ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে সাধারণত মাসিক শুরু হয়। মাসিক শেষ হোক বা নাই হোক খয়েরি বড়ি শেষ হবার পরদিন থেকেই ১টি নতুন পাতা থেকে পূর্বের নিয়মে পুনরায় সাদা বড়ি খাওয়া শুরু করতে হবে।

                    ১ দিন বড়ি খেতে ভুলে গেলে পরদিন মনে হবার সঙ্গে সঙ্গে ১টি (ভুলে যাওয়া বড়ি) এবং নির্ধারিত সময়ে আরো ১টি (ঐ দিনের জন্য নির্ধারিত) বড়ি খেতে হবে। অর্থাৎ সেদিন ২টি বড়ি খেতে হবে। গর্ভপাত বা গজ করাবার পরপরই বড়ি খাওয়া শুরু করতে হয়। ডায়রিয়া বা বমির কারণে খাবার বড়িটি ঠিকমতো শরীরে শোষিত না হলে অনেক সময় বড়ি গ্রহণ অবস্থায়ও মহিলারা গর্ভবতী হয়ে যেতে পারেন।

                    খাবার বড়ি গ্রহণে মাসিকের সময়ের অতিরিক্ত পেটে ব্যথা, রক্তশূন্যতা, ডিম্বাশয় ও জরায়ুর ক্যান্সার, একটোপিক প্রেগনেন্সি, স্তনের টিউমারের ঝুঁকি কমে যায়। এ ছাড়া তার অনিয়মিত মাসিককে নিয়মিত করে। শতকরা ৯৮ ভাগ ক্ষেত্রে খাবার বড়ি বন্ধ করার ৩ মাসের মধ্যে ঙাঁষধঃরড়হ নিয়মিত হয়ে যায় এবং মহিলাটি চাইলে আবার গর্ভবতী হতে পারে।

                    খাবার বড়ি গ্রহণে অনেকের ১ম দিকে বিশেষ করে ১ম ৩ থেকে ৪ মাসে ছোটখাটো অসুবিধা বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যেমন বমিভাব, মাথা ধরা, ফোঁটা ফোঁটা রক্ত যাওয়া, ওজন বেড়ে যাওয়া, স্তন ভারী বোধ করা, মুখে কালো ছোপ পড়া ইত্যাদি। এর বেশির ভাগই পরবর্তীতে চলে যায়।

                    তবে অনেকের রক্তে ঈযড়ষবংঃবৎড়ষ বা চর্বির মাত্রা বেড়ে যায়, লিভারের কার্যক্রম ব্যাহত হয়, পিত্তথলিতে পাথর হতে পারে, অনেক ক্ষেত্রে রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং দীর্ঘদিন ব্যবহারে রক্তনালীতে রক্ত জমাট বেঁধে যাবার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।

                    ইনজেকশন :

                    সহজ, নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ আরেকটি অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি এই ইনজেকশন। এটি ৩ মাস মেয়াদি। কার্যকারিতার হার শতকরা ৯৮ থেকে ৯৯ ভাগ। এখানে কেবল মাত্র ঢ়ৎড়মবংঃবৎড়হব হরমোন ব্যবহৃত হয়।

                    এটি ডিম্বাশয়ে ডিম্বাণু পরিপক্ব হতে বাধা দেয়, জরায়ুর মুখের রসকে ঘন ও আঠালো করে, যাতে শুক্রাণু প্রবেশ করতে না পারে এবং জরায়ুর ভেতরের আবরণকে গর্ভসঞ্চারের অনুপযোগী করে গড়ে তোলে।

                    হাত বা নিতম্বের গভীর মাংসপেশিতে মাসিক শুরু হবার ৭ দিনের মধ্যে ইনজেকশন নিতে হয়। যারা বাচ্চাদের বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন কিংবা প্রতিদিন মনে করে বড়ি খেতে অসুবিধা বোধ করেন তাদের জন্য এটি অত্যন্ত উপযোগী।

                    এটি গ্রহণে মাসিক অনিয়মিত হতে পারে, অনেক দিন পর্যন্ত বন্ধ থাকতে পারে বা ফোঁটা ফোঁটা রক্তস্রাব যেতে পারে, এ পদ্ধতি ছেড়ে দেয়ার ৬ থেকে ১২ মাস পর মাসিক ফেরত আসতে পারে। তবে ঙাঁষধঃরড়হ যে কবে শুরু হবে তা অনেক ক্ষেত্রে বলা যায় না।

                    নরপ্ল্যান্ট :

                    ১টি দীর্ঘমেয়াদি অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নাম নরপ্ল্যান্ট। কার্যকারিতার মেয়াদ ৫ বছর। নরপ্ল্যান্টের সেটে ৬টি ছোট নরম চিকন ক্যাপ্সুল থাকে, যা মহিলাদের হাতের ভেতরের দিক- কনুইয়ের ওপরে- চামড়ার ঠিক নিচে স্থাপন করা হয়।
                    ইনজেকশনের মতো এখানেও ঢ়ৎড়মবংঃবৎড়হব হরমোন থাকে। কাজ করে ঐ একই ভাবে। শতকরা ৯৯ ভাগ কার্যকর। এটি ১ বার গ্রহণে পরবর্তী ৫ বছর অন্য কোনো পদ্ধতি ব্যবহারের ঝামেলা থাকে না। মেয়াদ শেষ হবার আগেও এটি খুলে নেয়া যাবে।

