ZoomBangla Answer's Profile
Professor
14182
Points

Questions
3

Answers
7076

  • Professor Asked on February 27, 2015 in ভ্রমণ.

      ১৯৮৬ সনে প্রতিষ্ঠিত উপশহর ডিগ্রি কলেজ যশোর রেলস্প্রটেশন থেকে আনুমানিক ১ থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। যশোর শহরের উত্তর পশ্চিম সীমান্তে হাউজিং এস্টেটের কোলাহলমুক্ত পরিবেশে উপশহর ডিগ্রি কলেজাটর অবস্থান। আপনি স্টেশন থেকে চাইলে ইজিবাইক বা রিক্সায় করে উপশহর ডিগ্রী কলেজে পৌঁছাতে পারেন। ভাড়া নেবে ২০-৩০ টাকা।

      • 2450 views
      • 1 answers
      • 0 votes
    • Professor Asked on February 27, 2015 in ভ্রমণ.

        ঢাকার কাছেই ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন স্থাপনা সমৃদ্ধ একটি জায়গা নবাবগঞ্জ । যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে এ জায়গাটিতে খুব অল্প সময়েই পৌছানো যায় ঢাকা থেকে । নবাবগঞ্জের মূল আকর্ষণ হলো এ এলাকার প্রাচীন কিছু জমিদার বাড়ি ।

        ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শহরের মহাকবি কায়কোবাদ মোড় থেকে পশ্চিম দিকে কলাকোপায় অবস্থিত । নবাবগঞ্জ যেতে হয় দ্বিতীয় বুড়িগঙ্গা ব্রিজ দিয়ে কেরানীগঞ্জ হয়ে । চারপাশে চিরায়ত সবুজের সমারোহ দেখতে দেখতে চলে যাওয়া যাবে ২০০ বছরের ইতিহাস সংবলিত নবাবগঞ্জে জমিদার ব্রজেন সাহার জমিদার বাড়িতে । যা এখন জজ বাড়ি নামে খ্যাত । জজবাড়ির সামনে রয়েছে খানিকটা বাগান, বিভিন্ন ফল ও ফুল গাছে পরিপূর্ণ ।

        কলাকোপার মূল আকর্ষণে এই জজবাড়ি যা আগে জমিদার ব্রজেন সাহার সময়ে ব্রজ নিকেতন হিসেবে পরিচিত ছিল । পরে আশির দশকে এক বিচারক পরিবার এখানে বসবাস শুরু করলে এটি জজবাড়ি হিসেবে পরিচিতি পায় । জজ বাড়ি এখন কলাকোপার প্রাণ । বাড়িটির চোখ ধাঁধানো নির্মাণশৈলী দেখে যে কোন পথিকের পা থমকে যাবে । কিছুক্ষণের জন্য হলেও নিয়মিত পরিচর্যা করা হয় বাড়িটিকে । প্রচুর গাছ গাছালির সমারোহ, পাখির কিচির মিচির শব্দ আর চিত্রা হরিণের পাল দেখতে দেখতে কখন যে আনেকটা সময় পার হয়ে যাবে টেরও পাওয়া যাবে না ।

        কলাকোপায় রয়েছে আরেকটি দর্শনীয় স্থান গান্ধী মাঠ । সর্বভারতীয় সম্মেলন উপলক্ষে গান্ধীজি ১৯৪০ সালে এই মাঠে এসেছিলেন । সেই থেকে এই মাঠের নাম গান্ধী মাঠ । এখান থেকে কিছুদূর এগোলেই আরেকটি প্রাচীন বাড়ি আরএন হাউস । বাড়িটির অন্যতম মালিক রাধানাথ সাহা মুর্শিদাবাদ থেকে এসে প্রায় আড়াইশ বছর আগে এ বাড়ি তৈরি করেছিলেন । চরিদিকে কক্ষ ঘেরা এ বাড়ির সামনের অংশে ছিল অতিথিশালা, পেছনে অন্দরমহল এবং পাশেই মন্দির । বাড়িটির বয়স প্রায় ২০০ বছর ।

        রাধানাথ সাহার বাড়ি ফেলে একটু সামনে গেলেই চোখে পড়বে খেলারামের বিখ্যাত বিগ্রহ মন্দিরটি । জনশ্রুতি রয়েছে খেলারাম দাতা বজরাম ধনীদের ধনদৌলত ডাকাতি করে গরিবদের মাঝে দান করতেন । আরও শোনা যায় একরাতে এই তিনতলা বিশিষ্ট বিশাল মন্দিরটি মাটি থেকে উপরে উঠে এসেছে । কয়েকটি গম্বুজ বিশিষ্ট কয়েকশ বছরের কুঠিরের ভিতরের পরিবেশ অন্ধকার । এ বাড়ি থেকে একটি সুড়ঙ্গ পথ ছিল ইছামতির পাড়ে । নদীপথে ধন সম্পদ এসে এ সুড়ঙ্গ পথেই বাড়িতে নিয়ে আসত খেলারাম দাতা । বাড়ির পাশেই বিশাল পুকুর। প্রচলিত আছে যে, মাকে বাঁচাতে খেলারাম দাতা এই পুকুরে নেমেছিলেন । আর উঠে আসেননি ।

