ZoomBangla Answer's Profile
Professor
14182
Points

Questions
3

Answers
7076

  • Professor Asked on February 25, 2015 in স্বাস্থ্য.

      চুল কেরাটিন নামের একরকম প্রোটিন দিয়ে তৈরি হয়। চুলে ৯৭ ভাগ প্রোটিন ও ৩ ভাগ পানি রয়েছে। চুলের যেটুকু আমরা দেখি সেটি মৃত কোষ। কারণ এতে অনুভূতিশীল কোনো কোষ নেই। আমাদের ত্বকে মেলানোসাইট নামে এক ধরনের কোষ থাকে, যা মেলানিন উৎপাদন করে। যাদের কম মেলানিন উৎপাদন হয় তাদের গায়ের রঙ সাদা হয় এবং বেশি উৎপাদন হলে গায়ের রঙ কালো হয়। চুলের ক্ষেত্রেও একই কথা বলা যায়। যদি কোনো কারণে চুলের গোড়ার মেলানোসাইট কোষ নিষ্ক্রিয় হয়ে মেলানিনের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়- ফল স্বরূপ চুলের রঙ সাদা হয় যাকে আমরা চুল পাকা বলি। এটা যে কোনো বয়সেই ঘটতে পারে।

      গবেষণায় দেখা গেছে, বংশগত কারণে অনেকের মধ্যে এ সমস্যাটি ঘটে। অল্প বয়সে যাদের চুল পাকে তাদের কারও কারও মধ্যে অটোইমিউন ডিজিজের কারণে মেলানোসাইট কোষ নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। ফলে চুলে মেলানিন না পৌছানোর কারণে চুল পাকে। এই অটোইমিউন ডিজিজে ত্বকে মেলানোসাইটের বিরুদ্ধে অ্যান্টি মেলানোসাইট অ্যান্টিবডি তৈরি হয় , যা মেলানোসাইট কোষকে ধ্বংস করে দেয়। গবেষনায় দেখে দেছে, খুব বেশি জ্বর, দীর্ঘমেয়াদি কোনো অসুখ এবং মানসিক দুশ্চিন্তায় অল্প বয়সে চুল পাকার কারণ কারন হতে পারে।

      এছাড়া চুলে পর্যাপ্ত প্রোটিনের অভাব হলে চুল পাকা শুরু করে। চুলের রংয়ের পিগমেন্ট কোষ চুলের গোড়ায় থেকে প্রতিটি চুলের স্বাভাবিক রং বজায় রাখে। কিন্তু মধ্যবয়সে চলে যাবার পর থেকে বয়স বাড়ার সাথে সাথে চুলের পিগমেন্ট কোষগুলো মারা যেতে থাকে এবং একটি একটি করে চুলের রং বদলে যেতে থাকে। আর এভাবেই ধীরে ধীরে সমস্ত চুল কালো থেকে ধূসর বা সম্পূর্ণ সাদা রংয়ে রূপ নেয়।

      চুল পাকাতে দায়ী বিভিন্ন হরমোন মানুষ যখন বেশি টেনশন করে থাকেন তখন বেশি করে নিঃসৃত হয়। আর এজন্য টেনশনের কারণে একজনের চুল পাকতে পারে।

      • 1393 views
      • 1 answers
      • 0 votes
    • Professor Asked on February 25, 2015 in স্বাস্থ্য.

        বাজারে নানা ধরনের মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেট রয়েছে যেগুলো গুণাগুণের তুলনায় বিজ্ঞাপনের যাত্রায় এগিয়ে। বিশেষজ্ঞরা বলেন এগুলোর কার্যকারিতা একেবারেই কম। শুধু তা-ই নয়, অনেক ভিটামিন ট্যাবলেট শরীরের জন্য ক্ষতিকর বলেও জানান চিকিত্সাবিজ্ঞানীরা।

        লন্ডনের সেন্ট জর্জ হাসপাতালের চিকিত্সক ক্যাথরিন কলিন্স বলেন, টানা ছয় বছর প্রায় আট হাজার লোকের ওপর গবেষণা চালানোর পর দেখা যায়, এ ধরনের ভিটামিন অনেকদিন ধরে খাওয়ার কারণে তাদের শারীরিক কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে।

