14182
Points
Questions
3
Answers
7076
– ২ জন সাক্ষী – জাতীয় পরিচয়পত্র বা যে কোন পাবলিক পরীক্ষার সার্ফিকেট (বয়স প্রমাণের জন্য) – প্রয়োজনীয় টাকা
- 945 views
- 1 answers
- 0 votes
না। এতো বড় অপকর্মের জন্য এই শাস্তি কোনও কিছু না। সরকার আরও কঠিন শাস্তির কথা ভাবছে।
- 1221 views
- 1 answers
- 0 votes
আমরা অনেকেই জাতীয় পরিচয়পত্রের বিভিন্ন ভূলভ্রান্তি নিয়ে বিভিন্ত ভোগান্তি পোহাতে হয়। আবার যারা নতুন পরিচয় পত্র করতে চাই তারাও এ বিষয়ে অনেক অজ্ঞ। কিভাবে করব, কোথায় কবর, কি কি লাগবে ইত্যাদি বিষয়ে। আর এ সমস্যা সমাধানের জন্য নিন্ম পদ্ধতি অনুসরণ করলে আশা করি সবাই উপকার পাবেন।
পরিচয়পত্রে নিজের নাম, পিতা, মাতা, স্বামী, স্ত্রী ও অভিভাবকের নাম, জন্মতারিখ, রক্তের গ্রুপ এবং ঠিকানা সংশোধন কিংবা বদল করতে হতে পারে। এ জন্য প্রার্থীকে সাদা কাগজে ‘ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানে সহায়তা প্রদান প্রকল্প’- এর পরিচালকেরকাছে আবেদন করতে হবে। এই আবেদন আগারগাঁওয়ের ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনের সপ্তম তলায় প্রকল্প কার্যালয়ে পাওয়া ছক বা ফরমেও করা যায়। ফরম পূরণ করে প্রকল্প কার্যালয়ের নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা দেওয়ার পর সেখান থেকে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (প্রাপ্তি নম্বরসংবলিত) দেওয়া হয়। এতে সংশোধিত জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার তারিখ উল্লেখ থাকবে। এই তারিখের সাত দিনের মধ্যে কাউন্টার থেকে সংশোধিত পরিচয়পত্র নিতে হবে। নাম সংশোধনঃ কেউ পরিচয়পত্রে থাকা নিজের নাম, পিতা, স্বামী কিংবা মাতার নাম সংশোধন করতে চাইলে তাকে আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে
১। এসএসসি বা সমমান সনদ,
২। নাগরিকত্ব সনদ,
৩। জন্মনিবন্ধন সনদ,
৪। চাকরির প্রমাণপত্র,
৫। পাসপোর্ট,
৬। নিকাহনামা এবং
৭। পিতা, স্বামী কিংবা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত এসব নথি অবশ্যই সত্যায়িত হতে হবে। এ ক্ষেত্রে উল্লেখ করা নথির যার যেটি আছে, শুধু সেটি দিলেই চলবে। যেমন, যার শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির কম, তাকে এসএসসি বা সমমানের সনদের ফটোকপি জমা দিতে হবে না। আবার কেউ যদি চাকরি না করেন, তাকে চাকরির প্রমাণপত্র দিতে হবে না। আবার পাসপোর্ট না থাকলে তা দেওয়ার দরকার নেই।
নাম পরিবর্তনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজের নাম বদল করতে হলে আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে এসএসসি বা সমমানের সনদের সত্যায়িত ফটোকপি (শিক্ষাগত যোগ্যতা এর নিচে হলে দেওয়ার দরকার নেই), বিবাহিত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে স্ত্রী বা স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সম্পাদিত এফিডেভিট এবং জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত নাম পরিবর্তনসংক্রান্ত বিজ্ঞাপনের কপি। নাম পরিবর্তনের জন্য প্রার্থীকে শুনানির দিন প্রকল্পের কার্যালয়ে কাগজপত্রের মূল কপিসহ হাজির হতে হবে।স্বামীর নাম সংযোজন বা বাদ দেওয়াঃ
বিয়ের পর কেউ জাতীয় পরিচয়পত্রে স্বামীর নাম যুক্ত করতে চাইলে তাকে কাবিননামা ও স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্র আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে। আর বিবাহবিচ্ছেদের কারণে স্বামীর নাম বাদ দিতে চাইলে আবেদনকারীকে তালাকনামার সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।পিতা বা মাতার নাম পরিবর্তনঃ
পিতা বা মাতার নাম পরিবর্তন করতে হলে আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে এসএসসি বা এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার সনদ অথবা রেজিস্ট্রেশন কার্ড। পিতা বা মাতার পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি। পিতা বা মাতা বা উভয়ে মৃত হলে দিতে হবে ভাই বা বোনের পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি। পিতা-মাতার নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আবেদনকারীর সাক্ষাৎকার নিতে পারেন।জন্মতারিখ সংশোধনঃ
যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা সমমানের, তাদের আবেদনপত্রের সঙ্গে এসএসসি বা সমমানের সনদের সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে হবে। বয়সের পার্থক্য অস্বাভাবিক না হলে প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে উল্লেখ করা তারিখে সংশোধিত পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়। অস্বাভাবিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সনদের মূল কপি প্রদর্শন কিংবা ব্যক্তিগত শুনানিতে অংশ নিতে হতে পারে। যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা সমমানের কম, তাদের জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার আগের তারিখে পাওয়া সার্ভিস বুক বা এমপিওর কপি, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জন্ম সদন, নিকাহনামা, পাসপোর্টের কপি প্রভৃতি। এ ক্ষেত্রে প্রকল্প কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা প্রকল্প পরিচালক আবেদনকারীর সাক্ষাৎকার নিয়ে থাকেন। এ ছাড়া দরকার হলে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে সরেজমিনে তদন্ত করা হয়।ঠিকানা সংশোধনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা বর্তমান ঠিকানা ও ভোটার এলাকা বদল করার সুযোগ আছে। তবে সারা বছর সেই সুযোগ মেলে না। এটা শুধু ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময় করা যাবে। বর্তমানে হালনাগাদ করার কাজটি করা হয় শুধু জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে। সারা বছর ভোটার এলাকা বদলের সুযোগ থাকে না কেন, জানতে চাইলে প্রকল্পের কমিউনিকেশন অফিসার দেবাশীষ কুণ্ডু বলেন, ‘আমাদের দেশে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা, সিটি করপোরেশন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভিন্ন ভিন্ন সময়ে হয়। দেখা যায়, একই বছর একাধিক নির্বাচন হয়। একই বছরে কেউ যাতে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট দিতে না পারেন, তাই সারা বছর ভোটার এলাকা বদলের সুযোগ দেওয়া হয় না।’ হালনাগাদ করার সময় ভোটার এলাকা বদল করতে হলে নতুন ঠিকানার উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিস থেকে দেওয়া ফরম-১৩ অথবা ফরম-১৪ পূরণ করে উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে। তবে ঠিকানা পরিবর্তন না করে সংশোধন (বানান, বাড়ির নম্বর, সড়ক নম্বর ভুল থাকলে) করার সুযোগ ঢাকার প্রকল্প কার্যালয়ে রয়েছে।এ ছাড়া স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন বা এর কোনো তথ্য সংশোধনেরও সুযোগ আছে। ঠিকানার ছোটখাটো ভুল সংশোধন বা স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তনের সুযোগ সারা বছরই থাকে। এ জন্য আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রকল্প কার্যালয়ের নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা দিতে হবে পরিবারের কোনো সদস্যের পরিচয়পত্রের কপি, গ্যাস, বিদ্যুৎ, টেলিফোন বিলের যেকোনো একটির কপি বা কর দেওয়ার কপি। আরও জমা দিতে হবে চেয়ারম্যান বা ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্র। স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ওই ঠিকানায় নিজের নামে বা পিতা বা মাতার নামে থাকা জমি বা ফ্ল্যাটের দলিলের সত্যায়িত ফটোকপিও জমা দিতে হবে।