        বান্দুরার একটি উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান হলো জমপালা রানীর গির্জা । খ্রিস্টানদের এ উপাসনালয়টি সর্বপ্রথম নির্মিত হয় ১৭৭৭ সালে । পরে ১৮৮৮ ও ২০০২ সালে এর সংস্কার করা হয় । গির্জার পরিবেশ ও নির্মাণশৈলী নজর কাড়ার মতো । পুরো গির্জাটি হলুদ বর্ণের সুন্দর কারুকাজে ভরা । গির্জার সামনেই জমপাল দেবীর নামাঙ্কিত ফলক তার স্মৃতি ধরে রেখেছে । বর্তমানে একজন ফাদার ও একজন ডিকন দ্বারা পরিচালিত হয় এ গির্জার কার্যক্রম । বড়দিন স্টার সানডেতে এখানে বড় উৎসবের আয়োজন থাকে ।

        উল্লিখিত স্থানসহ এখানে দেখার আছে আরও অনেক কিছু । পোদ্দার বাড়ি, কালীবাড়ি, কলাকোপার কাছে সামসাবাদ তাঁতপল্লী, আলানপুর তাঁতপল্লী, জমিদার বাড়ি, জগবন্ধু সাহা হাউস প্রভৃতি । ভগ্ন বিলুপ্তির পথে এসব দালান কোঠা এখনই দেখতে যেতে পারেন । সংরক্ষণের অভাবে কালের আবর্তনে ইতিহাসের মতোই হারিয়ে যাবে এসব কালের সাক্ষী ।

        যাতায়াত : কলাকোপা বান্দুরায় দিনে এসে দিনেই ফেরা যায় । ঢাকার জিরো পয়েন্ট থেকে মাত্র ৫৫ কিলোমিটার পথ । নিজস্ব পরিবহন থাকলে জায়গাগুলো বেড়ানো সহজ হবে । মাত্র দেড় ঘণ্টায় পৌছে যেতে পারেন । অথবা বাসে করে ঢাকার গুলিস্তান, বাবু মাজার কেরানীগঞ্জ, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী থেকে সরাসরি বাস সার্ভিস আছে । বাংলালিংক, মল্লিক, যমুনা ইত্যাদি পরিবহনে ভাড়া পড়বে মাত্র ৫০ টাকা ।

        • 1234 views
        • 1 answers
        • 0 votes
      • Professor Asked on February 27, 2015 in ভ্রমণ.

          বাংলাদেশে আপেল চাষ এখনও গড়ে ওঠে নি। কেননা এই দেশ আপেল চাষের জন্য আবহাওয়া উপযোগী না। বাজারে যেসব আপেল পাওয়া যায় এর বেশিরভাগ আসে চীন থেকে। অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসে বেশ কিছু আপেল। আমদানিকৃত সবুজ, লাল কিংবা হালকা লাল রঙের আপেলগুলোই রাজধানীসহ সারাদেশের ফলের দোকানে সাজানো থাকে। চীন আপেল উৎপাদনে প্রথম। বিশ্বের মোট আপেলের ৩৫ শতাংশ হয় চীনে। দেশটিতে বছরে আপেল উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ ৬ হাজার টন।

          আপেল উৎপাদনে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে আমেরিকা। বিশ্বের মোট আপেলের সাড়ে সাত শতাংশ উৎপাদন এ দেশে। প্রতিবছর আমেরিকায় উৎপাদিত আপেলের পরিমাণ প্রায় ৪২ লাখ ৫৪ হাজার টন। এছাড়া শীর্ষ আপল উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে রয়েছে তুরস্ক, ইরান, ইতালি, ফ্রান্স, পোল্যান্ড, রাশিয়া, জার্মানি ও ভারত।

          কিরগিজস্তান, তাজাকিস্তান ও কাজাকিস্তানে আপেলকে আলমা বলা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, আলমা থেকেই এ ফলটির নাম হয়েছে আপেল। এ কয়টি দেশের বন-জঙ্গলে এখনও হাজার হাজার আপেল গাছ দেখা যায়। এগুলো বন্য আপেল। চাষবাস ছাড়া প্রাকৃতিকভাবে এমনিতেই হয়েছে। আপেল ইউরোপে ছড়িয়েছে বিশ্ববিজয়ী বীর মহামতি আলেকজান্ডের মাধ্যমে। খ্রিস্টপূর্ব ৩০০ সালে তিনি মধ্য এশিয়ার কয়েকটি দেশ জয় করে দেশে ফেরার সময় বেশ কিছু আপেল গাছ সঙ্গে করে নিয়ে আসেন।

          সেগুলো রোপণ করেন নিজ দেশ গ্রিসে। আবহাওয়া এ ফলের উপযোগী হওয়ায় আপেল গাছের দ্রুত বিস্তার ঘটে গ্রিসে। এখান থেকেই এই ফলের চাষ দ্রুত ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে। উত্তর আমেরিকায় আপেলের চাষ শুরু হয় ১৬০০ সালে। আমেরিকার ওয়াশিংটনে ১৯০০ সালের গোড়ার দিকে বাণিজ্যিকভাবে আপেল চাষ শুরু হয়। বর্তমানে বিশ্বে বছরে প্রায় ৬ কোটি টন আপেল উৎপন্ন হয়।

          আর আপেল বাগান থেকে আপেল পাড়ার বিষয়ে আপনি যে প্রশ্ন করেছেন তার উত্তর হল আপনি যেকোনো ফলের বাগানেই অনুমতি ছাড়া ফল পাড়তে পারবেন না। এটি আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।

          • 6812 views
          • 1 answers
          • 0 votes
        • Professor Asked on February 27, 2015 in ভ্রমণ.

