14182
Points
Questions
3
Answers
7076
এ দেশের বুকে এখনও বেঁচে থাকা সুন্দর সুন্দর স্থাপনাগুলো দেখে বোঝা যায় মধ্যযুগে প্রাচ্যদেশের মানুষ অনেকটাই সৌখিন ছিলেন। ছোট ছোট কারুকাজ খচিত বিভিন্ন স্থাপনাগুলো ছড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে। এমনই একটি সুন্দর স্থাপনা হল পুরান ঢাকায় অবস্থিত তারা মসজিদ।
নির্মাণ :
পুরান ঢাকার আরমানিটোলার আবুল খয়রাত সড়কে অবস্থিত এই মসজিদটি। খ্রিষ্টীয় আঠারো শতকে ঢাকার জমিদার মির্জা গোলাম পীর ওরফে মির্জা আহমদ জান মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। এই বিশিষ্ট স্থাপনাটিকে মির্জা গোলাম পীরের মসজিদ বা সিতারা মসজিদ বলেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। সতের শতকে দিল্লি, আগ্রা ও লাহোরে নির্মিত মোঘল স্থাপত্য শৈলী অনুসরণে এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।মসজিদটির বিশিষ্টতা :
প্রথম থেকেই মসজিটি আয়তাকার ছিল। মির্জা গোলাম পীর দ্বারা নির্মিত আদি মসজিদটির পরিমাপ ছিল, দৈর্ঘ্যে ৩৩ ফুট (১০.০৬ মিটার) এবং প্রস্থে ১২ ফুট (৪.০৪ মিটার), গম্বুজ ছিল তিনটি। এর ভিতরে মাঝের গম্বুজটি অনেক বড় ছিল। সাদা মার্বেল পাথরের গম্বুজের উপর নীলরঙা তারার নকশা যুক্ত ছিল। এই তারাখচিত নকশার কারণেই মসজিদটি তারা মসজিদ নামে পরিচিত হয়ে উঠে। এর পূর্ব দিকে মসজিদে প্রবেশর জন্য ৩ টি এবং উত্তর দিকে ১ টি এবং দক্ষিণ দিকে ১ টি দরজা ছিল।১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকার তৎকালীন স্থানীয় ব্যবসায়ী আলী জান বেপারী মসজিদটির সংস্কার করেন। এসময় মসজিদটির আকার বৃদ্ধি করা হয় এবং পূর্বদিকে একটি বারান্দা যুক্ত করা হয়। পাশাপাশি মসজিদের মেঝে মোজাইক করা হয়। চিনিটিকরি কৌশলের এই মোজাইকে ব্যবহার করা হয় জাপানী রঙিন চীনা মাটির টুকরো এবং রঙিন কাঁচের টুকরো। ১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দে মসজিদটির পুনরায় সংস্কার করা হয়। এসময় পুরনো একটি মেহরাব ভেঙে দুটো গম্বুজ আর তিনটি নতুন মেহরাব বানানো হয়। সব মিলিয়ে বর্তমানে এর গম্বুজ সংখ্যা ৫ টি। ফলে মসজিদের জায়গা সম্প্রসারিত হয়েছে।
সম্প্রসারিত হওয়ার পরে মসজিদের বতর্মান দৈর্ঘ্য ৭০ ফুট (২১.৩৪ মিটার), প্রস্থ ২৬ ফুট (৭.৯৮ মিটার)। এছাড়া মসজিদের দেয়াল ফুল, চাঁদ, তারা, আরবি ক্যালিওগ্রাফিক লিপি ইত্যাদি দিয়ে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
যেভাবে যাবেন :
পুরনো ঢাকার ৬/৩ আবুল খয়রাত রোডে তারা মসজিদ অবস্থিত। সেখানে আপনি চাইলে রিকসায় ভাড়া ৬০-৭০ টাকা বা বাসে ভাড়া ২০-৩০ টাকা নিবে।- 941 views
- 1 answers
- 0 votes
ধর্মীয় রীতিতে বিয়ে করে থাকলে কোনো সমস্যা হবে না। তবে বিয়ে না করে ফুর্তি করার জন্য থাকলে আপনাদের পুলিশে দিতে পারে এমনকি আপনাদের পরিবারে ফোন করে জানিয়ে দিতে পারে। কেননা বাংলাদেশ ফ্রি সেক্সে সমর্থন করে না।
- 4039 views
- 1 answers
- 0 votes
ল্যাটিন আমেরিকার ব্রাজিলে প্রকাশ্যে আযান দেয়া নিষেধ
- 15719 views
- 1 answers
- 0 votes
কারমাইকেল কলেজ দেশের অন্যতম একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি ১৯১৬ সালে রংপুরে স্থাপিত হয় এবং এর নামকরন করা হয় লর্ড ব্যারন কারমাইকেলের নামানুসারে। সৃষ্টির লগ্ন থেকেই বৃহত্তর রংপুরের শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে ব্যপক অবদান রেখে আসছে এই প্রতিষ্ঠানটি। এই কলেজ বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর অধিভুক্ত।
ছায়া সুনিবিড় এই বিশাল প্রাঙ্গনে একটি ক্যান্টিন, একটি সুদৃশ্য মসজিদ, ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসিক হল,বিভিন্ন বিভাগীয় ভবনএবং বিশাল দুটি খেলার মাঠ। ক্যাম্পাসের দক্ষিণে রংপুর ক্যাডেট কলেজ, উত্তরে রংপুর রেল স্টেশন ও ঐতিহ্যবাহী লালবাগ হাট-বাজার এবং চারপাশ ঘিরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ছাত্রাবাস।
রংপুরের কয়েকজন জমিদার কলেজটির নির্মাণ কাজের জন্য সাড়ে সাত লাখ টাকা সংগ্রহ করেন। কলেজটি ৩২১ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়। ড. ওয়াটকিন্স নামীয় এক জার্মান নাগরিক এর অধ্যক্ষ ছিলেন। ৬১০ ফুট দীর্ঘ ও ৬০ ফুট প্রশস্ত কলেজ ভবনটি বাংলার জমিদারি স্থাপত্যকলার এক অনুপম নিদর্শন। কলেজটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়-এর অধিভুক্ত হয়। ১৯১৭ সালে এটি আই.এ ও বি.এ শ্রেণি এবং ১৯২২ ও ১৯২৫ সালে আই.এসসি ও বি.এসসি খোলার অনুমতি লাভ করে। ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত কলেজে ১৩টি বিষয় পড়ানো হতো। ১৯৫৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়ার পূর্বপর্যন্ত এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর অধিভুক্ত ছিল। ১ জুলাই ১৯৬৩ সালে কলেজটি সরকারিকরণ করা হয়। ১৯৯২ সাল পর্যন্ত এটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এর অধীনে থাকে। অতঃপর কলেজটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়-এর আওতাভুক্ত হয়।
