14182
Points
Questions
3
Answers
7076
আমরা যে খাদ্যই গ্রহণ করি না কেন খাবার গ্রহণ করার পরই পাচনক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। লালার জন্য আমাদের খাদ্যের উপাদান ছোট ছোট টুকরোতে ভেঙ্গে যায়। প্রথমে দাঁত দিয়ে চিবিয়ে আমরা খাবারটিকে পেস্টের মত বানিয়ে নিই এরপরে এটি খাদ্যনালীর ভেতর দিয়ে গিয়ে পেটে পৌঁছে যায়। দুধ আর জুসের মত তরল খাদ্যগুলি সরাসরি পেটে চলে যায়।
পেট এঞ্জাইম এবং পাচক রসের সাহায্যে পাচন ক্রিয়া শুরু করে। এই প্রক্রিয়ার জন্য আধা ঘণ্টা থেকে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। পাচনের বাকী কাজটা সম্পন্ন করে অগ্ন্যাশয় এবং যকৃত থেকে নিঃসৃত রস। পরে খাদ্য রস শোষিত হয়ে তা রক্তের সাথে মিশে যায়।
রক্তের মাধ্যমেই খাদ্য কণিকাগুলো শরীরের বিভিন্ন অংশে অবস্থিত কোষের মধ্যে পৌঁছায়। শরীরে প্রায় ১০০০০ কোটিরও বেশি কোষ থাকে। এবার এই কণিকাগুলি প্রত্যেক কোষে অবস্থিত মাইটোকন্ড্রিয়া দ্বারা হজম হয়, যার ফলে কোষগুলি কাজ করার এবং বেঁচে থাকার শক্তি সঞ্চয় করতে পারে।
এভাবে সম্পূর্ণ শরীরে শক্তি সঞ্চারিত হয়। এই শক্তিই ক্যালরি নামে পরিচিত। হাঁটার সময় পায়ে অবস্থিত মাংসপেশীগুলির মাইটোকন্ড্রিয়া অনেক বেশি পরিমাণে রক্ত এবং খাদ্যের চাহিদা পূরণ করে। প্রতিটি শারীরিক কাজের জন্যই শক্তির প্রয়োজন হয়। আরামদায়ক জীবন কাটাতে থাকা যেকোনো ব্যক্তির প্রায় ১৬০০ ক্যালরির প্রয়োজন হয়।
- 3975 views
- 1 answers
- 0 votes
মানুষের শরীর একটি মেশিন বা গাড়ীর সমতুল্য যার ইঞ্জিন কখনই বন্ধ করা যায় না। হৃদপিন্ড ধুকধুক করবে, ফুসফুস অনবরত সংকুচিত আর প্রসারিত হবে, রক্ত অনবরত প্রবাহিত হবে, অন্ত্র খাদ্য হজম করবে আর কিডনী অনবরত পরিশোধনের কাজ করে যাবে। যদি আপনি হাত পা নাড়াতে চান তবে সেগুলোর মাংসপেশীর সাথে সাথে অন্যান্য মাংসপেশীগুলির কোষও নড়তে শুরু করবে। এই সমস্ত কাজের জন্য শক্তির প্রয়োজন, ঠিক যেমনটা গাড়ী চালানোর জন্য পেট্রোলের প্রয়োজন হয়। এই শক্তি আমরা খাদ্য থেকে পাই।
শক্তির একক হল ক্যালরি। যদি আমরা নিজেদের শরীরের মাংসপেশীগুলিকে না নাড়াই তবে আমাদের শরীরের ২৪ ঘণ্টায় ১০০০-১২০০ ক্যালরির প্রয়োজন হয়। যদি জীবনযাপনের প্রণালী আরামদায়ক হয় তবে ১৬০০ ক্যালরির প্রয়োজন হয়। একজন মজুরের ৩০০০ ক্যালরির এবং গ্রীণল্যান্ডে বসবাসকারী এস্কিমোদের ৫০০০-৭০০০ ক্যালরির প্রয়োজন হয়। আমরা আমাদের পেটে অর্থাৎ তন্ত্রের মধ্যে এই সমস্ত খাদ্যগুলিকে হজম করি। হজম হয়ে যাওয়া খাদ্যের থেকে যে রস নিঃসৃত হয় সেটা রক্তে মিশে যায়। শরীরের প্রতিটি কোষ রক্ত থেকে তা গ্রহণ করে এবং মাইটোকন্ড্রিয়ার মধ্যে শক্তি উৎপন্ন করে। সম্পূর্ণ দিনে ১৬০০ ক্যালরি খাদ্য গ্রহণ করলে আমাদের শরীরের অসংখ্য কোষগুলির পেট ভরে। যদি আমরা অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ করি তবে সেটা ফ্যাটে পরিণত হয়ে যায়। যদি আমরা সারাদিন কিছুই না খাই তবে এই সঞ্চিত ফ্যাট শরীরকে শক্তি প্রদান করে থাকে।
