14182
Points
Questions
3
Answers
7076
ত্রিকোণাসন একটি যোগব্যায়াম।
যেভাবে করবেন : দুই পা ফাঁক করে দাঁড়িয়ে যান। ডান পা কে ডান দিকে ঘোরান আর হাত দুটোকে কোণাকুনি বর্ধিত করুন এবং এমনভাবে রাখুন যাতে সোজাসুজি থাকে। শরীরটাকে ডানদিকে বাঁকিয়ে ফেলুন এবং একইভাবে ডান হাঁটুকেও বাঁকান। এরপরে ডান হাত ডান পায়ের কাছে নিয়ে আসুন এবং হাত দুটিকে সোজাসুজি রাখুন। বাম হাতের পাতা সোজা করে রাখুন এবং বাম হাতের প্রান্তভাগটির দিকে তাকান।
এরপর একেবারে প্রথম অবস্থানে ফিরে আসুন ও উল্টোদিক থেকে একই প্রক্রিয়ায় পুনরাবুত্তি করুন।
তথ্যসূত্র :
ওজন কমানোর জন্য ২০১ টি পরামর্শ
ডাঃ বিমল ছাজেড়- 784 views
- 1 answers
- 0 votes
উত্তান পাদাসন একটি যোগব্যায়াম যা শরীরের মেদ কমাতে সহায়তা করে।
প্রথম অবস্থান : এর জন্য চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন। আঙ্গুলগুলি আটকে নিয়ে হাত ঘাড়ের দিকে নিয়ে যান। কনুই মাটিতে রাখুন এবং দুইটি পায়ে মাঝে সেমি দূরত্ব রাখুন।
প্রণালি : শ্বাস-প্রশ্বাস ত্যাগ এবং গ্রহণের মধ্য দিয়েই পা দুটি মাটি থেকে ১৫ সেমি উপরে তুলুন। এভাবে ৫ মিনিট ধরে শ্বাস নিন এবং ছাড়ুন। এরপরে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পা নিচে নামিয়ে ফেলুন।
দ্বিতীয় অবস্থান : দুইটি পায়ের মধ্যে ২৫ সেমি দূরত্ব রাখুন।
প্রণালি : গোঁড়ালি বাইরের দিকে এবং পায়ের পাতা ভেতরের দিকে রাখুন। পা দুটি মাটি থেকে ১৫ সেমি উপরে তুলুন। এভাবে ৫ মিনিট ধরে শ্বাস প্রশ্বাস গ্রহণ ও ত্যাগ করুন। গভীর শ্বাস গ্রহণ করতে করতে পা নিচে নামান এবং শ্বাস ত্যাগ করে বিশ্রাম নিন।
তৃতীয় অবস্থান : দুই পায়ের মধ্যে ৪৫ সেমি দূরত্ব রাখুন।
প্রণালি : একই প্রক্রিয়ার পুনরাবুত্তি করুন এবং বিশ্রাম নিন।
তথ্যসূত্র :
ওজন কমানোর জন্য ২০১ টি পরামর্শ
ডাঃ বিমল ছাজেড়- 1042 views
- 1 answers
- 0 votes
ভূজঙ্গাসন একটি যোগ ব্যায়াম যার মাধ্যমে শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে শরীর হয়ে ওঠে সুস্থ।
প্রথম অবস্থান : উবু হয়ে বসে পায়ের পাতা সোজা করে মাটিতে মেলে দিন। হাত শরীর থেকে ৩০ সেমি দূরে রাখুন।
প্রণালী : গভীর শ্বাসগ্রহণ করতে করতে ১৫ সেমি ওপরের দিকে উঠুন। মুখ দিয়ে শ্বাস ত্যাগ করুন এবং নাভি ভেতরের দিকে ঢোকান। শ্বাস গ্রহণের সময়ে শরীরের ভার হাত আর উরুর ওপর রাখুন এবং আকাশের দিকে দেখুন। তারপর ধীরে ধীরে শ্বাসত্যাগ করে শরীরকে মাটিতে নামিয়ে নিয়ে আসুন।
দ্বিতীয় অবস্থান : হাত দুটি শরীর থেকে ১৫ সেমি দূরে রাখুন।
প্রণালী : আগের মতই।
তৃতীয় অবস্থান : হাত দুটি শরীরের একেবারে কাছে থাকবে।