        কলিন্স বলেন, মানুষ দ্রুত শারীরিক গঠন সুন্দর বা সুস্থ হওয়ার জন্য এভাবে বাজে খরচ করে। তবে সবচেয়ে ভয়ের বিষয় হল, হৃদরোগ, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা আলঝেইমারের মতো মারাত্মক রোগের জন্যও অনেকে ভিটামিন ট্যাবলেট খায়।

        মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেটে বড়জোর দুই ডজন উপাদান থাকতে পারে। কিন্তু টাটকা শাক-সবজি আর ফলে রয়েছে অন্য আরো শতাধিক উপকারী যৌগ। তার মানে একখানা মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেট খেলে বহু উপকারী যৌগ থেকে বঞ্চিত হবে শরীর। সাধারণত বয়স্কদের মধ্যে ঠাণ্ডা লাগার লক্ষণগুলো থাকে বছরে ১২ দিন। প্রতিদিন ভিটামিন সি পিল খেলে বড়জোর তা ১১ দিনে নামতে পারে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে তা বছরে ২৮ দিন থেকে ২৪ দিন নামতে পারে। আর তাই গবেষকদের সিদ্ধান্ত, ঠাণ্ডা লাগা হ্রাসের পরিমাণ যেহেতু নগণ্য সেহেতু সারা বছর ধরে ট্যাবলেট খেয়ে যাওয়ার কোন যুক্তি নেই। তাছাড়া সর্দি কাশির লক্ষণগুলো দেখা দেওয়ার পর ভিটামিন সি ট্যাবলেট খেলে তাতে কোনো কাজই হবে না বলে তারা মনে করেন।

        মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেটেই অনেক রকমের ভিটামিন উপাদান থাকে। ভিটামিন ট্যাবলেটের মিথটা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন খোদ গবেষকরা। জার্মানি, ইউরোপ কিংবা আমেরিকার সব জায়গাতেই ফার্মেসি, ড্রাগস্টোর আর সুপার মার্কেটের তাক ভিটামিন ট্যাবলেটে বোঝাই। ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, মাল্টিভিটামিন থরে থরে সাজানো। কোনো ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন প্রয়োজন নেই। তাক থেকে শুধু তুলে নিন। ব্যস, মনে করলেন আপনার শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি এই ট্যাবলেট পুষিয়ে দেবে।

        ভিটামিন শরীরের জন্য অপরিহার্য হলেও তার নিজস্ব বা নিজের শক্তি উৎপাদনের ক্ষমতা নেই। কারও শরীরে যদি ভিটামিনের অভাব থেকে থাকে, সে ক্ষেত্রে সুষম ও পরিমিত খাবারের সঙ্গে ভিটামিন বা মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেট খেলে শক্তি উৎপন্ন বা বৃদ্ধি করে থাকে।

        • 996 views
        • 1 answers
        • 0 votes
      • Professor Asked on February 25, 2015 in স্বাস্থ্য.

          ঠান্ডার ওষুধে থাকা রাসায়নিক পদার্থ মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন গতি কমিয়ে দিয়ে নিদ্রালু অনুভূতি গড়ে তোলে। বেশিরভাগ কাশির ওষুধ dextromethorphan hydrobromide নামে এক রকম রাসায়নিক পদার্থ ধারণ করে আর এই পদার্থের সাথে মরফিন এর সম্পর্ক আছে যা সেবনকারীকে ক্লান্ত করে তোলে বলেই ঘুম পায়।

          মূলত ঠান্ডার ওষুধে ক্লোফেনাক নামক উপাদানটি আছে বলেই ঘুম পায়।

          • 903 views
          • 1 answers
          • 0 votes
        • Professor Asked on February 25, 2015 in স্বাস্থ্য.

            হ্যা, আপনার ধারণাটি ঠিক। গর্ভাবস্থায় মায়েদের শরীরে এক ধরনের চুলকানির সমস্যা হয়। বিশেষ করে গর্ভকালীন সময়ের শেষ তিন মাসে এই চুলকানি অনেক বেড়ে যেতে পারে। সাধারণত হাতে এবং পায়ের তালুতে এই চুলকানি হয়। গর্ভকালীন এই চুলকানি উপেক্ষা করার মত নয়। এর কারণে মায়ের এবং অনাগত শিশুরও সমস্যা হতে পারে। গর্ভকালীন সময়ে একবার চুলকানির ইতিহাস থাকলে পরবর্তী গর্ভাবস্থায়ও এই চুলকানি দেখা দিতে পারে।

            এই সমস্যার যথোপযুক্ত চিকিৎসা আছে এবং সমস্যা দেখা দিলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

            • 968 views
            • 1 answers
            • 0 votes
          • Professor Asked on February 25, 2015 in স্বাস্থ্য.