গাড়ী চালানোর জন্য আমরা যেমন পেট্রোল ভরি, তেমনি এটি আমাদের শরীরের ওজন বাড়া-কমার একটি প্রতিপাদ্য বিষয়। যদি কোনো গাড়ীতে ১০ লিটার পেট্রোল ধরে, তবে আমরা তাতে ১০ লিটার পেট্রোলই ঢালবো। কিন্তু আমরা যদি ট্যাঙ্কটিতে ১৫ লিটার তেল ঢালি তাহলে তেল বাইরে উপচে পড়বে কেননা ট্যাঙ্কের আকারের চেয়ে তেলের পরিমাণ বেশি হয়ে যাবে। এই ব্যাপারটি আমাদের শরীরের জন্যও প্রযোজ্য। যদি আমাদের শরীরের প্রতিদিন ১৬০০ ক্যালরির প্রয়োজন হয় আর আমরা যদি ততটুকুই খাদ্য গ্রহণ করি তবে আমাদের শরীরের ওজন একই থাকবে। কিন্তু আমরা যদি প্রতিদিন ২০০০ ক্যালরির খাদ্য গ্রহণ করি, তবে বাড়তি ক্যালরি ফ্যাটে পরিবর্তিত হয়ে আমাদের শরীরের স্থূলতা বৃদ্ধি করবে এবং তা যদি অনবরত চলতে থাকে তবে জমতে থাকা অতিরিক্ত ফ্যাট স্থূলতার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
- 968 views
- 1 answers
- 0 votes
নাক ডাকার সমস্যা আপাত দৃষ্টিতে খুব বেশি ক্ষতিকর মনে না হলেও এটি আসলে বেশ খারাপ একটি সমস্যা। এটিকে হৃদরোগের লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। এছাড়া এই নাক ডাকার সমস্যা যে বেশ বিরক্তিকর ও বিব্রতকর, তা নতুন করে বলে দিতে হয় না। যিনি নাক ডাকেন তিনি না বুঝলেও পাশে থাকা মানুষটির ঘুম হারাম হয়ে যায়।
তাই নাক ডাকা সমস্যাকে অবহেলা নয় মোটেই। সমস্যাটি কীভাবে দূর করা যায় সে বিষয়ে ভাবতে হবে। ঘরোয়া ভাবে খুব সহজে এবং বেশ সুস্বাদু উপায়ে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। জানতে চান কীভাবে? চলুন তবে দেখে নেয়া যাক।
গাজর-আপেলের জুস
শুনতে সাধারণ মনে হলেও এই জুসের রয়েছে শ্বাসনালী কিছুটা চওড়া ও শ্বাসনালীর মিউকাস দ্রুত নিঃসরণের ক্ষমতা যা নাক ডাকা থেকে মুক্তি দিতে বেশ কার্যকর। – ২ টি আপেল ছোটো ছোটো খণ্ডে কেটে নিন এবং ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করুন।
– এবার ২ টি গাজর কেটে ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন।
– এরপর একটি লেবুর ১/৪ অংশ কেটে রস চিপে এতে দিয়ে দিন এবং ১ চা চামচ আদা কুচি দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন।
– কিছুটা পানি দিয়ে বেশ ভালো করে ব্লেন্ড করে নিয়ে ছেঁকে নিন।
– এই পানীয়টি প্রতিদিন পান করুন। নাক ডাকার সমস্যা দূরে পালাবে।হলুদের চা
হলুদ প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক। এটিও বেশ কার্যকর নাক ডাকা সমস্যার সমাধানে। – ২ কাপ পরিমাণ পানি চুলায় বসিয়ে জ্বাল দিতে থাকুন।
– এতে ১ চা চামচ পরিমাণ কাঁচা হলুদ বাটা দিয়ে দিন (গুঁড়ো হলেও চলবে)। এবার আবার জ্বাল করতে থাকুন।
– যখন পানি ফুটে ১ কাপ পরিমাণে চলে আসবে তখন তা নামিয়ে ছেঁকে ফেলুন।
– এবার ১/২ চা চামচ মধু ও ২/৩ ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।