বর্তমানে এটি একটি স্নাতকোত্তর কলেজ যেখানে ১৫টি বিষয়ে অনার্স ও স্নাতকোত্তর (শেষপর্ব) পড়ানো হয় এবং প্রাইভেট স্নাতক (পাশ) পরীক্ষার সুযোগ রয়েছে। কলেজের গ্রন্থাগারটি সমৃদ্ধ। এতে লক্ষাধিক গ্রন্থ রয়েছে। প্রতিটি বিভাগের জন্য সেমিনার লাইব্রেরি (বিভাগীয় লাইব্রেরি) আছে। কর্মরত শিক্ষকের সংখ্যা ১৫০ জন। কলেজে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ২০,০০০। বিস্তৃত পরিসর নিয়ে কলেজের অফিস রুম, কনফারেন্স রুম, শিক্ষক ক্লাব, কর্মচারীদের ক্লাব, ছাত্রছাত্রীদের পৃথক বিশ্রামাগার, ক্যান্টিন, শিক্ষকদের বাসভবন, অধ্যক্ষের বাসভবন, ৪টি একাডেমিক ভবন, শহীদ মিনার ও মসজিদ প্রতিষ্ঠিত। ছাত্রদের জন্য রয়েছে জি.এল ছাত্রাবাস, কে.বি ছাত্রাবাস, সি.এম ছাত্রাবাস ও ওসমানী ছাত্রাবাস এবং ছাত্রীদের জন্য রয়েছে বেগম রোকেয়া ছাত্রীনিবাস, তাপসী রাবেয়া ছাত্রীনিবাস ও শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ছাত্রীনিবাস।
এ কলেজের ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষার পাশাপাশি রোভার স্কাউট ও বাংলাদেশ জাতীয় ক্যাডেট কোর কর্মসূচি এবং খেলাধুলা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।
- 991 views
- 1 answers
- 0 votes
নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্র বাংলাদেশের বান্দরবান জেলায় নীলগিরি পাহাড়চূড়ায় অবস্থিত একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অতি উচ্চে অবস্থানের কারণে এই স্থানটি সর্বদা মেঘমণ্ডিত আর এটাই এই পর্যটন কেন্দ্রের বিশেষ আকর্ষণ। একবিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে নীলগিরি ধীরে ধীরে দেশব্যাপী মানুষের কাছে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত লাভ করতে শুরু করে।
অবস্থান :
সেনানিয়ন্ত্রিত নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্রের উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় তিন হাজার ২০০ ফুট। নীলগিরি এখন পর্যটকদের কাছে মায়াবি এক আকর্ষণ। জেলা সদর থেকে পাহাড়ি আকাঁবাঁকা সড়কে ৪৭ কিলোমিটার দূরে নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্রের অবস্থান। আর বাংলার দার্জিলিং খ্যাত চিম্বুক পাহাড় থেকে থানছি উপজেলা সড়কপথে আরও ২৬ কিলোমিটার যেতে হয় নীলগিরি পৌছাতে। যাওয়ার পথে চারপাশের দৃশ্যগুলো খুবই চমৎকার। সেনাবাহিনীর বান্দরবান ৬৯ পদাতিক সেনা রিজিয়নের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে নীলগিরি পর্যটন স্পটটি। এখানে রাত্রিযাপনসহ থাকা-খাওয়ার সু-ব্যবস্থাও রয়েছে। সেনা নিয়ন্ত্রিত নীলগিরি পর্যটন স্পটে গড়ে তোলা কটেজগুলোও দেখতে বেশ আকর্ষণীয়। চারদিকে শুধু পাহাড় আর পাহাড়। দু চোখ যেদিকে যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। এ যেন অন্যরকম অনুভূতি। যদি মেঘ ছুয়ে দেখতে চান তবে এখনি ছুটে যান প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বান্দরবান।কটেজ সংক্রান্ত তথ্য :
সেনানিয়ন্ত্রিত নীলগিরি রিসোর্টে ছয়টি কটেজ রয়েছে। নামগুলো হচ্ছে আকাশনীলা, মেঘদূত, নীলাঙ্গনা, হেতকরা রাইচা এবং মারমারাইচা। কটেজগুলো থাকতে হলে পর্যটকদের গুণতে হবে ৪ হাজার থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। আর নীলগিরি রেস্টুরেন্টে দশ জনের অধিক খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে বিলের সঙ্গে অতিরিক্ত এক থেকে দেড় হাজার টাকা চার্জ নেয়ার নিয়ম রয়েছে বলে জানা গেছে। নীলগিরি’তে রাত্রিযাপনে কটেজের রুম বুকিং এবং রেস্টুরেন্টে খেতে প্রায় দেড় মাস আগে বুকিং দিতে হয়। বুকিংয়ের ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর অফিসার পর্যায়ের একজন কর্মকর্তার রেফারেন্স অবশ্যই লাগবে। রেফারেন্স ছাড়া কোনো বুকিং নেয়ার নিয়ম নেই নীলগিরি রিসোর্টে। তবে পর্যটকদের ঘুরে বেড়াতে কোনো রেফারেন্স লাগে না, সেক্ষেত্রে নীলগিরি পর্যটন স্পটটি ঘুরে বেড়াতে পর্যটকদের জনপ্রতি ৫০ টাকা এবং গাড়ির জন্য আলাদা ৩০০ টাকা অতিরিক্ত ফি নেয়ার নিয়ম চালু রয়েছে।কীভাবে যাবেন :
চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট থেকে পূরবী-পূর্বানী ননএসি এবং কদমতলি থেকে বিআরটি এসি বাস সার্ভিস চালু রয়েছে বান্দরবান। বান্দরবান-চট্টগ্রাম বাস ভাড়া ননএসি ১১০ টাকা এবং এসি ১২০ টাকা। এছাড়াও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের কেরানীহাট স্টেশন থেকেও বান্দরবান-কেরানীহাট বাস সার্ভিস চালু রয়েছে। যেভাবে খুশি সেভাবেই বান্দরবান যেতে পারেন। নীলগিরিসহ বান্দরবানের পর্যটন স্পটগুলো ঘুরে বেড়াতে ভাড়ায় চালিত বিভিন্ন রকমের গাড়ি পাওয়া যায়। তবে দু’একজনের জন্য জিপ, ল্যান্ড ক্রুজার, পাইপডোরসহ রিজার্ভ গাড়িগুলোর ভাড়া অনেকটা বেশি। তবে বিকল্প ব্যবস্থাও রয়েছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে এবং দলবেঁধে একসঙ্গে নীলগিরি ঘুরে বেড়াতে পারলে খরচ অনেকটা কম হয়। সিএনজি এবং মহেন্দ্র গাড়িতে করেও নীলগিরি যাওয়া যায়। এছাড়াও বান্দরবান-থানছি উপজেলা সড়কে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাস সার্ভিসগুলোতে করেও নীলগিরি যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। সেক্ষেত্রে সময় অপচয় হলেও খরচ কমবে।কোথায় থাকবেন :
বান্দরবানে অসংখ্য রিসোর্ট, হোটেল, মোটল এবং রেস্টহাউজ রয়েছে। যেখানে ৬০০ থেকে ৩ হাজার টাকায় রাত্রিযাপন করতে পারবেন। যেগুলোতে থেকে ভাড়ায় এবং নিজস্ব গাড়িতে করে সপরিবারে নীলগিরি ঘুরে আসতে পারবেন। এছাড়াও নীলগিরি রিসোর্টে থাকা-খাওয়ার সুযোগ-সুবিধাও রয়েছে। সেক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর অফিসার পর্যায়ের একজন কর্মকর্তার রেফারেন্স লাগবে। কারণ রেফারেন্স ছাড়া কোনো বুকিং নেয়ার নিময় নেই নীলগিরি রিসোর্টে। অন্যান্যগুলো হচ্ছে-হলিডে ইন রিসোর্ট : মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্সের বিপরীতে ছোট্ট পাহাড়ের চূড়ায় হলিডে ইন রিসোর্ট। এখানে ছোটছোট অনেকগুলো কটেজ রয়েছে। ফোন-০৩৬১-৬২৮৯৬।
হিলসাইড রিসোর্ট : বান্দরবান-চিম্বুক সড়কের ৫ কিলোমিটার নামকস্থানে অবস্থিত মিলনছড়ি। এখানে রয়েছে উন্নত পরিবেশে রাত্রি যাপনের সু-ব্যাবস্থা। মোবাইল-১৫৫৬৫৩৯০২২।
হোটেল ফোর স্টার : বান্দরবান শহরে অবস্থিত হোটেল ফোরস্টার। এখানে এসি এবং নন এসি দু রকমের রুম রয়েছে। হোটেলের প্রতিটি কক্ষে রয়েছে টেলিভিশন। ফোন-০৩৬১-৬২৪৬৬।
হোটেল থ্রি স্টার : বান্দরবান পৌর শহরে অবস্থিত হোটেল থ্রি স্টার। এখানে সপরিবারে রাত্রি যাপনের সু-ব্যবস্থা রয়েছে। তবে এখানে রুম নয়, ফ্ল্যাট ভাড়া দেয়া হয়। প্রতিটি ফ্ল্যাটে ৮ থেকে ১৫ জন পর্যন্ত থাকার সুযোগ রয়েছে। নিজেরা রান্না করে খাওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। মোবাইল-০১৮১৩২৭৮৭৩১।।
হোটেল রিভার ভিউ : জেলা শহরের মধ্যে সাঙ্গু নদীর পাশ্ববর্তী প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে উঠেছে হোটেল রিভার ভিউ। এখানে নিজস্ব রেস্টুরেন্টও রয়েছে। ফোন-০৩৬১-৬২৭০৭।
- 920 views
- 1 answers
- 0 votes
ঢাকা-কোলকাতা রুটে বাংলাদেশের একটি এবং ভারতের একটি মোট ২টি ট্রেন চলাচল করে। বাংলাদেশ রেলওয়ের BR Rake 3107 শুক্রবার সকাল ৮টায় ঢাকা থেকে এবং BR Rake 3108 কোলকাতা থেকে শনিবার সকাল ৮টায় ছাড়ে। ইন্ডিয়ান রেলওয়ের IR Rake 3109 মঙ্গলবার সকাল ৮টায় কোলকাতা থেকে এবং IR Rake 3110 বুধবার সকাল ৮টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে যায়।
- 847 views
- 1 answers
- 0 votes
একই জায়গায় সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বিরল দৃশ্য পৃথিবীর কটি জায়গায় আছে! সাগরের ঢেউ আছড়ে পড়া আর জেলেদের জালে তাজা মাছের লম্ফঝম্পের দৃশ্য আর কোথায় দেখা যায়! পাশেই সোনারচরের হরিণ পালের হাতছানি আর রূপারচরের রূপ সৌন্দর্য। শুঁটকিপল্লীর কর্মব্যস্ততা। আকাশের রঙে নীল হয় লাল হয় সাগরের পানি। সৈকতসংলগ্ন এলাকায় রয়েছে রাখাইন পল্লী। রাখাইনদের তৈরি তাঁতের কাপড় এবং শামুক-ঝিনুকের বাহারি অলঙ্কার ও শোপিস। পাশেই রয়েছে বৌদ্ধবিহার ও বৌদ্ধমূর্তি। প্রতি কার্তিকের পূর্ণিমায় রাস উৎসব। আরো কত কী!
