10773
Points
Questions
23
Answers
5384
অবশ্যই বাস্তব জীবন কখনও কখনও আনফেয়ার (অন্যায় বা অবিচারপূর্ণ) মনে হতে পারে, কারণ জীবনের অনেক দিকেই বৈষম্য, অন্যায়, অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি, বা অসম সুযোগ-সুবিধা থাকে। এই বৈষম্য কখনও ব্যক্তিগত, কখনও সামাজিক বা কখনও বৃহত্তর বিশ্বমঞ্চে ঘটে। আমরা এই বিষয়গুলো আরও গভীরে দেখে বুঝতে পারি কেন কখনও কখনও বাস্তব জীবন আমাদের কাছে অবিচারপূর্ণ বা অন্যায় মনে হয়। বিশ্বজুড়ে বৈষম্য এক বড় ধরনের কারণ, যার ফলে অনেক মানুষ ন্যায্য সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। দুনিয়ার অনেক জায়গায়, বিশেষ করে কিছু দেশে, জাতিগত বৈষম্য এখনও বিদ্যমান। কিছু জাতি বা গোষ্ঠী আজও সামাজিকভাবে অবহেলিত। উদাহরণস্বরূপ, আফ্রিকান আমেরিকান, আদিবাসী বা অন্যান্য সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর মানুষেরা অনেক সময় শিক্ষা, চাকরি, স্বাস্থ্যসেবা, এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। এটি তাদের জীবনে একধরনের অন্যায় পরিস্থিতি সৃষ্টি করে, যা অনেকের কাছে অবিচার মনে হয়।
আবার কোনো ব্যক্তি বা সম্প্রদায়ের জীবনে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে সব কিছু বিপর্যস্ত হয়ে যেতে পারে, যা কোনোভাবেই তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। উদাহরণস্বরূপ, এক জায়গায় বন্যা, ভূমিকম্প, অথবা হারিকেনের আঘাত, যেগুলো মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে এবং এসব প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে অনেকের জীবন ধ্বংস হয়ে যায়। এখানে কেউ দোষী নয়, কিন্তু জীবনের প্রতি এই আচরণ বা ঘটনা অনেককে অবিচারের শিকার মনে হতে পারে।
জীবন inherently অনিশ্চিত এবং অনিয়ন্ত্রিত। এই অনিশ্চয়তা অনেক সময় আনফেয়ার পরিস্থিতি তৈরি করে। মানুষের স্বার্থপরতা, ঈর্ষা বা নেতিবাচক আচরণ অনেক সময় অন্যায়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিছু মানুষ বিশ্বাস করে যে জীবনের সবকিছুই পূর্বনির্ধারিত, যা আনফেয়ার পরিস্থিতিকে ব্যাখ্যা করে। ব্যাক্তি জীবনে মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা, সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং পরিবারের অভাবও অনেকের জন্য জীবনের আনফেয়ার অথবা অবিচার বা অন্যায় হতে পারে। যখন মানুষ খুবই চাপের মধ্যে পড়ে তাদের মনে হতাশা, উদ্বেগ বা ডিপ্রেশন হতে পারে, যা তাদের জীবনে এক ধরনের অবিচারের অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে। তারা পরিশ্রম করেও মানসিক শান্তি বা সঠিক ফলাফল পায় না। তাদের সমস্যা দেখা না দেয়ায়, তারা কখনও কখনও অন্যদের কাছে বোঝানোই কঠিন মনে করে।