            চলো না ঘুরে আসি অজানাতে… মানুষের এই আহ্বান চিরন্তন। প্রতিনিয়ত এই কৃত্রিমতার ভুবনে থাকতে থাকতে একধরনের একঘেয়েমি চলে আসে। এই একঘেয়েমি কাটিয়ে ওঠার জন্য আমাদের চেষ্টা সবসময় চলতেই থাকে। একঘেয়েমি থেকে মুক্তি পাওয়ার একটা বড় উপায় হচ্ছে ভ্রমন। ঘুরে বেড়ানোর মত মজার কাজ হয়তো পৃথিবীতে আর নেই। খোলামেলা যে কোন জায়গা মানুষের মনকে অনেকটা প্রশান্তি এনে দিতে পারে।

            কর্মজীবনের সকল ব্যস্ততাকে ছুটি দিয়ে সূর্যস্নানে বের হতে পারেন আপনিও। অনেক স্কুল বা কলেজে শুরু হয়েছে গ্রীষ্মকালীন ছুটি বা কয়েকদিনের মধ্যেই হয়ে যাবে আপনার আদরের সোনাওনণির স্কুলেও। গ্রীষ্মের এই ছুটিতে কি মেয়েকে নাচের স্কুলে বা আর্ট স্কুলে ভর্তি করে দিবেন নাকি তাদের নিয়ে ঘুরতে যাবেন নিজ দেশের একটি অপরুপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক লীলাভুমিতে।

            হ্যাঁ,আপনিও সপরিবারের বা বন্ধুদের সাথে যেতে পারেন বিরিশিরি’র সৌন্দর্য দেখতে। বিরিশিরি বাংলাদেশের নেত্রকোনা জেলার ঐতিহ্যবাহী একটি গ্রাম। বিরিশিরির মূল আকর্ষণ বিজয়পুর চীনামাটির খনি। এছাড়াও দেখার মত জায়গা রয়েছে রানীখং গির্জা, কমলা রানী দীঘি,এবং সোমেশ্বরী নদী। সেন্টমার্টিন্স এর গভীর নীল পানি, কিংবা জাফলং এর স্বচ্ছ পানির গল্প তো অনেকই শুনেছেন বা দেখেছেন। কিন্তু সবুজ নীলের মিশেলে অদ্ভুত-রঙা হ্রদটার গল্প কি শুনেছেন? বা কখনো দেখেছেন? যদি না দেখে থাকেন তবে তৈরি হয়ে যান এই গ্রীষ্মে।

            বিরিশিরির পরিবেশ আপনাকে কিছুক্ষণের জন্য হলেও ভুলিয়ে দেবে সব ব্যস্ততা। আগেই বলেছি বিরিশিরির মূল আকর্ষণ হচ্ছে চীনামাটির পাহাড়, যার বুক চিরে জেগে উঠেছে নীলচে-সবুজ পানির হ্রদ। সাদা মাটি পানির রঙটাকে যেন আরো বেশি গাঢ় করে দিয়েছে। তবে বিরিশিরি গিয়েই আপনি এ সুন্দর দৃশ্য দেখতে পারবেন; সেটা কিন্তু না। আপনাকে যেতে হবে আরেকটু দূর বিজয়পুর চীনা মাটির পাহাড়ে। যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে রয়েছে রিক্সা আর ভাড়ায় চালিত মটর সাইকেল।

            বিচিত্র সাংস্কৃতিক আবহাওয়া, কংশ-টেপা-সোমেশ্বরীর কাশবন আর দূরে আকাশে হেলান দিয়ে গম্ভীর গারো পাহাড়ের ধ্যানমগ্ন প্রতিকৃতি সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই সৌন্দর্যপিপাসুদের মন কেড়ে নেয়। বর্ষায় সোমেশ্বরীর তীরবর্তী বিরিশিরির সৌন্দর্য বেড়ে যায় আরো কয়েক গুণ।
            দূরের পাহাড় থেকে নেমে আসা উত্তাল ঢলের রুদ্ধরূপ বর্ষায় বিরিশিরি ঘুরতে আসা পর্যটকদের দেখায় তার বন্য সৌন্দর্য। বিরিশিরিতে আছে পাহাড়ী কালচারাল একাডেমী। আধিবাসীদের শতকরা ৬০ ভাগই গারো, হাজং ইত্যাদি নৃগোষ্ঠীর। এখানে আছে টুঙ্কা বিপ্লবের কয়েকটি স্মৃতিস্তম্ভ। হাজং ভাষায় তেভাগা আন্দোলনের আরেক নাম টুঙ্কা বিপ্লব।

            তেভাগা আন্দোলনের কিংবদন্তি কমরেড মনি সিংহের স্মৃতিভাস্কর আছে এখানে। অপেক্ষাকৃত কোলাহলমুক্ত ছোট্ট একটি বাজার। বিরিশিরিতে পা রাখতেই অন্য রকম এক অনুভূতির পরশ বুলিয়ে যায় সারা গায়। এখনে আছে পাহাড়ী কালচারাল একাডেমি। শান্ত-স্নিগ্ধ, সবুজে ঢাকা ছিমছাম পরিবেশ। পর্যটকদের চাপ বেশী থাকেনা। এখানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রায় সবাই পাহাড়ী-গারো, হাজং। এখানকার পাহাড়ী বা পাহাড়ীদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রস্থল এই কালচারাল একাডেমী। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় এটি পরিচালিত হয়। খ্যাতিমান কবি, লেখক রফিক আজাদ দীর্ঘদিন এর পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। পাহাড়ীদের সাংস্কৃতিক পরিচয় পাওয়া যাবে একাডেমীর জাদুঘরে। দুটি লাইব্রেরী আছে বেশ সমৃদ্ধ। পাহাড়ীদের ওপর লেখা সব বইপত্র, জার্নাল এখানে রক্ষিত। এখান থেকেও একটি সাময়িকী নিয়মিত বের হয়।

