ZoomBangla Professor's Profile
Professor
10773
Points

Questions
23

Answers
5384

  • Professor Asked on January 30, 2025 in অনুসরণ.
      1. সব সময় নিজের আত্মসম্মান নিয়ে ভাবুন।
      2. এমন ধরনের ব্যক্তিত্ব গঠন করুন যাতে করে কেউ কোন কথা বলার সুযোগ না পায়।
      3. নিজের দৈনন্দিন অভ্যাসগুলোকে অত্যন্ত উৎপাদনশীল করে তুলতে হবে।
      4. ভুলভাল এবং বিতর্কিত কাণ্ডে জড়ানো যাবে না।
      5. নিজেকে সব সময় নিট এন্ড ক্লিন রাখতে হবে।তাহলে অপরিচ্ছন্ন জিনিস মাথায় কম ঘুরপাক খাবে।
      6. বন্ধু নির্বাচনে সচেতন হতে হবে।
      7. সামাজিক মাধ্যমে কাকে ফলো করবেন,কাকে করবেন না,সেটা অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে নির্বাচন করুন।
      8. আমরা কেউই সমাজ এবং সংস্কৃতির
      9. ঊর্ধ্বে নয়।কাজেই সেসব মাথায় রাখুন।
      10. চেষ্টা করবেন নিজেকে সজীব এবং প্রাণবন্ত রাখতে।তাহলেই নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ চলে আসবে।
      11. বিভিন্ন সামাজিক যৌথ কার্যক্রমে জড়িত হতে পারেন।সামাজিক নেতৃত্বের মাধ্যমে নিজের মধ্যে নিয়ন্ত্রণের গুণাবলী প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
      12. লেখাগুলো ভালো লাগলে সাপোর্ট দিয়ে পাশে থাকবেন
      • 87 views
      • 1 answers
      • 0 votes
    • Professor Asked on January 30, 2025 in অনুসরণ.

        আমি একটি সাইকেলের গল্প বলতে চাই! একটি সাইকেল দু চাকায় চলে। সাইকেলের যিনি আরোহী থাকে তার ওপরে আসলে সাইকেলের গতিপথ, সাইকেল কোন দিকে যাবে-তা নির্ভর করে। সাইকেলটি রাস্তার উপরে থাকবে, পাশের খাদে গিয়ে পড়বে-তা পুরোটাই নির্ভর করে যিনি সাইকেল চালাচ্ছেন তার ওপর। সাইকেলের নাটবল্টু, সাইকেলের ব্রেক, সাইকেলের প্যাডেল এক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সাইকেলের যদি ব্যালেন্স থাকে সাইকেলটি চলার সময় সোজা হয়ে থাকতে পারবে, নতুবা ডানে অথবা বামে হেলে যাবে। সাইকেলের চেনে যদি জং পড়ে যায় তাহলে সাইকেলটি খুব দ্রুত চলবে না।

        আমাদের শরীর হচ্ছে সেই সাইকেলের মতো। আমরা যদি আমাদের মনকে ঠিক রাখতে না পারি মানে সাইকেলের যিনি আরোহী সে যদি সাইকেল কে কন্ট্রোল করতে না পারে তাহলে সাইকেলটি ঠিকমতো চলবে না। আমরা যদি আমাদের মনকে ঠিকমতো অপারেট করতে না পারি তাহলে আমরা কোনোভাবেই আমাদের শরীরকে চালাতে পারব না। শরীর যদি না চলে-সাইকেল যেভাবে গ্যারেজে পড়ে থাকে-সেভাবে গ্যারেজে পড়ে থাকবে এবং একদিন ক্ষয় হয়ে নষ্ট হয়ে যাবে।