              সূর্য প্রণাম একটি যোগাসন। এতে ১৬ টি গতিবিধির মির্শণে ৭ রকম যোগের মিলন রয়েছে।

              যেভাবে করবেন : দুই পা জোড়া দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়ান। হাত দুটি জোড় করে বুকের সাথে লাগিয়ে রাখুন। এমনভাবে লাগিয়ে রাখুন যেন বুড়ো আঙ্গুল অ্যাডামস আপেল স্পর্শ করে। মাথাটি সামান্য সামনের দিকে ঝোঁকান যেন তর্জনী আপনার কপালের জ্যোতিকেন্দ্র স্পর্শ করে।

              ১) শ্বাস গ্রহণ করুন। হাত দুটি কান স্পর্শ করে উপরের দিকে তুলুন এবং শ্বাস ছেড়ে দিন।

              ২) শ্বাস নিতে নিতে হাত দুটিকে কাঁধের সোজাসুজি ছড়িয়ে দিন।

              ৩) পা দুটি মাটিতে রেখে কোমর সোজা রাখুন। এবারে শরীরের উপরের অংশ নিচের দিকে ঝোঁকান।

              ৪) হাত দুটিকে কান স্পর্শ করে উপরের দিকে নিয়ে যান।

              ৫) শ্বাস ত্যাগ করে নিচের দিকে ঝুঁকুন এবং কপাল দিয়ে হাঁটু ছোঁয়ার চেষ্টা করুন। হাত দুটিকে পায়ের কাছে মাটিতে স্পর্শ করুন। হাঁটু সোজা রাখুন এবং পেটকে ভেতরের দিকে ঢোকান।

              ৬) গভীর শ্বাস গ্রহণ করুন এবং বাম পা পেছনের দিকে নিয়ে যান। এইভাবে মাটিতে ছুঁয়ে রাখুন।

              ৭) নিচের দিকে ঝুঁকুন। শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে কপাল মাটিতে স্পর্শ করান।

              ৮) শ্বাস নিন এবং মাথা উপরের দিকে তুলে আকাশের দিকে দেখুন।

              ৯) ডান পা কে বাম পায়ের বরাবর প্রসারিত করুন এবং শরীরকে মাটির সমান্তরালে রাখুন। এসময়ে হাতের তালু এবং পায়ের আঙ্গুলের উপরে শরীরের ভার রাখুন।

              ১০) হাত এবং হাতের তালু একভাবে রাখুন। শ্বাস গ্রহণ করতে করতে নিজের হাত ভাঁজ করুন এবং শরীরের উপরের দিকের অংশকে মাটিতে স্পর্শ করান। এতে মাথা, বুক এবং হাঁটু মাটি স্পর্শ করবে। নিতম্ব উপরের দিকে উঠান এবং শ্বাস ছাড়ুন।

              ১১) শ্বাস গ্রহণ করার সময় হাতের তালু এবং পায়ের পাতার সাহায্যে শরীরকে উপরের দিকে উঠান। কোমরের অংশকে নিচের দিকে নামানোর সময়ে শ্বাস বন্ধ রাখুন এবং আকাশের দিকে দেখুন।

              ১২) শ্বাস ত্যাগ করুন, নিতম্বকে উপরের দিকে তুলুন এবং মাথা নামিয়ে নাভিকে দেখার চেষ্টা করুন।

              ১৩) ডান পা কে দুটো হাতের মধ্যে রাখুন এবং নিচে ঝুঁকে পড়ে কপাল দিয়ে মাটি স্পর্শ করার চেষ্টা করুন।

              ১৪) শ্বাস গ্রহণ করতে করতে ধড় উপরের দিকে তুলুন এবং আকাশের দিকে দেখুন।

              ১৫) বাম পা ডান পায়ের দিকে নিয়ে আসুন। পঞ্চম অবস্থানের মত কপাল হাঁটুতে স্পর্শ করান এবং হাত পায়ের দুদিকে রাখুন। তারপরে শ্বাস ত্যাগ করুন।

              ১৬) শ্বাস নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ুন। হাত দুটোকে প্রথম অবস্থানের মত বুকের সঙ্গে ঠেকান। তারপর শুয়ে বিশ্রাম করুন।

              • 738 views
              • 1 answers
              • 0 votes
            • Professor Asked on February 25, 2015 in স্বাস্থ্য.