রক্তের গ্রুপ সংশোধনঃ
রক্তের গ্রুপ সংশোধন করতে হলে মেডিকেল প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
বিবিধ সংশোধনঃ জাতীয় পরিচয়পত্রে কোনো নামের আগে পদবি, উপাধি, খেতাব ইত্যাদি সংযুক্ত করা যাবে না। পিতা বা স্বামী বা মাতাকে মৃত উল্লেখ করতে চাইলে মৃত্যুর সনদ দাখিল করতে হবে। জীবিত পিতা বা স্বামী বা মাতাকে ভুলক্রমে মৃত হিসেবে উল্লেখ করার কারণে পরিচয়পত্র সংশোধন করতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচয়পত্রের কপি দাখিল করতে হবে।হালনাগাদ কর্মসূচির পরিচয়পত্র সংশোধনঃ
২০০৯ সালে হালনাগাদ কর্মসূচির সময় যাদের নাম ভোটার তালিকায় যুক্ত হয়েছে, তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে কোনো ভুল থাকলে বা হারিয়ে গেলে তাদের ২০১০ সালের ডিসেম্বরের পর প্রকল্প কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে হবে।পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলেঃ
পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট থানায় ভোটার নম্বর বা আইডি নম্বর উল্লেখ করে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে। এরপর জিডির মূল কপিসহ প্রকল্প কার্যালয় থেকে নেওয়া ছকের আবেদনপত্র নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র নিতে হবে। প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে উল্লেখ করা তারিখে ডুপ্লিকেট পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়।যাঁরা এখনো পরিচয়পত্র ওঠাননিঃ
ঢাকা সিটি করপোরেশনের যেসব বাসিন্দা (ডেমরা, যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, শ্যামপুর থানা ছাড়া) ২০০৭-০৮ সালে পরিচয়পত্রের জন্য সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছেন, কিন্তু সেটি সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে গিয়ে আর আনেননি, তাঁরা প্রকল্প কার্যালয়ে গিয়ে মূল প্রাপ্তি রসিদ জমা দিয়ে সেই পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। ডিসিসির বাইরে ঢাকা জেলার অন্যান্য উপজেলা বা থানার বাসিন্দা কিংবা দেশের অন্য কোনো জেলার বাসিন্দারা পরিচয়পত্র নির্দিষ্ট সময়ে না উঠিয়ে থাকলে, তাঁদের প্রাপ্তি রসিদ সংশ্লিষ্ট উপজেলা, থানা বা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার মন্তব্যসহ প্রাপ্তি রসিদ জমা দিয়ে পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। তাঁদের মূল প্রাপ্তি রসিদ প্রকল্প কার্যালয়ের নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র গ্রহণ করতে হবে। প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে উল্লেখ করা তারিখে তাঁদের পরিচয়পত্র দেওয়া হবে।অভিবাসীরা যেভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র পাবেনঃ
অভিবাসী বাংলাদেশিদের জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার সুযোগ আছে। এ জন্য তাঁদের অবশ্যই দেশে আসতে হবে। তাঁদের থাকতে হবে পাসপোর্ট। আর তাতে বাংলাদেশে আসার সিল (অ্যারাইভাল সিল) থাকতে হবে। কারও যদি পাসপোর্ট না থাকে, তবে তাঁকে এমন কোনো কাগজ দেখাতে হবে, যেটা প্রমাণ করে যে তিনি বিদেশে ছিলেন। পাসপোর্ট বা সেই প্রমাণপত্র নিয়ে তাঁকে যেতে হবে তাঁর থানা বা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে। সেখানে জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া এবং ভোটার হওয়ার আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। সেখানে নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আবেদনকারীকে ফরম ও আনুষঙ্গিক কাগজপত্র নিয়ে আসতে হবে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে। সেই দপ্তর থেকে সব কাগজপত্র ডাকযোগে পাঠিয়ে দেওয়া হবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অধীনে থাকা ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানে সহায়তা প্রদান প্রকল্পের দপ্তরে। তবে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে কাগজপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষ করে আবেদনকারী সেগুলো হাতে হাতে নিয়ে আসতে পারেন প্রকল্পের কার্যালয়ে। এখানে আবেদনকারীর ছবি তোলা হবে, নেওয়া হবে হাতের ছাপ ও চোখের (আইরিশ) স্ক্যান। এসব কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আবেদনকারীকে প্রাপ্তি রসিদ দেওয়া হবে। তাতে আবেদনকারীকে ১৫ দিন পর আগারগাঁওয়ের ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনের সপ্তম তলায় প্রকল্পের দপ্তর থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হবে। তখন অবশ্যই প্রাপ্তি রসিদ আবেদনকারীর সঙ্গে থাকতে হবে।নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে হলেঃ
বাংলাদেশে কারও বয়স ১৮ বছর হলেই কেবল তিনি ভোটার তালিকায় নাম ওঠাতে পারেন। দেশের প্রতিটি উপজেলায় সার্ভার স্টেশন তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। এসব স্টেশনে ভোটার তালিকা তৈরি ও বিতরণের কাজ করা হবে। এগুলোয় কার্যক্রম শুরু হলে যখন যাঁর বয়স ১৮ বছর হবে, তখন তিনি ভোটার তালিকায় নাম ওঠাতে পারবেন। এখন ১৮ বছর পূর্ণ হওয়া মাত্রই জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির সুযোগ থাকছে তাঁদেরই, যাঁদের চিকিৎসা, পড়াশোনা বা কাজের জন্য বিদেশে যেতে হবে। এ জাতীয় কোনো প্রয়োজনীয়তার প্রমাণ দেখাতে হবে।
যোগাযোগঃ ভোটার তালিকাসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানতে হলে যোগাযোগ করতে হবে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানে সহায়তা প্রদান প্রকল্পের আগারগাঁওয়ের ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনের সপ্তম তলার কার্যালয়ে।- 1411 views
- 1 answers
- 0 votes
জিডি হল সাধারণ ডায়েরি। মূল্যবান যে কোন জিনিস হারালে যেমন- সার্টিফিকেট, দলিল, লাইসেন্স, পাসপোর্ট, মূল্যবান রশিদ, চেকবই, এটিএম বা ক্রেডিট স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ ইত্যাদি। অথবা কোন প্রকার হুমকি পেলে বা হুমকির আশংকা থাকলে কিংবা কেউ নিখোঁজ হলেও জিডি করার সুযোগ রয়েছে। অর্থাৎ সাধারণত যেসব ক্ষেত্রে মামলা হয়না সেসব ক্ষেত্রেই থানায় জিডি করা যায়। জিডি করার কোন বাধ্যবাধকতা না থাকলেও নতুন করে হারানো কাগজ তুলতে হলেও জিডির কপির প্রয়োজন হয়।
জিডি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন :
ইংরেজি শব্দ General Diary এর সংক্ষিপ্ত রুপ হচ্ছে GD (জিডি)। যে পদ্ধতিতে আপনি আপনার বা আপনার সম্পদের বা আপনার আপনজনের সম্ভাব্য কোন ক্ষতি থানা কর্তৃপক্ষকে অগ্রিমভাবে জানিয়ে রাখতে পারেন তার নাম জিডি।
জিডি কেন করবেন?