        মানসিক ভাবে সফল হওয়ার জন্য দারুন একটি কৌশল গত কয়েকদিন আগে পড়েছি। কৌশলটি হচ্ছে আমরা মন দিয়ে কি কাজ করব কিংবা কি কাজ করব না সেটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আমরা দিনের বেশিরভাগ সময়ই যা হয় না, যা হবে না, যা হচ্ছে না-এমন এসব বিষয় নিয়ে চিন্তা করি। বিষয়টা এমন- ‘ইস আমি যদি পরীক্ষায় ফেল করি’, ‘ইস আমার প্রেমিকা যদি চলে যায়’- এমন সব অদ্ভুত ‘ইস’ যুক্ত প্রশ্নই আমরা মাথার মধ্যে চিন্তা করি। মনের মধ্যে ভাবি। এই প্রশ্নগুলো যদি ভাবা বাদ দেই এবং আমরা যদি বেছে বেছে ভাবার চিন্তা করি-তাহলেই সম্ভবত আমাদের মনকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব এবং মনের জোর বাড়ানো সম্ভব। সম্ভবত আমেরিকান মনোবিদ জেমস উইলিয়াম। জেমস লিখেছিলেন, সফল তারাই যারা আসলে বেছে বেছে চিন্তা করতে পারেন। সব বিষয়ে চিন্তা না করে চিন্তার উপরে যার নিয়ন্ত্রণ আছে তিনি সফল এবং তিনি মনের নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।

        • 92 views
        • 1 answers
        • 0 votes
      • Professor Asked on January 30, 2025 in অনুসরণ.

          জীবনে আসল ফাঁদ বলতে এমন কিছু পরিস্থিতি বা মানসিক অবস্থা বুঝানো হয় যা আমাদের অজান্তে জীবনে ঝামেলা বা কষ্টের সৃষ্টি করে। সাধারণত, এ ধরনের ফাঁদ আমাদের মনোভাব, আচরণ, বা চাওয়ার মাঝে লুকিয়ে থাকে এবং তা আমাদের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করে। আমাদের নিজস্ব দুর্বলতা, ভুল ধারণা বা চিন্তা-ভাবনা এসব ফাঁদের কারণ হতে পারে। আমরা জীবনে কোনো লক্ষ্য অর্জন করতে চাই এবং সেই লক্ষ্য থেকে আমাদের প্রত্যাশা অনেক বেশি হয়ে যায়। আমরা ভাবি, “সব কিছু একেবারে নিখুঁত হতে হবে,” কিন্তু বাস্তবে জীবনে কখনওই সব কিছু পূর্ণতা পায় না। অতিরিক্ত প্রত্যাশা আমাদের হতাশ করতে পারে এবং আমরা যে বাস্তবতাকে উপভোগ করতে পারি, সেটি হারিয়ে ফেলি। আমরা অনেক সময় আমরা মনে করি, “যদি আমি এই কাজটা করতে পারি, তবে আমি সুখী হবো,” কিংবা “যদি আমার কাছে আরো টাকা, গৃহ বা ক্যারিয়ার থাকে, তবে আমি সুখী হবো।” কিন্তু বাস্তবে, সুখ কখনো কোনো বাহ্যিক উপাদান বা সাফল্যের ওপর নির্ভরশীল নয়। এটি আমাদের ভিতরের অনুভূতি এবং মনের শান্তির সাথে সম্পর্কিত। সুখের জন্য আমরা যদি বাইরে সবকিছু খুঁজতে থাকি, তবে আসল সুখ আমাদের কাছ থেকে দূরে চলে যাবে।

          অনেক মানুষ অতীতের কষ্ট বা আঘাতের স্মৃতিতে আটকে থাকে এবং তা তাদের বর্তমান জীবনকে প্রভাবিত করে। তারা অতীতের ভুল বা দুঃখের মধ্যে জড়িয়ে পড়ে এবং তা তাদের জন্য এক ধরনের মানসিক ফাঁদ তৈরি করে। এভাবে, তারা নতুন সুযোগ বা সুখের দিকে মনোযোগ দিতে পারে না এবং তাদের জীবনে অগ্রগতি হতে পারে না। অনেকেই আবার নিজেদের নিয়ে অতিরিক্ত নেতিবাচক ভাবনা ও আত্মসমালোচনায় জড়িয়ে পড়ে। তারা নিজেদের কম মূল্যায়ন করে, “আমি এটা করতে পারব না,” বা “আমি যথেষ্ট ভালো নই।” এটা এক ধরনের মানসিক ফাঁদ, কারণ এটি আমাদের নিজেদের সক্ষমতা সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি করে এবং আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে বাধা দেয়। কিছু মানুষ আমাদের ভালোবাসা বা সহানুভূতির ভুল ব্যবহার করে, অথবা কিছু সম্পর্ক আমাদের মাঝে শত্রুতা বা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে। এই ধরনের সম্পর্ককে না বলা কঠিন হলেও, যদি আমরা এগুলোকে শেষ না করি, তা আমাদের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করবে এবং অদ্ভুতভাবে আমাদের জীবনে ফাঁদ সৃষ্টি করবে।