ব্যাক্তিগতভাবে পরিবারে অত্যাচার বা সহিংসতার শিকার হওয়া অনেকের জীবনে অবিচারের অনুভূতি সৃষ্টি করে। কেউ যদি শৈশব বা জীবনের একাংশ সহিংসতার মধ্যে বেড়ে ওঠে, তবে এটি তাদের জীবনে গভীরভাবে প্রভাব ফেলতে পারে। এসব পরিস্থিতিতে, সেই ব্যক্তির কাছে পৃথিবী কখনও কখনও অগ্রহণযোগ্য, নিষ্ঠুর এবং আনফেয়ার মনে হতে পারে।
তবে, আরো অনেক কারণ বিদ্যমান যার ফলে জীবন আনফেয়ার মনে হতে পারে, আমরা সবাই চেষ্টা করতে পারি নিজেদের অবস্থার উন্নতি করতে। জীবনের সত্যগুলো এবং আমাদের সামনে আসা চ্যালেঞ্জগুলো মেনে নিয়েই, আমরা একে অপরকে সাহায্য করতে, সমান অধিকার রক্ষা করতে এবং আরও ভালো ভবিষ্যতের জন্য কাজ করতে পারি। এছাড়া, জীবনের চ্যালেঞ্জ ও কঠিন পরিস্থিতি আমাদের শক্তিশালী, সহনশীল এবং সহানুভূতিশীল করে তোলে। তাই, আমরা যখন অনুভব করি যে জীবন ন্যায্য নয়, তখন আমাদের স্মরণ রাখতে হবে যে এইসব কঠিন মুহূর্তও আমাদের জীবনকে আরও সমৃদ্ধ এবং মূল্যবান করে তোলে।
- 91 views
- 1 answers
- 0 votes
১। প্রতিদিন রাতে একটানা ৮/১০ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। ঘুম কম হলেই চোখের নিচে কালি জমবে।
২। পুষ্টিকর খাবার এবং পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে। দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকতে হবে।
৩। লম্বা সময় ধরে মোবাইল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। চোখের বিশ্রাম দরকার আছে।
৪। শশা গোল করে কেটে চোখের উপর রাখিবেন। দশ মিনিট। অনেকে টোমেটো ও ডিমের সাদা অংশও ব্যবহার করে।
৫। আলুর রস চোখের নিচের কালো দাগ দূর করে। ঘরোয়া চিকিৎসা অনেক রকম দিকদারি। এজন্য ক্রীম ব্যবহার করে।
৬। বিষন্ন থাকা যাবে না। সব সময় হাসিখুশি থাকিতে হবে। মিথ্যা কথা বলা যাবে না। কারো ক্ষতি করা যাবে। মানবিক এবং হৃদয়বান মানুষ হতে হবে।
৭। রোদ এবং ধুলোবালি থেকে দূরে থাকতে হবে। প্রয়োজনে সানগ্লাস এবং মাকস ব্যবহার করবেন।
৮। কয়েকটি ক্রিমের নাম বলি:
Cerave Eye Repair Cream,
The Ordinary Caffeine Solution 5%
3W Clinic Honey Eye Cream
Cosrx Advanced Snail Peptide Eye Cream
চোখের যত্ন নিন। চোখ আপনার যত্ন নেবে।
- 76 views
- 1 answers
- 0 votes
জীবন বিষয়টা বড়ই সরল, কিন্তু গভীরতার হিসেবে কঠিন। আমার কাছে জীবন হচ্ছে নদী আর নৌকার মত। জীবন হচ্ছে নদী, আর আমরা মানুষেরা হচ্ছি নৌকা। নৌকাকে স্রোতের টানে কিংবা বিপরীতে ভেসে চলতে হয়, জীবনকেও। নৌকায় যেমন বেশি মালপত্র ওঠালে ডুবে যেতে পারে, তেমনি জীবনে বেশি সংযোগ কিংবা বেশি আবেগ আমাদের ডুবিয়ে দিতে পারে। নৌকায় পানি উঠলে ডুবে যায়, জীবনে বেশি সংযোগ আমাদের আটকে রাখে। নদীর মত বহমান হতে পারি আমরা। সামনে যাই আসুক না কেন, তা নিয়ে এগোতে হবে, কিংবা বাক পরিবর্তন করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
খুব সাধারণ কিছু সত্যের মধ্যে অন্যতম:
- আপনার যা নেই, তা আসলেই নেই।
- সময় হারিয়ে গেলে ফেরত আসে না। আক্ষেপ করলেও সেই সময়ে ফেরতে যাওয়া যাবে না, তাই বর্তমানে থাকাটাই শ্রেয়।
- বাবা-মা ও পরিবারের ৩/৪ সদস্য ছাড়া দুনিয়াতে কেউ আপনার আমার জন্য বসে নেই। বাসে ওঠতে না পারলে কেউ বাস আটকে রাখবে না।
- যে কোনো পরিস্থিতিতে ঘুরে দাড়ানো সম্ভব। সেটা প্রেমের সংকটে কিংবা আর্থিক যে কোনো সমস্যা।
- কাগজ-কলম আর মাথা খাটালে দুনিয়ার যে কোনো সমস্যা আপনি একাই সমাধান করতে পারবেন।
- আমরা কত বড় আর কত শক্তিশালী তা নির্ভর করে আমরা চারপাশে কত মানুষকে বড় করতে পারছি, কত বড় মানুষের ছায়ায় আমরা বড় হচ্ছি তার উপর।
- যা শিখতে চান, তা শেখা সম্ভব-যে কোনো সময়েই।
- দিন শেষে আপনি একা।
- 70 views
- 1 answers
- 0 votes
আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য কিছু কার্যকরী পন্থা অনুসরণ করা যেতে পারে:
- নিজের শক্তি ও দক্ষতা চিনে নেওয়া: নিজের শক্তিশালী দিকগুলো চিনে নেওয়ার চেষ্টা করুন। আপনার যে গুণ বা দক্ষতা রয়েছে, তা মনে করে আত্মবিশ্বাস তৈরি করুন।
- ছোট ছোট লক্ষ্য তৈরি করা: বড় লক্ষ্য অর্জনের জন্য ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। যখন আপনি একের পর এক ছোট লক্ষ্য অর্জন করবেন, তখন আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
- পজিটিভ মনোভাব গঠন করা: নিজের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নেতিবাচক চিন্তা দূর করতে পজিটিভ affirmations বা আত্মপ্রশংসা ব্যবহার করতে পারেন।
- নিজের ভুল থেকে শিখা: ভুল বা ব্যর্থতা হওয়া স্বাভাবিক, তবে তা থেকে শিখে এগিয়ে যাওয়ার মনোভাব গড়ে তুলুন। ভুলের জন্য নিজেকে দোষারোপ না করে, তা থেকে কী শিখতে পারেন, সেটা ভাবুন।
- নতুন কিছু শিখুন: নতুন কিছু শেখার মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস অর্জন করা যায়। একেবারে নতুন কিছু শিখে সেটি সঠিকভাবে করার পর আপনি নিজেকে আরও সক্ষম মনে করবেন।
- শরীরের ভাষা (Body Language): সোজা হয়ে দাঁড়ান, আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গিতে কথা বলুন এবং হাসি মুখে থাকুন। আপনার শরীরের ভাষা আপনাকে মানসিকভাবে আরও শক্তিশালী অনুভব করতে সাহায্য করবে।
- নিজের যত্ন নেয়া: নিয়মিত শারীরিক অনুশীলন এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। সুস্থ শরীর এবং মন আত্মবিশ্বাসের চাবিকাঠি।
- 94 views
- 1 answers
- 0 votes
যিনি, জ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়েও, নিরলস ভাবেই জ্ঞানের অন্বেষণে নিজেকে ব্যস্ত রাখেন,
যিনি এটা জানেন যে অসম্পূর্ণ জ্ঞান, অজ্ঞতার চেয়ে ও ভয়ংকর,
তিনিই।
ধন্যবাদ।
- 81 views
- 1 answers
- 0 votes
ইগো বা অহংবোধ এবং আত্মসম্মানের মাঝে পার্থক্য হচ্ছে,