            যেতে পথে পড়বে সেন্ট যোসেফের গির্জা। গির্জাটা বেশ সাজানো-গোছানো, নীরব আর খুব সুন্দর।

            এরপর এসে পৌছাবেন বিজয়পুরের চীনামাটির পাহাড়ে। পাহাড় ও সমভূমি সহ এটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ৬০০ মিটার। বিস্তর পাহাড় জুড়ে রয়েছে সাদা মাটি।কিছু কিছু জায়গায় লালচে মাটি ও দেখা যায়। পাহাড় থেকে মাটি কাটায় সেখানে হ্রদের সৃষ্টি হয়েছে যার পানি কোথাও স্বচ্ছ নীল কোথাও সবুজাব নীল কোথাও বা একদম লাল। তবে লাল পানি এখন নেই বললেই চলে। এই হ্রদের নীল জল যেন আপনার সমস্ত অবসাদ ও ক্লান্তি দূর করে দেবে। আর এসব হ্রদের পানিতে চোখ পড়তেই দেখবেন আসার সব কষ্টগুলো নিমিষেই মিলিয়ে গেছে। শ্বেত শুভ্র চিনামাটির পাহাড়ের পাদদেশ দিয়ে বয়ে গেছে অপরুপ নীলের উৎস সমেশ্বরী নদী। যা বর্তমানে কয়লা খনি হিসেবে পরিচিত। এই নদীর নীল জলে সাদা চিনামাটির পাহাড়ের প্রতিবিম্ব যেন এক অলৌকিক সৌন্দর্যের প্রতীক। এক কথায় অসাধারণ!

            এছাড়াও দূর্গাপুর থেকে ৬ কিলোমিটার উত্তর সীমান্তে পাহাড়ের চুড়ায় রানীখং গীর্জা অবস্থিত। এই পাহাড়ের চুড়া থেকে বিরিশিরির সৌন্দর্য যেন অন্য মাত্রা পায়।

            বিরিশিরি ইউনিয়ন পরিষদের পাশেই কমলা রানী দীঘি। এই কমলা রারী দীঘি সাগর দীঘি নামেও পরিচিত। দীঘিটি পুরোপুরি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেলেও এর দক্ষিণ-পশ্চিম পাড় এখনো কালের সাক্ষী হয়ে আছে।

            নিরিবিলি কোলাহলবিহীন ছিমছাম শান্ত পরিবেশ মনে প্রশান্তি এনে দেয়। এমন পরিবেশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতেও আপনার খারাপ লাগবে না। এছাড়া দু’চোখ যেদিকে যাবে দেখবেন শুধুই পাহাড়। তবে এগুলোর বেশিরভাগই ভারতে।

            কীভাবে যাবেন- 
            ঢাকা থেকে যেতে চাইলে আপনাকে মহাখালী বাস স্ট্যান্ড থেকে বিরিশিরি কিংবা দুর্গাপুরের বাসে উঠতে হবে।বিরিশিরি বাসস্ট্যান্ডই বাসের শেষ গন্তব্য। ঢাকা থেকে সময় প্রায় চার ঘন্টা লাগে।

            কোথায় থাকবেন-
            বিরিশিরি কালচারাল একাডেমির নিজস্ব রেস্ট হাউস ও জেলা পরিষদ ডাক বাংলো, ওয়াইএমসিএ নামক প্রতিষ্ঠানের গেস্ট হাউস আছে। এছাড়া উপজেলা সদরে বিভিন্ন হোটেল রয়েছে।

            এছাড়া দেখুন :

            পরিব্রাজকের চোখে: নীল জল আর সাদা মাটির দেশ সুসং দুর্গাপুর : ময়মনসিংহ শহরের মাসকান্দা বাস স্ট্যান্ডে যখন পৌঁছলাম তখন শেষ বিকেলের আলোটুকু প্রায় নিভে এসেছে। আকাশ ভরে আছে কালো মেঘে, মনে হচ্ছে আবারো ঝুম বৃষ্টি নামবে। ট্যাক্সি ড্রাইভাররা সমানে হেঁকে চলেছে- ‘শম্ভুগঞ্জ’, ‘শম্ভুগঞ্জ’। সামনেই শম্ভুগঞ্জ ব্রিজ দেখা যাচ্ছে। নিচে ব্রহ্মপুত্র নদ।

            শম্ভুগঞ্জ!
            -নাম টা বুলেটের মতো কানে গেঁথে গেছে। খুব পরিচিত, খুব কাছের মনে হচ্ছে। কোথায় শুনেছি আগে? স্মৃতি রিওয়াইন্ড করলাম। হ্যাঁ, বাংলাদেশের শিল্প-সাহিত্যে এই নামটি বহুভাবে এসেছে। হুমায়ুন আহমেদ আর তসলিমা নাসরিনের লেখায় বারংবার উঠে এসেছে ‘শম্ভুগঞ্জ ব্রীজ’ এর কথা- ব্রীজের নিচের ব্রহ্মপুত্র নদের কথা। এই ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে বসে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন এঁকেছেন বহু বিখ্যাত ছবি। ময়মনসিংহ শহরেই আছে শিল্পাচার্যের একটি সংগ্রহশালা- সেই সংগ্রহশালায় সংরক্ষিত আছে ১৯৩৩ সালে আঁকা তাঁর বিখ্যাত দুটি চিত্রকর্ম- ‘শম্ভুগঞ্জ ঘাট’ এবং ‘ শম্ভুগঞ্জ ব্রিজ’।

            • 1451 views
            • 1 answers
            • 0 votes
          • Professor Asked on February 27, 2015 in ভ্রমণ.