          আজকের প্রতিযোগিতামূলক দুনিয়ায় অনেক মানুষ প্রতিনিয়ত কাজ করতে থাকে এবং বিশ্রামের প্রয়োজনীয়তা উপেক্ষা করে। তাদের মনে হয়, কাজ না করলে তারা পিছিয়ে পড়বে, কিন্তু বাস্তবে বিশ্রাম এবং মানসিক সুস্থতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত পরিশ্রম আমাদের শারীরিক এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে দিতে পারে, যা পরবর্তীতে জীবনকে আরো জটিল করে তোলে। আরেকটা বিষয় হলো, আমরা নিজেদের অন্যদের সাথে তুলনা করতে শুরু করি, এবং এতে আমরা আমাদের নিজস্ব মূল্যবানতা ভুলে যাই। “এরা তো খুব সফল, আমি কেন সফল নই?” এই ধরনের চিন্তা আমাদের আত্মবিশ্বাস নষ্ট করে এবং আমাদের মনকে অস্থির করে তোলে। সবার জীবন আলাদা এবং তাদের পথ আলাদা। নিজেকে অন্যদের সাথে তুলনা করে আমরা নিজেদের অমূল্য স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলি।

          জীবনে আগানোর জন্য প্রয়োজনীয় ঝুঁকি নিতে ভয় পাই। আমরা অতীতে যে কোনো ব্যর্থতার মুখোমুখি হয়েছি, সেই অভিজ্ঞতা আমাদের নতুন কোনো পদক্ষেপ নিতে বাধা দেয়। তবে, জীবনের কোনো বড় পরিবর্তন বা উন্নতি ঘটাতে হলে ঝুঁকি নিতেই হয়। ভয় থেকে বেরিয়ে এসে সাহসী পদক্ষেপ নেওয়াই আসল সাফল্য পেতে সাহায্য করতে পারে।

          কখনও কখনও আমরা আমাদের চোখে “এটাই একমাত্র সঠিক উপায়” এমন একটা সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করি। জীবনে অনেক পথ রয়েছে, এবং একটিই পথ অনুসরণ করার চেষ্টা করলে আমরা অনেক কিছু হারিয়ে ফেলতে পারি। ভিন্ন চিন্তা, নতুন ধারণা, এবং পরিবর্তনের জন্য খোলামনের প্রয়োজন।

          অনেক সময় আমরা সময় এবং শক্তি অপচয় করি এমন জিনিসে যা আমাদের জীবনে কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন আনে না। সামাজিক মাধ্যমে সময় কাটানো, অপ্রয়োজনীয় খরচ করা, বা এমন কিছু নিয়ে ব্যস্ত থাকা যা আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য বা লক্ষ্যকে এগিয়ে নিয়ে যায় না—এগুলোও জীবনের ফাঁদ হতে পারে।

          জীবনের আসল ফাঁদগুলো সাধারণত আমাদের নিজেদের মধ্যে, আমাদের চিন্তাভাবনা, মনোভাব এবং সিদ্ধান্তের মধ্যে লুকিয়ে থাকে। যখন আমরা বুঝতে পারি যে এসব ফাঁদ আমাদের অগ্রগতিকে বাধা দেয়, তখন আমরা সে সব থেকে বেরিয়ে আসতে পারি এবং আমাদের জীবনকে নতুন পথে এগিয়ে নিতে পারি। জীবনে সাফল্য এবং শান্তি পাওয়া খুবই সম্ভব, তবে আমাদের নিজেদের ভুল ধারণা এবং অকার্যকর অভ্যাসগুলোর বিরুদ্ধে সচেতন হতে হবে।

          • 99 views
          • 1 answers
          • 0 votes
        • Professor Asked on January 30, 2025 in অনুসরণ.

            সুখের অবস্থান অতীতে নয়, বর্তমানেও নয়, এবং ভবিষ্যতেও নয়।

            এই কথা শুনে অনেকেই বিস্মিত হবেন এবং জিজ্ঞাসা করবেন, তাহলে সুখের অবস্থান কোথায়!