যাঁর ইগো আছে, তিনি অন্যের সম্মানকে আহত করতে, বিন্দুমাত্র ভাববেন না।
যাঁর আত্মসম্মান বোধ আছে, তিনি অন্যকে যোগ্য সম্মান দিতে কার্পণ্য বোধ করবেন না, অন্যকে সম্মান জানিয়ে, তিনি, নিজেই সম্মানিত হন।
ইগো যাঁর বেশী, তিনি ইগোর কারণে, অন্যের সম্মান রক্ষার গুরুত্ব অনুধাবনে ব্যর্থ হন এবং এর দ্বারা, পরোক্ষে, নিজের আত্মসম্মানটিকেও জলাঞ্জলি দিতে দ্বিধা বোধ করেন না।
ফলে, ইগো বা অহংবোধ এবং আত্মসম্মান, এ দুটোর সহাবস্থান, পারস্পরিক বৈপরীত্যের কারণে, সাংঘর্ষিক হয়ে উঠার সম্ভাবনা, প্রবল।
ধন্যবাদ।
- 88 views
- 1 answers
- 0 votes
সবকিছুর পরিণতিতে যে সুখ আসবে না-সাফল্য আসবে না; এটা যেদিন শিখেছিলাম সেদিনই আসলে বুঝতে পেরেছিলাম জীবন আসলেই খুব সরল এবং সোজা। আগে ব্যস্ততার কারণে কোন কাজ না পারলে কিংবা প্রিয় মানুষটা কে জয় করতে না পারলে ভীষণ ছোট মনে হতো নিজেকে, দুনিয়ার সব দুঃখ নিজের উপর এসে ভর করতো। ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্র হয়ে যেত মন।
এক বন্ধুর কাছ থেকে প্রথম শিখতে পারি. নিজের হ্যাপিনেস বা সুখের কারণ কখনোই অন্য কিছু বা অন্যের হাতে দেয়া ঠিক না। বাচ্চাদের দিকে খেয়াল করলে একটা বিষয় দেখা যায়। বাচ্চাদের খেলনা দিন তারা খুশি হবে, গাড়ি দিন কিংবা আইসক্রিম দিন তারা খুশি হবে-তাতেই তারা খুশি। তারা কিন্তু খুব সহজে খুশি হয়। কি দিলেন সেটা তেমন গুরুত্বপূর্ণ না।নেয়াটাই তখন গুরুত্বপূর্ণ। জীবন, বস্তুগতভাবে আমাদের দিয়েই যাচ্ছে, এর চাইতে আর বড় প্রাপ্তি কিছু কি হয়?
- 79 views
- 1 answers
- 0 votes
মন খারাপ থাকা একটি সাধারণ মানবিক অনুভূতি যা প্রায় প্রতিটি মানুষ কখনও না কখনও অনুভব করে থাকে। এটি নানা কারণে হতে পারে, যেমন: হতাশা, অস্বস্তি, একাকীত্ব বা কোনো গভীর দুঃখের কারণ। তবে, যখন মন খারাপ হয়, তখন তা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে এবং জীবনযাপনকে কঠিন করে তোলে। এই অবস্থায় দ্রুত ভালো হওয়ার কিছু উপায় রয়েছে, যা আপনাকে মানসিক শান্তি ও স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে। নিচে মন খারাপ থাকলে কীভাবে দ্রুত ভালো হওয়া সম্ভব তা নিয়ে ১৫০০ শব্দের একটি বিস্তারিত আলোচনা দেওয়া হল।
১. নিজের অনুভূতিকে বুঝুন এবং গ্রহণ করুন
মন খারাপ হওয়ার প্রথম এবং গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো নিজের অনুভূতি বুঝতে পারা এবং তা গ্রহণ করা। বেশিরভাগ সময় আমরা আমাদের খারাপ অনুভূতিগুলো এড়িয়ে চলতে চাই, কিন্তু অনুভূতিগুলোকে বোঝা ও গ্রহণ করা আমাদের এই মানসিক চাপ মোকাবিলায় সাহায্য করে। নিজের মনোভাবকে গ্লানি বা দোষের অনুভূতি না দিয়ে স্বীকার করা উচিত। “আমি খারাপ অনুভব করছি”—এই সহজ বাক্যটি আপনার মানসিক শান্তির প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে। এইভাবে আপনি পরিস্থিতির সাথে সমঝোতা করে মন খারাপের মূল কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে পারবেন।
২. শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম (Breathing Exercises)
মন খারাপ হলে মনের মধ্যে নানা ধরনের চিন্তা উঁকি দিতে থাকে এবং দেহের উপরও তার প্রভাব পড়ে। এক্ষেত্রে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম আপনার মনের চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে। গভীর শ্বাস গ্রহণ এবং ধীরে ধীরে ছাড়ার মাধ্যমে আপনার স্নায়ু শান্ত হয়ে যায় এবং আপনার শরীর ও মনকে আরাম দেয়। এর মাধ্যমে আপনার মনও প্রশান্ত হয়ে যায়। উদাহরণস্বরূপ, “বক্স ব্রিদিং” বা “ডায়াফ্র্যাগমেটিক ব্রিদিং” ব্যবহার করা যেতে পারে, যেখানে আপনি চার সেকেন্ড ধরে শ্বাস নেন, চার সেকেন্ড ধরে শ্বাস ধরেন, আবার চার সেকেন্ড ধরে শ্বাস ছাড়েন এবং আবার একইভাবে পুনরাবৃত্তি করেন।
৩. প্রাকৃতিক পরিবেশে সময় কাটান
প্রকৃতির সান্নিধ্যে যাওয়ার ফলে মানুষের মন শান্তি পায়। প্রকৃতির মাঝে একনিষ্ঠভাবে সময় কাটানোর মাধ্যমে আপনি আপনার মনোযোগ অন্যদিকে প্রবাহিত করতে পারবেন এবং একান্তভাবে নিজের সাথে থাকতে পারবেন। পাহাড়, বাগান, সমুদ্রের তীর বা উদ্যানের মধ্যে হাঁটাহাঁটি করলে মস্তিষ্কে সেরোটোনিন (মেজাজ নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন) নিঃসৃত হয়, যা মানসিক অবস্থা উন্নত করতে সহায়তা করে।
৪. ধ্যান (Meditation) বা মাইন্ডফুলনেস
ধ্যান বা মাইন্ডফুলনেস অনুশীলন আপনার মনকে প্রশান্ত করতে এবং অবাঞ্ছিত চিন্তাভাবনা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। একটানা ধ্যানের মাধ্যমে আপনি আপনার মনকে বর্তমান সময়ে ফিরিয়ে আনতে পারবেন, এবং অতীত বা ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তা কমাতে পারবেন। মাইন্ডফুলনেস অভ্যাসের মাধ্যমে, আপনি অনুভব করবেন যে আপনি যে পরিস্থিতিতে আছেন, তা নিয়ে কোনও অস্থিরতা বা দুশ্চিন্তা না করে শান্তিপূর্ণভাবে থাকতে পারবেন।
৫. শখ বা পছন্দের কাজ করতে শুরু করুন
মন খারাপ হওয়ার সময় শখ বা আগ্রহের কোনো কাজ করা অত্যন্ত কার্যকর। আপনার যদি কোনো শখ থাকে, যেমন গান শোনা, ছবি আঁকা, লেখালেখি করা বা সঙ্গীত বাজানো, তবে তা মনকে আরাম দেয় এবং মনের মধ্যে সৃষ্টিশীলতা ফিরিয়ে আনে। যদি কোনো শখ না থাকে তবে সৃজনশীল কিছু চেষ্টা করুন। এই ধরনের কর্মকাণ্ড মন খারাপ হওয়ার অনুভূতিকে তাড়াতাড়ি কমিয়ে দেয় এবং আপনার মনোযোগ অন্যদিকে স্থানান্তরিত করে।
৬. নিজেকে ছোট কিছু লক্ষ্য স্থির করুন
মন খারাপ থাকলে বড় লক্ষ্য বা সমস্যাগুলোর দিকে তাকালে তা আরও বড় মনে হয় এবং দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দেয়। এ কারণে, ছোট এবং সহজ লক্ষ্য স্থির করা উচিত। যেমন: আজ বিকেল ৫টা পর্যন্ত পড়াশোনা শেষ করা, বা ৩০ মিনিট হাঁটার জন্য বের হওয়া। এসব ছোট লক্ষ্য অর্জনের মাধ্যমে আপনি আত্মবিশ্বাস ও ভালো লাগা অনুভব করবেন, যা আপনার মনের অবস্থা দ্রুত উন্নত করতে সহায়তা করবে।