– প্রতিদিন ঘুমুতে যাওয়ার ৩০ মিনিট আগে পান করে নেবেন। দেখবেন নাক ডাকার সমস্যা দূর হয়ে যাবে- 1350 views
- 1 answers
- 0 votes
চিকিৎসা জগতে এই স্থূলতা বিষয়ে নানা ধরনের আলোচনা, নানা ধরনের গবেষণা হয়েছে। তবে যে ব্যক্তিরা মোটা হওয়ার ফলে সৃষ্ট নানা ধরনের অসুবিধা নিয়ে আসেন ডাক্তাররা তাদেরকে রোগী হিসেবেই আখ্যায়িত করে থাকেন। স্থূলতার কারণে যদি শরীরের রোগ বৃদ্ধি পায় এবং এর জন্য যদি ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হয় তবে এটি অবশ্যই একটি রোগ।
কোনো ব্যক্তির ওজন তার উচ্চতার উপরে নির্ভর করে। যদি উচ্চতা বেশি হয় তবে স্বাভাবিকভাবে ওজনও বৃদ্ধি পাবে। একজন ব্যক্তির আদর্শ ওজন জানার জন্য বিভিন্ন ধরনের তালিকা পাওয়া যায় যদিও এগুলোতে বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য তালিকার ভিন্নতার কারণে ওজনের তালিকাগুলোতেও ভিন্নতা আসে। আবার নারী-পুরুষ-বাচ্চাদের ওজনের মাঝেও পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়।
ডাঃ বিমল ছাজেড় একটি সরল এবং বৈজ্ঞানিক উপায় গ্রহণ করার পরামর্শ দেন যাকে বডি মাস ইন্ডেক্স বলা হয়। এর জন্য কোনোরকম তালিকার প্রয়োজন নেই শুধুমাত্র নিজের ওজন এবং উচ্চতা সম্পর্কে জ্ঞান থাকলেই চলবে। তিনি যে সূত্রটির কথা বলেন সেটি হল :
বডি মাস ইন্ডেক্স=(ওজন (কি.গ্রা))/( 〖উচ্চতা (মি.)〗^২ )
এই সূত্রটির মাধ্যমে হিসেব করে দেখুন। যদি বডি মাস ইন্ডেক্স কম হয় তবে আপনার ওজন কম হবে আর যদি বডি মাস ইন্ডেক্স বেশি হয় তাহলে আপনার ওজন বেশি হবে। ১৯-২২ কম ওজন, ২২-২৫ স্বাভাবিক ওজন এব ২৫ এর বেশি হলে অধিক ওজন। যদি বডি মাস ইন্ডেক্স ২৯ এর বেশি হয় তবে সেই অবস্থাকে অবশ্যই রোগ বলেই চিহ্নিত করতে হবে।
- 2373 views
- 1 answers
- 0 votes
জীবনে একবারও ত্বকে চুলকানি হয়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া অসম্ভব ব্যাপার। খুব সাধারণ এই ব্যাপারটি অসহ্যকর একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় যখন ত্বকের চুলকানি বেড়ে যায়। অনেকেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আশ্রয় নেয় নানান মলম বা ক্রিমের যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। চুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়ার আছে প্রাকৃতিক কিছু উপায়। ঘরোয়া এই উপায়গুলোতে খুব সহজেই ত্বকের ক্ষতি ছাড়াই চুলকানির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন আপনি। জেনে নিন চুলকানির ঘরোয়া কিছু প্রতিকার সম্পর্কে।
বেকিং সোডা
বেকিং সোডা চুলকানি প্রতিরোধে অত্যন্ত উপকারী। গোসলের সময়ে হালকা গরম পানিতে বেকিং সোডা দিয়ে গোসল করলে শরীরের চুলকানি অনেকটাই কমে যায়। এক্ষেত্রে একটি চৌবাচ্চাতে ১ কাপ বেকিং সোডা মেশাতে হবে এবং বড় এক বালতি পানিতে ১/২ কাপ বেকিং সোডা মেশাতে হবে। বেকিং সোডা মেশানো পানিতে কমপক্ষে ৩০ মিনিট শরীর ভিজিয়ে রাখার পর শরীর পানি দিয়ে না ধুয়ে শুকিয়ে ফেলতে হবে।লেবু