            সুখের অবস্থান আমাদের মনে।

            ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে, happiness is a practice. অর্থাৎ, সুখ একটি অভ্যাস।

            আমরা সুখ পাওয়ার জন্য কী না করি, সুখের পেছনে ছুটতে ছুটতে ক্লান্ত হয়ে পড়ি। সন্দিহান লাগে, যে সুখ অধরাই থেকে গেল। কিন্তু জীবনপথ পরিভ্রমণ করতে করতে ভুলেই যাই যে সুখের বাস মনে।

            সুখ যদি শুধু অতীতে থাকত, তাহলে তো প্রত্যেকেই বিষণ্নতায় ভুগত। সুখ যদি শুধু বর্তমানে থাকত, তাহলে ভবিষ্যতচিন্তা কারুর থাকত না। আর সুখ যদি ভবিষ্যতে থাকত, তাহলে বর্তমানের ওপর মনযোগ দিয়ে কেউ জীবনযাপন করতে পারত না।

            প্রকৃত অর্থে সুখী সেই ব্যক্তি, যে তার ভাবনার মধ্যে দিয়ে প্রতি মুহূর্তে সুখ খুঁজে নিতে পারে, যার সুখ কোনো অনিত্য ধনসম্পদের ওপর নয়, বরং নিজের ভাবনার ওপর নির্ভর করে।

            তাই সুখ অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যতে নয়। সুখ মনের মণিকোঠায় আছে। সেটাকে সবসময় জাগিয়ে রাখাই জীবনের লক্ষ্য হওয়া উচিত।

            চিত্রটি পিন্টারেস্ট থেকে সংগৃহীত।

            • 118 views
            • 1 answers
            • 0 votes
          • Professor Asked on January 30, 2025 in অনুসরণ.

              মন খারাপ লাগলে দ্রুত ভালো হওয়ার জন্য কিছু উপায় নিচে দেওয়া হলো:

              ১. নিজের অনুভূতিকে স্বীকার করুন: মন খারাপ লাগলে প্রথমে নিজেকে শান্তভাবে জিজ্ঞাসা করুন, “আমার এখন কেমন লাগছে?” দুঃখ, রাগ, হতাশা বা অন্য যে কোনও অনুভূতি হতে পারে। এই অনুভূতিগুলোকে স্বীকার করে নেওয়া এবং বুঝতে চেষ্টা করাই হলো প্রথম ধাপ।

              ২. কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন: আপনার মন খারাপের কারণ কী, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। অনেক সময় কারণ স্পষ্ট না-ও হতে পারে, কিন্তু একটু গভীরভাবে ভাবলে হয়তো একটা সূত্র পাওয়া যেতে পারে।

              ৩. নিজের প্রতি সদয় হন: মন খারাপের সময় নিজের উপর বেশি চাপ দেবেন না। মনে রাখবেন, সবারই মন খারাপ হয়। নিজের প্রতি একটু সদয় হন এবং মনে করুন, এই সময়টা সাময়িক।

              ৪. বিশ্রাম নিন: যখন মন খারাপ থাকে, তখন শরীরও ক্লান্ত লাগে। তাই কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়া বা ঘুমিয়ে পড়া ভালো। এতে মন শান্ত হয় এবং শরীরও পুনরায় শক্তি পায়।

              ৫. পছন্দের কাজ করুন: মন খারাপের সময় সেই কাজগুলো করুন যা আপনাকে আনন্দ দেয়। গান শোনা, বই পড়া, সিনেমা দেখা, ছবি আঁকা বা অন্য কোনও শখের প্রতি মনোযোগ দিতে পারেন।

              ৬. ব্যায়াম করুন: ব্যায়াম করলে শরীরে এন্ডরফিন নামক হরমোন নিঃসৃত হয়, যা মন ভালো করতে সাহায্য করে। তাই হালকা ব্যায়াম, যেমন – হাঁটাহাঁটি বা যোগা করতে পারেন।

              ৭. প্রকৃতির কাছাকাছি যান: কিছুক্ষণ সময় প্রকৃতির সাথে কাটান। পার্কে হাঁটুন, গাছপালা দেখুন অথবা খোলা আকাশের নিচে কিছুক্ষণ বসুন। природа মনকে শান্ত করে তোলে।

              ৮. বন্ধু বা পরিবারের সাথে কথা বলুন: আপনার বিশ্বস্ত বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের সাথে আপনার অনুভূতির কথা বলুন। তাদের সাথে কথা বললে মন হালকা হয় এবং তারা হয়তো ভালো পরামর্শও দিতে পারে।