প্রণালী : শ্বাস নিতে নিতে শরীর মাটি থেকে ১৫ সেমি ওপরে তুলুন। মুখ দিয়ে ফু করে শ্বাস ফেলুন। তারপর শ্বাস গ্রহণ করতে করতে শরীর আরও ওপরে তুলুন যাতে আপনার নাভি ভূমি স্পর্শ করে। ফু দিয়ে শ্বাস ত্যাগ করুন আপনার ঘাড়টিকে মাটির ওপরে নিয়ে আসুন। মুখের ডানদিকে এবং মাথার ধারে হাত দুটি ছড়িয়ে দিন। হাত দুটি সোজা রেখে শরীরকে শিথিল করে বিশ্রাম করুন।
তথ্যসূত্র :
ওজন কমানোর জন্য ২০১ টি পরামর্শ
ডাঃ বিমল ছাজেড়- 1189 views
- 1 answers
- 0 votes
প্রাচীনকালে যোগের সৃষ্টিকারী ঋষি পতঞ্জলি (৩০০ খ্রিষ্টপূর্ব) যোগের আটটি ভাগের কথা বলেছিলেন। সেগুলো হল যম, নিয়ম, আসন, প্রাণায়াম, প্রত্যাহার, ধর্ম, ধ্যান এবং সমাধি। প্রথমটি এবং শেষ দুটির মাধ্যমে মস্তিষ্ককে নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে থাকে। ধ্যানের দ্বারা আমাদের খাদ্যাভ্যাসও নিয়ন্ত্রিত হয়।
যোগাসন : এটি প্রধানত yoga exercise নামেই পরিচিত। এর সাহায্যে আমাদের শরীর সতেজ থাকে, আমাদের মাংসপেশীগুলো শক্তিপ্রাপ্ত হয় এবং এটি দেহের নির্দিষ্ট অংশের ফ্যাট কমাতে সহায়তা করে। যোগাসনের দ্বারা যে কেউ নিজের শরীরকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। কিছু কিছু আসন চোয়ালের, চিবুকের, নিতম্বের ফ্যাট কমাতে সহায়তা করে। এর দ্বারা দেহের অত্যাধিক ওজন কমে ফলে সংযুক্ত স্থানগুলি সহজেই নড়াচড়া করতে পারে, শরীর অনেক বেশি স্থিতিস্থাপক হয়ে যায়।
একটি আসন রয়েছে যার মধ্যে শরীরকে ১৬ রকমভাবে ঘোরাতে ফেরাতে হয়। এটি স্থূলতা কমানোর সক্ষম ওষুধ। এটিকে সূর্য প্রণাম বলা হয়। স্থূলতা কমানোর জন্য দিনে ১০ বারের বেশি সূর্য প্রণাম করা আবশ্যক। তবে মনে রাখা ভালো এই আসনটি সবসময়ই ১ থেকেই শুরু করতে হয়। এই আসনের মাধ্যমে যোগ আপনার পথ প্রদর্শকের ভূমিকা পালন করবে।
প্রাণায়াম : ওজন কমানোর জন্য দুই ধরনের প্রাণায়াম খুবই আবশ্যক। সেই দুটি হল ভস্ত্রিকা এবং কপালভাতি। যেকোনো অভ্যাসকারীর ভস্ত্রিকা প্রাণায়াম ১৫ মিনিট ধরে অভ্যাস করতে হবে।
যদি প্রতিটি মানুষ এই যোগাসন এবং প্রাণায়ামের অভ্যাস করতে পারেন তবে তারা শারীরিকভাবে সুস্থ থাকবেন। এর জন্য কোনো অর্থ খরচ হয় না। প্রত্যেক মোটা ব্যক্তির দিনে কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা উচিত। এতে তাদের ওজন কমবে এবং মানসিক চাপও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
পেট এবং নিতম্বের অতিরিক্ত মেদ কমানোর জন্য ভূজঙ্গাসন, উত্তান পদাসন, ত্রিকোণাসন, পশ্চিমোত্তাসন, ভস্ত্রিকা এবং সূর্য প্রণাম এই যোগাসনগুলো উপকারী।
তথ্যসূত্র :