লেবুর রসে আছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা ত্বকের চুলকানি কমিয়ে দিতে সহায়তা করে। চুলকানির প্রতিকার পাওয়ার জন্য লেবুর রস ব্যবহার করাও খুব সহজ। ত্বকের যে স্থানে চুলকানি অনুভূত হচ্ছে সেখানে লেবুর রস লাগিয়ে শুকিয়ে ফেলুন। চুলকানি কমে যাবে কিছুক্ষণের মধ্যেই।তুলসী পাতা
তুলসী পাতায় আছে ইউজেনল যা একটি অ্যান্সথেটিক উপাদান। এই উপাদানটি চুলকানি কমিয়ে দিতে সহায়ক। এক মগ ফুটন্ত পানিতে ১৫/২০টি তুলসী পাতা জ্বাল দিয়ে নির্যাস বের করে নিন। এরপর একটি পরিষ্কার টাওয়েলে পানিটি লাগিয়ে হালকা গরম থাকা অবস্থাতেই চুলকানির স্থানে লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণের মধ্যেই বেশ আরাম অনুভূত হবে।পুদিনা পাতা
পুদিনা পাতারও আছে অ্যান্সথেটিক ও ইনফ্লেমেটরি উপাদান। চুলকানির প্রতিসেধক হিসেবে তাই পুদিনা পাতাও অত্যন্ত উপকারী। এক মগ ফুটন্ত পানিতে এক আউন্স পুদিনা পাতা জ্বাল দিয়ে নির্যাস তৈরি করে নিন। এরপর এই পানিটি চুলকানির স্থানে লাগিয়ে রাখুন। চুলকানি কমে যাবে কিছুক্ষণের মধ্যেই।অ্যালোভেরা
ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহারের কথা তো সবাই জানেন। চুলকানি প্রতিকারেও অ্যালোভেরার জুড়ি নেই। ত্বকের যে স্থানে চুলকানি হচ্ছে সেখানে একটি তাজা অ্যালোভেরা পাতা থেকে রস বের করে লাগিয়ে রাখুন। চুলকানি কমে যাবে কিছুক্ষণের মধ্যেই।
- 2093 views
- 1 answers
- 0 votes
আপনার ওজন খুব বেশি বেড়ে গেলে আপনি হৃদরোগ, স্ট্রোক, গল ব্লাডার স্টোন, ডায়বেটিস, ক্যান্সার এবং বাত রোগ দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন। এক্ষেত্রে ওজন বৃদ্ধির সাথে সাথে আপনার শারীরিক অসুস্থতাও বৃদ্ধি পেতে থাকবে। স্থূলতার কারণে যে ধরনের শারীরিক জটিলতা তৈরি হতে পারে :
১. হৃদরোগ এবং স্ট্রোক :
হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের কারণে পুরুষ ও মহিলা উভয়েরই মৃত্যু ও অঙ্গহানি হতে পারে। কোলেস্টোরোল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের উচ্চ স্তর হৃদরোগ সৃষ্টি করতে পারে। এর সাথে অতিরিক্ত ওজনেরও সম্বন্ধ রয়েছে। এর ফলে অ্যাঞ্জাইনাও হতে পারে এবং ব্যক্তি মারাও যেতে পারেন। মস্তিষ্কের ধমনীতে চর্বি জমে গেলে রক্ত জমাট বাঁধে যার ফলে স্ট্রোক হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে শতভাগ।২. ডায়বটিস টাইপ ২ :
স্থূলতার কারণে ডায়বেটিস হতে পারে। ইনসুলিন শরীরের ব্লাড সুগারের স্তরকে নিয়ন্ত্রণ করে কিন্তু স্থূলতা এক্ষেত্রে বাঁধার সৃষ্টি করে। যদি আপনার শরীরে সুগার থাকে তবে অবশ্যই ওজন কম করার চেষ্টা করুন। আপনি যদি ডায়বেটিসের ওষুধ সেবন করেন তাহলে আপনাকে শারীরিক পরিশ্রম বেশি করতে হবে। কারণ এর ফলে আপনার ওষুধের পরিমাণ কমে যেতে পারে।৩. অ্যান্টিওআর্থারাইটিস :