              বাংলা, হিন্দি, ফারসি ইত্যাদি ভাষার ক্ষেত্রে, পুরুষবাচক শব্দ সাধারণত অ-কারান্ত এবং নারীবাচক শব্দ আ-কারান্ত বা ই,ঈ-কারান্ত হয়। যেমনঃ রহিম (অ-কারান্ত) -রহিমা (আ-কারান্ত, নামের শেষে আ আছে ) , রজক (অ-কারান্ত) – রজকী ( ঈ-কারান্ত, নামের শেষে ঈ আছে ) তেমনিভাবে ফুল-ফুলি, কুমার-কুমারী, নদ-নদী ইত্যাদি।

              তাই যে সকল ‘নদীর’ নাম পুরুষবাচক অর্থাৎ অ-কারান্ত তারা নদ আর যে সকল ‘নদীর’ নাম নারীবাচক অর্থাৎ আ-কারান্ত বা ঈ,ই-কারান্ত তারা নদী। এই কারণে ব্রহ্মপুত্রের শাখা নদী থাকলেও এটি নদ। একই কারণে নীল ‘নদী’ নয় ‘নদ’। অনেকে আমাজন নদী বললেও উপরে উল্লেখিত কারণে তা হবে নদ।

              অনেকে নদ ও নদীর আরও একটি বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করেন। সেটি হল – একটি সর্বদা পূর্ব-পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয় এবং অন্যটি সর্বদা উত্তর-দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়ে থাকে। নদীর প্রবাহদিক খেয়াল করে থাকলে নদের প্রবাহদিক অনুধাবন করা যায়। আবার কারও কারও মতে, নদের কোন শাখা বা উপশাখা হয় না। পুরুষবাচক নাম বলে হয়তো এমন ধারণা। তবে এর কোন ভিত্তি নেই। ব্রহ্মপুত্র নদ হলেও শাখা আছে। যেমন : শীতলক্ষ্যা ও যমুনা যদি ব্রহ্মপুত্রের শাখা। আসলে, নদ ও নদীর সঙ্গে শাখা থাকা না-থাকা নিয়ে কোন সম্পর্ক নেই। এটি সম্পূর্ণ ব্যাকরণগত এবং ভারতীয় পুরাণ বা প্রচলিত প্রবাদের উপর নির্ভরশীল। আমাদের উপমহাদেশের সংস্কৃতিতে নদ ও নদীকে যথাক্রমে নারী ও পুরুষ হিসেবে ভাগ করার পেছনে পুরাণ, ধর্মীয় ও লোকজ বিশ্বাসের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। শাখা থাকুক আর নাই থাকুক, ব্রহ্মার পুত্র ব্রহ্মপুত্রকে মেয়ে ভাবার কোন সুযোগ নেই। তেমনি হিমালয়দুহিতা গঙ্গা, সে তো নারী ছাড়া আর কিছু হতে পারে না। পারে কি? ( সংগৃহীত)

              তবে নদ ও নদী সম্পর্কে উইকিপিডিয়াতে লেখা আছে, “যে জলস্রোত কোন পর্বত, হ্রদ, প্রস্রবণ ইত্যাদি জলাধার হতে উৎপন্ন ও বিভিন্ন জনপদের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে অন্য কোন জলাশয়ে পতিত হয়, তাকে নদী বলে। যেমনঃ মেঘনা, যমুনা, কুশিয়ারা ইত্যাদি। আর যখন কোন নদী হতে কোন শাখা নদীর সৃষ্টি হয়না, তখন তাকে বলা হয় নদ। যেমনঃ কপোতাক্ষ, ব্রহ্মপুত্র, নীল নদ ইত্যাদি নদ ।”

              • 4840 views
              • 1 answers
              • 0 votes
            • Professor Asked on February 27, 2015 in স্বাস্থ্য.

                সাধারণত ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বা ১০০ দশমিক ৪ ডিগ্রি থেকে ১০২ দশমিক ২ ডিগ্রি ফারেনহাইট। এমনটি থাকলে জ্বর জ্বর বোধ হয়, গা মেজমেজ করে। একে নিম্নমাত্রার জ্বর বা লো গ্রেড ফিভার বলে। এ রকম জ্বর নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার যেমন কিছু নেই, তেমনি একেবারে উপেক্ষা করাও ঠিক নয়।