ওজন কমানোর জন্য ২০১ টি পরামর্শ
ডাঃ বিমল ছাজেড়- 1041 views
- 1 answers
- 0 votes
রাত জেগে থাকা অনেকের কাছে একটি স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। কিন্তু আমাদের শরীর এবং মনের সঠিকভাবে কাজ করার জন্য রাতের ঘুম প্রয়োজন।
ঘুমানোর আগে কম্পিউটার, টিভি, সোশ্যাল মিডিয়া বাদ দিন। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যান এবং ঘুম থেকে উঠুন। চা কফি রাতে খাওয়া বাদ দিন। ঘুমানোর আধা ঘণ্টা পূর্বে সম্ভব হলে এক গ্লাস মৃদু উষ্ণ দুধ পান করুন। ঘুমানোর আগে অতিরিক্ত পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন। ঘুমানোর আগে বই পড়ার অভ্যাস করুন।
- 1520 views
- 1 answers
- 0 votes
এটা জানা কথা যে আমাদের দেশের রান্নায় প্রচুর পরিমাণে ঘি বা তেল দেওয়া হয় যেগুলো হৃদরোগীদের পক্ষে বিপজ্জনক। আমরা নিম্নলিখিত প্রক্রিয়ায় খাদ্য প্রস্তুত করতে পারি।
ক) ঝলসানো : ঝলসানোর কাজটি ওভেনে ১২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড থেকে ২৬০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় করা হয়ে থাকে। এতে সাধারণত পাপড়, পাউরুটি, কেক বা বিস্কুটের জন্য বেকিং করা হয়ে থাকে। খাদ্যকে শুকনো আর সিক্ত করা হয়ে থাকে। সিক্ত খাবার বানানোর জন্য প্রথমে তাপমাত্রা সিক্ত হওয়া প্রয়োজন যাতে ঠান্ডা পদার্থ অনুকূল তাপমাত্রায় আসতে পারে। ওভেনে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার তাপের মাধ্যমে ঝলসানো বা পরিপাক করা হয়ে থাকে। কনভেকশান তরঙ্গ ওভেনের তাপমাত্রাকে একই আকারে রাখে। এই প্রক্রিয়ায় একদমই তেলের প্রয়োজন হয় না এবং খাদ্যও সুস্বাদু হয়।
খ) সেদ্ধ : সেদ্ধ করার অর্থ হল পানি দিয়ে রান্না করা। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পানি তাপে পরিবর্তিত হয়। এই প্রক্রিয়াতে যে বাসনে রান্না করা হয়, পানি তার থেকে তাপ গ্রহণ করে থাকে। তাপ বেশি হয়ে গেলে খাদ্য ফুটতে শুরু করে। পানি তাপের কুপরিবাহী, ফলে সেদ্ধ করার জন্য তাপ বেশি লাগে। পানির স্ফুটনাঙ্ক ১০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। বেশি তাপে এর স্বরুপ পরিবর্তিত হতে থাকে।
গ) ভাপে খাদ্য প্রস্তুত : ভাপের সাহায্যেও খাদ্য প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। একে প্রেসারকুকিং বলে। এই প্রক্রিয়ায় রান্না করার জন্য সিক্ত তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়। এতে খাদ্য প্রস্তুত করার জন্য সামান্য পানির প্রয়োজন পড়ে। এই পানি থেকেই বাষ্পের সৃষ্টি হয়। প্রেসার কুকারের মাধ্যমে অনেক কম সময়ে খাদ্য তৈরি হয়ে থাকে।