এটি আপনার হাঁটু, নিতম্ব এবং পিঠের নিচের দিককে প্রভাবিত করে। ওজন হঠাৎ করে খুব বেড়ে গেলে এই স্থানগুলিতে চাপের সৃষ্টি হয়। এর ফলে আপনার উচ্চতাও কমে যেতে পারে।৪. ঘুমানোর সময়ে শ্বাসকষ্ট :
এটি অত্যন্ত মারাত্মক একটি রোগ। এর ফলে একজনের শ্বাস নিতে সমস্যা হয় তিনি কোনোভাবেই শ্বাস নিতে পারেন না। এক্ষেত্রে জোরে জোরে শ্বাস নিতে হয় এবং এর জন্য নাকেও প্রচন্ডরকম শব্দ হয়ে থাকে। স্থূলতার কারণে এই মারাত্মক সমস্যাটি হয়ে থাকে। ফলে স্থূলতা কমিয়ে এনে সমস্যাটির সমাধান করা যেতে পারে।৫. ক্যান্সার :
স্থূলতার কারণে শরীরের বিভিন্ন অংশে মরণঘাতি ক্যান্সারও হয়ে থাকে। যেমন মহিলঅদের গর্ভাশয়, ওভারি, স্তন এবং গল ব্লাডারে ক্যান্সার হতে পারে। পাশাপাশি পুরুষদেরও শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্যান্সার হয়ে থাকে।৬. বাত :
রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে বাতের সৃষ্টি হয়। অনেক সময়ে এই ইউরিক অ্যাসিড শরীরের জয়েন্টগুলোতে জমে যায় এবং বাতের সমস্যাটি দেখা দেয়। আর স্বাভাবিকভাবেই মোটা লোকেদের এই ঝুঁকিটি বেশি থাকে।৭. গলস্টোন :
গল ব্লাডারের মধ্যে অতিরিক্ত পরিমাণে কোলেস্টোরোল সঞ্চিত হয়ে পাথরের জন্ম দেয়। আর স্থূলতার কারণে এটি ভয়ংকর রূপ ধারণ করে।৮. উচ্চ রক্তচাপ :
শরীরের ওজন বৃদ্ধি পেলে কোষগুলির মাঝে চর্বির পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে অনেক বেশি পরিমাণে অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় এবং এর অভাব পূরণ করার জন্য শরীর মধ্যস্থ রক্তের গতি বৃদ্ধি পায়। সুতরাং ধমনীতে চাপের সৃষ্টি হয় এবং উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয়।- 2143 views
- 1 answers
- 0 votes
হাড়ের পরিকাঠামোর সাহায্যেই আমাদের শরীর তৈরি। এর মাঝে যে ফাঁক থাকে সেগুলো পূর্ণ হয় মাংসপেশীর সাহায্যে। এছাড়াও আমাদের শরীরের ৩ টি অংশ আছে। যেমন মস্তিষ্ক (এটা বুদ্ধির ঘর), বুক (এতে হৃদপিন্ড, ২ টি ফুসফুস এবং ১ টি পোষ্টিক গহ্বর থাকে যার মধ্যে পাকস্থলী, অন্ত্র, যকৃৎ , ২ টি কিডনি, ১ টি প্লীহা থাকে। এই অঙ্গগুলির কোনো নিশ্চিত পরিমাপ থাকে না। কিন্তু সাধারণত দেখা যায় যে একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির মস্তিষ্ক ১.৫ কিলো, হৃদপিন্ড ৩০০ গ্রাম, যকৃৎ ১.৫ থেকে ২ কিলো, ২ টি কিডনি ৩০০ গ্রাম হয়ে থাকে। সারা শরীরে প্রায় ৫ লিটার রক্ত থাকে। হাড়ের ওজন প্রায় ১৫-২০ কিলো এবং মাংশপেশীগুলোর ওজন প্রায় ২০-৪০ কিলো পর্যন্ত হয়ে থাকে।
শরীরের প্রতিটি কোষে প্রচুর পরিমাণে তরল পদার্থ (ইন্ট্রা-সেলুলার ওয়াটার) থাকে। এর মধ্যে মাংসপেশী, হৃদপিন্ড, কিডনি, মস্তিষ্ক, অন্ত্র, হাড় এবং হাড়ের মজ্জাও অন্তর্ভূক্ত থাকে। কোষের মধ্যবর্তী অংশে প্রচুর পরিমাণে তরল থাকে যা এক্সট্রা সেলুলার ওয়াটার নামে পরিচিত।