                ভস্ত্রিকার অর্থ হল গর্জন। এতে শ্বাস এবং প্রশ্বাসের মধ্যে খুব জোরে আঘাত লাগে। এটি করলে শারীরিক এবং মানসিভাবে সুস্থ থাকা যায়।

                যেভাবে করবেন : পদ্মাসনে বসুন। শরীর, মাথা এবং ঘাড় সোজা রাখুন। মুখ বন্ধ করুন। কামারশালার হাপরের মত জোরে জোরে শ্বাস গ্রহণ এবং বর্জন করুন। এই প্রাণায়াম করার সময়ে মুখ থেকে আওয়াজ বের হবে। অভ্যাসকারীকে বলপূর্বক শ্বাস প্রশ্বাসে ধাক্কা লাগানোর চেষ্টা করতে হবে। অনবরত ১০ বার এভাবে করে গভীরভাবে শ্বাস নিন, যতক্ষণ সম্ভব দম বন্ধ রাখুন। এরপরে ধীরে ধীরে শ্বাস ত্যাগ করুন। এভাবে ভস্ত্রিকার একটি চক্র শেষ হবে।

                বিশ্রাম করার সময়ে শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন। এরপরে দ্বিতীয় চক্র শুরু করুন। আপনি চাইলে সকাল সন্ধ্যায় ৩ টি করে চক্র শেষ করতে পারেন। ব্যস্ত ব্যক্তিদেরও কমপক্ষে একটি চক্র করা উচিত। এর ফলে তরতাজা থাকা সম্ভব।

                তথ্যসূত্র :
                ওজন কমানোর জন্য ২০১ টি পরামর্শ
                ডাঃ বিমল ছাজেড়

                • 818 views
                • 1 answers
                • 0 votes
              • Professor Asked on February 25, 2015 in স্বাস্থ্য.

                  এটা জানা কথা যে আমাদের দেশের রান্নায় প্রচুর পরিমাণে ঘি বা তেল দেওয়া হয় যেগুলো হৃদরোগীদের পক্ষে বিপজ্জনক। আমরা নিম্নলিখিত প্রক্রিয়ায় খাদ্য প্রস্তুত করতে পারি।

                  ক) ঝলসানো : ঝলসানোর কাজটি ওভেনে ১২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড থেকে ২৬০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় করা হয়ে থাকে। এতে সাধারণত পাপড়, পাউরুটি, কেক বা বিস্কুটের জন্য বেকিং করা হয়ে থাকে। খাদ্যকে শুকনো আর সিক্ত করা হয়ে থাকে। সিক্ত খাবার বানানোর জন্য প্রথমে তাপমাত্রা সিক্ত হওয়া প্রয়োজন যাতে ঠান্ডা পদার্থ অনুকূল তাপমাত্রায় আসতে পারে। ওভেনে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার তাপের মাধ্যমে ঝলসানো বা পরিপাক করা হয়ে থাকে। কনভেকশান তরঙ্গ ওভেনের তাপমাত্রাকে একই আকারে রাখে। এই প্রক্রিয়ায় একদমই তেলের প্রয়োজন হয় না এবং খাদ্যও সুস্বাদু হয়।

                  খ) সেদ্ধ : সেদ্ধ করার অর্থ হল পানি দিয়ে রান্না করা। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পানি তাপে পরিবর্তিত হয়। এই প্রক্রিয়াতে যে বাসনে রান্না করা হয়, পানি তার থেকে তাপ গ্রহণ করে থাকে। তাপ বেশি হয়ে গেলে খাদ্য ফুটতে শুরু করে। পানি তাপের কুপরিবাহী, ফলে সেদ্ধ করার জন্য তাপ বেশি লাগে। পানির স্ফুটনাঙ্ক ১০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। বেশি তাপে এর স্বরুপ পরিবর্তিত হতে থাকে।