তথ্যসূত্র :
ওজন কমানোর জন্য ২০১ টি পরামর্শ
ডাঃ বিমল ছাজেড়- 1110 views
- 1 answers
- 0 votes
ফ্যাট হচ্ছে ভারতীয় খাদ্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা এটা বিশ্বাস করে থাকি যে তেল ঘি ছাড়া সুস্বাদু খাবার তৈরি করা অসম্ভব। যদি তেল ছাড়া রান্না করতে বলা হয় তবে বেশিরভাগ গৃহিণীই একটি সেদ্ধ খাবারের রেসিপি বানিয়ে দেবেন। তেল ছাড়া যে খাবার রান্না করা যায় না এই চিন্তা মাথা থেকে দূর করতে হবে। তেল ছাড়াও সুস্বাদু খাবার রান্না করা সম্ভব এই বিশ্বাসটি রাখতে হবে। যেমন :
– অনেকেই রুটির দুইদিকে ঘি মাখিয়ে খেতে পছন্দ করেন। তারা হয়ত জানেন না যে ৩০-৩৫ গ্রাম রুটিতে ১০০ ক্যালরি থাকে। যদি এতে ২ চামচ ঘি লাগানো হয় তবে স্বাদের পরিবর্তে ক্যালরির মাত্রা বেড়ে যায়।
– অনেকে চীজ ছাড়া পিৎজা খেতে পছন্দ করেন না। তারা মনে করেন চীজ ছাড়া পিৎজা হতেই পারে না। একটি ছোট আকারের পিৎজা প্রায় ৭৫ গ্রাম হয় যাতে ক্যালরি থাকে ২৬০। তার ওপরে ২৫ গ্রাম চীজ দিলে ৯০ ক্যালরি বৃদ্ধি পায়। সবজির টপিংয়ে ক্যালরি বৃদ্ধি পায়। ১০০ গ্রাম সবজিতে ২০০ গ্রাম অতিরিক্ত ক্যালরি শক্তি দেবে। অর্থাৎ আপনি যদি একটা গোটা পিৎজা খান তবে আপনি ৩৭০ ক্যালরি পাবেন। এজন্য সবার উচিত চীজ ছাড়া পিৎজা খাওয়া। এতে স্বাদের তেমন কোনোই ভিন্নতা আসে না।
– পাউরুটিও ভারতীয় একটি খাবার। আপনি জানেন যে প্রায় ৩০ গ্রামের একটি পাউরুটি আপনাকে ১০০ ক্যালরি দেয়। আর এতে মাখন লাগালে তা আরও বেড়ে যায়। এজন্য মাখন ছাড়াই পাউরুটি খাওয়া উচিত।
– আজকাল অনেক ধরনের অনুষ্ঠানে স্যুপ পরিবেশন করা হয়ে থাকে। স্যুপে বেশি ক্যালরি থাকে না। কিন্তু এতে থাকা ক্রীম ক্যালরি বৃদ্ধি করে।
– উত্তর ভারতের লোকেরা বিশেষ করে পাঞ্জাবীরা তেলতেলে খাবার খেতে পছন্দ করেন। তারা এটিকে স্বাস্থ্যকর খাবার বলে মনে করেন। এছাড়া ভুট্টার রুটি মাখন লাগিয়েও খেয়ে থাকেন। কিন্তু ভুট্টার রুটিতে এমনিতেই যথেষ্ট পরিমাণে ক্যালরি থাকে তার উপরে মাখন লাগালে আরও ১০০ ক্যালরি বৃদ্ধি পায়। এইভাবে মাখন লাগানো ভুট্টা খেলে ২০০ ক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়।
– রাজস্থানের লোকেরা ডালের বড়া অত্যন্ত মজা করে খেয়ে থাকেন। এটা ভীষণ ভারী একটি খাবার। এটি বানানোর সময়েই ঘি ও মাখন এর ব্যবহার হয়ে থাকে। ফলে এটি খেলে শরীরে ক্যালরি বাড়ে কয়েকগুণ।
– বিস্কিট খাওয়া খারাপ না কিন্তু ক্রিম বিস্কিট খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কেননা এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালীর রয়েছে।