সাধারনত যেসব ক্ষেত্রে মামলা হয়না সেসব ক্ষেত্রে জিডি করা যায়। যেমন,• কারো দ্বারা ভিতিপ্রাপ্ত হয়ে নিরাপত্তার অভাব বোধ করলে।
• আপনার বা আপনার সম্পদের অথবা আপনার পরিবারের কোন সদস্য এর বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের আশঙ্কা থাকলে।
• আপনার কোন প্রয়োজনীয় কাগজ যেমন ধরুন পরিচয়পত্র, সার্টিফিকেট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, মূল্যবান রশিদ, চেকবই, এটিএম বা ক্রেডিট কার্ড, দলিল, নগদ অর্থ ইত্যাদি হারিয়ে গেলে।
• আপনার প্রাণনাশের হুমকি আছে এমন কিছু আশঙ্কা থাকলে।
• আপনার কোন আপনজন হারিয়ে গেলে অথবা নিখোঁজ হলে।জিডি কখন কাজে লাগে?
সন্দেহভাজন কোন ঘটনা ঘটার আশঙ্কায় বা হারানো কিছুর জন্য জিডি করা হলে ওই ঘটনা ঘটার পর দোষী ব্যক্তি শনাক্তকরণে বা হারানো জিনিস খুজে পেতে জিডির প্রয়োজন হয়।কোথায় জিডি করবেন?
জিডি করার ক্ষেত্রে সাধারণত ঘটনাস্থলকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। এর অর্থ হচ্ছে, যে এলাকায় ঘটনা ঘটেছে বা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে সেই এলাকার থানাতেই জিডি করা উচিত। ধরুন আপনার বাড়ি যশোর কিন্তু আপনি থাকেন ঢাকার মোহাম্মদপুরে। আপনার কোন জিনিস যদি মোহাম্মদপুরে হারিয়ে যায় তাহলে আপনাকে মোহাম্মদপুর থানাতেই জিডি করতে হবে; যদিও আপনি সেই সময় যশোরে অবস্থান করছেন।কোথায় গিয়ে জিডি করবেন?
আপনাকে থানায় গিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর একটি আবেদনপত্র দিতে হবে। একটি জিডির আবেদনপত্রে সাধারনত আপনার নাম, পিতার নাম, ঠিকানা, জিডি করার কারণ ইত্যাদি প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হয়।নিচে জিডির আবেদনপত্রের একটি নমুনা দেওয়া হলঃ
তারিখঃ…………………
বরাবর
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
……………… থানা, …………………।বিষয়ঃ সাধারন ডায়েরি করার আবেদন।
জনাব,
আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী নামঃ ………………………
বয়সঃ …………………………………………….
পিতা/ স্বামীঃ …………………………………….
ঠিকানাঃ ………………………………………….এই মর্মে জানাচ্ছি যে আজ/গত……………তারিখ………………সময়…………… জায়গা থেকে আমার নিম্নবর্ণিত কাগজ/মালামাল হারিয়ে গেছে।
বর্ণনাঃ…………………………………(যে জিনিসটি হারিয়ে গেছে তার বর্ণনা)।
বিষয়টি থানায় অবগতির জন্য সাধারন ডায়েরিভুক্ত করার অনুরোধ করছি।
নিবেদক,
…………………(আবেদনকারীর সাক্ষর)
পূর্ণ নামঃ………………………………
ঠিকানাঃ ………………………………
ফোন নম্বরঃ …………………………..জেনে রাখুনঃ
• জিডি করতে হলে আপনাকে একই আবেদনপত্রের দুটি কপি করতে হবে। প্রথম কপিটি থানায় নথিভুক্ত হবে এবং দ্বিতীয় কপিটি জিডি নম্বর, তারিখ, অফিসারের সাক্ষর ও সিলসহ আপনাকে দেওয়া হবে। উক্ত কপি আপনার নিজের কাছে সংরক্ষণ করতে হবে।• জনাব “ক” জনাব “খ” এর বিরুদ্ধে জিডি করবেন। জনাব “ক” জনাব “খ” এর শুধু নাম ছাড়া আর কিছুই জানেন না। এক্ষেত্রে জনাব “ক” এর জিডি গ্রহণযোগ্য হবেনা।
• যদি জনাব “ক” জনাব “খ” “গ” ও “ঘ” এর বিরুদ্ধে জিডি করতে চান; আর যদি তিনি জনাব “ক” ছাড়া আর সবার তথ্য সরবরাহ করতে অসমর্থ হন, সেক্ষেত্রে তার উচিত হবে “ক ও তার সহযোগী” এভাবে জিডি করা।
• জিডি হওয়ার পর থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা জিডিটি থানার ওসির কাছে পাঠাবেন। জিডিটি যদি আমলযোগ্য আপরাধ সংঘটনের মত বিষয় হয়, তবে থানা কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি আমলে নিয়ে অপরাধটি প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিবে এবং গৃহীত ব্যবস্থা পুনরায় আবেদনকারীকে অবহিত করা হবে।
- 2130 views
- 1 answers
- 0 votes
জার্মানির যতরকম ভিসা আছে, তার মধ্যে সবথেকে সময়সাপেক্ষ, হতাশাজনক ও কষ্টসাধ্য ভিসা হল স্পাউস ভিসা। আমি নিজে এটা ফেস করেছি এবং ব্যর্থ হয়েছি। yes, I repeat, ব্যর্থ হয়েছি। তাই আমার কোন কথাকেই বেদবাক্য মনে করার কোন কারন নেই।আমি চেষ্টা করব আমার গত চার মাসের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে যা শিখেছি তাই এখানে জানানো। যদি কেউ উপকৃত হন, তাতেই আমার পাওয়া।
spouse visa এর appointment দেয়া হয় ফোনে। ফোন করার ১ মাসের কম সময়ের মধ্যে আপনি appointment পাবেন খুব বেশি rush না থাকলে।
প্রথমেই নিম্নোক্ত URL যাবেনঃ
/www.dhaka.diplo.de/contentblob/1687450/Daten/3391567/Merkblaetter_Famili…এখানে আপনি পাবেন স্পাউস ভিসার জন্য এম্বাসীর দেয়া প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের বিবরণ। এই কাগজে আপনি প্রয়োজনীয় সকল তথ্যই পাবেন। তার পরও আরেকটু পরিষ্কার করে বলছি।
স্পাউস ভিসার জন্য application form পাবেন নিম্নোক্ত URL এ-
https://www.dhaka.diplo.de/contentblob/494300/Daten/55423/Antrag_Familien…
এই পূরণকৃত ফরমের দুই কপি লাগবে। আর সকল ডকুমেন্টের ৩ সেট ফটোকপি।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ
1. Birth Certificate: Husband এবং wife দুইজনেরই birth certificate লাগবে। সন্তান থাকলে সন্তানেরও লাগবে।