                    নরপ্ল্যান্ট লাগাতে ও খুলতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডাক্তারের সাহায্য নিতে হয়। হাতের চামড়ার নিচে হালকাভাবে দেখা যায় বলে অনেকে অস্বস্তি বোধ করেন। নরপ্ল্যান্ট লাগানোর ১ মাস পর ক্লিনিকে এসে পরীক্ষা করাতে হয়। পরবর্তীতে ৬ মাস পর এবং এরপর প্রতি বছরে ১ বার এসে পরীক্ষা করাতে হয়।

                    যদি কোনো দম্পতি জন্মনিয়ন্ত্রণ কোনো পদ্ধতি গ্রহণ ছাড়াই দৈহিক মিলনে লিপ্ত হন কিন্তু তারা এখন হয়তো বাচ্চা নিতে চাইছেন না, এছাড়া যদি তারা বুঝতে পারেন তাদের ব্যবহৃত জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিটি হয়তো ঠিকমতো কাজ করবে না, সে ক্ষেত্রে দৈহিক মিলনের ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ১২ ঘণ্টার পার্থক্য ২টি ট্যাবলেট খাবার উপদেশ দেয়া হয়।

                    বিকল্প হিসাবে একই সঙ্গে ৪টি জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খেয়ে তার ১২ ঘণ্টা পর আবার ৪টি জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি এক সঙ্গে খাওয়া যেতে পারে।

                    এটি শতকরা ৯৮ ভাগ কার্যকর। তবে যদি ওষুধ খাবার ৩ সপ্তাহের মধ্যে মাসিক না হয় তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে বলা হয়।

                    একটি দীর্ঘমেয়াদি অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। এটি জরায়ুর ভেতরে স্থাপন করতে হয়। প্রকার ভেদে এটি ৫ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত কাজ করতে পারে। সফলতার হার ৯৭ থেকে ৯৯ ভাগ। মেয়াদ শেষের পর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তি দিয়ে খুলিয়ে নতুন ওটঈউ পরা যায়। এটি জরায়ুর ভেতরে শুক্রাণু চলাচলের পথে বাধা তৈরি করে ফলে শুক্রাণু ডিম্বাণুর সঙ্গে মিলতে পারে না এবং জরায়ুর গায়ে ভ্র্রণটিকে গেঁথে যেতে দেয় না।

                    যারা হরমোন জাতীয় পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন না তাদের জন্য এটি আদর্শ পদ্ধতি। তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই মহিলাটিকে ১টি জীবিত সন্তানের মা হতে হবে।

                    এর নিচের দিকে ১টি নাইলনের সুতা থাকে এই সুতার সাহায্যে পরীক্ষা করে দেখা যায় ওটঈউটি ঠিক জায়গায় আছে কিনা। এছাড়া আলট্রাসনোগ্রাম ও এক্সরে করে এর অবস্থান শনাক্ত করা যায়।

                    অনেক সময় এটি আপনাআপনি বের হয়ে যেতে পারে তাই প্রত্যেক মাসিকের পর সুতাটিকে পরীক্ষা করে দেখা উচিত। ব্যবহারকারীরা প্রায়ই ফোঁটা ফোঁটা রক্ত যাওয়া, তলপেট মোচড়ানো ব্যথা, অতিরিক্ত স্রাব যাওয়া অভিযোগ করেন।

                    কনডম :

                    পুরুষদের ব্যবহারের জন্য ১টি নিরাপদ, অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। এটি ব্যবহারে শুক্রাণু জরায়ুতে প্রবেশ করতে পারে না। ফলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে না।

                    সঠিকভাবে ব্যবহার করলে এটি শতকরা ৯৭ ভাগ কার্যকর। এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। পাশাপাশি এটি যৌনবাহিত রোগ এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।

                    প্রতিবার সহবাসের সময় ১টি নতুন কনডম ব্যবহার করতে হয়। ৫ বছরের বেশি পুরোনো বা মেয়াদউত্তীর্ণ কনডম ব্যবহার করা উচিত নয়।

                    নববিবাহিত, যার স্ত্রী সম্প্রতি সন্তান প্রসব করেছেন, সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন, যে দম্পতি দুজন দু জায়গায় থাকেন এবং মাঝে মাঝে সহবাসে মিলিত হন, যার স্ত্রী পরপর ২ বা তার বেশি দিন খাবার বড়ি খেতে ভুলে গেছেন- তারা মাস শেষ হওয়ার বাকি দিনগুলোতে কনডম ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া যারা অন্য কোনো পদ্ধতি গ্রহণের কথা ভাবছেন কিন্তু এখনো মনস্থির করতে পারছেন না কিংবা ভ্যাসেকটমির পর ২০ বার সহবাসের সময় কনডম ব্যবহার করা উচিত।


                    • 601 views
                    • 1 answers
                    • 0 votes
                  • Professor Asked on February 28, 2015 in স্বাস্থ্য.