শরীরের ওজনের ৫৫% শতাংশ জলের ওপর নির্ভর করে। কোষগুলির মধ্যে সামান্য প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট এবং খনিজ পদার্থও থাকে। শরীর ফ্যাটের সঞ্চয় করে। মাংসপেশীতেও প্রোটিন সঞ্চিত থাকে কিন্তু শরীরের মধ্যে কার্বোহাইড্রেট একত্রিত হয় না। শুধুমাত্র যকৃতের ভেতরে সামান্য গ্লাইকোজেন থাকে। এটি কার্বোহাইড্রেট থেকে প্রস্তুত হয়। সঞ্চিত ফ্যাটের পরিাণ থেকে শরীরের ওজন বাদ দেওয়ার পরে যেটা অবশিষ্ট থাকে তাকেই লীন বডি মাস বলে।
সাধারণত কোনো সুস্থ শরীরে, শরীরের মোট ওজনের ১৫% সঞ্চিত ফ্যাট থাকে। এটি হাড় এবং মাংসপেশীর মধ্যে যে ফাঁক থাকে সেটিকে পূরণ করে। কোষের মধ্যে ফ্যাটের বিভিন্ন ভাগ সঞ্চিত থাকে। মোটা মানুষদের শরীরে অধিক পরিমাণে ফ্যাট জমতে শুরু করলে তাদের নিতম্বে, পেটের নিচের অংশে, গলায় এবং চিবুকে ফ্যাটের আস্তরণের সৃষ্টি হয়।
- 2221 views
- 1 answers
- 0 votes
- আপনি যেটা নির্দেশ করেছেন এটা বীর্য নয়, পিচ্ছল একপ্রকার পদার্থ যাকে বিভিন্ন জন বিভিন্ন নামে অভিহিত করে থাকেন। যাই হোক, আপনি দেখবেন যখন আপনরা পেনিস অনেকক্ষণ উত্তেজিত অবস্থায় থাকে তখন এটা বের হয়ে থাকে। এটা পুরুষের একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু যদি মেয়েদের সাথে কথা বললেই একরকম হয় অথবা এটা ঘন ঘন বা বেশি পরিমাণে হতে থাকে তাহলে বিষয়টা কিছুটা রোগের দিকে ইঙ্গিত করে। এক্ষেত্রে আপনি কোনো ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে পারেন।
- 5036 views
- 1 answers
- 1 votes
স্বাভাবিক অবস্থায় ছেলেদের একটি অন্ডকোষ আরেকটির তুলনায় বড় হয়ে থাকে। এটি কোনো সমস্যা না। কিন্তু যদি তা অধিক আকারে বড় হয়ে থাকে তবে তা কোনো অসুস্থতার লক্ষণও হতে পারে। এমতাবস্থায় আপনার উচিত খুব দ্রুত কোনো চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া।
- 8071 views
- 1 answers
- 0 votes
স্বাভাবিকভাবে স্বপ্নদোষের পরিমাণ ভিন্ন ভিন্ন হয়। কিছু পুরুষের টিনএজারদের মতো বেশিসংখ্যক স্বপ্নদোষ হয়, আবার অনেক পুরুষের একবারও হয় না। সাধারণত মাসে ৩-৪ বার স্বপ্নদোষ হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে কারও যদি একেবারেই স্বপ্নদোষ না হয় তবে তার শারীরিক কোনো সমস্যা আছে বলে ধরে নেয়া যেতে পারে। কেননা এটি একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া যা প্রতিটি সুস্থ মানুষের হ্ওয়াটা বাঞ্ছনীয়।
কিন্তু আপনি বলছেন যে আপনার আগে স্বপ্নদোষ হত কিন্তু প্রায় এক বছর ধরে হচ্ছে না। আবার আপনার হস্তমৈথুনও করেন নিয়মিত। যেহেতু আপনি হস্তমৈথুন করেন সেহেতু আপনার স্বপ্নদোষ না হওয়াটাই স্বাভাবিক। কেননা হস্তমৈথুনেই আপনি শারীরিকভাবে তৃপ্ত হচ্ছেন তাই স্বপ্নদোষ হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। তাই আপনি যেটিকে সমস্যা ভেবে চিন্তা করছেন এটি আসলে কোনো সমস্যা না। সুতরাং চিন্তিত হবার কোনো কারণ নেই।
- 5009 views
- 1 answers
- 1 votes