৭. পরিবারের সাথে বা বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো
অনেক সময় একাকীত্ব বা একান্তভাবে থাকা মানুষের মন খারাপ হওয়ার প্রধান কারণ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে, বন্ধু বা পরিবারের সাথে সময় কাটানো অত্যন্ত সহায়ক হতে পারে। তারা আপনাকে মানসিক শান্তি দিতে পারে, সমর্থন ও ভালোবাসা দিয়ে মন ভালো করতে পারে। এ ছাড়াও, তাদের সাথে হাস্যরসের মুহূর্তগুলি কাটানো আপনার মনোভাবের পরিবর্তনে সাহায্য করবে। হাসি এবং আনন্দ শরীরে এন্ডোরফিন নিঃসৃত করে, যা মন ভালো রাখে।
৮. শারীরিক ব্যায়াম বা যোগব্যায়াম
শারীরিক ব্যায়াম আমাদের মস্তিষ্কে এন্ডোরফিন নিঃসৃত করে, যা আমাদের মুডকে উন্নত করে। দিনে কিছু সময় শারীরিক ব্যায়াম বা যোগব্যায়াম করার মাধ্যমে আপনি আপনার মন ও শরীরকে সতেজ রাখতে পারবেন। হাঁটাচলা, দৌড়ানো, সাইকেল চালানো বা কোনো খেলাধুলা করা আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য দুটোই উন্নত করতে সাহায্য করবে। এসব কার্যক্রম শরীরের ক্লান্তি দূর করে মনকে নতুন করে চাঙ্গা করে তোলে।
৯. পজিটিভ চিন্তা করা এবং ধৈর্য ধারণ করা
যখন মন খারাপ থাকে, তখন ইতিবাচক চিন্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার মনোভাবের দিকে নজর দিন এবং নিজেকে মনে করিয়ে দিন যে সবকিছুই সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয়। “এটা শুধু একটি অস্থায়ী অবস্থা” এমন চিন্তা আপনাকে প্রফুল্ল রাখতে সাহায্য করবে। আপনার প্রতিদিনের ছোট ছোট কৃতিত্বগুলো বা সুখকর মুহূর্তগুলোর দিকে মনোযোগ দিন। ধৈর্য ধারণ করে আপনি সময়ের সাথে আপনার মনোভাব পরিবর্তন করতে পারবেন।
১০. পছন্দের খাবার খাওয়া
মন খারাপের সময় অনেকেরই খাওয়ার প্রতি আগ্রহ কমে যায়, কিন্তু কিছু কিছু খাবার আপনার মুড পরিবর্তনে সাহায্য করতে পারে। সঠিক পুষ্টি মস্তিষ্কে সেরোটোনিন উৎপন্ন করতে সাহায্য করে। যেমন, চকোলেট, ফলমূল, বাদাম, শাকসবজি এবং সারা দিনের মধ্যে পর্যাপ্ত পানি পান করার চেষ্টা করুন। এছাড়া, আপনার পছন্দের খাবার খাওয়ার মাধ্যমে মন একটু ভালো হতে পারে।
১১. হাসি বা কমেডি দেখুন
মন খারাপ হলে কমেডি সিনেমা বা হাস্যকর কিছু দেখলে তা দ্রুত আপনার মন ভালো করতে পারে। হাসি আমাদের মস্তিষ্কে সেরোটোনিন উৎপন্ন করে এবং মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে। যদি আপনার প্রিয় কিছু কমেডি শো বা ভিডিও থাকে, তাহলে সেগুলো দেখুন। হাসির মাধ্যমে মনের মধ্যে ইতিবাচক শক্তি সঞ্চারিত হবে।
১২. সৃষ্টিশীল কাজের প্রতি মনোযোগ দিন
