ZoomBangla Professor's Profile
Professor
10773
Points

Questions
23

Answers
5384

  • Professor Asked on January 28, 2025 in অনুসরণ.

      একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব তার আসল পরিচয়। সুন্দর ও আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব অর্জন করলে আপনি অন্যদের প্রতি ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক, সুন্দর ব্যক্তিত্ব গঠনের ১০টি কৌশল।

      ১. আত্মবিশ্বাস তৈরি করুন

      নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখুন। আত্মবিশ্বাসই আপনাকে সবার মাঝে আলাদা করে তুলবে। আত্মবিশ্বাস অর্জনের জন্য নিজের দক্ষতা এবং সীমাবদ্ধতাগুলো চিনতে শিখুন।

      ২. ইতিবাচক চিন্তা করুন

      নেতিবাচক চিন্তাগুলো দূরে সরিয়ে দিন। ইতিবাচক চিন্তা আপনার মনকে শান্ত রাখবে এবং জীবনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা দেবে।

      ৩. সদালাপী হোন

      ভদ্র ও শালীন ভাষায় কথা বলুন। ভালো শোনার অভ্যাস তৈরি করুন। মানুষের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনলে আপনার প্রতি তাদের শ্রদ্ধা বাড়বে।

      ৪. নীতিবান জীবনযাপন করুন

      সৎ ও নৈতিক মান বজায় রেখে জীবনযাপন করুন। সততা এবং ন্যায়ের পথে চললে আপনার প্রতি সবার আস্থা বৃদ্ধি পাবে।

      ৫. সময়নিষ্ঠ হোন

      সময়নিষ্ঠ মানুষ সবসময় সবার কাছে প্রিয়। কাজকর্মে সময়ানুবর্তিতা প্রদর্শন করে নিজের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ান।

      ৬. নম্রতা ও সহানুভূতি প্রদর্শন করুন

      নম্রতা মানুষের হৃদয় জয় করার অন্যতম উপায়। অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হোন এবং তাদের সমস্যাগুলো বুঝতে চেষ্টা করুন।

      ৭. নিজেকে আপডেট রাখুন

      সমাজ, সংস্কৃতি, এবং বিশ্বের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুন। আপডেট থাকা মানুষ সবসময় অন্যদের কাছে আকর্ষণীয়।

      ৮. হাসিখুশি থাকুন

      হাসি একজন মানুষের ব্যক্তিত্বের সৌন্দর্যকে বহুগুণে বৃদ্ধি করে। সদা হাসিখুশি থাকুন এবং অন্যদেরও আনন্দিত রাখার চেষ্টা করুন।

      ৯. পরিশ্রমী হোন

      যে কোনো কাজে নিষ্ঠা ও পরিশ্রম দেখান। আপনার কর্মঠ মানসিকতা অন্যদের অনুপ্রাণিত করবে।

      ১০. নিজের যত্ন নিন

      শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম, এবং পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভ্যাস গড়ে তুলুন।

      সুন্দর ব্যক্তিত্ব গঠন কোনো এক দিনের কাজ নয়। ধৈর্য ধরে এই গুণগুলো চর্চা করুন। একদিন আপনি দেখবেন, আপনার চারপাশের সবাই আপনার প্রতি মুগ্ধ।

      আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না! আপনার প্রিয় গুণটি কোনটি? কমেন্টে জানান।

      • 88 views
      • 1 answers
      • 0 votes
    • Professor Asked on January 28, 2025 in অনুসরণ.

        শুধুমাত্র অর্থনৈতিক মুক্তি না পেলে আপনি গরীব হবেন না, আপনার অভ্যাসও আপনাকে গরিব বানাতে পারে। এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি সেই মারাত্মক ৬টি অভ্যাস দেখতে পারবেন যা আপনাকে গরিব বানাবে।

        1. যদি আপনি অন্য কারো সাথে নিজেকে সবসময় তুলনা করেন।
        2. যদি আপনি আপনার নিজের ওপর বিনিয়োগ না করেন।
        3. যদি আপনি বেশি আবেগের কারণে কেনাকাটা করে থাকেন।
        4. যদি আপনি কোনো কিছুর প্রতি অতিরিক্ত আসক্ত হয়ে থাকেন।
        5. যদি আপনি মাত্রাতিরিক্ত খাবারের প্রতি আসক্ত হয়ে থাকেন।
        6. যদি আপনি প্রয়োজনের থেকে অভাবকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন।