                  গ) ভাপে খাদ্য প্রস্তুত : ভাপের সাহায্যেও খাদ্য প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। একে প্রেসারকুকিং বলে। এই প্রক্রিয়ায় রান্না করার জন্য সিক্ত তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়। এতে খাদ্য প্রস্তুত করার জন্য সামান্য পানির প্রয়োজন পড়ে। এই পানি থেকেই বাষ্পের সৃষ্টি হয়। প্রেসার কুকারের মাধ্যমে অনেক কম সময়ে খাদ্য তৈরি হয়ে থাকে।

                  তথ্যসূত্র :
                  ওজন কমানোর জন্য ২০১ টি পরামর্শ
                  ডাঃ বিমল ছাজেড়

                  • 856 views
                  • 1 answers
                  • 0 votes
                • Professor Asked on February 25, 2015 in স্বাস্থ্য.

                    ফ্যাট হচ্ছে ভারতীয় খাদ্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা এটা বিশ্বাস করে থাকি যে তেল ঘি ছাড়া সুস্বাদু খাবার তৈরি করা অসম্ভব। যদি তেল ছাড়া রান্না করতে বলা হয় তবে বেশিরভাগ গৃহিণীই একটি সেদ্ধ খাবারের রেসিপি বানিয়ে দেবেন। তেল ছাড়া যে খাবার রান্না করা যায় না এই চিন্তা মাথা থেকে দূর করতে হবে। তেল ছাড়াও সুস্বাদু খাবার রান্না করা সম্ভব এই বিশ্বাসটি রাখতে হবে। যেমন :

                    – অনেকেই রুটির দুইদিকে ঘি মাখিয়ে খেতে পছন্দ করেন। তারা হয়ত জানেন না যে ৩০-৩৫ গ্রাম রুটিতে ১০০ ক্যালরি থাকে। যদি এতে ২ চামচ ঘি লাগানো হয় তবে স্বাদের পরিবর্তে ক্যালরির মাত্রা বেড়ে যায়।

                    – অনেকে চীজ ছাড়া পিৎজা খেতে পছন্দ করেন না। তারা মনে করেন চীজ ছাড়া পিৎজা হতেই পারে না। একটি ছোট আকারের পিৎজা প্রায় ৭৫ গ্রাম হয় যাতে ক্যালরি থাকে ২৬০। তার ওপরে ২৫ গ্রাম চীজ দিলে ৯০ ক্যালরি বৃদ্ধি পায়। সবজির টপিংয়ে ক্যালরি বৃদ্ধি পায়। ১০০ গ্রাম সবজিতে ২০০ গ্রাম অতিরিক্ত ক্যালরি শক্তি দেবে। অর্থাৎ আপনি যদি একটা গোটা পিৎজা খান তবে আপনি ৩৭০ ক্যালরি পাবেন। এজন্য সবার উচিত চীজ ছাড়া পিৎজা খাওয়া। এতে স্বাদের তেমন কোনোই ভিন্নতা আসে না।

                    – পাউরুটিও ভারতীয় একটি খাবার। আপনি জানেন যে প্রায় ৩০ গ্রামের একটি পাউরুটি আপনাকে ১০০ ক্যালরি দেয়। আর এতে মাখন লাগালে তা আরও বেড়ে যায়। এজন্য মাখন ছাড়াই পাউরুটি খাওয়া উচিত।

                    – আজকাল অনেক ধরনের অনুষ্ঠানে স্যুপ পরিবেশন করা হয়ে থাকে। স্যুপে বেশি ক্যালরি থাকে না। কিন্তু এতে থাকা ক্রীম ক্যালরি বৃদ্ধি করে।

                    – উত্তর ভারতের লোকেরা বিশেষ করে পাঞ্জাবীরা তেলতেলে খাবার খেতে পছন্দ করেন। তারা এটিকে স্বাস্থ্যকর খাবার বলে মনে করেন। এছাড়া ভুট্টার রুটি মাখন লাগিয়েও খেয়ে থাকেন। কিন্তু ভুট্টার রুটিতে এমনিতেই যথেষ্ট পরিমাণে ক্যালরি থাকে তার উপরে মাখন লাগালে আরও ১০০ ক্যালরি বৃদ্ধি পায়। এইভাবে মাখন লাগানো ভুট্টা খেলে ২০০ ক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়।