2. Unmarried Certificate/Marital Status Certificate (sample enclosed): এই কাগজটা আপনি বিবাহিত কিনা এবং বিবাহিত হলে বিয়ের পূর্বে অবিবাহিত ছিলেন কিনা ( অর্থাৎ এটা আপনার প্রথম বিবাহ কিনা) তা উল্লেখ করবে। এটার sample website এর document এই দেয়া আছে যা পাবেন এই পোস্টে দেয়া প্রথম URL এ।এই কাগজটা নিতে হবে আপনার জন্মনিবন্ধন যেখান থেকে করা সেই অথারিটির থেকে। যেমন, যদি ওয়ার্ড কমিশনারের থেকে যদি আপনি জন্মসনদ নেন, তাহলে তার থেকেই আপনাকে এই ডকুমেন্টটি সাইন ও সিল করিয়ে নিতে হবে।
3. Certificate of the judicial Magistrate or executive Magistrates regarding Birth and Unmarried/Marital Status Certificate including reference number (sample enclosed): শুরুতেই বলেছি আমি স্পাউস ভিসা নিতে ব্যর্থ হয়েছি। এই কাগজটাই তার মূল কারন। সে কথায় আমরা পরে আসছি। আগে জেনে নেই এই কাগজটি কি এবং কিভাবে নিব।এই কাগজটি হল উপরোক্ত ১ ও ২ নং কাগজের কনফার্মেশন।এটার sampleও প্রথম URL এর এম্বাসির ডকুমেন্টে দেয়া আছে। ওই ফরম্যাটে ১ ও ২ নং কাগজের সকল identification number বসিয়ে পূরণ করবেন এবং একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে যাবেন। এখানেই আমি ভুল করেছিলাম। আমি গিয়েছিলাম একজন এডভকেটের কাছে, যার একজন পরিচিত ম্যাজিস্ট্রেটের পিএ এর কাছে আমি ডকুমেন্টগুলো টাকার বিনিময়ে সাইন করিয়ে এনেছিলাম।ম্যাজিস্ট্রেটের চেহাড়াও দেখিনি আমি। এরকম একটা কাজ করার পর আমি ভিসা পাবনা এটাই স্বাভাবিক ছিল। যখন এম্বাসি থেকে এই ডকুমেন্ট ভেরিফাই করতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে যায়, তখন স্বাভাবিক ভাবেই ম্যাজিস্ট্রেট বলে এই সিল সাইন তার না। ফলে অবধারিতভাবে আমার ডকুমেন্টটি FAKE প্রমানিত হয়। ফলে অন্যসব ডকুমেন্ট ঠিক (verified) থাকা স্বত্তেও আমার ভিসা প্রসেস বন্ধ হয়ে যায়। তাই বার বার সবাইকে সাবধান করতে চাই, আমার মত বোকামি করবেন না। ছোট্ট একটি ভুল একটা জীবন এলমেলো করে দিতে পারে। আপনারা অবশ্যই একজন প্রকৃত ম্যাজিস্ট্রেট ( পারলে পরিচিত) খুজে বের করে, তার সামনে বসে সিল ও সাইন নিবেন।
4.Nikah Nama & Marriage Certificate.: আপনার নিকাহ নামা ও ম্যারেজ সার্টিফিকেট শুধু বাংলায় থাকলে, ইংরেজীটা অবশ্যই জোগার করে নিন।
5. Certificate of A1 from the Goethe-Institut: এটা অবশ্যই লাগবে। Goethe-Institut থেকেই লাগবে। এমনো একজনকে চিনি আমি, যিনি ২/৩ বার রিজেক্ট হয়েছেন শুধুমাত্র এই সার্টিফিকেটের অভাবে। ্কোর্স করে A1 পরীক্ষা দিলে খুব বেশি কঠিন মনে হবে না। মাত্র ৬০% নম্বর পেলেই আপনাকে পাশ বিবেচনা করা হবে। Goethe-Institut ধানমন্ডি ৮এ তে অবস্থিত। এব্যাপারে অনেক আগে থেকে খোজ নিন। কারন কোর্সে ও পরিক্ষায় লিমিটেড সিট হওয়ায় সিট পাওয়া খুব টাফ।কোর্স করতে আপনার লাগবে ২১০০০/- এবং পরীক্ষা দিতে লাগবে ৪০০০/-
এই গেল বাংলাবেদেশ থেকে আপনার কি লাগবে।এবার আসি জার্মানিতে থাকা husband/wife কে কি কি ডকুমেন্ট পাঠাতে হবে জার্মানি থেকেঃ
6. Registration Certificate of your spouse: আপনার husband/wife এর জার্মানিতে যে রেজিস্ট্রেশন করা আছে তার স্ক্যানড কপি।
7. Lease Agreement of your spouse: আপনার husband/wife এর নামে লিজকৃত জার্মানিতে অবশই একটি বাসস্থান থাকতে হবে মিনিমাম ২৫ স্কয়ার মিটারের।আর ওই লিজ agreement এর স্ক্যানড কপি দেখাতে হবে।
8.Evidence of income for the last three (3) months: আপনার জার্মানিতে থাকা husband/wife এর, যখন apply করছেন তার আগের তিন মাসের income statement এর স্ক্যানড কপি দেখাতে হবে। আমার husband চলে যাওয়ার তৃতীয় মাসে আমি ইন্টারভিউ দিয়েছিলাম বলে আমি ২ মাসের statement দেখিয়েছিলাম। তাতে কোন সমস্যা হয়নি।
* অবশ্যই বিয়ের ১০-১৫ টা ছবি এবং আপনার বাবা মা যেখানে থাকেন এবং আপনার জন্মসনদ যেখান থেকে ওই জায়গাগুলোতে যাওয়ার স্কেচম্যাপ একে নিয়ে যাবেন।
* আপনার ভিসা ফি হবে ২৫০০০/- এর মত। এটাই সম্ভবত সবথেকে বেশি ভিসা ফি। কারন প্রতিটা ডকুমেন্ট তারা personally গিয়ে গিয়ে চেক করে। সুতরাং খুব সাবধানে, একদম সব ডকুমেন্ট জেনুইন দিবেন।
* ছবি লাগবে ৩ কপি। ২ কপি application form এর উপর এবং ১ কপি পাসপোর্টের ভিতর দিয়ে দিবেন।ছবি এম্বাসীর গাইডলাইন অনুযায়ী তুলবেন।
সময়সীমাঃ
স্পাউস ভিসা সবথেকে বেশি সময় লাগে। ৩-৪ মাস। কোন পেপারে সমস্যা না থাকলে সর্বনিম্ন ৩ মাস এবং সর্বোচ্চ ৫ মাসের( rare) য়। মদ্ধ্যে ভিসা হয়।–
- 1943 views
- 1 answers
- 0 votes
আপনার সমস্যাটি আসলেই একটি জটিল সমস্যা। পূর্ব নির্ধারিত শর্ত এবং চুক্তি অনুযায়ীই তাদের কাজ করা উচিত। এই বিষয়ে আপনি আইনি সহযোগিতা নিতে পারেন। আর এর জন্য আইনের কোনো ব্যক্তির সাথে বিষয়টি নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করতে পারেন। আশা করছি ইতিবাচক সমাধান পাবেন। তবে এক্ষেত্রে ডেভলপার কোম্পানিদের কিছু দায় দায়িত্ব সম্পর্কে তথ্য জেনে নিতে পারেন।
বর্তমানে শুধু ঢাকা শহরেই অনেক ডেভলপার কোম্পানি রয়েছে। এসব ডেভলপারের কিছু দায় দায়িত্ব আছে। রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুসারে সে সব দায় দায়িত্বগুলো হচ্ছে:-