সোনারচর-রূপারচর : কুয়াকাটাকে ঘিরে সৌন্দর্যের শেষ নেই। পাশেই রয়েছে সোনারচর। নামই বলে দেয়, প্রকৃতি কতটা সৌন্দর্য বিলিয়েছে এখানে। রূপালি বালির ওপর ওখানে সারাক্ষণ ছুটছে লাল কাঁকড়া। বিশাল বনাঞ্চলে সুন্দরবনের আমেজ। সোনারচরের অভ্যন্তরে খালের দুই পাশের বন যেন সবুজের নিশ্ছিদ্র দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ওখানে ছোটাছুটি করছে হরিণ পাল। দেখা মেলে বানর, বুনো মহিষ, মেছোকুমির, মেছোবাঘ, বুনোগরু, মোরগসহ বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখির। এখানকার প্রকৃতি মুহূর্তেই পর্যটককে আপন করে নেয়। সমুদ্র সৈকতের পাশেই একই রূপ-সৌন্দর্যের লীলাভূমি রূপারচর। কুয়াকাটা থেকে ট্রলারযোগে প্রায় তিন ঘণ্টায় পৌঁছানো যায় এখানে। ক্র্যাবল্যান্ড : শীত শুরু হলেই যোগাযোগের সমস্যা কেটে যায় ক্র্যাবল্যান্ডে। প্রকৃতিপ্রেমীরা প্রকৃতির সৌন্দর্যের তৃষ্ণা মেটাতেই এখানে আসেন। ঘুরে বেড়ান ক্র্যাবল্যান্ডের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত। কুয়াকাটা থেকে ট্রলারযোগে এক ঘণ্টায় পেঁৗছানো যায় এখানে। ফাতরারচর : শাল, সেগুন, কেওড়া, গজারি, সুন্দরীসহ নানা বনবৃক্ষ। একই সঙ্গে দেখা মেলে হরিণ, বানরসহ নানা প্রাণীর। গাছ থেকে মধু আহরণ করছে বাওয়ালি। কত না সৌন্দর্যের খেলা কুয়াকাটা থেকে এক ঘণ্টার দূরে ফাতরারচরে। এ ছাড়া কুয়াকাটাসংলগ্ন তুফানিয়া, চরফরিদ ও শিপচরের সৌন্দর্যও উপভোগ্য।
দর্শণার্থী ও ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য এই সৈকতে আছে ভাড়ায় চালিত মটর সাইকেল ও ঘোড়া। ভাড়া সাধারণত দূরত্ব ও সময় অনুযায়ী হয়। কুয়াকাটার আশে পাশের বেশ কয়েকটি চর আছে। সেগুলি দেখতে আপনি যেতে পারেন স্পিডবোট ও ট্রলার কিংবা ইঞ্জিন চালিত বড় নৌকায় করে। কুয়াকাটায় সমুদ্র সৈকতের আশেপাশে বেশ কয়েকটি পিকনিক স্পট রয়েছে। সেগুলিতে রান্না করার সকল ব্যবস্থা আছে। চুলা, খড়ি, হাড়ি, পাতিল থেকে বাবুর্চি পর্যন্ত। মুদ্র উপকূলে পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য রয়েছে- সমুদ্র ভ্রমণকারী জাহাজ ও ট্রলার এবং স্পিড বোট। এসব জাহাজ ও ট্রলারে উঠে পর্যটকরা সুন্দরবনের অংশ বিশেষ ফাতরার চর, সোনার চর, কটকা, হাঁসার চর, গঙ্গামতির লেক ও সুন্দরবনসহ গভীর সমুদ্রে বিচরণ করে অফুরস্ত আত্মতৃপ্তিতে নিজেদের ভরে তোলে। সমুদ্র ভ্রমণকারী জাহাযে থাকা খাওয়ার সু-ব্যবস্থা রয়েছে।
কুয়াকাটায় সীমিত সংখ্যক দোকান আছে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় ও সৌখিন জিনিসপত্র ক্রয় করতে পারবেন সেসব দোকান থেকে। দাম অপেক্ষাকৃত একটু বেশি হলেও অনেক নতুন নতুন আইটেম পাবেন। কুয়াকাটায় দেখার আরেক আকর্ষণ শুঁটকিপল্লি। কুয়াটায় শুটকি পল্লী থাকায় এখানে অনেক কম দামে বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছের শুটকি পাবেন। ইলিশ, রূপচাঁদা, হাঙর, লইট্যা, শাপলাপাতাসহ অসংখ্য প্রজাতির মাছ রোদে শুকিয়ে শুঁটকি বানিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা হয়। বিশাল এলাকায় চ্যাঙ বানিয়ে শুঁটকি তৈরির পদ্ধতি দেখা আরেক মজার অভিজ্ঞতা।
রাখাইন পল্লীঃ
কলাপাড়া উপজেলার পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সৈকতের মনোরম দৃশ্য উপভোগের সাথে পর্যাটকদের জন্য রয়েছে বারতি আকর্ষন আদিবাসী রাখাইনদের স্থাপথ্য নিদর্শন। রাখাইন সম্প্রদায়ের প্রায় দুইশত বছরের পুরানো ঐতিহ্য রয়েছে। “গৌতম বুদ্ধের” বিশাল আকৃতির মূর্তি দেখতে পারেন। দেশের সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ মন্দিরটির অবস্থান কুয়াকাটা থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে রাখাইন পল্লীতে। গৌতম বুদ্ধের এই ধ্যানমগ্ন মূর্তিটি ৩৬ ফুট উঁচু এবং এর ওজনসাড়ে ৩৭ মন। কুয়াকাটা থেকে সেখানে যাওয়ার জন্য মটর সাইকেল প্রধান বাহন। জানা গেছে, মন্দিরের নির্মান সৌন্দর্য চীনের স্থাপত্য অনুসরন করা হয়েছে।দেখে মনে হবে থাইল্যন্ড বা মিয়ানমারের কোন মন্দির।মন্দিরের ভিতরের ভাব গম্ভীর পরিবেশ।ইকোপার্ক ও জাতীয় উদ্যানঃ
সমুদ্র সৈকতের একেবারে কোল ঘেঁষে প্রায় ২০০ একর জায়গায় ষাটের দশকে পরিকল্পিত ভাবে গড়ে উঠা নারিকেল কুঞ্জ, ঝাউবন, গঙ্গামতি সংরক্ষিত বন , পশ্চিমদিকের ফাতরার বন ও মহিপুরের রেঞ্জের বনাঞ্চল নিয়ে গড়ে উঠেছে ইকোপার্ক ও জাতীয় উদ্যান । সমুদ্রের অব্যাহত ও অপ্রতিরোধ্য ভাঙ্গনে ইতিমধ্যেই নারিকেল কুঞ্জ অনেক খানিই বিলিন হয়েছে । এর পূর্ব দিকে বনবিভাগ কর্তৃক ১৫ হেক্টর বালুভূমিতে তৈরি করা হয়েছে মনোলোভা ঝাউবন । মানব সৃষ্ট হলেও গোধূলী বেলায় সমুদ্র সৈকতে দাড়িঁয়ে ও বিশেষ করে পূর্ণ চন্দ্রালোকিত জ্যোৎস্না রাতে যখন বেলাভূমি থেকে নারিকেল বীথি ও ঝাউবাগানের দিকে দৃষ্টি নিপতিত হয় তখন নিতানত্দ বেরসিক দর্শকের কাছে ও তা এক অমলিন স্বর্গীয় আবেদন সৃষ্টি করে । আর দিনে ঝাউবনের ভিতর দিয়ে যখন সমুদ্রের নির্মল লোনা বাতাস বয়ে যায় তখন বতাসের শোঁ শোঁ আওয়াজ এক নিরবিচ্ছিন্ন ঐক্যতান করে শ্রোতার কানে আনে অনির্বাচনীয় মাদকতা।কীভাবে যাবেনঃ