              ৯. সাহায্য চান: যদি আপনার মন খারাপ অনেক দিন ধরে থাকে এবং কোনো কিছুতেই ভালো না লাগে, তাহলে একজন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন।

              ১০. ইতিবাচক চিন্তা করুন: মন খারাপের সময় নেতিবাচক চিন্তাগুলো মনে আসতে পারে। সেগুলোকে দূরে সরিয়ে ইতিবাচক চিন্তা করার চেষ্টা করুন। ভাবুন, এই সময়টা কেটে যাবে এবং আপনি আবার ভালো বোধ করবেন।

              এসব উপায়গুলো অবলম্বন করে আপনি আপনার মন খারাপকে দ্রুত ভালো করতে পারেন। মনে রাখবেন, সবার মন খারাপ হওয়ার কারণ এবং ভালো হওয়ার উপায় ভিন্ন হতে পারে। তাই নিজের জন্য সবচেয়ে কার্যকরী উপায় খুঁজে বের করাই হলো আসল কাজ।

              • 90 views
              • 1 answers
              • 0 votes
            • Professor Asked on January 28, 2025 in অনুসরণ.

                মায়াকে “মায়া” বলে উপলব্ধি করলেই মায়া অন্তর্হিত হয় । শুধুমাত্র মায়ার বৌদ্ধিক জ্ঞান হলে এমনটা সম্ভব নয় । আর মায়ার উপলব্ধির জন্য আগে মায়ায় জড়ানো প্রয়োজন । অর্থাৎ আগে মানুষের প্রতি টান তৈরি হবে, সেই টানে সাড়া দিতে হবে, সুখ পেতে হবে, হাসতে হবে, বিচ্ছেদযন্ত্রণায় কষ্ট পেতে হবে, কাঁদতে হবে, দিশেহারা হয়ে যেতে হবে, তারপর গিয়ে মায়াকে চেনার ও তাকে অতিক্রম করার অবকাশ আসবে ।

                তবে কবিগুরুর একটি উদ্ধৃতি এই প্রসঙ্গে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, তাই সেটার উল্লেখ প্রয়োজনীয় মনে করছি—

                হায় বুদ্ধিহীন মানবহৃদয়! ভ্রান্তি কিছুতেই ঘোচে না, যুক্তিশাস্ত্রের বিধান বহুবিলম্বে মাথায় প্রবেশ করে, প্রবল প্রমাণকেও অবিশ্বাস করিয়া মিথ্যা আশাকে দুই বাহুপাশে বাঁধিয়া বুকের ভিতরে প্রাণপণে জড়াইয়া ধরা যায়, অবশেষে একদিন সমস্ত নাড়ী কাটিয়া হৃদয়ের রক্ত শুষিয়া সে পলায়ন করে, তখন চেতনা হয় এবং দ্বিতীয় ভ্রান্তিপাশে পড়িবার জন্য চিত্ত ব্যাকুল হইয়া উঠে।

                – পোস্টমাস্টার (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

                • 101 views
                • 1 answers
                • 0 votes
              • Professor Asked on January 28, 2025 in অনুসরণ.

                  ১. প্রশ্ন করতে শিখুন

                  প্রতিদিন নিজের চারপাশের জিনিসগুলো নিয়ে প্রশ্ন করুন। কেন, কীভাবে, এবং কখন! প্রশ্ন করার অভ্যাস মস্তিষ্কের সৃজনশীলতাকে বাড়ায়।

                  ২. নতুন জিনিস শিখুন

                  নতুন ভাষা, নতুন দক্ষতা, বা নতুন একটি হবি—যা কিছুই হোক না কেন, প্রতিদিন একটু একটু শিখুন। এটি আপনার মস্তিষ্ককে নতুন ধারণা ও দক্ষতায় সমৃদ্ধ করে।

                  ৩. ডিপ ওয়ার্কের অভ্যাস গড়ে তুলুন

                  একটি নির্দিষ্ট সময়ে গভীর মনোযোগ দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করুন। এটি উৎপাদনশীলতাকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।

                  ৪. স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন

                  পর্যাপ্ত ঘুম, ব্যায়াম এবং পুষ্টিকর খাবার আপনার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।

                  ৫. বই পড়ুন, এবং পড়ুন প্রচুর!