                সত্যি সত্যি জ্বর আসে কি-না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রথমে নিয়মিত দিনে চার থেকে পাঁচবার টানা পাঁচ থেকে সাত দিন ভালো থার্মোমিটারে জ্বর মাপা উচিত। যদি তাপমাত্রার তালিকায় সত্যি দিনে বা রাতে জ্বর উঠতে দেখা যায়, তবে সতর্ক হওয়া উচিত। অল্প অল্প জ্বর বা নিম্নমাত্রার জ্বর অনেক সময় উষ্ণ আবহাওয়া, ভারী পোশাক পরা, পানিশূন্যতা বা অনেকক্ষণ রোদে হাঁটাচলার কারণে স্বাভাবিকভাবেই হতে পারে। শিশুদের দাঁত ওঠার সময়ও এমন জ্বর ওঠা স্বাভাবিক। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই এটি যক্ষ্মা, থাইরয়েডের সমস্যা, পেটের নানা জটিলতা, ডায়াবেটিস বা ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগেরও উপসর্গ হতে পারে। কখনও সর্দি বা মাংসপেশির কিছু প্রদাহ বা নিম্নমাত্রার কোনো সংক্রমণ যেমন প্রস্রাবে বা কান-গলা-দাঁতের সংক্রমণে এ রকম জ্বর আসতে পারে।

                জ্বরের কারণ খুঁজতে অন্যান্য উপসর্গ অনুসন্ধান করতে হবে। এগুলোর মধ্যে খাবারে রুচি কমে যাওয়া, দীর্ঘমেয়াদি সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট, কান ও গলাব্যথা, বমি ভাব ও পেট ব্যথা, ওজন হ্রাস, অস্থিসন্ধি ও পেশিতে ব্যথা, পেটে হজমের গোলমাল ইত্যাদি। জ্বরের সঙ্গে অন্য কোনো উপসর্গ বিশেষ করে অরুচি, ওজন হ্রাস ইত্যাদি না থাকলে আতঙ্কিত না হয়ে যথেষ্ট বিশ্রাম নিন, পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খান।

                তবে শুধু রাতে জ্বর হওয়াটা ভালো কোনো লক্ষণ না। জ্বর দীর্ঘস্থায়ী হলে এবং অন্যান্য উপসর্গ থাকলে সঠিক রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার প্রয়োজন আছে। সে ক্ষেত্রে প্রথমেই এক গাদা পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ধাপে ধাপে এগোতে হবে। অযথা অ্যান্টিবায়োটিক ও জ্বরনাশক ওষুধ না খেয়ে রোগ নির্ণয় করে যথাযথ চিকিৎসা নিন।


                • 906 views
                • 1 answers
                • 0 votes
              • Professor Asked on February 27, 2015 in স্বাস্থ্য.

                  বিভিন্ন পুষ্টিগুণের কারণে দুধকে আদর্শ খাবার বলা হয়ে থাকে। আসুন জেনে নিই পুষ্টিকর দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবরের উপকারিতা সম্পর্কে।

                  দুধ ও দাঁতক্ষয়

                  দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে থাকা ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস দাঁতের গঠন ও বিকাশে উপকারী। দুধে প্রচুর পরিমাণে থাকা আমিষ ‘ক্যাসিন’ দাঁতের এনামেলের উপর প্রতিরোধী পাতলা স্তর গড়ে তোলে। মুখের ভেতর দাঁত এসিডের সংস্পর্শে আসলে এটি তখন দাঁত থেকে ক্যালসিয়াম ও ফসফেটের ক্ষয় রোধ করে। দন্তবিশেষজ্ঞরা বলেন যে, প্রতি বেলা আহারের মধ্যবর্তী সময়ে পানি বাদে দুধই হচ্ছে আরেকটি নিরাপদ পানীয়। কারণ দেখা গিয়েছে দুধ দাঁত ক্ষয়ের সবচে’ নাজুক অবস্থাতেও দাঁতের ক্ষয়সাধন করে না।

                  হাড়ের স্বাস্থ্য

                  দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে থাকা ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়াম হাড়ের গঠন ও বিকাশে দরকারি। ছোটবেলা থেকে শুরু করে সারা জীবন দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণ হাড়কে করে মজবুত আর রক্ষা করে ‘ওসটিওপোরোসিস’ নামের হাড়ক্ষয়কারী রোগ থেকে। যদি দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার প্রতিদিনের আহারে না থাকে, তবে ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দিতে পারে যা বিশেষ করে মহিলাদের আর বয়স্কদের চিন্তার বিষয়। ক্যালসিয়ামের অভাবের কারণে ‘ওসটিও আর্থাইটিস’ নামক হাড়ক্ষয়কারী রোগ হতে পারে।

                  দুধ ও রক্তচাপ

                  শুধু ফল ও সবজি খেলে যে উপকার হয়, তারচেয়ে ফল, সবজি আর স্বল্প চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার নিয়মিত পরিমাণে গ্রহণ করলে তা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অধিক কার্যকরী- এমনটিই ফুটে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণায়। দুগ্ধজাত খাবারে রয়েছে ‘উচ্চমানসম্পন্ন আমিষ’ যা মানবদেহের জন্য দরকারি। দুগ্ধজাত আমিষ শরীরে অ্যামাইনো অ্যাসিড সরবরাহের মাধ্যমে অ্যামাইনো অ্যাসিডের কমতি থাকা ‘সেরিল’ ও সবজিজাত সাধারণ মানের আমিষের পুষ্টিমান বাড়িয়ে তোলে।