– অনেকে রান্না করা ডালে ঘি ছড়িয়ে নেন। তারা এমনটা মনে করেন যে ঘি ছাড়া ডালের স্বাদ পাওয়া যায় না।
– অনেক ব্যক্তি লস্যিকে লো ক্যালরিযুক্ত পানীয় মনে করেন। কিন্তু এতে যখন মালাই দেয়া হয় তখন তা আর লো ক্যালরিযুক্ত পানীয় থাকে না।
সর্বোপরি বলা যায় খাদ্যে কখনই ঘি বা মাখন ব্যবহার করবেন না যা প্রতিনিয়তই আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে।
তথ্যসূত্র :
ওজন কমানোর জন্য ২০১ টি পরামর্শ
ডাঃ বিমল ছাজেড়- 954 views
- 1 answers
- 0 votes
আধুনিক যুগে মানুষের জীবন শৈলী এতই আরামদায়ক হয়ে উঠেছে যে সেখানে শারীরিক ব্যায়ামের কোনো স্থান নেই বললেই চলে। বেশিরভাগ লোকই কাজ করতে ভয় পান, খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাসও কোনো নিয়মের মাঝে নেই।
আমরা জানি যে, ফ্যাট হৃদপিন্ডের ধমনীতে বাধার সৃষ্টি করে। আর এটাই কোলেস্টোরেল নামে পরিচিত। এই কোলেস্টোরেল এবং ট্রাইগ্লিসরাইড ধমনীতে স্তরে স্তরে জমাতে থাকে। বিপদের সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করার পর এটি ধমনীগুলির রক্ত প্রবাহতে বাধার সৃষ্টি করে এবং করোনারী ধমনীগুলির রোগের সৃষ্টি করে।
গত পঞ্চাশ বছর ধরে ধমনীতে বাধা সৃষ্টির জন্য কোলেস্টোরেলকেই প্রধান কারণ বলে মনে করা হত।। কিন্তু গত ১০ বছর ধরে ট্রাইগ্লিসরাইড নামক বনস্পতিকেও ধমনীগুলিতে বাধা দানের জন্য ঠিক ততটাই দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। বনস্পতি ফ্যাট কুকিং অয়েল রুপে পরিচিত। তেল উৎপাদক কোম্পানিগুলি লোকেদের এটাই বোঝানোর চেষ্টা করে যে, তাদের তেল একদমই ক্ষতিকারক নয়। তারা লোভনীয় বিজ্ঞাপনের দ্বারা নিজেদের উৎপাদন বিক্রী করছে। এমনকি তারা তাদের উৎপাদনগুলোকে কোলেস্টোরেল ফ্রি বা জিরো কোলেস্টোরেল বলেও চালিয়ে যাচ্ছে। এটা ঠিক যে দুধ বা মাংস থেকে প্রাপ্ত কোলেস্টোরেল থেকে বনস্পতি ফ্যাট থেকে পাওয়া কোলেস্টোরেল ততটা ক্ষতিকারক না। তবে এই তেলে থাকা ক্যালরি স্থূলতা, ডায়বেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের কারণ হয়ে উঠতে পারে। এজন্য এই খাদ্য থেকে ক্যালরির মাত্রা কমানো খুবই প্রয়োজন।
প্রায় সবরকম খাদ্যের মধ্যেই কোনো না কোনোভাবে ফ্যাট লুকিয়ে থাকে। তবে এটা নিতান্তই প্রশ্নাতীত যে তেল ছাড়া কিভাবে রান্নায় স্বাদ আনা সম্ভব। এর উত্তর হতে পারে রান্নায় স্বাদ আনে মসলা। আর তেল ছাড়া এই মসলা দেয়ার কথাও চিন্তা করা যায় না। তাই রান্নার সময়ে তেলের সাথে সাথে মসলার চিন্তাও মাথা থেকে বের করে দিতে হবে।