        গরিব শুধুমাত্র আপনি টাকা পয়সার দিক থেকে হবেন না, মন মানসিকতার দিক থেকেও হয়ে যাবেন, যদি এই ৬টি অভ্যাস আপনার মধ্যে থেকে থাকে।

        পোস্টটি একটি জীবন পরিবর্তনকারী পোষ্ট, তাই শেয়ার করে নিজের টাইমলাইনে রেখে দিন এবং বন্ধু-বান্ধবদের জানিয়ে দিন 🙏

        ধন্যবাদ

        আমার লেখাগুলো যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে অনুসরণ করে রাখবেন তাহলে পরবর্তী পোস্টটা আপনার টাইমলাইনে চলে যাবে সবার আগে

        • 65 views
        • 1 answers
        • 0 votes
      • Professor Asked on January 28, 2025 in অনুসরণ.

          পর্নোগ্রাফি থেকে মুক্তি পাওয়া একটি কঠিন কিন্তু সম্ভব যাত্রা। এটি শুধু শারীরিক বা মানসিকভাবে নয়, আধ্যাত্মিক এবং নৈতিকভাবে আসল পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। ইসলামে এমন পাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু নির্দিষ্ট পরামর্শ রয়েছে যা আপনি অনুসরণ করতে পারেন:

          ১. আল্লাহর কাছে তাওবা করুন:

          প্রথমেই, আপনাকে আল্লাহর কাছে তাওবা করতে হবে এবং তার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। আল্লাহ অত্যন্ত করুণাময় এবং ক্ষমাশীল। “إِنَّ اللَّـهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا” (ইন্নাল্লাহা ইয়াগফিরু যুজুনুবা জামিয়াআন)। আল্লাহ সমস্ত গুনাহ মাফ করেন।

          একান্তভাবে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন এবং প্রতিজ্ঞা করুন যে, আপনি আর কখনোই সেই পথ অনুসরণ করবেন না।

          ২. অন্তরের দৃঢ় সংকল্প:

          পর্নোগ্রাফি থেকে মুক্তি পেতে, আপনাকে মনের দৃঢ় সংকল্প করতে হবে। আপনাকে মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে হবে যে, আপনি এই অভ্যাসটি পরিত্যাগ করতে চান এবং এর পরিবর্তে ভালো কিছু করতে চান।

          প্রতিটি ছোট পদক্ষেপে নিজেকে তাড়িত করুন এবং এর প্রতি আপনার আগ্রহ কমানোর চেষ্টা করুন।

          ৩. আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং দৃষ্টির সংযম:

          দৃষ্টির সংযম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ কুরআনে বলেছেন: “সকল মুসলিম পুরুষ এবং নারীকে তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখতে হবে” (সূরা আন-নূর ২৪:৩০-৩১)। পর্নোগ্রাফি দেখতে আগ্রহ কেটে যেতে, আপনার দৃষ্টিকে কোথাও অন্য দিকে ফিরিয়ে নেওয়া, বা কিছু ভালো বই পড়া বা ভালো কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়া সহায়ক হতে পারে।

          ৪. ইসলামিক দায়িত্ব পালন:

          নিয়মিত নামাজ আদায় করুন। নামাজ আপনার মন ও মনের শক্তি শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে এবং আপনাকে আল্লাহর সাথে সংযুক্ত রাখবে।

          রোজা এবং অন্য নেক আমলগুলো পালন করা। এগুলো আপনার আত্মিক শক্তি বাড়ায় এবং আপনাকে পাপ থেকে বিরত রাখে।

          ৫. হালাল কাজের দিকে মনোযোগ দিন:

          পর্নোগ্রাফি দেখতে আপনার খালি সময় এবং মনের অবস্থা একটি বড় ভূমিকা পালন করে। আপনি যখন শারীরিক এবং মানসিকভাবে সক্রিয় থাকবেন, তখন পর্নোগ্রাফি দেখতে আগ্রহ কমে যাবে। নতুন কোনো শখ বা কাজ শিখুন, যা আপনার মনোযোগ ব্যস্ত রাখবে।

          ৬. মনে রাখতে হবে, এটি এক ধরনের আসক্তি:

          পর্নোগ্রাফি একটি মনস্তাত্ত্বিক আসক্তি হতে পারে, তাই এর থেকে মুক্তি পেতে কিছু সময় লাগতে পারে। প্রয়োজনে কাউন্সেলিং বা সাহায্যের জন্য আপনার ইসলামিক স্কলার বা মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শদাতা এর কাছে যেতে পারেন।

          ৭. খারাপ পরিবেশ থেকে দূরে থাকা:

          খারাপ প্রভাব এবং পরিবেশ থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। যদি আপনার বন্ধুদের মধ্যে এমন কোনো কিছু থাকে যা আপনাকে প্ররোচিত করে, তবে তাদের থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। আল্লাহ বলেন: “দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকার জন্য তোমার বন্ধুদের সাথে থাকতে হবে যারা সৎ এবং ঈমানদার” (সূরা আল-ফুরকান ২৫:৬৭)।

          ৮. তাকওয়া এবং ইসলামী মূল্যবোধ:

          ইসলামিক মূল্যবোধ এবং তাকওয়া (আল্লাহভীতি) আপনার জীবনের একটি অন্যতম নীতি হতে পারে। যখন আপনি আল্লাহর প্রতি ভয় এবং শ্রদ্ধা রাখবেন, তখন আপনি সহজেই এই ধরনের পাপ থেকে দূরে থাকতে পারবেন।

          উপসংহার:

          পর্নোগ্রাফি থেকে মুক্তি পেতে আল্লাহর উপর বিশ্বাস, দৃঢ় সংকল্প, নেক আমল এবং নিজেকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে হবে। এই পরিবর্তনটি হতে পারে ধীরে ধীরে, কিন্তু আল্লাহর সাহায্যে আপনি অবশ্যই সফল হতে পারবেন। আপনি একা নন, আল্লাহ সব সময় আপনার সঙ্গে আছেন, তাই তার কাছে সাহায্য চাইতে দ্বিধা করবেন না।

          • 89 views
          • 1 answers
          • 0 votes
        • Professor Asked on January 28, 2025 in অনুসরণ.
            • সর্ব প্রথম সোশ্যাল মিডিয়ায়তে সময় দেওয়া বন্ধ করুন।
            • অযথা সময় নষ্ট হওয়াকে কাজে লাগান।সময়ের মূল্য অনেক বেশি আমরা এটা বুঝি না।
            • নিজেকে পরিবর্তন করুন ২১ দিনের চেলেঞ্জ নিন কোন কিছু পরিবর্তন করতে।
            • যেটা করবেন সেটা মনোযোগ সহকারে করুন।
            • ৩০ মিনিট বই পড়ুন ঘুমানোর আগে।
            • রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমান সকালে তাড়াতাড়ি উঠুন।
            • তৈরি করুন নিজের গোল ডেইলি গোল, সাপ্তাহিক গোল, মাসিক গোল, ১ বছরের গোল, ৩ বছরের গোল, ৫ বছরের গোল। এই গোল নিয়ে কাজ করুন এটা পূর্ণ করতে চেষ্টা করুন।
            • নিজেকে যত্ন নিন, খাবার, ঘুমানো সবই নিয়মিত করুন।
            • ডেইলি এবং সপ্তাহিক গোল পূরণ করতে চেষ্টা করুন।
            • ইউটিউবে অযথা ভিডিও দেখা বন্ধ করুন।
            • যখন আপনার গোলের পিছনে ছুটবেন অনেক হতাশা আর নিজেকে ক্লান্তি মনে হবে এই সময়ের জন্য নিজেকে তৈরি করুন।
            • নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন ইমোশনাল মানুষ হয়েন না।
            • সর্বদা কোন কাজ করার সময় নিজেকে সেরাটা দিতে চেষ্টা করুন।
            • প্রতিদিন কাজের ডায়েরি তৈরি করুন।
            • ইংরেজি ভাষা শিখুন।
            • সকালেে ঘুম থেকে ওঠে ব্যায়াম করুন ৩০ মিনিট।
            • ১০ মিনিট মেডিটেশন করুন প্রতিদিন।
              • ৪ টা স্কিল তৈরি করুন
              • Ms word
              • Excel
              • Adobe Photoshop
              • Creativity
            • এই চারটা যেকোনো সময় লাগতে পারে বলতে গেলে দৈনিক কাজে ব্যবহার হয় নিজের কাজের জন্য।
            • নিজের মস্তিষ্ক কে জোর দিয়েন না।
            • অতিরিক্ত পুটিন যুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরতি থাকুন।
            • অন্যর থেকে বেশি জানতে চেষ্টা করুন, কারও সাথে নিজেকে তুলনা করবেন না, কারও থেকে বেশি কিছু প্রত্যাশা করবেন না।
            • রিলেশনে জড়াবেন না,
            • মানুষকে হেল্প করতে চেষ্টা করুন।
            • নিজের নীতি কে বিক্রি করবেন না।