# সব ডেভলপারকে তাদের প্রসপেক্টাসে রিয়েল এস্টেট এর নিবন্ধন নম্বরসহ তার নাম, ঠিকানা ও যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত নক্শার অনুমোদন নম্বরসহ স্মারক নম্বর ও তারিখ উল্লেখ করতে হবে।
# কোন ডেভলপার কর্তৃপক্ষ কতৃর্ক রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন এবং ডেভলপার কর্তৃক হস্তান্তর দলিল সম্পাদনের ক্ষমতা বা অধিকার পাওয়ার আগে রিয়েল এস্টেট ক্রয় বিক্রয়ের জন্য প্রকল্পের বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে প্রচার করতে পারবেনা।
# প্রকল্প অনুমোদনের পূর্বে ক্রেতার নিকট ডেভলপার কোন রিয়েল এস্টেট বিক্রয় করতে বা বিক্রয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হতে পারবে না।
# প্রত্যেক ডেভলপার ক্রেতাকে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ও সংশ্লিষ্ট জমির মালিকানা সংক্রান্ত দলিলপত্র প্রদর্শন করবে।
# অনুমোদিত নকশা ব্যতীত অন্যান্য সহযোগী স্থাপত্য নক্শা, কাঠামোগত নকশাসহ(structural design)অন্যান্য বিল্ডিং সার্ভিসেস ডিজাইন ও দলিলাদি ডেভলপার কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষরিত হতে হবে।
# বেসরকারী বা সরকারী-বেসরকারী যৌথ উদ্যোগে আবাসিক প্লট প্রকল্পের আওতাধীন জমির মালিকানা স্বত্ব ও ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে বেসরকারী আবাসিক প্রকল্পের ভূমি উন্নয়ন বিধিমালা, ২০০৪, প্রয়োজনীয় সংশোধন সাপেক্ষে, অনুসরণ করতে হবে।
# প্রত্যেক ডেভলপারকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে বেসরকারী আবাসিক প্রকল্পের ভূমি উন্নয়ন বিধিমালা, ২০০৪, প্রয়োজনীয় সংশোধন সাপেক্ষে, এবং প্রযোজ্য ইমারত নির্মাণ সংক্রান্ত বিধিমালা আনুযায়ী রিয়েল এস্টেট এর নক্শার অনুমোদন, রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন প্রকল্প উন্নয়ন, সংশোধন, পুনঃ অনুমোদন বা নবায়ন করতে হবে।
# বেসরকারী বা সরকারী-বেসরকারী যৌথ উদ্যোগে নির্মিত রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন প্রকল্পের লে-আউট প্ল্যান নির্ধারিত পদ্ধতিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে।
# রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে বেসরকারী আবাসিক প্রকল্পের ভূমি উন্নয়ন বিধিমালা, ২০০৪ অনুযায়ী নাগরিক সুবিধাদি, যতদূর সম্ভব, নিশ্চিত করতে হবে।
# প্রত্যেক ডেভলপারকে সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি-বিধান অনুযায়ী রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন প্রকল্প এমন ভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে যেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট যে কোন প্রকারের অবকাঠামো বা প্লট বা ফ্ল্যাট বা রাস্তাঘাট, বৈদ্যুতিক সংযোগ, পানি সরবরাহ, পয়ঃ ও পানি নিষ্কাশন, গ্যাস সরবরাহ এবং টেলিফোন সংযোগ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধার কোন ক্ষতি না হয়।
– See more at: https://answers.priyo.com/question/54-আমরা-ডেভেলপার-কোম্পানির-বিরুদ্ধে-কোন-ল-সিস্টেম-প্রয়োগ-করতে-পারি#sthash.smQbT2s5.dpuf
- 1508 views
- 1 answers
- 0 votes
ওষুধ এবং সাপ্লিমেন্টের মধ্যে পার্থক্য হল ওষুধ রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় এবং সাপ্লিমেন্ট হল পরিপূরক খাবার। অর্থাৎ, খাবারে বিদ্যমান গুণাবলী খাবার না খেয়েও বিকল্প উপায়ে গ্রহণের একটি উপায়।
- 878 views
- 1 answers
- 0 votes
গরমে বা খাটাখাটনিতে শরীরে ঘাম হয়, এটাই স্বাভাবিক। ঘাম শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। সাধারণত ব্যায়াম, গরম আবহাওয়া, ভয় বা রাগের কারণে শরীর ঘামার প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে। তাছাড়া মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, স্থূলতা, শরীরে পুষ্টির অভাবসহ নানান কারণে শরীর অতিরিক্ত পরিমাণে ঘামতে পারে। পাশাপাশি ডায়াবেটিস, জ্বর, হৃদযন্ত্রের সমস্যা, মেনোপজ ও লিউকোমিয়া ইত্যাদি কারণেও শরীর বেশি ঘাম হতে পারে। অতিরিক্ত ঘাম শরীরের বিভিন্ন জায়গা যেমন হাতের তালু, পায়ের নিচে, বগল, গলা, কপাল, এমনকি মাথার ত্বকেও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া এটি স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বাধা সৃষ্টি করে ও ঘামের দুর্গন্ধ বাড়ানোর ঝুঁকি বাড়ায়। কোনো কারণ ছাড়াই স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিমাণে ঘাম হলে বুঝতে হবে হাইপারহাইড্রোসিসের সমস্যা রয়েছে। জেনে নিন অতিরিক্ত ঘাম কমানোর কিছু উপায়।
অ্যাপল সাইডার ভিনেগার
ঘাম নিয়ন্ত্রণ করতে অ্যাপল সাইডার ভিনেগার বেশ কার্যকরী। ত্বকে ব্যবহার করে ঘাম নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি অ্যাপল সাইডার ভিনেগার নিয়মিত খাওয়ার ফলে ত্বকের পিএইচ স্তর ঠিক রাখতে সাহায্য করে। প্রথমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া স্থানগুলো ভালো মতো পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপর তুলার বলে অ্যাপল সাইডার ভিনেগার নিয়ে ওই স্থানগুলোতে লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিতে হবে। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে গোসল করে পাউডার বা ডিউডরেন্ট লাগাতে হবে। এছাড়া চাইলে অ্যাপল সাইডার ভিনেগার খাওয়ার অভ্যাস করলেও অতিরিক্ত ঘাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে এক গ্লাস পানিতে ২ টেবিল-চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনিগার ও ২ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিয়ে প্রতিদিন সকাল বেলা খালি পেটে খেলে উপকার পাওয়া যাবে।বেকিং সোডা