                    – রাজস্থানের লোকেরা ডালের বড়া অত্যন্ত মজা করে খেয়ে থাকেন। এটা ভীষণ ভারী একটি খাবার। এটি বানানোর সময়েই ঘি ও মাখন এর ব্যবহার হয়ে থাকে। ফলে এটি খেলে শরীরে ক্যালরি বাড়ে কয়েকগুণ।

                    – বিস্কিট খাওয়া খারাপ না কিন্তু ক্রিম বিস্কিট খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কেননা এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালীর রয়েছে।

                    – অনেকে রান্না করা ডালে ঘি ছড়িয়ে নেন। তারা এমনটা মনে করেন যে ঘি ছাড়া ডালের স্বাদ পাওয়া যায় না।

                    – অনেক ব্যক্তি লস্যিকে লো ক্যালরিযুক্ত পানীয় মনে করেন। কিন্তু এতে যখন মালাই দেয়া হয় তখন তা আর লো ক্যালরিযুক্ত পানীয় থাকে না।

                    সর্বোপরি বলা যায় খাদ্যে কখনই ঘি বা মাখন ব্যবহার করবেন না যা প্রতিনিয়তই আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে।

                    তথ্যসূত্র :
                    ওজন কমানোর জন্য ২০১ টি পরামর্শ
                    ডাঃ বিমল ছাজেড়

                    • 681 views
                    • 1 answers
                    • 0 votes
                  • Professor Asked on February 25, 2015 in স্বাস্থ্য.

                      আধুনিক যুগে মানুষের জীবন শৈলী এতই আরামদায়ক হয়ে উঠেছে যে সেখানে শারীরিক ব্যায়ামের কোনো স্থান নেই বললেই চলে। বেশিরভাগ লোকই কাজ করতে ভয় পান, খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাসও কোনো নিয়মের মাঝে নেই।

                      আমরা জানি যে, ফ্যাট হৃদপিন্ডের ধমনীতে বাধার সৃষ্টি করে। আর এটাই কোলেস্টোরেল নামে পরিচিত। এই কোলেস্টোরেল এবং ট্রাইগ্লিসরাইড ধমনীতে স্তরে স্তরে জমাতে থাকে। বিপদের সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করার পর এটি ধমনীগুলির রক্ত প্রবাহতে বাধার সৃষ্টি করে এবং করোনারী ধমনীগুলির রোগের সৃষ্টি করে।

                      গত পঞ্চাশ বছর ধরে ধমনীতে বাধা সৃষ্টির জন্য কোলেস্টোরেলকেই প্রধান কারণ বলে মনে করা হত।। কিন্তু গত ১০ বছর ধরে ট্রাইগ্লিসরাইড নামক বনস্পতিকেও ধমনীগুলিতে বাধা দানের জন্য ঠিক ততটাই দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। বনস্পতি ফ্যাট কুকিং অয়েল রুপে পরিচিত। তেল উৎপাদক কোম্পানিগুলি লোকেদের এটাই বোঝানোর চেষ্টা করে যে, তাদের তেল একদমই ক্ষতিকারক নয়। তারা লোভনীয় বিজ্ঞাপনের দ্বারা নিজেদের উৎপাদন বিক্রী করছে। এমনকি তারা তাদের উৎপাদনগুলোকে কোলেস্টোরেল ফ্রি বা জিরো কোলেস্টোরেল বলেও চালিয়ে যাচ্ছে। এটা ঠিক যে দুধ বা মাংস থেকে প্রাপ্ত কোলেস্টোরেল থেকে বনস্পতি ফ্যাট থেকে পাওয়া কোলেস্টোরেল ততটা ক্ষতিকারক না। তবে এই তেলে থাকা ক্যালরি স্থূলতা, ডায়বেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের কারণ হয়ে উঠতে পারে। এজন্য এই খাদ্য থেকে ক্যালরির মাত্রা কমানো খুবই প্রয়োজন।