            চেষ্টা করুন সবগুলো মেনে চলতে নিজের গল্প নিজেই তৈরি করুন অন্য গল্প থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন।

            • 101 views
            • 1 answers
            • 0 votes
          • Professor Asked on January 28, 2025 in অনুসরণ.

              পৃথিবীর সব থেকে সহজ কাজ হলো

              যখন যাকে খুশি উপদেশ দেওয়া

              আর সবচেয়ে কঠিক কাজ হলো

              অন্যকে উপদেশ দেওয়াটাকে নিজের জীবনে কাজে লাগানো🍁

              তারমাঝে একজন অন্যজনের আলোচনা সমালোচনা করাটাকে ছাড় দিতে পারি না কিন্তু

              • 70 views
              • 1 answers
              • 0 votes
            • Professor Asked on January 26, 2025 in অনুসরণ.

                সাময়িক মন জয় করার জন্য আপনি মিথ্যা বলতে পারেন,

                তবে এর পরে আপনি একটা বড় ধাক্কার জন্য অপেক্ষা করুন।

                কারণ মিথ্যা কখনো চাপা থাকে না। তা সত্য হয়েই বের হয়। ভালো থাকবেন।

                • 91 views
                • 1 answers
                • 0 votes
              • Professor Asked on January 26, 2025 in অনুসরণ.

                  নিজেকে অনুপ্রাণিত রাখতে

                  ১. নিয়ত বিশুদ্ধ করুন: প্রতিটি কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করুন।

                  ২. কুরআন পড়া ও বুঝা: প্রতিদিন কুরআন তিলাওয়াত করুন এবং অর্থ নিয়ে ভাবুন।

                  ৩. দোয়া করুন: নিয়মিত আল্লাহর কাছে সাহায্য ও হেদায়াত প্রার্থনা করুন।

                  ৪. তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ুন: গভীর রাতে আল্লাহর কাছে নিজের সমস্যাগুলো পেশ করুন।

                  ৫. লক্ষ্য ঠিক করুন: জীবনের একটি স্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন।

                  ৬. ছোট ছোট পদক্ষেপ নিন: বড় লক্ষ্যকে ছোট কাজগুলোতে ভাগ করুন।

                  ৭. পজিটিভ থাকুন: নেতিবাচক চিন্তা এড়িয়ে ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করুন।

                  ৮. ভালো অভ্যাস গড়ুন: নিয়মিত পড়াশোনা, ব্যায়াম, এবং সময় ব্যবস্থাপনায় মনোযোগ দিন।

                  ৯. নিজেকে পুরস্কৃত করুন: সফলতার জন্য নিজেকে ছোট পুরস্কার দিন।

                  ১০. অনুপ্রেরণামূলক বই পড়ুন বা ভিডিও দেখুন।

                  ১১. ধৈর্য ধরুন: প্রতিকূলতার মধ্যেও স্থির থাকুন।

                  এই নিয়মগুলো আপনাকে ক্রমাগত অনুপ্রাণিত রাখতে সাহায্য করবে ইনশাআল্লাহ ।

                  • 90 views
                  • 1 answers
                  • 0 votes
                • Professor Asked on January 26, 2025 in অনুসরণ.

                    জীবনে আসল ফাঁদ হলো, মুখোশ পরা মানুষকে বিশ্বাস করা, ভরসা করা।

                    এই ফাঁদে পা ফেললে, তছনছ হয়ে যেতে পারে জীবন…।

                    ধন্যবাদ।

                    • 107 views
                    • 1 answers
                    • 0 votes
                  • Professor Asked on January 26, 2025 in অনুসরণ.