এই সমস্যাটি থেকেই মূলত জিরো অয়েলের চিন্তা সাওলের মাথায় এসেছিল। এর অর্থ হল এক ফোঁটাও তেল ব্যবহার না করে খাদ্য প্রস্তুত করা। সাওল খাদ্য পদ্ধতিতে মসলা আর পানির সাহায্যে রান্না করা হয় কিন্তু এতে স্বাদ, গন্ধ এবং রং অভিন্নই থাকে।
সাওল একটা বিষয় বুঝতে পেরেছিলেন যে রান্নায় তেলের পরিবর্তে পানির ব্যবহার অনেকেই মেনে নিতে পারবেন না। এজন্য তিনি পানিকে সাওল তেল বলেন। এর ফলে খাদ্যের মধ্যে কোলেস্টেরেল এবং ট্রাইগ্লিসরাইডের বিপদটি থাকে না। উচ্চ ক্যালরি নিশ্চিহ্ন হওয়ার সাথে সাথে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনাও শেষ হয়ে যায়।
এটা নিশ্চিত করে বলা যায় যে সাওল তেলে ফ্যাট ও কোলেস্টোরেল একেবারেই থাকে না। এটি ১০০ ভাগই খনিজরুপে শরীরের জন্য ভালো্।
তেল ছাড়া ভাজার পদ্ধতি :
– কড়াই গরম করুন।
– জিরে লাল করে ভেজে নিন।
– এবার পেঁয়াজ দিয়ে নাড়তে থাকুন। লেগে গেলে অল্প পরিমাণে পানি দিন।
– প্রয়োজন অনুসারে আদা রসুনের পেস্ট তৈরি করুন।
– এগুলো লাল না হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
– এরপর টমেটো পেস্ট আর সামান্য পানি দিয়ে ভাজুন।
– হলুদ দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন কেননা হলুদ মিশতে বেশ খানিকটা সময় লাগে।
– এবারে স্বাদ মতো মসলা, লঙ্কা আর লবণ দিন।
– এরপরে সবজি দিন এবং গরম মসলা আর কুচি করা ধনেপাতা দিয়ে পানিতে সিদ্ধ করুন।
– সবজি সিদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন।
– তথ্যসূত্র :
ওজন কমানোর জন্য ২০১ টি পরামর্শ
ডাঃ বিমল ছাজেড়- 1851 views
- 1 answers
- 0 votes
শোয়ার সময়ে আমাদের শরীরের কোষগুলির খুব কম ক্যালরির প্রয়োজন হয়। কারণ এই সময় আমরা কোনো কাজ করি না। শুধুমাত্র হৃদপিন্ড, ফুসফুস, কিডনি এবং পাচনতন্ত্রের কোষগুলি ক্রমাগত কাজ করে যায় আর এই কোষগুলির খুব কম ক্যালোরির প্রয়োজন হয়।
আমরা যখন উঠে বসি তখন কিছু মাংসপেশীর কোষ সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং ১ ১/২ ক্যালরি খরচ হতে শুরু করে। আমরা যখন বসে বসে কম্পিউটারে কাজ করি তখন আমাদের হাতের নড়াচড়া হয়যার ফলে ক্যালরির আবশ্যকতা বৃদ্ধি পায়। আমরা উঠে রান্না, কাপড় বদলানো আর বাড়িঘর পরিস্কারের কাজ শুরু করলে আমাদের মাংসপেশী সক্রিয় হয়ে ওঠে যার জন্য প্রতি মিনিটে ২-৩ ক্যালরি খরচ হতে শুরু করে।
ঠিক এইভাবে চলাফেরা করার সময় আমাদের বেশি ক্যালরির প্রয়োজন হয়। স্বাভাবিক গতিতে হাঁটার জন্য ৩-৪ ক্যালরি এবং দ্রুত গতিতে হাঁটার জন্য ৫-৬ ক্যালরির প্রয়োজন হয়। জগিং করার জন্য ৭-৮ ক্যালরি এবং তীব্র গতিতে ছোটার জন্য মিনিটে ১০-১২ ক্যালরির প্রয়োজন হয়।