বেকিং সোডাও শরীরকে অতিরিক্ত ঘামের হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। বেকিং সোডা প্রাকৃতিক ভাবে শরীরের ঘাম শোষণ করে ও দুর্গন্ধ কমায়। এছাড়া শরীরের যে অংশ বেশি ঘামে সেখানের পিএইচ লেভেলের মাত্রা কমাতেও বেকিং সোডা সাহায্য করে। পরিমাণমতো পানির সঙ্গে ১ টেবিল-চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। তারপর এই পেস্টের সঙ্গে পছন্দমতো তিন থেকে চার ফোঁটা সুগন্ধী তেল মিশিয়ে নিয়ে বগলে এবং যে সব জায়গা বেশি ঘামে সেসব জায়গায় লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেললে উপকার পাওয়া যাবে। পেস্টটি সপ্তাহে কয়েকবার ব্যবহার করা যাবে। এছাড়া বেকিং সোডা ও কর্ন ফ্লাওয়ার একসঙ্গে সমপরিমাণে মিশিয়ে একটি বোতলে সংরক্ষণ করা যায়। তারপর বেশি ঘাম হওয়া স্থানগুলোতে প্রয়োজনমতো এই মিশ্রণ ব্যবহার করা যাবে।লাল চা
অতিরিক্ত ঘাম কমাতে লাল চা বেশ কার্যকারী। লাল চা’য়ে থাকা ট্যানিক অ্যাসিড ঘাম প্রতিরোধ করতে পারে। এছাড়া লাল চা ঘাম গ্রন্থি সংকোচন করে অতিরিক্ত ঘামানোর হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে। পাশাপাশি শরীরের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী জীবাণু ধ্বংস করতেও লাল চা সমান কার্যকারী। তিন থেকে চার কাপ গরম পানিতে একটি বা দুইটি টি-ব্যাগ ভিজিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিতে হবে। তারপর ওই পানিতে পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে বগল ও গলায় লাগাতে হবে। তাছাড়া হাত ও পায়ের ঘাম নিয়ন্ত্রণ করতে একই পদ্ধতিতে ২০ থেকে ৩০ মিনিট হাত ও পা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে, সেক্ষেত্রে পানির পরিমাণ বাড়িয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে একদিন এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যাবে এবং প্রতিদিন দুই থেকে তিনকাপ লাল চা পান করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।সাদা চন্দন
সাদা চন্দনের পাউডার বা গুঁড়া ত্বক শুষ্ক রাখার মাধ্যমে ঘাম নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এতে আছে বিভিন্ন ধরনের এনজাইম যা ত্বকের অতিরিক্ত ঘাম শোষণ করে নেয়। এছাড়া চন্দনের সুগন্ধি ঘাম থেকে তৈরি দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে। পরিমাণমতো গোলাপ জলের সঙ্গে এক টেবিল-চামচ সাদা চন্দনের গুঁড়া মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। এর সঙ্গে অল্প পরিমাণ লেবু মিশিয়ে নিন। তারপর শরীরের যে অংশে বেশি ঘাম হয়, সেখানে পরিষ্কার করে এই পেস্ট লাগিয়ে শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত রাখতে হবে। তারপর হালকা পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। অতিরিক্ত ঘাম নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত নিয়মত এই পেস্ট লাগাতে হবে।টমেটোর রস
টমেটোতে আছে অ্যাস্ট্রিনজেন্ট যা ঘাম গ্রন্থিকে সংকুচিত করে। তাছাড়া এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ঘাম নিয়ন্ত্রণ করে অতিরিক্ত ঘামানোর প্রবণতা কমিয়ে আনে। এক সপ্তাহ টানা প্রতিদিন এক কাপ করে তাজা টমেটোর রস খেতে হবে। পরের সপ্তাহ থেকে এক দিন পরপর এককাপ করে টমেটোর রস পান করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। তাছাড়া বেশি ঘাম হয় এমন স্থানগুলোতে টমেটোর রস লাগিয়ে ১০ বা ১৫ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করে নিলেই ঘাম কম হবে। ঘাম নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন এভাবে গোসল করলে উপকার পাওয়া যাবে।লেবু
লেবু প্রাকৃতিক ডিওডরেন্ট হিসেবে কাজ করে। যা ঘাম থেকে তৈরি দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে। এক গ্লাস পানিতে পরিমাণমতো লেবুর রস মিশিয়ে সেটা দিয়ে তোয়ালে ভিজিয়ে সারা শরীর ভালোভাবে স্পঞ্জ করে ২০ থেকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করে ফেলতে হবে। এভাবে প্রতিদিনই গোসলের আগে গায়ে লেবুর রস মিশ্রিত পানি স্পঞ্জ করে নিতে হবে। এছাড়া অন্য উপায়েও লেবু দিয়ে ঘাম নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সেক্ষেত্রে সমপরিমাণ লেবুর রস ও বেকিং সোডা মিশিয়ে ঘন ও মসৃণ পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। তুলার বলে দিয়ে মিশ্রণটি নিয়ে বেশি ঘামে এমন জায়গাগুলোতে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। একদিন পরপর এই পদ্ধতি অনুসরণ করা যাবে। উল্লেখ্য, সূর্যের আলো বা রোদে বের হওয়ার আগে লেবু ব্যবহার উচিত না।নারিকেল তেল
এই তেলে আছে লরিক এসিড যা দুর্গন্ধের জন্য দায়ী জীবাণু ধ্বংস করতে সাহায্য করে। এছাড়া নারিকেল তেলের হালকা সুগন্ধ শরীরকে সারাদিন সজীব রাখতে সাহায্য করবে। খানিকটা নারিকেল তেল এবং শিয়া বাটার একসঙ্গে নিয়ে মাইক্রোওয়েভে এক মিনিট গরম করতে হবে। এরপর মিশ্রণের সঙ্গে ৩ টেবিল-চামচ বেকিং সোডা ও ২ টেবিলচাম অ্যারারুট পাউডার দিয়ে সঙ্গে কয়েক ফোঁটা সুগন্ধী তেল মিশিয়ে সংরক্ষণ করতে হবে। এই মিশ্রণ ডিওডরেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা যায়।এছাড়া যা যা করতে পারেন :