                      অন্য কে খুশি করতে পারা খুব মুশকিল। আমরা জানি, আমাদের প্রিয় মানুষ গুলো কে ভালো রাখার দায় আমাদের উপরে নির্ভর করে। আমাদের উচিত কাছের মানুষ গুলো কে ভালো রাখা,তাঁদের সখ, আল্লাদ গুলো পূরণ করা। তার জন্য আমরা অনেক চেষ্টাও করি।

                      কিন্তু সত্যি কথা বলতে কি, আমাদের পক্ষে অন্য কে ভালো রাখা, খুশিতে রাখা সম্ভব নয়, যদি না সে নিজের ইচ্ছায় ভালো থাকতে চাই তবে।

                      আমরা যদি, পরিবারের বা অন্য যে কারো, যতই সোনা দিয়ে মুড়িয়ে দিই না কেন, যখনই একটা ভুল করে ফেলব তখনই আমাদের ভালো কাজ গুলো মাটি চাপা পড়ে যাবে এবং আমরা কষ্ট পেতে থাকব। তখন আমরা ভাবি, এদের জন্য এতো কিছু করলাম, তবুও কারো মন পেলাম না।

                      তাই, আমি বলব— অন্য কে নয়, আগে নিজেকে আমাদের খুশিতে রাখতে হবে। আমরা যদি, নিজে হাসি খুশি থাকি, ভালো থাকি, তাহলে অন্য মানুষ আমাদের সম্পর্কে কি ভাবল, কি মনে করল তাতে আমার কিছু যাস আসবে না। তবে, আমরা আমাদের কর্তব্য করে যাব। সবার জন্য যেটা করণীয় সেটা করব। কিন্তু বিনিময়ে কিছু আশা করব না। মানে, আমাকে কেউ ভালো বলবে, প্রশংসা করবে এই আশা করব না।

                      আপনি যখন আপন মনে নিজের কাজ করে যাবেন তখন আপনার আর মনে হবে না, আমি যে কাজ গুলো করছি, মানে, যাঁদের ভালো রাখতে, মন রাখতে কাজ করছি সে খুশি হল কি হল না, তাতে আমার কিছু যায়ও আসে না।আমি স্রেফ আমার কর্তব্য করছি।

                      আমরা কষ্ট পায় কেন বলুন তো?

                      আমরা কারো জন্য কিছু করলে তাঁর কাছ থেকে ভালো ব্যবহার, ভালো কথা শুনতে চাই। কিন্তু আমরা এটা ভুলে যায়, আমি যাঁদের জন্য এতো কিছু করছি, তাঁরা তো এটাকে আমার কর্তব্য মনে করছে। যখন তাঁদের ভালো রাখছি, তখন খুশি হচ্ছে, কিন্তু যখনই পারছি না, তখন আমার উপরে আস্থা টা সরে যাচ্ছে। এবং আমরা কষ্ট পাচ্ছি।

                      চলুন, কিছু উদাহরণ দেখি—

                      1.স্ত্রী সারাদিন ঘেমেনেয়ে গরমে বসে স্বামীর জন্য রান্না করছে। আজকে স্বামীর পছন্দ অনুযায়ী অনেক পদ করেছে। আর মনে মনে ভাবছে—

                      আজ ও অনেক খুশি হবে। আমাকে ভালো বলবে।

                      স্বামী ঘরে ফিরল। স্ত্রী খেতে দিয়ে তাঁর মুখের দিকে তাকিয়ে আছে— কখন একটু বলবে, বাহ্ আজ দারুণ রান্না করেছ। খুব ভালো করে তৃপ্তি সহকারে খেলাম ইত্যাদি ইত্যাদি।

                      কিন্তু স্বামী ব্যস্ত নিজের কাজে। সে হয়তো ভালো করে লক্ষ্যেই করল না, কত রকম পদ আজ রান্না হয়েছে। কারণ এখন লোকে খেতে খেতেও ফোন ঘাটতে থাকে। সে খেয়ে উঠেও গেল, কিন্তু কিছু বলল না। এখানে একটা কথা প্রতিটা ছেলের উদ্দেশ্য বলে রাখি- সব মেয়ে কিন্তু রান্নার শেষে এই কথাটি শুনতে চাই। কেউ এখানে কৃপণ হবেন না। একটু মন খুলে স্ত্রীর রান্নার প্রশংসা করবেন। তাহলে দেখবেন সে একদিন খুব ভালো রান্নি হয়ে গেছে। যাইহোক উত্তরে ফিরি-

                      এখানে বলুন, এই স্ত্রীর চাওয়া কি ভুল ছিল? কিন্তু যাঁকে খুশি করার জন্য এতো কষ্ট করল, সে ভাবল এটা স্ত্রীর ধর্ম। স্ত্রীর কর্তব্য । তাই এটা নিয়ে নতুন করে আর কি বলার আছে!