                  বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনী বা কোনো সৃজনশীল বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

                  ৬. নিজের ভুল থেকে শিখুন

                  ভুল হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু সেখান থেকে শিখে সামনে এগিয়ে চলাই হলো জিনিয়াসদের গুণ।

                  ৭. প্রাকৃতিক পরিবেশে সময় কাটান

                  গবেষণায় দেখা গেছে, প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকলে মস্তিষ্ক শান্ত থাকে এবং নতুন চিন্তা আসে।

                  ৮. নোট করার অভ্যাস করুন

                  আপনার চিন্তাগুলো বা আইডিয়া দ্রুত লিখে ফেলুন। ভবিষ্যতে এগুলো আপনার কাজে আসবে।

                  ৯. ধৈর্য ধরুন এবং প্রচেষ্টা চালিয়ে যান

                  সাফল্য বা জ্ঞান অর্জনে ধৈর্য অপরিহার্য।

                  ১০. নিজের চিন্তাশক্তিকে চ্যালেঞ্জ করুন

                  পাজল বা লজিক্যাল গেমস খেলুন, এবং নিজের চিন্তাশক্তিকে প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ দিন।

                  • 92 views
                  • 1 answers
                  • 0 votes
                • Professor Asked on January 28, 2025 in অনুসরণ.

                    খুব বেশি না।

                    কেবল একটা ভালো নন-ফিকশন বইও আপনার জীবন বদলে দিতে পারে।

                    একটা বই। শুধু একটা। সেই বইয়ের প্রতিটা পাতায় এমন কিছু লুকিয়ে থাকতে পারে যা আপনার চিন্তার জগৎকে উল্টে পাল্টে দিতে পারে, আপনাকে নতুন করে ভাবতে শিখাতে পারে।

                    আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনেক কিছু শিখি, কিন্তু সেই শিক্ষার সবটাই কি কাজে লাগে? একটা ভালো বই আপনার ৪ বছরের প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনাকেও হার মানিয়ে দিতে পারে।

                    কিন্তু সমস্যাটা কোথায় জানেন?

                    জগতে বইয়ের সংখ্যা এত বেশি যে সঠিক বই বাছাই করাটা কঠিন। আবার ভালো বই যদি হাতে পেয়ে যানও, কিন্তু সেটা পড়ার পর ভুলে যান—তাহলে লাভ কী?

                    ভালো বইয়ের আসল রহস্য কী?

                    ভালো বই একবার নয়, বারবার পড়তে হয়। প্রতিবার পড়ার সময় নতুন কিছু শেখা যায়। আর শেখাটাকে যদি বাস্তবে কাজে লাগান, তখনই বইয়ের শিক্ষা আপনার জীবনে সত্যিকার অর্থে প্রভাব ফেলবে।

                    তাহলে কী বই পড়বেন?

                    আমি এখানে এমন কিছু বইয়ের তালিকা দিচ্ছি যা আপনার জীবন বদলে দিতে পারে। এই বইগুলো শুধুমাত্র পড়ার জন্য নয়, বুঝে বুঝে পড়ে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করার জন্য।