ঢাকা থেকে সড়কপথে এর দূরত্ব ৩৮০ কিলোমিটার, বরিশাল থেকে ১০৮ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে বেশ কয়েকটি বাস এখন সরাসরি কুয়াকাটা যায়। ঢাকা থেকে সরাসরি বিআরটিসি, দ্রুতি পরিবহন, সাকুরা পরিবহনসহ একাধিক পরিবহনের গাড়ীতে গাবতলী কিংবা সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে কুয়াকাটায় আসতে পারবেন। এছাড়া যে কোন স্থান থেকে রেন্ট-এ-কার যোগেও আসতে পারেন। আপনি বাসে গেলে আপনাকে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে ২০০ মিটার দূরে নামিয়ে দিবে। ঢাকা থেকে কুয়াকাটা বাসে যেতে মোট সময় লাগে প্রায় ১২/১৩ ঘন্টা। ভাড়া ৫০০-৫৫০ টাকা। খুলনা থেকে কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে সকাল ৭ টায় একটি বিআরটিসি বাস ছাড়ে। খুলনা থেকে যেতে সময় লাগে প্রায় ৭/৮ ঘন্টা। আর উত্তরবঙ্গ রংপুর, দিনাজপুর, সৈয়দপুর থেকে আসতে চাইলে সৈয়দপুর থেকে খুলনা পর্যন্ত রূপসা অথবা সীমান্ত আন্তঃনগর ট্রেনে করে আসতে পারবেন। রাত্রের টেনে আসলে সকাল ৭ টার বিআরটিসি বাসে করে কুয়াকাটা যেতে পারবেন।তবে বরিশালের পর সড়কযোগে কুয়াকাটায় পৌঁছাতে আপনাকে দপদপিয়া, লেবুখালী, কলাপাড়া, হাজীপুর ও মহিপুরসহ ৫টি ফেরী পারাপার হতে হবে। তবে যে সকল পর্যটকরা ঢাকা থেকে নৌ পথে কুয়াকাটায় আসতে চান, তারা ২ টি ফেরীর দূর্ভোগ থেকে রেহাই পেতে পারেন। ঢাকা সদরঘাট থেকে বিলাসবহুল ডাবল ডেকার এম.ভি পারাবত, এম.ভি সৈকত, এম.ভি সুন্দরবন, এম.ভি সম্পদ, এম.ভি প্রিন্স অব বরিশাল, এম.ভি পাতারহাট, এম.ভি উপকূল লঞ্চের কেবীনে উঠে সকালের মধ্যে পটুয়াখালী কিংবা কলাপাড়া নেমে রেন্ট-এ-কার যোগে এবং পটুয়াখালী-কুয়াকাটা রুটের বাসে চড়ে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা পৌঁছাতে পারেন। ঢাকা থেকে উল্লেখিত রুটসমূহের লঞ্চগুলো বিকাল ৫ থেকে সন্ধ্যা ৭ টার মধ্যে লঞ্চ ঘাট ত্যাগ করে থাকে। লঞ্চে সিঙ্গেল কেবিন ভাড়া ৬০০ টাকা। কলাপাড়া থেকে কুয়াকাটার ২২ কি.মি. রাস্তার চরম বেহাল দশা আর ৩টি ফেরীর ঝামেলায় এক ঘন্টার রাস্তা যেতে ৪ ঘন্টা সময় লেগে যায়।
কুয়াকাটায় থাকার ব্যবস্থাঃ
কুয়াকাটায় আবাসন সংকট অবশ্য একটি অন্যতম সমস্যা। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় কুয়াকাটায় অবস্থিত দুই ডাক বাংলোর কক্ষ সংখ্যা বাড়িয়ে আধুনিক আবাসনে রূপান্তরিত করা এবং একই সময় স্থাপন করা হয় কুয়াকাটা সাগর কন্যা পর্যটন হলিডে হোমস। এলজিইডির রয়েছে দুটি, সড়ক ও জনপথের একটি, জেলা পরিষদের দুটি রাখাইন কালচার একাডেমীর একটি রেস্ট হাউস। এসকল স্থান জায়গা করে নিতে হলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পূর্ব অনুমতি নিতে হয়। এছাড়া ব্যক্তিগত উদ্দ্যোগে এ পর্যটন নগরীতে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় প্রায় অর্ধশতাধিক আবাসিক হোটেল, মোটেল। এর মধ্যে আধুনিক মান সম্মত হোটেল গুলোর মধ্যে রয়েছে- হোটেল নীলঞ্জনা, হোটেল বি-ভিউ, হোটেল গোল্ডেন প্যারেজ, হোটেল বীচ-ভেলী, হোটেল ফ্যামিলী হোমস, কুয়াকাটা গেষ্ট হাউজ, হোটেল সাগর কন্যা, হোটেল আল হেরা, হোটেল আকন, হোটেল সি-গার্ডেন, হোটেল স্মৃতি সহ আরো একাধিক হোটেল ও মোটেল।কোথায় খাবেনঃ
ঘরোয়া পরিবেশে মান সম্মত খাবারের জন্য হোটেল সেফার্ড, খাবার ঘর-১, খাবার ঘর-২, এসব খাবারের হোটেল গুলো আপনার আবাসিক হোটেলে খাবার সরবরাহ করে থাকে। এছাড়া পর্যটন এলাকায় ছোট ছোট অনেক খাবারের হোটেল রয়েছে- কলাপাড়া হোটেল, হোটেল মান্নান, হোটেল বরিশাল ইত্যাদি। এসব হোটেলে কম খরচে মান সম্মত খাবার পাওয়া যায় ও সরবরাহ করা হয়।
বাস থেকে নামার পর অনেক দালাল ঘিরে ধরবে। তারা যেসব হোটেল থেকে কমিশন পায় সেখানে নিয়ে যেতে চাইবে। নিজে রুম না দেখে হোটেলে উঠবেন না। আর অগ্রীম টাকা ভুলেও দেবেন না।কুয়াকাটায় পর্যটকদের থাকার জন্য বেশ কিছু হোটেল গড়ে উঠেছে। নীচের কিছু মানসম্পন্ন হোটেলের ঠিকানা ও ভাড়া দেয়া হলো। আশা করি সবার কাজে লাগবে।
ভাড়ার ব্যাপারে একটা কথা। হোটেলে গুলোর পাবলিশড রেট এখানে দেয়া হলো তবে কুয়াকাটাতে বছরভর ৪০-৫০% ডিসকাউন্ট পাওয়া যায়। তাই অবশ্যই হোটেল নেবার সময় বারগেইন করবেন।
১. হলিডে হোমস (পর্যটন করপোরেশন)
কুয়াকাটা
ফোন : ০১৭১৫-০০১১৪৮৩ভাড়া :
নন এসি টুইন : ১১০০/-
ইকোনমি : ৮০০/-২. ইয়োথ ইন (পর্যটন করপোরেশন)
কুয়াকাটা
ফোন : ০৪৪২৮-৫৬২০৭নন এসি টুইন : ১৫০০/-
এসি টুইন : ২৫০০/-৩. হোটেল স্কাই প্যালেস,
পর্যটন এরিয়া, কুয়াকাটা
ফোন : ০১৭২৭-৫০৭৪৭৯ভাড়া :
নন এসি কাপল : ১২০০/-
নন এসি টুইন : ১৪০০/-৩. হোটেল বনানী প্যালেস,