* সারাদিন বেশি পানি পান করতে হবে। এতে শরীরের তাপমাত্রা ঠিক থাকবে।
* গোসলের সময় ‘অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল’ সাবান ব্যবহার করতে হবে।
* নাইলন ও পলিয়েস্টার কাপড়ের পোশাক ঘাম শোষণ না করে উল্টো ঘাম আটকে রাখে। তাই সহজেই ঘাম শুষে নেয় এমন কাপড়, যেমন: সুতি ও সিল্কের তৈরি পোশাক পরতে হবে।
* ডিওডরেন্ট বা অন্য ঘাম প্রতিরোধক লাগানোর সময় শরীর ঠিকভাবে শুকিয়ে নিতে হবে।
* মসলাযুক্ত খাবার ঘামের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাই মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে যেতে হবে।
* মাথার ত্বককে ঘাম থেকে রক্ষা করতে ‘ড্রাই’ শ্যাম্পু ব্যবহার করা যেতে পারে।
* ধূমপান, অ্যালকোহল ও ক্যাফেইন নিলে স্বাভাবিকের চেয়ে শরীর ঘামে বেশি। তাই যতটা সম্ভব এসব পরিহার করতে হবে।
* অতিরিক্ত ঘামের জন্য দায়ী বাড়তি ওজন। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
* মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করতে হবে। কারণ মানসিক চাপ অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার অন্যতম কারণ।
* পানি সমৃদ্ধ তাজা ফল ও শাক-সবজি প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে।
* এছাড়া বুকে ব্যাথা, দ্রুত হৃদস্পন্দন, নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা বা হঠাৎ ওজন কমে যাওয়ার কারণে অতিরিক্ত ঘাম হলে, সময় নষ্ট না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
- 679 views
- 1 answers
- 0 votes
একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষকে দিনে গড়ে ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর পরামর্ম দেন চিকিৎসকরা। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে এই সময় স্বাভাবিকভাবেই একটু বেড়ে যাবে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে শিশুর বয়স কত? কেননা বয়সের ভিন্নতায় বাচ্চাদের ঘুমানোর অভ্যাসও পরিবর্তিত হবে। আসুন জেনে নিই বয়স অনুযায়ী বাচ্চাদের ঘুমানোর সময়সীমা।
নবজাতকের (বয়স যাদের ০-২ মাস) ক্ষেত্রে :- নবজাতক ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১০ থেকে ১৯ ঘণ্টা ঘুমাবে।
কোলের শিশুদের (বয়স যাদের ২-১২ মাস) ক্ষেত্রে :- মোট ঘুমের পরিমাণ ২৪ ঘণ্টায় ১২ থেকে ১৩ ঘণ্টার মতো। রাতে নয় থেকে ১০ ঘণ্টা এবং দিনে তিন-চার ঘণ্টার মতো ঘুমাবে ।
হাঁটতে পারা শিশু ( বয়স যাদের ১-৩ বছর) :- মোট দৈনিক ঘুম ১১ থেকে ১৩ ঘণ্টা ঘুমাবে। দিনের বেলায় দুবারের ঘুমের চাহিদা কমে ১৮ মাস বয়সে একবারে পরিণত হয়।
স্কুল-পূর্ব বয়স (বয়স যাদের ৩-৫ বছর) :- রাতে ৯ থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুমাবে।
শৈশব (বয়স যাদের ৬-১২ বছর) :- নয় থেকে ১১ ঘণ্টার দৈনিক ঘুমাবে।
কৈশর-যৌবন (বয়স যাদের ১২ বছরের বেশি বয়সে) :- গড় ঘুম সময় দৈনিক সাত থেকে নয় ঘণ্টা ঘুমাবে।
- 1229 views
- 1 answers
- 0 votes
গত কয়েক বছর ধরে গোটা বিশ্বের অ্যালোপ্যাথিক লবির বৈজ্ঞানিক এবং বিশেষজ্ঞরা হোমিওপ্যাথির সমালোচনা করে চলেছেন ৷ গত সপ্তাহেই তো ব্রিটিশ মেডিক্যাল অ্যাশোসিয়েশন একে ‘ডাইনিবিদ্যা’ নাম দিয়েছে ! একে অবৈজ্ঞানিক বলে তারা ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্হ্য পরিষেবাকে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাধীন ব্যত্তিদের চিকিৎসার খরচ বহন না করতে অনুরোধ জানিয়েছে ৷ অ্যালোপ্যাথিক লবি এর আগেও বহুবার হোমিওপ্যাথির বৈজ্ঞানিক গুরুত্বকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে তার সমালোচনা করেছে ৷ 2005 সালের 27 আগস্ট ‘দ্য ল্যান্সেট’ নামক ব্রিটেনের এক পত্রিকায় ‘দ্য এন্ড অফ হোমিওপ্যাথি’ শীর্ষক একটা বিতর্কিত নিবন্ধ ছাপা হয়েছিল ৷ তাতে দাবি করা হয়েছিল, হোমিওপ্যাথির নাকি শুশ্রূষাগত কোনও ক্ষমতা নেই৷ বিশ্বের বিভিন্ন চিকিৎসক এবং গবেষকরা ওই নিবন্ধের সমালোচনা করেছিলেন ৷ লোকে বলে, বিশ্ব স্বাস্হ্য সংস্থা হোমিওপ্যাথিকে বৈজ্ঞানিক এবং যুক্তিপূর্ণ চিকিৎসা ব্যবস্হা বলে ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল৷ কিন্তু অ্যালোপ্যাথিক লবির চাপে তারা সেটা এখনও ঘোষণা করেনি ৷
অ্যালোপ্যাথির ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান রোগ, জটিলতা এবং নিরাময়ে ব্যর্থতার ফলে ক্রমশ হোমিওপ্যাথির মতো বিকল্প চিকিৎসা ব্যবস্হাগুলো জনপ্রিয়তা লাভ করছে ৷ আগে তো অ্যালোপ্যাথিকের বিখ্যাত ডাক্তারও হোমিওপ্যাথিকে সম্বল করে নানা সময় চিকিৎসার কাজ করেছেন ৷ অ্যালোপ্যাথির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে লোকজন আজ খুবই বিরক্ত ৷ লন্ডন হাসপাতালের বিখ্যাত ডাক্তার ডঃ পিটার ফিসার বলেন যে, লন্ডনের বুকে হোমিওপ্যাথির জনপ্রিয়তা দুরন্ত গতিতে বাড়ছে ৷ হোমিওপ্যাথিক হাসপাতালগুলোর জন্য ব্রিটিশ সরকার বছরে এখন চার মিলিয়ন পাউন্ড করে খরচ করে৷