                    আপনার মাইন্ডসেট ঠিক করার জন‍্যঃ

                    ১. Letter from the Stoic – Seneca

                    ২. The Four Agreements – Don Miguel Ruiz

                    ৩. 12 Rules for Life – Jordan B. Peterson

                    ৪. Mindset – Carol S. Dweck

                    ৫. The Alchemist – Paulo Coelho

                    ৬. 7 Habits of Highly Effective People – Stephen R. Covey

                    আপনার হেলথ ঠিক রাখার জন‍্যঃ

                    ৭. Outlive – Peter Attia

                    ৮. Ikigai – Héctor García & Francesc Miralles

                    আর্থিক বুদ্ধিমত্তার জন‍্যঃ

                    ৯. The Psychology of Money – Morgan Housel

                    ১০. I Will Teach You to Be Rich – Ramit Sethi

                    ১১. How to Get Rich – Felix Dennis

                    ১২. Rich Dad Poor Dad – Robert Kiyosaki

                    ১৩. Think and Grow Rich – Napoleon Hill

                    ১৪. Economics in One Lesson – Henry Hazlitt

                    ১৫. Tax-Free Wealth – Tom Wheelwright

                    ১৬. What Every Real Estate Investor Needs to Know About Cash Flow – Frank Gallinelli

                    স্কীল ডেভেলপমেন্টের জন‍্যঃ

                    ১৭. Traction – Gino Wickman

                    ১৮. The Goal – Eliyahu M. Goldratt

                    ১৯. $100M Offers – Alex Hormozi

                    20. Deep Work – Cal Newport

                    ২১. The Compound Affects – Darren Hardy

                    ২২. Atomic Habits – James Clear

                    মার্কেটিং বিষয়কঃ

                    ২৩. $100M Leads – Alex Hormozi

                    ২৪. Ogilvy on Advertising – David Ogilvy

                    একটা কথা সবসময় মনে রাখবেন—

                    জীবনে সফল হতে গেলে হাজার হাজার বই পড়া লাগবে না। কয়েকটা ভালো বই আর সেগুলোর শিক্ষা কাজে লাগালেই যথেষ্ট।

                    আজই শুরু করুন পড়া।

                    – cltd

                    • 80 views
                    • 1 answers
                    • 0 votes
                  • Professor Asked on January 28, 2025 in অনুসরণ.

                      নিজেকে পরিবর্তন করার সঠিক উপায় জীবন অনেক ছোট কি করবো করবো না ভেবে পাইনা। পড়তে বসলে পড়াশোনা মনোযোগ নেই কারণ আমাদের জীবন এর কোন লক্ষ্য নেই, যদি জীবনের লক্ষ থাকতো তাহলে আমরা ভালো মতো পড়াশোনা করতাম। যদি শপিংমল যাই কোন কিছু কেনাকাটা করতে তাহলে ভেবে পাইনা কোনটা ক্রয় করবো কোনটা ক্রয় করবো না হুট একটা…

                      নিজেকে পরিবর্তন করার সঠিক উপায়

                      জীবন অনেক ছোট কি করবো করবো না ভেবে পাইনা। পড়তে বসলে পড়াশোনা মনোযোগ নেই কারণ আমাদের জীবন এর কোন লক্ষ্য নেই, যদি জীবনের লক্ষ থাকতো তাহলে আমরা ভালো মতো পড়াশোনা করতাম। যদি শপিংমল যাই কোন কিছু কেনাকাটা করতে তাহলে ভেবে পাইনা কোনটা ক্রয় করবো কোনটা ক্রয় করবো না হুট একটা ক্রয় করে নিয়ে আসি তার পর কোন একজন বন্ধু যদি বলে এটা ভালো হয়নি তাহলে মনটা উদাসীন হয়ে পড়ে।

                      তবে জীবনের সন্তুষ্টির জন্য আগে অবশ্যই দেখতে হবে নিজের দক্ষতা এবং নিজের পরিকল্পনা । এই দুইটা যখন আপনার ভিতরে থকবে তাহলে খুব সহজে আপনি ডিসিশন নিতে পারবেন অল্পসময়ের মধ্যে।

                      নিজেকে পরিবর্তন এর জন্য এই বিষয় গুলো মেনে চলুন?

                      ১। সময় অপচয় করা বন্ধ করতে হবে।অল্প সময়ের মধ্যে নিজেকে ভালো মতো দক্ষ করে তুলতে হবে।

                      ২। চিন্তা শক্তিকে বাড়িয়ে তুলতে হবে।প্রতিদিন আমাদের ব্রেইন ছোট বড় অনেক ডিসিশন নিয়ে থাকে। ব্রেইনকে চাপ প্রয়োগ করার কোন দরকার ছোট ছোট কাজগুলোকে খুব সহজে করতে চেষ্টা করুন।

                      ৩।আপনি কি করছেন সেটি সম্পর্কে পরিষ্কার ভাবে জানা থাকলে মনের মধ্যে সুখী ভাব চলে আসবে।

                      ৪। নিজেকে সময় দিন সফল হওয়ার জন্য।

                      • 105 views
                      • 1 answers
                      • 0 votes
                    • Professor Asked on January 28, 2025 in অনুসরণ.