পর্যটন এরিয়া, কুয়াকাটা
ফোন : ০১৭১-৩৬৭৪১৯২ভাড়া :
নন এসি টুইন/কাপল : ১২৫০/- (নীচতলা), ১৬৫০/- (উপরের তলা)
ডরমেটরী : ৪০০০/- (৮ বেড)৪. হোটেল নীলাঞ্জনা
রাখাইন মার্কেট, কুয়াকাটা
ফোন : ০১৭১২-৯২৭৯০৪ভাড়া :
নন এসি সিঙ্গেল : ৮৫০/-
নন এসি টুইন : ১৪৫০/-৫. বিশ্বাস সি প্যালেস হোটেল
বেড়ি বাধ, কুয়াকাটা
ফোন : ০১৭৩-০০৯৩৩৫৬ভাড়া :
নন এসি টুইন : ১৮০০/-
৩ বেডেড রুম : ২০০০/-৬. সাগর কণ্যা রিসোর্ট লি:
পশ্চিম কুয়াকাটা, কুয়াকাটা
ফোন : ০১৭১১-১৮১৭৯৮ভাড়া :
নন এসি কাপল : ১২০০/- (নীচতলা), ১৫০০/- (উপরের তলা)
নন এস টুইন : ১৮০০/-৭. হোটেল কুয়াকাটা ইন
সদর রোড, কুয়াকাটা
ফোন : ০১৭৫-০০০৮১৭৭ভাড়া :
ইকোনমি টুইন/কাপল : ১৫০০/-
ইকোনমি ফ্যামিলি রুম : ১৮৫০/- (১ ডাবল, ১ সিঙ্গেল)৮. কিংস হোটেল,
সাগর পাড়, কুয়াকাটা
ফোন : ০১৭১৩-২৭৭৬৩০ভাড়া :
ইকোনমি ডাবল : ৬০০/-
নন এসি ডিলাক্স : ৮০০/-- 1373 views
- 1 answers
- 0 votes
ভেবে দেখুন তো আপনার অনেক মন খারাপ করছে, বুক ভরে নিশ্বাস নিতে পারছেন না, বদ্ধ ঘরের মধ্যে আরও বেশি দম বন্ধ হয়ে আসছে। এই করুণ অবস্থাতে আপনি কী করতে পারেন? ঢাকার মত একটি যান্ত্রিক শহরে কও্ভাববে পেতে পারেন একটুখানি খোলা হাওয়া? আর চিন্তা করতে হবে না। ঢাকার চারপাশে ভালো করে খেয়াল করে দেখুন এমন যান্ত্রিকতার মাঝেও এমন কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে গেলে মন এমনিতেই অনেক ভালো হয়ে যায়। সত্যি বলছি, একেবারে মিথ্যা নয়। বিশ্বাস না হলে মন খারাপের মুহূর্তে একবার যাচাই করে দেখতে পারেন। ঘুরে আসতে পারেন এসব জায়গায়। শুধু মনে মনে বিশ্বাস রাখতে হবে আপনার মন ভালো হবেই।
১. হাতিরঝিল :
বর্তমানে হাতিরঝিল সবাই চেনেন। না দেখলে বিশ্বাস হবে না যে এই হাতিরঝিল ছবির তুলনায় বাস্তবে এতটাই সুন্দর। হাতিরঝিলের এই প্রকল্পটি ২০০৭ সালে অনুমোদিত হয় মূলত রাজধানীর বাড্ডা, মৌচাক, গুলশান, রামপুরা, তেজগাঁও এবং মগবাজারের যানজট কমানোর জন্য। কিন্তু প্রকল্পটি এমন সুন্দরভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে যে অনেক ঢাকাবাস্ইী বর্তমানে তাদের অবসর সময় কাটাতে এই হাতিরঝিলে ছুটে যান। আপনার যদি সত্যিই মন খারাপ হয়ে যায় কোনো এক সময় আপনিও চলে যেতে পারেন এই হাতিরঝিলে। এর সুমধুর খোলা বাতাস আপনার মনকে নিমেষেই ভালো করে দিতে পারে। সন্ধ্যার দিকে যে আলোর খেলা দেখা যায় সেটিও আপনার মনকে ভালো করে দিতে বাধ্য। তাই এবারের মন খারাপে বাসায় গুটিসুটি মেরে বসে না থেকে চলে যান এই সুন্দর জায়গাটিতে।২. আশুলিয়া :
সাভারের পরে আশুলিয়া এমন একটি সুন্দর জায়গা যেটিকে অনেকেই ঢাকার সমুদ্র সৈকত বলে আখ্যা দিয়ে থাকেন। সমুদ্র সৈকতের আবহাওয়া পাওয়া যাবে এই জায়গাটিতে। বিশেষ করে বর্ষাকালে দিগন্ত বিস্তৃত পানি আর পানির ঢেউ আপনাকে ভুলিয়ে দেবে মনের সকল কষ্ট। শরৎকালে আকাশের উপরে মেঘের খেলা আর নিচে ছলছলে পানি আপনার মনকে করে তুলবে আনন্দিত। আপনি মন ভরে উপলব্ধি করতে পারবেন সৌন্দর্যের মোহনীয়তা। আপনি চাইলে এই আশুলিয়াতে নৌকা ভ্রমণও করতে পারবেন। নৌকা ভ্রমণে আপনার মন আরও অনেক বেশি সতেজ হয়ে পড়বে। দেখবেন মন কখন যে ভালো হয়ে গেছে আপনি নিজেও জানেন না।৩. সাফারি পার্ক :
গাজীপুরের সাফারি পার্কের নাম অনেকেই হয়ত শুনে থাকবেন। আবার অনেকে আছেন যারা গিয়েছেনও। মন খারাপের সময়ে বিভিন্ন পশুপাখির সাথে যদি কিছু সময় কাটান তাহলে অবশ্যই আপনার অনেক ভালো লাগবে। এমনই একটি পার্ক হল এই সাফারি পার্ক। যেখানে রয়েছে অনেক পশুপাখি। কিন্তু মজার বিষয় হল আমরা সচরাচর চিড়িয়াখানাগুলোতে দেখি যে পশুপাখি খাঁচার মধ্যে থাকে, এখানে আপনি নিজেই খাঁচার মধ্যে থাকবেন আর চারপাশে খোলা জায়গায় থাকবে ভয়ঙ্কর সব পশুপাখি। এমন অদ্ভুৎ নিয়ম দেখে আপনার মন এমনিতেই ভালো হয়ে যাবে, আর পশুপাখিদের অনেক কাছ থেকে দেখে আরও বেশি ভালো লাগবে।৪. কুড়িল ফ্লাইওভার :
আপনি হয়ত ভাবছেন যে ফ্লাইওভারে কিভাবে মন ভালো করা যায়। এর উত্তরে বলতে হয় আপনি যদি সৌন্দর্যটাকে উপলব্ধি করতে পারেন তাহলে সেই সৌন্দর্যের নির্যাস আপনার মনকে ভালো করে দিবে। আপনি যখন একটি সুন্দর জিনিস দেখেন তখন আপনার মনে এ ধরনের ভালোলাগা তৈরি করে। আর তা থেকেই আপনার খারাপ মন ভালো হয়ে যেতে পারে। রেডিসনের পরের এই কুড়িল ফ্লাইওভারটি এত সুন্দর আপনি চাইলেই এই সৌন্দর্য দেখার জন্য সেখানে চলে যেতে পারেন। এই ফ্লাইওভারটি থেকে যেন সমস্ত ঢাকা শহরকে দেখা যায়। যদিও সেখানে নেমে দেখাটা খুবই বিপজ্জনক। সন্ধ্যার পরে এর সৌন্দর্য আরও অনেক বেশি বেড়ে যায়। তাই মন খারাপের যেকোনো মুহূর্তে চলে যেতে পারেন এই কুড়ি ফ্লাইওভারটিতে।৫. মিরপুরের এয়ারপোর্ট রোড ফ্লাইওভার :