                      সৌন্দর্য বর্ধন বা প্রয়োজন, কারণ যেটাই হোক, কন্টাক্ট লেন্স এর ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলছে। বিভিন্ন প্রোগ্রাম বা অনুষ্ঠানে নারীরা নিজেদের আকর্ষণীয় করে তুলতে কন্টাক্ট লেন্স পরে থাকেন। অনেকে আবার চশমার পরিবর্তে কন্টাক্ট লেন্স পরে থাকেন। তবে কন্টাক্ট লেন্স অনবরত পরার ফলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আসুন কন্টাক্ট লেন্স সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।

                      প্রকারভেদ :

                      লেন্স সাধারণত তিন ধরনের হয়।

                      ১. হার্ড কন্টাক্ট লেন্স

                      ২. আরজিপি কন্টাক্ট লেন্স

                      ৩. সফট কন্টাক্ট লেন্স

                      যে ধরনের সমস্যা হতে পারে :

                      – লেন্স পরিষ্কার করার তরলের মধ্যে যে রাসায়নিক পদার্থ থাকে, তা চোখে এলার্জি করতে পারে।

                      – চোখের কালো মণিতে পানি জমে, পরবর্তীতে ঘা হতে পারে।

                      – কন্টাক্ট লেন্সের চাপে চোখে স্থায়ী অ্যাসটিগমেটিজম বা দৃষ্টি স্বল্পতা হতে পারে।

                      – লেন্স ঘোলা হয়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

                      ব্যবহার বিধি :

                      – প্রথমত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতিরেকে কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করবেন না

                      – কন্টাক্ট লেন্স নিয়মিত নির্দিষ্ট সল্যুশন বা তরল দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।

                      – মেয়াদ উত্তীর্ণ তরল ব্যবহার করবেন না।

                      – বেশি পুরোনো হয়ে গেলে কন্টাক্ট লেন্স পরিবর্তন করবেন।

                      – হার্ড কন্টাক্ট লেন্স বেশিক্ষণ ব্যবহার করা উচিত নয়। প্রয়োজনে দৈনিক অল্প সময় (৩-৪ ঘণ্টা) ব্যবহার করা যায়।

                      – আরজিপি এবং সফট কন্টাক্ট লেন্স ১৫-২০ ঘণ্টা ব্যবহার করা যায়।

                      – প্রতি ২৪ ঘণ্টা পরপর নির্দিষ্ট তরল বা সল্যুশন দিয়ে লেন্স পরিষ্কার করা উত্তম।

                      – কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করা অবস্থায় চোখ লাল হলে লেন্স খুলে ফেলতে হবে এবং ত্বরিত চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

                      – লেন্স পরার আগে অবশ্যই হাত ভালোমত পরিস্কার করে নিন। কন্টাক্ট লেন্সে কখনই নখ দিয়ে চিমটাবেন না এতে লেন্স ছিঁড়ে যেতে পারে।

                      – প্রতিবার ব্যবহারের পর সলিউশ্যন পরিবর্তন করুন।

                      – লেন্স পরে কখনোই কড়া রোদ অথবা তাপ এ যাবেন না, এতে করে লেন্স গোলে চোখের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।

                      – লেন্স পরে থাকা অবস্থায় চোখে পানি দেবেন না।

                      – লেন্স পরে থাকা অবস্থায় চোখ ডলবেন না।

                      – লেন্সে কোনো বালি বা ময়লা ঢুকলে সঙ্গে সঙ্গে লেন্স খুলে ফেলুন।

                      – ঘুমানোর আগে অবশ্যই লেন্স খুলে ঘুমাবেন।

                      এছাড়া কন্টাক্ট লেন্স কেনার ক্ষেত্রে যেসব বিষয় খেয়াল রাখা রাখবেন :

                      -কেনার আগে উৎপাদনের ও মেয়াদের তারিখ দেখে নিতে হবে।

                      -কন্টাক্ট লেন্স এর সঙ্গে নতুন সলিউশ্যন কিনতে হবে।

                      -গায়ের রঙ এর সঙ্গে মানানসই রঙের কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করুন। এমন কোনো রঙের লেন্স ব্যবহার করা উচিৎ নয়, যাতে আপনাকে দেখতে বেমানান লাগে।

                      -প্রতিটি কন্টাক্ট লেন্স এর জন্য আলাদা বক্স ব্যবহার করুন এবং অবশ্যই সেটি যেন সলিউশ্যন পূর্ণ থাকে।


                      • 678 views
                      • 1 answers
                      • 0 votes
                      • 2514 views
                      • 1 answers
                      • 0 votes