                      2.একজন বাবা অনেক কষ্ট করে, তাঁর সন্তানের পড়াশোনার সব চাহিদা পূরণ করে। বিনিময়ে চাই তাঁর সন্তান যেন মানুষের মতো মানুষ হয়।

                      বাবা, মা সন্তানের খুশির জন্য অনেক কিছু ত্যাগ করে। কিন্তু আমরা এগুলো কে কেবলমাত্র কর্তব্য ভাবি।

                      3.অনেক সন্তান ও বাবা মা কে ভালো রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করে। মা বাবার মুখে হাসি ফোটাতে চাই। কিন্তু সব সময় হয়তো হয়ে ওঠে না।

                      তবে বাবা মা, সন্তানের এই কাজ গুলো কে কর্তব্যই ধরে।

                      4.প্রতিটি পুরুষ চাই- তাঁর প্রিয় মানুষ টিকে ভালো রাখতে তাঁর সব চাহিদা পূরণ করতে, প্রিয় মানুষটির মুখে এক চিলতে হাসি ফোটাতে।

                      কিন্তু,চুন থেকে পান খসলেই আমরা আমাদের স্বমূর্তি ধারণ করি। আমরা তাঁর দিকটা বুঝতে পারি না বা চাই না।

                      এমন হাজার ও উদাহরণ দেওয়া যায়।

                      তাই বলব, এই পৃথিবী যতদিন থাকবে এই বিষয় গুলোও ততদিন থাকবে। এগুলো যাবে না, কেউ কাউকে বুঝবেও না। তবে অন্যের কাছে বোকার মতো আশা করাটা ছাড়তে হবে।

                      অন্য কে খুশি করব, এই কথাটি মাথা থেকে সরাতে হবে। আর এই কথাটি মাথা থেকে সরবে তখনই যখন আমরা নিজের থেকে নিজেকে নিয়ে ভীষণ সুখী অনুভব করব, আমাদের কারো কাছে কিছু প্রত্যাশা থাকবে না তখন। আমি নিজেকে এতো কিছু দেব যে আমার মন শান্ত থাকবে, বাইরের কারো কাছে কিছু চাইবে না।তার জন্য নিজেকে সব সময় ভালো রাখতে হবে। কি করে নিজেকে ভালো রাখতে হয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই আর্টিকেল টি পড়তে পারেন—

                      ১৫ টি উপায়ে নিজেকে ভালো রাখুন

                      উপরোক্ত বিষয় গুলি বা কাজ গুলি, কি না করে থাকা যাবে?

                      না, যাবে না। আমাদের যা যা কাজ সেগুলো করতেই হবে। তবে অন্য কে খুশি রাখতে নিজেকে বলি দেব না। নিজে খুশি থাকার জন্য কারো কাছে হাত পাতব না।

                      মানুষের চাহিদার কোন শেষ থাকে না। আপনি যাঁকে খুশি করার জন্য রাতদিন এক করে দিচ্ছেন তাঁর চাহিদাও দিনকে দিন বাড়ছে।

                      তাই এর হাত থেকে রেহাই পেতে, নিজেকে সময় দিন, নিজের কাজে মন দিন।নিজের একটা ব্যাক্তিত্ব পূর্ণ পরিচয় তৈরি করুন তাহলে দেখবেন আপনাকে আর কাউকে খুশি করতে যেতে হচ্ছে না, বা কে খুশি হল কি না হল তা নিয়ে আর ভাবতে হচ্ছে না । আপনাকে দেখেই সবাই খুশি হচ্ছে।

                      ধন্যবাদ।

                      • 96 views
                      • 1 answers
                      • 0 votes
                    • Professor Asked on January 26, 2025 in অনুসরণ.