শরীরের প্রতিটি গতিবিধির জন্যই ক্যালরির প্রয়োজন পড়ে। মাংসপেশীগুলির যত বেশি কাজ করে ক্যালরি তত বেশি খরচ হয়। যে সমস্ত ব্যক্তিরা আরামদায়ক জীবন কাটান তাদের ১৬০০ ক্যালরির প্রয়োজন হয়।
যে সমস্ত মজুররা বাড়ী তৈরি করেন বা যে সমস্ত লোক রিক্সা চালান তাদের শরীরে বেশি পরিমাণে ক্যালরির প্রয়োজন হয়। একজন খেলোয়াড় যদি প্রতিদিন ৫-৬ ঘণ্টা শারীরিক পরিশ্রমের অভ্যাস গড়ে তোলেন তাহলে তাঁর প্রতিদিন ৩০০০ ক্যালরির আবশ্যকতা পড়ে।
- 1346 views
- 1 answers
- 0 votes
স্থূলতার সমস্যাকে আমরা ২ ভাবে দূর করতে পারি। আপনি এ জন্য নিজের মাংসপেশীগুলোকে সর্বদাই কাজের মধ্যে ব্যস্ত রাখুন এবং এর মাধ্যমে অধিক পরিমাণে ক্যালরি খরচ করুন। তাহলে আপনার প্রতিদিন ২০০০ ক্যালরির প্রয়োজন হবে। এছাড়া আমরা এর জন্য এমন খাবার গ্রহণ করতে পারি যেগুলোতে ক্যালরির মাত্রা খুবই কম হয়ে থাকে। এই ২ টি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্যালরি কমবে এবং শরীরে অবস্থিত ফ্যাট গলতে শুরু করবে।
প্রথম প্রক্রিয়া হল ব্যায়াম করা বা পায়ে হাঁটা। নিজের ব্যস্ত জীবন থেকে আধা ঘণ্টা হাঁটার জন্য ব্যয় করুন। এতে করে ১০০ ক্যালরি খরচ হবে এবং হাতের ব্যায়ামের জন্য ২০০ ক্যালরি খরচ হবে।
দ্বিতীয় প্রক্রিয়াটি হল কম ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণ করা। সামান্য সাবধানতা অবলম্বন করলে এবং সামান্য জ্ঞান সঞ্চয় করতে পারলে খাদ্য থেকে ৪০০-৫০০ ক্যালরি কমানো সম্ভব। আসুন জেনে নিই এটা কীভাবে সম্ভব।
সারা পৃথিবীতেই নানা ধরনের খাবার পাওয়া যায়। একটি দেশের এক এক স্থানের লোকেরা এক এক ধরনের খাদ্য এবং পানীয় খেয়ে থাকেন। বৈজ্ঞানিক তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিটি খাদ্যের মধ্যে ৩ টি উৎস থাকে যেমন : কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ফ্যাট। এছাড়া খাদ্যে অন্যান্য আরও ৪ টি উপাদান রয়েছে যেমন : খনিজ, ভিটামিন, পানি এবং ফাইবার। এই খাদ্যগুলো ক্যালরি প্রদান করে না তবে এগুলো শরীরের জন্য অপরিহার্য। কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ফ্যাটের মধ্যে ক্যালরি পাওয়া যায় এ কারণে এগুলোকে খাদ্য তালিকা থেকে দূরে রাখা প্রয়োজন।
কার্বোহাইড্রেটের প্রধান কাজ হল শরীরে ক্যালরির যোগান দেয়া। কিন্তু এই ক্যালরি শরীরে সঞ্চিত হয় না। এটি ছোট ছোট গ্লুকোজের কণায় পরিণত হয়ে অন্ত্রে পাচিত হয় এবং শোষিত হয়ে রক্তে মিশে যায়। আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষ এই গ্লুকোজের সাহায্যেই ক্যালরি উৎপাদন করে। রক্তে গ্লুকোজের আস্তরণ পড়লে শরীর সহজেই সেটিকে ভাঙতে পারে। এক গ্রাম গ্লুকোজ বা কার্বোহাইড্রেট থেকে ৪ ক্যালরি পাওয়া যায়। যদি শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি পায় তবে সেটি ফ্যাটে পরিবর্তিত হয়ে একত্রিত হয়ে যায়।