সৃজনশীল কাজ যেমন লেখা, আঁকা, গান গাওয়া, নাচ বা কিবোর্ড বাজানো আপনার মনের মধ্যে নতুন কিছু সৃষ্টি করতে সাহায্য করবে। আপনি যদি নিজে কিছু তৈরি করতে পারেন, তবে তা আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এবং মন খারাপের অনুভূতিকে দ্রুত উপশম করবে।
১৩. সাহায্য নেওয়া বা কাউন্সেলিং
আপনি যদি মনে করেন, আপনার মন খারাপ দীর্ঘদিন ধরে বা গভীর হয়েছে এবং নিজে থেকে এতে কোন পরিবর্তন আনতে পারছেন না, তবে একজন পেশাদার কাউন্সেলরের সাহায্য নেওয়া উচিত। একজন মনোবিদ বা কাউন্সেলর আপনার মনের জটিলতা বুঝে আপনাকে সহায়তা করতে পারেন এবং আপনাকে আরো কার্যকর উপায় প্রস্তাব দিতে পারেন।
উপসংহার
মন খারাপ থাকা আমাদের জীবনের একটি অঙ্গ। যখন আমরা বুঝতে পারি যে এটি অস্থায়ী এবং এটি কাটিয়ে উঠার উপায় রয়েছে, তখন আমরা আমাদের মনের শান্তি ফিরে পেতে পারি। শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, প্রাকৃতিক পরিবেশে সময় কাটানো, শখের কাজে মনোনিবেশ, সঠিক খাবার খাওয়া এবং হাসি-মজা করে আমরা আমাদের মনোভাবের পরিবর্তন আনতে পারি। কখনো কখনো সাহায্য নেয়ার প্রয়োজন হতে পারে, এবং এ ক্ষেত্রে কাউন্সেলিং বা থেরাপি লাভজনক হতে পারে।
- 78 views
- 1 answers
- 0 votes
আত্মবিশ্বাস তৈরি করার জন্য কিছু সহজ উপায়:
- নিজেকে জানো: তুমি কোথায় ভালো, কোথায় দুর্বল, তা জানো। এর মাধ্যমে নিজেকে ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারো।
- ছোট লক্ষ্য ঠিক করো: বড় কিছু চাওয়ার আগে ছোট ছোট লক্ষ্য স্থির করে সেগুলো পূর্ণ করো। এতে আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
- ইতিবাচক চিন্তা করো: নিজের জন্য ভালো কিছু চিন্তা করো, যেমন “আমি পারব” বা “আমি ভাল কাজ করতে পারি”।
- শরীরভাষা ঠিক রাখো: সোজা হয়ে দাঁড়াও, মাথা উঁচু রাখো, চোখে চোখ রাখো। এগুলো তোমাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।
- নতুন কিছু শিখো: নতুন কিছু শেখা বা দক্ষতা অর্জন করলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
- ভুল থেকে শিখো: ভুল করলে হতাশ হওয়া যাবে না, বরং তা থেকে শিখো এবং আগের চেয়ে ভালো করতে চেষ্টারত থাকো।
- ভালো অভ্যাস তৈরি করো: নিয়মিত ব্যায়াম, ভালো খাবার খাওয়া, এবং পর্যাপ্ত ঘুম নেওয়া তোমার আত্মবিশ্বাসে সহায়তা করবে।
- ছোট জয়ের উদযাপন করো: ছোট ছোট সফলতা উদযাপন করো, এতে তোমার আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
এভাবে ধীরে ধীরে তুমি নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পারবে।
- 100 views
- 1 answers
- 0 votes
শুনুন সাইকোলজির আজব তথা মজাদার কিছু তথ্যঃ-
- মানব ব্যবহারের উপর করা একটি সার্ভে অনুযায়ী, মানুষ মোবাইল হারিয়ে ফেললে, মৃত্যুর সময় যেরূপ চিন্তিত এবং আবেগ প্রবন আচরণ করে, ঠিক সেইরূপ আচরণ করে।