                  দুধ ও হৃদরোগ

                  বেশকিছু গবেষণায় দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণের সাথে হৃদরোগের লক্ষণসমূহ হ্রাসের একটি যোগসূত্র পাওয়া গেছে। দেখা গেছে যারা স্বল্প পরিমাণে দুধ পান করেছিলেন তাদের চাইতে যারা বেশি পরিমাণে দুধ (বিশেষত সর বাদ দিয়ে) পান করেছিলেন তাদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা কম। এক্ষেত্রে আরো অন্যান্য নিয়ামক থাকতে পারে, তবে স্বাস্থ্য ও অসুস্থতা সংক্রান্ত এক গবেষণায় দেখা গেছে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম গ্রহণের সাথে হৃদরোগের ঝুঁকিহ্রাসের একটা সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষ করে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম গ্রহণ রক্তে বাজে কোলেস্টরেলের পরিমাণ কমিয়ে আনতে পারে আর ভালো কোলেস্টরেলের পরিমাণ বাড়াতে পারে। অধিকতর বাজে কোলেস্টরেল আর কম পরিমাণ ভালো কোলেস্টরেল দুটোই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

                  স্থূলতা রোধে

                  প্রচলিত ধারণার বিপরীতে জানা গেছে যারা দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণ করেন না তাদের চাইতে যারা দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণ করেন তারা তুলনামূলক ঝরঝরে শরীরের অধিকারী হয়ে থাকেন। পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে ক্যালরি নিয়ন্ত্রিত সুষম খাবারের অংশ হিসেবে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণ করলে ওজন হ্রাস ত্বরান্বিত হয়ে থাকে, বিশেষ করে তলপেট থেকে, যেখানটায় বেশি চর্বি থাকাটা স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি।

                  টাইপ-২ ডায়াবেটিস

                  নিয়মিত কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার খেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস পায়; যা এখন শুধু বয়স্ক নয়, শিশু-কিশোরদেরও সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবারের এই উপকারিতার পেছনে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামসহ অন্যান্য দরকারি পুষ্টিগুণের সমন্বিত অবদান আছে নয়তো এতে থাকা স্বল্প গ্লাইসেমিক সূচক রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ৩৭,০০০ মধ্যবয়সী মহিলার মধ্যে জরিপ চালিয়ে দেখা গেছে যারা পর্যাপ্ত দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণ করেছিলেন তাদের মধ্যে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কম ছিল। ৩,০০০ অতিরিক্ত ওজনের বয়স্কদের মাঝে গবেষণায় দেখা গেছে পরিশোধিত চিনি ও শর্করা গ্রহণ না করে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণ করলে অতিরিক্ত ওজনের বয়স্কদের শরীরে টাইপ-২ ডায়াবেটিস জেঁকে বসাটা প্রতিরোধ করতে পারে।

                  ডিহাইড্রেশন রোধে

                  শরীরে জলশূন্যতা হলে দুর্বল মনোযোগ, স্মরণশক্তির এলোমেলো ভাব, অনুভূতির অবসাদগ্রস্ততা আর ভালো না লাগার বোধ হতে পারে। তরল খাবার হিসেবে পানির পাশাপাশি দুধ সত্যিই দারুণ, যা শুধু শরীরের জলীয় মাত্রার পূরণ করে না, সেইসাথে প্রচুর পুষ্টিমান দিয়ে থাকে। আসলে দুধ শুধু প্রয়োজনীয় তরল খাদ্যই নয় সুস্বাদু ও মজাদারও বটে। পারিবারিকভাবে দুধ আমাদের নিত্যসঙ্গী। দুধ ছাড়া আমাদের একমুহূর্ত চলে না। প্রতিটি সময়ে চা, কফি, মিস্টান্ন তৈরিতে প্রথমেই দরকার হয় দুধ। আমাদের দেশে বহুল জনশ্রুতি আছে, দুধে ভাতে বাঙালি তাই এই দুধ ছাড়া কি আমাদের চলে।

                  জটিল রোগ প্রতিরোধে দুধ

                  বেশ কিছু ক্ষেত্রে প্রমাণিত হয়েছে যে, পর্যাপ্ত দুধ পান মলাশয় ও ব্রেস্ট ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক কাজ করে। ৪৫ হাজার সুইডেনবাসীর মধ্যে এক গবেষণায় দেখা গেছে পুরুষদের মধ্যে যারা দেড় বা তার বেশি গ্লাস দুধ পান করেছিলেন; তাদের রোগ-শোক হবার ঝুঁকি, যারা সপ্তাহে দুই বা তার কম গ্লাস দুধ পান করেছিলেন তাদের চাইতে ৩৫% কম। পাশাপাশি ৪০ হাজার সুইডিশ মহিলার মধ্যে এক জরিপে দেখা গেছে যারা ছোটবেলা থেকে বয়স্ক হওয়া পর্যন্ত নিয়মিত দুধ পান করে আসছেন তাদের ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কম। মলাশয়ের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে ক্যালসিয়াম ও দুধে স্বাভাবিকভাবে সৃষ্ট কনজুগেটিভ লিনোলিক এসিড (সি এল সি) প্রতিরোধমূলক কাজ করে থাকে বলে বিবেচিত হয়। যারা নিয়মিত দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণ করেন, তাদের মধ্যে মলাশয়ের ক্যান্সার হবার হার কম।


                  • 1624 views
                  • 1 answers
                  • 0 votes
                • Professor Asked on February 27, 2015 in স্বাস্থ্য.