                        মাথা উঁচু রাখা অর্থ আমি সমস্যা সমাধান আর নিজের অবস্থানকে ধীর রাখা বুঝি।এই তো এক বছর আগেও যে কোনো পরিস্থিতে কখন যে মাথা নিচু হয়ে যেতো তা-ই টের পেতাম না। স্টার্ট উইথ হোয়াই বই পড়ার সময় দারুণ একটা বুদ্ধি মাথায় আসে। যে কোনো কঠিন পরিস্থিতে আমি ব্যক্তিগতভাবে ২/৩টি কৌশলের আশ্রয় নেই। এগুলো যে দারুণ সেটা আমি বলবো না, কিন্তু আমার বেশ কাজে লাগে।

                        • বিরতি নেয়া: যে কোনো পরিস্থিতিতে বুদ্ধি করে টুকরো বিরতি নিয়ে বিষয়টি থেকে দূরে সরে যাই আমি। এতে মস্তিষ্ক অবচেতনভাবেই একটু হালকা হওয়ার সুযোগ পায়। কঠিন পরিস্থিতিতে যতটা স্বাভাবিক থাকা যায়, ততই কৌশলী বুদ্ধি বের হয়।
                        • কাগজে কলমে লিখে ফেলা: আমরা যে কোনো সমস্যা বা পরিস্থিতিতে সব মাথায় গেঁথে রাখি। সব অংক মাথায় কষার চেষ্টা করি। আমি মাথার মধ্যে কোন ধরণের জটিল অংক করতেই রাজি না। আমাদের মস্তিষ্ক হচ্ছে অনেকটা জামাই আদর পাওয়া সেনসেটিভ একটা অঙ্গ। যত এর যত্ন নিবো ততই তার ধার বাড়ে। জটিল সমস্যাগুলো খাতায় লিখে সমস্যাগুলোর সমাধান নিয়ে আমাদের মস্তিষ্ককে ভাবনার সুযোগ দিতে হবে। আমরা মাথায় যত সমস্যা নিয়ে ভাববো ততই কিন্তু জটিলতর পরিস্থিতি তৈরির সুযোগ থাকে। মস্তিষ্ককে যত বেশি সমাধানমুখি করা যায় ততই মাথা ঠান্ডা থাকে কিন্তু।
                        • কানেক্টিং দ্য ডট: যে কোনো পরিস্থিতিতে সমস্যা, সংঘাত বা দ্বিধাকে যত মাত্রায় ভেঙ্গে দেখার চেষ্টা করবো আমরা ততই সমাধানের সূত্র বের করার দিকে ধাবিত হবো আমরা।
                        • জিম মরিয়ার্টি সিনড্রোম: শালর্ক হোমসের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল জিম মরিয়ার্টি। নিজের চিন্তা ভাবনাকে প্রোফেসর জিম মরিয়ার্টি কনসাল্টিং ক্রিমিন্যালদের মতই নিখুঁত ভাবে উপস্থাপন করতেন। বিষয়টা অনেকটা স্ক্রিপ্ট রাইটিংয়ের মত। যে কোনো সমস্যায় আপনি নিজেকে যদি স্ক্রিপ্ট রাইটার হিসেবে মনে করেন তাহলে অনেক সমাধানে নান্দনিক সমাধান পাওয়া যায়। স্ক্রিপ্ট রাইটার যেমন চরিত্রদের গতিবিধি পরিবর্তন করতে পারেন, আপনিও আপনার সমস্যার সমাধান করতে পারেন।
                        • ব্যক্তিত্বকে প্রকাশ করা: যত বড়ই সমস্যা হউক না কেন, আপনি যদি সমস্যার মাত্রা ও প্রকরণ সম্পর্কে অন্যদের বোঝাতে পারেন তাহলে আপনি নিজের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পায় দারুণ ভাবে। সহস্রবছর ধরে আমরা সাধারণ মানুষেরা কিন্তু অসাধারণ ব্যক্তিত্বদের পুজা করি, তাই নিজেকে তেমনই ভাবুন না!
                        • সমস্যা মডেলিং: পৃথিবীতে সত্যিকার অর্থে সৃজনশীল সমস্যা বা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। আপনার আগেও কঠিন পরিস্থিতিতে অনেক মানুষ পড়েছিল। তারা কিভাবে সমাধান বের করে তাই খুঁজে দেখা যায়। এক্ষেত্রে যে কোন মানুষকেই চোখ বন্ধ করে মেন্টর বা গুরুজি বানিয়ে ফেলুন।
                        • স্যরি বলা শিখুন: সব সময়ই স্যরি বলে দায়িত্ব নিতে শিখুন। আপনি যদি দায়িত্বশীল হউন যে কোনো পরিস্থিতিই আপনার অনুকূলে!
                        • 84 views
                        • 1 answers
                        • 0 votes