১ গ্রাম প্রোটিন থেকেও ৪ ক্যালরি পাওয়া যায়। এটি আমাদের শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি অ্যামিনো অ্যাসিডে পরিবর্তিত হয়ে আমাদের মাংসপেশীগুলিকে দৃঢ় করে এবং পাচক রস আর হরমোন সৃষ্টিতে সহায়তা করে। তাছাড়া এটা খাবারের বিশেষ অংশ যাকে কখনই উপক্ষো করা উচিত না।
খাদ্যের তৃতীয় উপাদান ফ্যাটও ক্যালরির অন্যতম উৎস। ১ গ্রাম ফ্যাট থেকে ৯ পরিমাণ ক্যালরি পাওয়া যায়। মূলত ফ্যাটই স্থূলতা এবং হৃদরোগের প্রধান কারণ। এর থেকে উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়বেটিস রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। কিছু হরমোন এবং পুনরায় কোষ সৃষ্টি ছাড়া ফ্যাট শরীরের আর কোনো কাজ করে না। বিপজ্জনক রোগের হাত থেকে মুক্তি পেতে আমরা ফ্যাটযুক্ত খাবার কম খেতে পারি।
এর জন্য আমরা তেলছাড়া রান্না করা খাবার খেতে পারি। প্রায় ৯০ শতাংশই এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলোতে কোনো তেলই লাগে না। প্রাকৃতিকভাবে খাবরটিতে থাকা তেল দিয়েই রান্নাটি সম্ভব। তেল ছাড়া রান্না করার পদ্ধতিকে আমরা ‘জিরো অয়েল ডায়েট’ বলে অভিহিত করতে পারি।
যে সমস্ত ব্যক্তিরা স্থূলতায় পীড়িত তারা কম ক্যালরিযুক্ত কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করুন। সাধারণ ওজন যুক্ত কার্বোহাইড্রেটও সহজেই গ্রহণ করতে পারেন।
খাদ্যবিপ্লবের অন্য একটি দিক হল গৃহীত ক্যালরির গণনা। শিক্ষিত এবং অশিক্ষিত প্রত্যেক ব্যক্তিই খুব সহজেই ক্যালরি গণনার এই পদ্ধতি শিখতে পারেন। এটা অনেকটা টাকার মতন। সমস্ত প্রকারের খাদ্যকে ৪ ভাগে ভাগ করা হয়েছে যেমন : ২০, ৫০, ১০০ এবং ৩০০ ক্যালরির নোট। মনে রাখবেন যে এতে খাদ্য পদার্থের আনুমানিক ক্যালরির হিসাব দেওয়া হয়েছে। এভাবে আপনি খুব সহজেই গৃহীত ক্যালরির অনুমাণ করতে পারবেন।
একবার এই পদ্ধতি শিখে গেলে খাদ্যের চাবিকাঠি আপনার হাতে চলে আসবে। যারা ওজন কমাতে চান তারা ২০ এবং ৫০ ক্যালরির নোটে যেসব খাদ্যের উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো গ্রহণ করুন। যারা ওজন বৃদ্ধি করতে চান তারা ১০০ ক্যালরির নোটের দিকে লক্ষ্য করুন। আর ৩০০ ক্যালরির নোট প্রায় সকলের জন্যই ক্ষতিকারক। অন্য দেশের লোকেরা এই টাকার প্রতীককে ডলার এবং পাউন্ড বা স্থানীয় মুদ্রায় পরিবর্তিত করতে পারেন।
- 901 views
- 1 answers
- 0 votes