বাংলাদেশে তৈরি সুন্দর ফ্লাইওভারগুলোর মধ্যে এটিও অন্যতম। মিরপুর ১২ এর পর থেকে শুরু হয়ে শেষ হয়েছে এয়ারপোর্টের কাছাকাছি গিয়ে। এটি থেকেও ঢাকার বেশ কিছু এলাকা দেখা যায়। আপনি যদি মিরপুরের বাসিন্দা হয়ে থাকেন তাহলে মন খারাপের মুহূর্তে চলে যেতে পারেন এই মিরপুরের ফ্লাইওভারে।৬. ধানমন্ডি লেক :
ধানমন্ডি লেক এখন ঢাকার দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে একটি। ১৯৯৫ সালে সংস্কার করে লেকটিকে নতুন রূপ দেয়া হয়। ২০১৩ সাল হতে এর সংস্কারের কাজ পুরোদমে আবার শুরু হয়েছে। ঢাকার হাজারীবাগ, মোহাম্মদপুর, কলাবাগান, মিরপুর রোড ও শুক্রাবাদ এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে ধানমন্ডি লেকের বিশাল অবস্থান। গাছ-গাছালি, লেক, দৃষ্টি নন্দন লোহার সেতু ,পানির ফোয়ারা, লেকের পাড়ের ছোট কুটির ইত্যাদি মিলিয়ে লেকটি বেশ আকর্ষণীয় বলা যায়। ধানমন্ডি লেকটির নির্দিষ্ট কোনো খোলা ও বন্ধের সময়সূচী নেই তবে ভোর ৫.০০টা থেকে রাত ১০.০০টা পর্যন্ত দর্শনার্থী অবস্থান করতে পারবেন। লেকটিতে প্রবেশের জন্য কোন টিকেটের প্রয়োজন হয় না। আপনার মন খারাপ হলে চাইলেই এই লেকটিতে চলে যেতে পারেন। দেখবেন আশেপাশের প্রাকৃতিক পরিবেশে আপনার মন বেশ ভালো হয়ে উঠেছে।৭. গুলশান লেক :
গুলশান ঢাকার একটি অভিজাত এলাকা। গুলশান এবং বনানীর মাঝামাঝিতে অবস্থিত গুলশান লেকটিও বেশ সুন্দর দেখতে। বিশেষ করে রাতের বেলায় এর শোভা বেড়ে যায় শতগুণ। আপনার মন খারাপ হলে চলে যেতে পারেন গুলশান লেকে। গুলশান লেকের উপরে যে ব্রীজটা রয়েছে সেই ব্রীজে বসে থেকেও অবলোকন করতে পারেন এর সৌন্দর্য। প্রয়োজনে কোনো খাবার কিনে নিয়ে গিয়েও একা একা বসে খেতে পারেন। ঢাকার মত ব্যস্ত একটি জায়গায় এই জায়গাটি আপনার অনেক ভালো লাগবে।৮. জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় :
হ্যাঁ আপনি যা ভাবছেন তাই, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মধ্যে আপনি সম্পূর্ণভাবে একটা সবুজে ঘেরা প্রাকৃতিক পরিবেশ পেয়ে থাকবেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি এমনিতেই শীতের মৌসুমে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এখানে আসা শীতের পাখিগুলোর জন্য। সাইবেরিয়া ও অন্যান্য দেশ থেকে আসা এই শীতের পাখিগুলোকে দেখতে প্রতি শুক্রবারেই ক্যাম্পাসে ভিড় করে বহু সংখ্যক মানুষ। এছাড়া গরমের মৌসুমেও একটুখানি হিমেল হাওয়া পেতে ভিড় করে ঢাকাবাসীরা। সবুজে ঘেরা এই ক্যাম্পাসটি এমনিতেই অনেক বেশি শীতল থাকে। তাই আপনার যদি কোনো কারণে মন খারাপ হয়ে থাকে তাহলে এই ক্যাম্পাসটিতে ঘুরে আসতে পারেন। দেখবেন সবুজের ছোঁয়ায় এবং ছাত্রছাত্রীদের তারুণ্যতা দেখে আপনার মন নিমেষেই ভালো হয়ে যাবে।- 2098 views
- 1 answers
- 0 votes
রাতারগুলকে বলা হয় বাংলাদেশের আমাজন। রাতারগুল হলো বাংলাদেশের একমাত্র জলাবন বা সোয়াম্প ফরেস্ট এবং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। বনের আয়তন ৩,৩২৫.৬১ একর, আর এর মধ্যে ৫০৪ একর বনকে ১৯৭৩ সালে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সিলেট জেলার গোয়াইনঘাটের ফতেহপুর ইউনিয়নে, গুয়াইন নদীর দক্ষিণে এই বনের অবস্থান। বনের দক্ষিণ দিকে আবার রয়েছে দুটি হাওর: শিমুল বিল হাওর ও নেওয়া বিল হাওর। সিলেট শহর থেকে এর দূরত ২৬ কিলোমিটার।
কেন যাবেন?
রাতারগুলে এখন পর্যন্ত সর্বমোট ৭৩ প্রজাতিরউদ্ভিদের সন্ধান পাওয়া গেছে । এই বন মূলত প্রাকৃতিক বন হলেও পরবর্তিতে বাংলাদেশ বন বিভাগ, বেত, কদম, হিজল, মুর্তাসহ নানা জাতের জলসহিষ্ণু গাছ লাগিয়েছে। এছাড়া জলমগ্ন এই বনে রয়েছে হিজল, করচ আর বরুনগাছ; আছে পিঠালি, অর্জুন, ছাতিয়ান, গুটিজাম, বটগাছও। সিলেটের শীতলপাটি তৈরির মূল উপাদান মুতার বা মুক্তার বড় অংশ এই বন থেকেই আসে। এখানে আছে নানান প্রজাতির পাখি। মাছরাঙা, বিভিন্ন প্রজাতির বক, ঘুঘু, ফিঙে, বালিহাঁস, পানকৌড়ি ইত্যাদি। বন্যপ্রাণীর মধ্যে আছে— বানর, উদবিড়াল, কাঠবেড়ালি, মেছোবাঘ ইত্যাদি। বিভিন্ন প্রজাতির গুঁইসাপ ও নানান ধরনের সাপের অভায়শ্রম এই বন।রাতারগুলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এক অপারবিস্ময়। জঙ্গলের একেবারে শুরুর দিকটায় মুতার বন। এর বেশির ভাগই জলে ডুবে থাকে বর্ষায়। যতই বনের গহীনে যাওয়া যাবে ততই বাড়তে থাকে গাছের ঘনত্ব। অনেক জায়গাতেই সূর্যের আলো পৌঁছায় না। কোথাও কোথাও পানি এত বেশি স্বচ্ছ হয় যে, জলে বনের সবুজ প্রতিবিম্বকে দেখে মনে হয় আর একটি বন।
কীভাবে যাবেন?