                      প্রায় সবরকম খাদ্যের মধ্যেই কোনো না কোনোভাবে ফ্যাট লুকিয়ে থাকে। তবে এটা নিতান্তই প্রশ্নাতীত যে তেল ছাড়া কিভাবে রান্নায় স্বাদ আনা সম্ভব। এর উত্তর হতে পারে রান্নায় স্বাদ আনে মসলা। আর তেল ছাড়া এই মসলা দেয়ার কথাও চিন্তা করা যায় না। তাই রান্নার সময়ে তেলের সাথে সাথে মসলার চিন্তাও মাথা থেকে বের করে দিতে হবে।

                      এই সমস্যাটি থেকেই মূলত জিরো অয়েলের চিন্তা সাওলের মাথায় এসেছিল। এর অর্থ হল এক ফোঁটাও তেল ব্যবহার না করে খাদ্য প্রস্তুত করা। সাওল খাদ্য পদ্ধতিতে মসলা আর পানির সাহায্যে রান্না করা হয় কিন্তু এতে স্বাদ, গন্ধ এবং রং অভিন্নই থাকে।

                      সাওল একটা বিষয় বুঝতে পেরেছিলেন যে রান্নায় তেলের পরিবর্তে পানির ব্যবহার অনেকেই মেনে নিতে পারবেন না। এজন্য তিনি পানিকে সাওল তেল বলেন। এর ফলে খাদ্যের মধ্যে কোলেস্টেরেল এবং ট্রাইগ্লিসরাইডের বিপদটি থাকে না। উচ্চ ক্যালরি নিশ্চিহ্ন হওয়ার সাথে সাথে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনাও শেষ হয়ে যায়।

                      এটা নিশ্চিত করে বলা যায় যে সাওল তেলে ফ্যাট ও কোলেস্টোরেল একেবারেই থাকে না। এটি ১০০ ভাগই খনিজরুপে শরীরের জন্য ভালো্।

                      তেল ছাড়া ভাজার পদ্ধতি :

                      – কড়াই গরম করুন।

                      – জিরে লাল করে ভেজে নিন।

                      – এবার পেঁয়াজ দিয়ে নাড়তে থাকুন। লেগে গেলে অল্প পরিমাণে পানি দিন।

                      – প্রয়োজন অনুসারে আদা রসুনের পেস্ট তৈরি করুন।

                      – এগুলো লাল না হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।

                      – এরপর টমেটো পেস্ট আর সামান্য পানি দিয়ে ভাজুন।

                      – হলুদ দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন কেননা হলুদ মিশতে বেশ খানিকটা সময় লাগে।

                      – এবারে স্বাদ মতো মসলা, লঙ্কা আর লবণ দিন।

                      – এরপরে সবজি দিন এবং গরম মসলা আর কুচি করা ধনেপাতা দিয়ে পানিতে সিদ্ধ করুন।

                      – সবজি সিদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন।

                      – তথ্যসূত্র :
                      ওজন কমানোর জন্য ২০১ টি পরামর্শ
                      ডাঃ বিমল ছাজেড়

                      • 731 views
                      • 1 answers
                      • 0 votes
                    • Professor Asked on February 25, 2015 in স্বাস্থ্য.

                        এটি একটি যোগব্যায়াম। এর ফলে আপনার শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত মেদ নিমেষেই নিঃশেষিত হয়ে যায়। জেনে নিন এটি যেভাবে করবেন।

                        অবস্থান : মাটিতে বসে পা ছড়িয়ে দিন। পায়ের পাতাকে প্রসারিত করুন এবং শরীর থেকে যতটা সম্ভব দূরে রাখুন।

                        প্রণালী : শ্বাস গ্রহণ করতে করতে হাত দুটিকে উপরের দিকে তুলুন। হাত দুটি এমনভাবে রাখুন যাতে তা কান স্পর্শ করে। শ্বাস ত্যাগ করতে করতে হাত দুটিকে নিচের দিকে নিয়ে আসুন এবং তর্জনী দিয়ে পায়ের আঙ্গুল স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। এমন করার পর হাত দিয়ে গোড়ালি টানার চেষ্টা করুন এবং কনুই মাটিতে স্পর্শ করুন। এরপরে মাথা নিচু করে হাঁটু স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। এমনটা ২-৩ বার করুন।

                        তথ্যসূত্র :
                        ওজন কমানোর জন্য ২০১ টি পরামর্শ
                        ডাঃ বিমল ছাজেড়

                        • 1440 views
                        • 1 answers
                        • 0 votes