                    জরায়ুর ক্যান্সার বা এইচপিভির কার্যকর প্রতিরোধ হলো এইচপিভি টিকা নেওয়া। এইচপিভি-১৬, এইচপিভি-১৮,এইচপিভি-৬, এইচপিভি-১১-এর প্রতিষেধক টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে। এ টিকা নেওয়া হলে শরীরে উল্লিখিত ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর অ্যান্টিবডি সৃষ্টি হয়। জরায়ুতে ঝুঁকিপূর্ণ ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আগে থেকে সৃষ্টি হওয়া অ্যান্টিবডি তা ধ্বংস করে দিতে সক্ষম হয়।

                    দুই ধরনের টিকা আছে। একটি (সারভারিক্স) দুিট ভাইরাসের (এইচপিভি-১৬, এইচপিভি-১৮) প্রতিরোধক টিকা, অপরটি (গার্ডাসিল) চারটি ভাইরাসের প্রতিরোধক টিকা।

                    যেকোনো একধরনের টিকা (সারভারিক্স অথবা গার্ডাসিল) ১২-১৩ বছরের বালিকাদের এইচপিভি আক্রান্ত হওয়ার আগে দেওয়া হয়। আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) নিয়মানুযায়ী, ৯ থেকে ২৫ বছর বয়সে এ টিকা কার্যকর হয়। তিনটি ডোজ দিয়ে এ টিকা থাকে। প্রথম ডোজ নেওয়ার এক মাস পর দ্বিতীয় ডোজ এবং ছয় মাস পর তৃতীয় ডোজ দেওয়া হয়। টিকা নেওয়ার পরমুহূর্ত থেকে চার থেকে ছয় বছর এ টিকা কার্যকর থাকে বলে বর্তমানে গণ্য করা হয়। তবে বিবাহিত জীবনযাপনের এ টিকা তেমন কার্যকর হয় না। গর্ভাবস্থায় এ টিকা নেওয়া এখনো অনুমোদিত হয়নি।

                    এইচভিপি ইনফেকশন হয়ে যাওয়ার পর বা ক্যানসার হয়ে যাওয়ার পর টিকা দিলে কোনো কাজে আসে না। কারণ, এ টিকা ইনফেকশন দমন করতে পারে না এবং ক্যানসারের গতি রুদ্ধ করতে পারে না। এ টিকা গ্রহণকারীকেও নিয়মিত পেপস স্মেয়ার টেস্টে অংশ নিতে হবে।

                    জরায়ুমুখের ক্যানসার আজও বাংলাদেশের নারীদের ১ নম্বর সমস্যা। মহিলা ক্যানসার রোগীদের শতকরা ২৫ ভাগ অর্থাৎ প্রতি চারজনে একজন এ রোগে আক্রান্ত। এ রোগের প্রকোপ কমিয়ে আনার জন্য নারীদের এ রোগ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

                    – বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন (মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ বছর) মেনে চলা।
                    – অধিক সন্তান নেওয়া থেকে বিরত থাকা।
                    – ধূমপান বন্ধ করতে হবে। অন্যের ধূমপানে যাতে নিজের ক্ষতি না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে অর্থাৎ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার না হওয়া।
                    – বন্ধ করতে হবে পানের সঙ্গে জর্দা ও সাদা পাতা খাওয়া ও দাঁতের গোড়ায় গুল (তামাকের গুঁড়া) লাগানো।
                    – সুষম খাবার খেতে হবে, যাতে পুষ্টি ঘাটতি না থাকে। প্রতিদিন তিন থেকে চার বার ফল, শাকসবজি ও তরকারি খেতে হবে।পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যসম্মত ও সুশৃঙ্খল জীবন যাপন করতে হবে।


                    • 670 views
                    • 1 answers
                    • 0 votes
                  • Professor Asked on February 27, 2015 in স্বাস্থ্য.

                      ছেলে বলেন বা মেয়ে বলেন যেহেতু আমরা একই রক্তে মাংসে গড়া মানুষ সেক্ষেত্রে আমাদের অনুভূতি একই রকম হতে পারে এটেই স্বাভাবিক। যেমস অধিকাংশ ছেলেরা যখন অনেক বেশি টেনশনে পড়েন তখন টেনশনমুক্ত হওয়ার জন্য ধূমপান করে থাকেন। আবার ধূমপান করেন এমন নারীরাও টেনশনে পড়লে সিগারেট খেতে চেয়ে থাকেন। সমস্যা সেখানে নয়, সমস্যা হল সমাজের গঠন কাঠামোতে। আপনি হয়ত বাঙালি কোনো সমাজের নারী হয়ে থাকবেন। বাঙালি সমাজে প্রকাশ্যে কোনো নারীর ধূমপান করাকে ভালোভাবে সমর্থন করে না। কারণ এটা বাঙালি সংস্কৃতির সাথে যায় না। যদিও এখনকার নারীরা অনেক বেশি আধুনিক। তারা নিজেদের অধিকার আদায় করতে শিখেছেন। আপনি যদি ওয়েস্টার্ন কোনো কালচারে থাকতেন তাহলে ধূমপানের বিষয়টি কোনো ব্যাপারই না। বাঙালি সমাজ এখনও অতটা আধুনিক হতে পারে নি বলেই প্রকাশ্যে নারীদের ধূমপান অনেকটা দন্ডনীয় অপরাধের মতই।

                      • 736 views
                      • 1 answers
                      • 0 votes
                    • Professor Asked on February 27, 2015 in স্বাস্থ্য.

                        আশানরুপ না। তবে একদম এ যে করে না তা আবার ঠিক না।

                        • 458 views
                        • 1 answers
                        • 0 votes