বাসে যেতে পারেন, আবার ট্রেনেও। ইচ্ছে করলে বিমানেও যেতে পারেন সিলেট। বাসে গেলে ঢাকা থেকে গ্রীনলাইন পরিবহন, সোহাগ পরিবহন, সৌদিয়া পরিবহনের এসি বাস যায় সিলেটে। ভাড়া ৮শ’ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা। ফকিরাপুল, কমলাপুর, সায়দাবাদ প্রভৃতি জায়গা থেকে শ্যামলী পরিবহন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, সৌদিয়া, মামুন পরিবহন, সিলকম পরিবহন ইত্যাদি পরিবহন সংস্থার নন-এসি বাসও সিলেটে যায়। এরা ভাড়া নেবে ৩শ’ টাকা থেকে ৫শ’ টাকা। ট্রেনে যেতে পারেন ঢাকা থেকে যায় উপবন এক্সপ্রেস, কালনি এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস কিংবা পারাবত এক্সপ্রেসে করে। ঢাকার কমলাপুর থেকে মঙ্গলবার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে যায় আন্তঃনগর ট্রেন পারাবত এক্সপ্রেস। সপ্তাহের প্রতিদিন দুপুর ২টায় ছাড়ে জয়নন্তিকা এক্সপ্রেস। শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন বিকাল ০৪ টায় ছেড়ে যায় কালনী এক্সপ্রেস। বুধবার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ছাড়ে উপবন এক্সপ্রেস। শ্রেণিভেদে ভাড়া ১৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ১৮ টাকা।সিলেট শহরের পাশেই খাদিম চা বাগান আর খাদিমনগর জাতীয় উদ্যানের ভেতর দিয়ে রাতারগুল যাওয়ার সবচেয়ে সহজ আর সুন্দর পথ। খুব অল্প সময়েই এই পথ ধরে রাতারগুল পৌঁছানো সম্ভব।
সিএনজি অটোরিকশা বা জিপ নিয়ে আসতে হবে শ্রীঙ্গি ব্রিজ। সকালে গিয়ে বিকেলের মধ্যেই বন ঘুরেফিরে আসা যায়। সারাদিনের জন্য একটি সিএনজি বা অটোরিকশার ভাড়া পড়বে ১২শ’ টাকা থেকে ১৫শ’ টাকা। এছাড়া সিলেট শহরের আম্বরখানা থেকে লোকাল সিএনজিতে গেলে জনপ্রতি ভাড়া পড়বে ১শ’ টাকা। শ্রীঙ্গি ব্রিজ থেকে রাতারগুলে ঢুকতে হবে জেলেদের ছোট নৌকায়। ছোট নৌকার ভাড়া পড়বে ৪শ’ থেকে ৮শ’ টাকা।
আর ইচ্ছে করলে অন্য পথেও যেতে পারেন রাতারগুল। পথটি হচ্ছে সিলেট-জাফলংয়ের গাড়িতে চড়ে নামতে হবে সারিঘাট। ভাড়া ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা। সেখান থেকে সিএনজি চালিত বেবিটেক্সিতে চড়ে গোয়াইনঘাট বাজার। এখান থেকে নৌকা ভাড়া করে যেতে হবে রাতারগুল। সারি নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে এ পথটি অনুসরণ করতে পারেন। তবে খরচ আর সময়, দুটোই বেশি লাগবে এ পথে।
কোথায় থাকবেন?
খুব ভালো হয় বন্ধু বা আত্মীয় স্বজনের বাসায় থাকা গেলে। নিরাপদ বেশ। তবে তাদের বিরক্ত করতে না চাইলে কিংবা বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন না থাকলে সিলেট শহরে রাতে থাকার জন্য বিভিন্ন মানের হোটেল আছে। শাহজালাল উপশহরে পাঁচ তারকা মানের হোটেল রোজ ভিউ। নাইওরপুল এলাকায় হোটেল ফরচুন গার্ডেন। জেল সড়কে হোটেল ডালাস। ভিআইপি সড়কে হোটেল হিলটাউন। লিঙ্ক রোডে হোটেল গার্ডেন ইন। শহরের বাইরে বিমানবন্দর সড়কে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের পর্যটন মোটেল, খাদিম নগরে জেসটেট হলিডে রিসোর্ট, শুকতারা প্রকৃতি নিবাস, নাজিমগড় রিসোর্ট ইত্যাদি। এসব হোটেল রিসোর্টে ৮শ’ টাকা থেকে ২০ হাজার টাকায় থাকার ব্যবস্থা আছে।সাবধানতা:
রাতারগুলের সৌন্দর্য দেখার ভালো সময় বর্ষাকাল। বর্ষায় বন ডুবে গেলে বেশির ভাগ সাপ ও বিষাক্তপ্রাণী আশ্রয় নেয় গাছের ডালে। আর জলে আছে জোঁক। তাই সাবধানে চলতে হবে। সাঁতার না জানা থাকলে লাইফ জ্যাকেট নিতেও ভুলবেন না। বৃষ্টিতে ভিজতে না চাইলে সাথে রাখুন ছাতা, রেইনকোট ও পানিরোধক ব্যাগ।- 7296 views
- 1 answers
- 0 votes
নীলগিরি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্যটন কেন্দ্র। এ পর্যটন কেন্দ্রের উচ্চতা প্রায় ৩ হাজার ফুট। এটি বান্দরবান জেলার থানছি উপজেলায় অবস্থিত।
বান্দরবান জেলা সদর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্ব দিকে এই পর্যটন কেন্দ্রের অবস্থান। এ পর্বতের পাশেই রয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে অবহেলিত আদিবাসী সম্প্রদায় ম্রো-পল্লী। যাদের বিচিত্র সংস্কৃতি দেখার মত।
বর্ষা মৌসুমে নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্র থেকে মেঘ ছোয়ার দূর্লভ সুযোগ রয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে নীলগিরি থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়। বান্দরবানের সবচেয়ে সুন্দর ও আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র এটি। এটি সেনা তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। এর পাশেই রয়েছে একটি সেনা ক্যাম্প। নিরিবিলিতে স্বপরিবারে কয়েক দিন কাটাতে এটি একটি আর্দশ জায়গা।
যাতায়াত
পর্যটকদের নীলগিরি যেতে হলে বান্দরবান জেলা সদরের রুমা জীপষ্টেশন থেকে থানছিগামী জীপ অথবা বাসে করে নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্রে যেতে হবে। বান্দরবনা জীপ ষ্টেশন থেকে জীপ, ল্যান্ড রোভার, ল্যান্ড ক্রুজারসহ অন্যান্য হালকা গাড়ী ভাড়ায় পাওয়া যায়। নীলগিরি যাওয়ার পথে সেনা চেকপোষ্টে পর্যটকদের নাম ও ঠিকানা লিপিবদ্ধ করতে হবে। বান্দরবান জেলা সদর থেকে সাধারণত বিকেল ৫ টার পর নীলগিরির উদ্দেশে কোন গাড়ী যেতে দেয়া হয় না।
ভাড়া
আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্ধারিত ৫সিট বিশিষ্ট ছোট জীপ রয়েছে। এর ভাড়া ২৩০০ টাকা। এছাড়া ৮সিট বিশিষ্ট বড় জীপের ভাড়া ২৮০০ টাকা।
নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্র বান্দরবান জেলা সদর থেকে দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যায়। এ ছাড়া নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্র রাত্রি যাপনের জন্য বান্দরবান সদর সেনা রিজিয়নে বুকিং দেয়া যায়। তাছাড়া নীলগিরি পর্যটনে গিয়ে সরাসরি বুকিং করা যায়। বান্দরবান জেলা সদর থেকে নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্রের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় অধিকাংশ পর্যটক দিনে গিয়ে দিনেই ফিরে আসেন।
কটেজ ভাড়ানীলগিরিতে রয়েছে বেশ কিছু কটেজ। যেমন- ‘গিরি মারমেট’ (ভাড়া-৭৫০০ টাকা, ধারণক্ষমতা-৮/১০ জন); ‘মেঘদূত’ (ভাড়া-৬৫০০ টাকা, ধারণক্ষমতা-৮/১০ জন); ‘নীলাঙ্গনা’ (ভাড়া-৫৫০০ টাকা, ধারণক্ষমতা- ৪/৬ জন)। এছাড়া কাপলরা ২৭৫০ টাকায় ১ রুম ভাড়া পাবেন।
- 692 views
- 1 answers
- 0 votes