- আপনি কি জানেন পৃথিবীর প্রায় ৭৫% লোকের মাথায় নতুন কিছু করার ভাবনা স্নান করার সময়ই আসে।
- আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা, সাধারণ ছোট কথাতেই কেঁদে ফেলেন। যদি আপনি দেখেন যে, কেউ আপনার সাধারণ কথাতেও কেঁদে ফেলছে তার অর্থ তার কাছে আপনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং আপনার উচিত তার জন্য কিছুটা সময় ব্যয় করা,। আরেকটি কথা, এরুপ ব্যক্তিদের হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- ধরুন আপনি কাউকে কিছু বলছেন, কিন্তু শ্রোতা মাথা নিচু করে আপনার কথা চুপচাপ শুনেই যাচ্ছে, তার অর্থ হল- আপনার কথাতে তার কোনো আগ্রহ নেই, আপনি যাতে খারাপ না পান তার জন্যই সে চুপচাপ শুনেই যাচ্ছে। আবার যদি আপনি দেখেন কেউ কথা বলার সময় আপনার চোখে দেখছে এবং আপনার কথার সঙ্গে সঙ্গে তার মুখের ভঙ্গিও পরিবর্তন হচ্ছে, তার অর্থ হল সেই ব্যক্তিটি আপনার কথায় আগ্রহ প্রকাশ করছে।
- যদি কোনো ব্যক্তিকে কোনো কাজ করতে বারন করা হয়, সেই ব্যক্তি সুযোগ পেলেই সেই কাজটি সবার আগে করতে চায়। এই প্রসঙ্গে আমি একটি ঘটনা বলি- আমি তখন স্কুলে পড়ি, স্কুলের দরজা জানালা সদ্য রং করা হয়েছে, সেখানে একটি কাগজে লিখা আছে- “কাঁচা রং হাত দিবে না” এবার একজন ছেলে এসে বলল দেখি তো, ব্যস হাতে রং লেগে গেল, তার দেখাদেখি আরেকজন আসল, আগের ছেলেটি তাকে বলল এই হাত দিস না হাঁতে রং লেগে যাবে, কিন্তু ছেলেটি কথা শুনল না, দরজায় হাত দিয়ে দিল, যখন হাঁতে রং লেগে গেল তখন মহাশয়ের মুখ থেকে বেড়িয়ে এল একটিই কথা- “সত্যি তো কাঁচা রং!”
- আপনি কি জানেন ১৬-২৮ বছরের মধ্যে হওয়া বন্ধুত্বগুলি বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং এগুলিই পরবর্তীতে স্থায়ী হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
- এই যে ভাই যাদের দুই-দুইটা গার্লফ্রেন্ড আছে তাদের বলছি। কখনো যদি এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হন যেখানে আপনাকে বলা হয়েছে, যেকোনো একটা গার্লফ্রেন্ডকে বেঁছে নিতে হবে, তাহলে প্রথম গার্লফ্রেন্ডকে ছেড়ে দিন, কারণ তাকে যদি আপনি সত্যি ভালোবাসতেন তাহলে দ্বিতীয়জন আপনার জীবনে কখনোই আসত না। তাই তাকেই ছেড়ে দিন কারণ সে আপনার চাহিদা মিটাতে অক্ষম। ঠিক একই রকম ভাবেই মেয়েদেরও দুইটা বয়ফ্রেন্ড-এর মধ্যে একজনকে বেঁছে নিতে গেলে উল্লিখিত পন্থা অবলম্বন করতে হবে।
- অনেক সুন্দর যুবতী মেয়েই সিঙ্গেল থেকে যায়, কারণ ছেলেরা মনে করে, সেই সুন্দর মেয়েটি হয়ত ইতিমধ্যে কোনো রিলেশনশিপে আছে। কিন্তু বাস্তবে মেয়েটি কোনো রিলেশনশিপে থাকে না। সাবধানে ভাই আমার এই কথাটা শোনার পর, কোনো সুন্দরী মেয়েকে প্রপোজ করতে যাইয়েন না আবার, কেস খেয়ে যেতে পারেন।
- দেখা গেছে যে, প্রায় ৯২% লাভ স্টোরি বিদ্যালয় জীবন থেকেই শুরু হয়।
- 97 views
- 1 answers
- 0 votes