আবু-ধাবি, অস্ট্রিয়া, অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান, বেলজিয়াম, চিলি, সাইপ্রাস, কানাডা, কোস্টারিকা,ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ, মিশর, ফিজি, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, গ্রিস, জার্নি, গায়না, হল্যান্ড, হাঙ্গেরি,আয়ারল্যান্ড, ইজরায়েল, ইতালি, ভারত, জাপান, কেনিয়া, লিথুয়ানিয়া, মেক্সিকো, মরিশাস,মালেশিয়া, নাইজিরিয়া, নরওয়ে, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, পর্তুগাল, পানামা, ফিলিপিন্স, কাতার,রাশিয়া, রোমানিয়া, সু্যইজারল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, স্কটল্যান্ড, স্লোভাকিয়া, স্পেন, তাইওয়ান, ব্রিটেন এবং ইউক্রেনের মতো দেশে হোমিওপ্যাথি যথেষ্ট জনপ্রিয় ৷ বিখ্যাত ব্রিটিশ বৈজ্ঞানিক এবং বিশেষজ্ঞ ডঃ মাইকেল ব্রুক্সের মতে, ফ্রান্সের 40 শতাংশ চিকিৎসক হোমিওপ্যাথি ব্যবহার করেন৷ ব্রিটেনে 37 শতাংশ এবং জার্নির 20 শতাংশ অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসক নিজেদের ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথির ব্যবহার করেন ৷ 1999 সালে চালানো এক সমীক্ষা অনুযায়ী, হোমিপ্যাথির জন্য কোনও বিমা পরিষেবা না থাকা সত্ত্বেও আমেরিকার 60 মিলিয়ন মানুষ তখন হোমিওপ্যাথি ব্যবহার করত৷ তাদের সংখ্যা এখন আরও অনেক বেড়ে গেছে৷
লাভাঙ্কের দিক থেকে চিকিৎসা এবং ওষুধ ব্যবসার এখন সুবর্ণ যুগ চলছে ৷ স্বাস্হ্য পরিষেবা ইন্ডাস্ট্রি এখন বছরে 13 শতাংশ হারে বাড়ছে এবং এটা এখন এক অত্যন্ত লাভজনক ইন্ডাস্ট্রি ৷ কিন্তু ব্যবসার নেশায় মত্ত এই ইন্ডাস্ট্রি রোগিদের চিকিৎসার থেকে বেশি গুরুত্ব দিচেছ আর্থিক লাভাঙ্ককে ৷ আমেরিকার মতো দেশে চিকিৎসা এবং ওষুধ মারাত্মকভাবে ব্যয়বহুল বলে 30 থেকে 40 শতাংশ মানুষ তো উপযুক্ত চিকিৎসাই পান না ৷ সম্প্রতি মার্কিন হাউস নতুন একটা স্বাস্হ্য বিল পাস করেছে ৷ এতদিন ধরে স্বাস্হ্য বিমার বাইরে থাকা নাগরিকদের বিমার আওতায় আনার জন্যই তাদের এই উদ্যোগ ৷ কিন্তু মার্কিন যুত্তুরাষ্ট্রের অভিজাত লবি সেই বিলের তুমুল সমালোচনা করেছে৷ এরকম এক অবস্হায় যখন নিজেকে সম্বল করে হোমিওপ্যাথি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেষ্টা করছে, তখন অ্যালোপ্যাথি লবি তাকে ধবংস করার চেষ্টা করছে! 1854 সালে লন্ডনে কলেরার মহামারী দেখা দিয়েছিল ৷ তখন অ্যালোপ্যাথি ব্যবহারকারী রোগিদের মৃত্যুর হার ছিল 53.2 শতাংশ, অথচ হোমিওপ্যাথি ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে ওই হার ছিল মাত্র 24.4 শতাংশ ! 1892 সালে জার্নির হামবুর্গে যে মহামারি দেখা দিয়েছিল, সেক্ষেত্রেও সমান পারদর্শিতার প্রমাণ রাখে হোমিওপ্যাথি ৷ 1962-64 সালে নিউ ইয়র্কে মহামারী রোধের ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি কার্যকর ভূমিকা নিয়েছিল ৷ আর 1918 সালে গোটা বিশ্বে ইনফ্লুয়েঞ্জার মহামারী প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথির ভূমিকা কে ভুলতে পারে ?
জটিল এবং দূরারোগ্য রোগে ভুগতে থাকা রোগীদের জীবনে সত্যিকারের ত্রাতার ভূমিকা নিতে পারে হোমিওপ্যাথি ৷ এর কল্যাণে বহু মানুষ নতুনভাবে নিজেদের জীবন শুরু করতে পেরেছে ৷ চর্মরোগ, যৌনরোগ, বাত, ক্যানসার, টিউমার, পেটের রোগ এবং শিশু ও মায়েদের বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি খুবই কার্যকর ৷ যথেষ্ট ভরসাযোগ্য ফলাফল দেখানো সত্ত্বেও অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞরা হোমিওপ্যাথিকে উপযুক্ত সম্মান দিতে নারাজ ৷ কারণ, অ্যালোপ্যাথি লবি যথেষ্ট অনিশ্চয়তায় ভুগছে৷ তাদের আশঙ্কা, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগতে থাকা অ্যালোপ্যাথিক রোগিরা যদি হোমিওপ্যাথির দিকে পা বাড়ায়, তাহলে তাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে ৷
সবাই জানে যে, সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থার সামনে সমস্যা ও চ্যালেঞ্জগুলো ক্রমশ বাড়ছে ৷ পাশাপাশি প্লেগ, সার্স, ম্যালেরিয়া, টিবি, ডায়োরিয়া ও ফ্লুর মতো রোগগুলোর ক্ষেত্রে অ্যালোপ্যাথি ব্যর্থ হচেছ ৷ ম্যালেরিয়া এখন যথেষ্ট মারাত্মক, টিবির ওষুধ তো কাজই করে না, আর ফ্লু-র ভাইরাসকে মারার ক্ষমতা হারিয়েছে তার ওষুধগুলো ৷ মানুষের পক্ষে আর অ্যান্টিবায়োটিক নেওয়া সম্ভব হচেছ না ৷ এমতাবস্হায় খুবই উপযোগী বিকল্প চিকিৎসার ভূমিকা নিতে পারে হোমিওপ্যাথি ৷ তা সত্ত্বেও সরকারি স্বাস্হ্য ব্যবস্হার পরিচালনা এবং পরিকল্পনার সময় এখনও হোমিওপ্যাথিকে সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচেছ না ৷ বিভিন্ন মারাত্মক রোগ ও মহামারী প্রতিরোধের জন্য হোমিওপ্যাথিতে অনেক ধরনের ওষুধ আছে৷ তাই এই চিকিৎসা ব্যবস্হাকে স্বাগত জানানোর সময় এসে গেছে ৷ সম্প্রতি কলকাতার সুকল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের সাহায্যকে সম্বল করে জাপানিজ এনসেফেলাইটিসের নতুন ওষুধ আবিষ্কার করেছে সেন্টাল সুকল অফ হোমিওপ্যাথিক রিসার্চ কাউন্সিল ৷ আমেরিকার জার্ল অফ ইনফেক্সাস ডিজিজেস-এ তা প্রকাশিতও হয়েছিল ৷
লিখেছেন :
প্রখ্যাত হোমিওপ্যাথ ড.এ.কে.অরুণ,এম. ডি (হোমিও)
প্রকাশিত : দ্যা সানডে ইন্ডিয়ান- 1076 views
- 1 answers
- 0 votes