                        আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আমি কেবল একটা কথাই বলতে পারি— জীবনে কিছু জিনিস শুধুমাত্র উপভোগ করার উদ্দেশ্যেই করা উচিত । আত্মোন্নয়ন নিয়ে বেশি মাথা ঘামাতে গেলে এমন সব কাজে সময় ও অর্থ ব্যয় হতে পারে যেগুলো আপনার কাছে উপভোগ্যই নয় কিন্তু আপনি করছেন কারণ আর সবাই সেগুলো করছে তাই ।

                        সামাজিক মাধ্যমে সর্বত্র একাকী ভ্রমণ (solo traveling)এর উপকারিতা নিয়ে লেখার ছড়াছড়ি । এইসব লেখা পড়ে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমিও উৎসাহী হয়ে একসময় বেরিয়ে পড়েছিলাম একাকী ভ্রমণের মাধ্যমে নিজের জীবনকে সমৃদ্ধ করবো এই আশা নিয়ে । তারপর দেশ-বিদেশ মিলিয়ে বেশ কিছু জায়গায় একাকী ভ্রমণে গিয়েছি । তাতে একটা জিনিসই ভালো বুঝেছি— একাকী ভ্রমণ আমার ভালো লাগে না । নিজের অভিজ্ঞতা, অনুভূতিগুলো একজন সমমনস্ক সঙ্গীর সাথে ভাগাভাগি না করে নিতে পারলে আমার মন ভরে না । একাকী ভ্রমণে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা আছে এটা ঠিক কথা, কিন্তু এতটা স্বাধীনতা হয়তো আমার দরকার নেই । ভ্রমণে আনন্দটাই আমার কাছে আসল আর নিঃসঙ্গ ভ্রমণ আমার জন্য যথেষ্ট আনন্দদায়ক নয়, সে আমি যেখানেই যাই না কেন!

                        এই উপলব্ধি হওয়ার পর থেকে ভ্রমণ জিনিসটার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি আমার সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে; বিদেশ ভ্রমণের মোহ প্রায় উবে গিয়েছে বলা যায় । যদিও পরিহাসটা এখানেই যে রবি ঠাকুর যে কথাটা কবে বলে গিয়েছেন সেটা হৃদয়ঙ্গম হতে আমার এতো দেরি হয়ে গেল ।

                        বহুদিন ধরে বহু ক্রোশ দূরে

                        বহু ব্যয় করি, বহু দেশ ঘুরে

                        দেখিতে গিয়াছি পর্বতমালা,

                        দেখিতে গিয়াছি সিন্ধু ।

                        দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া

                        ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া

                        একটি ধানের শিষের উপরে

                        একটি শিশিরবিন্দু ।

                        আজ যদি কেউ সারা বিশ্ব জয় করে এসে আমাকে তাঁর গল্প শোনাতে বসে, আমি মন দিয়ে তাঁর গল্প শুনব, উপভোগ করব কিন্তু অনিরাপত্তায় আক্রান্ত বোধহয় হব না । নিজের কথা বলার ফুরসৎ হলে হয়তো তাকে বলব, “আজ অনেকদিন বাদে গ্রামের দিকে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল । একটা সম্পূর্ণ অচেনা জায়গা, শুধু একটু ঘুরে দেখব বলেই গিয়েছিলাম আমার মাসতুতো ভাইটিকে সঙ্গে নিয়ে । ঠিক তা নয় আসলে, জায়গাটার একটা মিষ্টির খুব খ্যাতি আছে তাই সেটা চেখে দেখার লোভও ছিল । কিন্তু মিষ্টিমুখ ছাড়াও আরও অনেক কিছুর অভিজ্ঞতা হল যাতে মনটা ভরে গেল; দেখলাম সুপুরি গাছের সারি, মজে যাওয়া পুকুরের উপরে নুয়ে-পড়া বাঁশঝাড়, যার পাতাগুলো জলকে ছুঁতে-ছুঁতেও যেন ছুঁচ্ছে না, ফাঁকা স্টেশনের একদিকে গাছ-গাছালির আড়ালে সূর্যাস্ত ও আরেকদিকে চন্দ্রোদয়, দূরে একটা নারকেল গাছের পাতার উপর বসে থাকা একটা বক, ট্রেনে যেতে-যেতে দূরে মাঠের মধ্যিখানে কাশফুল ঝাড়, সেইসাথে আসন্ন সন্ধ্যার অন্ধকারে সাদা ধোঁয়ার একটা আস্তরণ—কতদিন যে এগুলো দেখিনি! তবে নিজে দেখে যতটা না আনন্দ পেতাম, তার চেয়ে বেশি পেলাম ভাইকে দেখিয়ে । ও দেখল বলেই যেন আমার দেখাটা আরো বেশি করে সার্থক হল ।”

                        এরপর আত্মোন্নয়নের কোনো প্রাসঙ্গিকতা আছে কি? কি জানি!

                        • 76 views
                        • 1 answers
                        • 0 votes