ZoomBangla Professor's Profile
Professor
10773
Points

Questions
23

Answers
5384

  • Professor Asked on December 11, 2024 in অনুসরণ.

      আমাদের দেশের চিকিৎসা বলতে শুধু শারীরিক চিকিৎসা কেই বোঝায়। মানসিক চিকিৎসা বলতে আমরা পাগলামির চিকিৎসা জাতীয় কিছুই বুঝে থাকি। কিন্তু ছোটখাটো মানসিক সমস্যা আমাদের মাঝে মধ্যেই তো হয়েই থাকে। সে ক্ষেত্রে মানসিক চিকিৎসকের কাছে যাওয়া সামাজিকভাবে বেশ প্রতিকূলতা সৃষ্টি করে। সমাজের “নানা জনের নানা কথার ভয়” রয়েছে। কারণ আমাদের এই সমাজ মানসিক চিকিৎসকের যাওয়া মানে “পাগল হয়ে গেছে” এরকম একটা ধারণা পোষণ করে। এই অবস্থা যতদিন না পরিবর্তন হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত আমাদের নিজেদেরই কিছু মানসিক ফাস্টেড এর সাহায্যে নিতে হবে। নিজ উদ্যোগে নিজেদেরকে মানসিকভাবে শক্তিশালী করার কিছু কলাকৌশল করায়ত্ত করে নিতে হবে।

      মানসী চঞ্চলতা বা অস্থিরতা, একটি খুবই ছোট মানসিক সমস্যা। তবে এটি শুরুতে নির্মূল করতে না পারলে গভীর আকার ধারণ করতেই পারে। সাধারণত দুশ্চিন্তা থেকে এই মানসিক অস্থিরতার সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে ফাস্টেড হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে অনুলোম বিলোম প্রাণায়াম।

      শ্বাস প্রশ্বাস এর উপর নিয়ন্ত্রণ হলে মনের উপর নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। অনুলোম বিলোম প্রাণায়াম এর মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাসের পরিমাণ অনেকটাই কম হয়ে যায় এবং এটা মনকে স্থির করতে সাহায্য করে।

      বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে ডান নাসারন্ধ বন্ধ করে চার গুনতে গুনতে বাম নাসারন্ধ্র দিয়ে নিঃশ্বাস গ্রহণ করা এবং তারপরে মধ্যমা ও অনামিকা দিয়ে বাম নাসারন্ধ বন্ধ করে ডান নাসারন্ধ্র দিয়ে আট গুনতে গুনতে নিঃশ্বাস ত্যাগ করা। এরপর আবার ডান নাসারন্ধ্র দিয়ে চার গুনে নিশ্বাস নিয়ে বাম নাসারন্ধ্র দিয়ে আগুনে নিঃশ্বাস ত্যাগ করা। এই পদ্ধতি প্রাথমিকভাবে অন্তত কুড়ি বার করা প্রয়োজন। আস্তে আস্তে পরিমাণ বাড়ানো যেতে পারে।

      শ্বাস আটকে রাখা বা কুম্ভক করার প্রয়োজন নেই। কুম্ভক করতে চাইলে এই পদ্ধতি ৪:১৬:৮ হিসেবে করতে পারেন।

      এর পরবর্তী পদক্ষেপ অবশ্যই ধ্যান বা মেডিটেশন। প্রাথমিকভাবে, নিজের শ্বাস-প্রশ্বাসের ওপর মনঃসংযোগ করে ধ্যান করা যেতে পারে। কয়েক মাস পরে, থার্ড আই বা পাইনিইয়াল গ্ল্যান্ড বা আজ্ঞা চক্র’ তে মনোসংযোগ করে ধ্যানের গভীরে প্রবেশ করা যেতে পারে। এই অভ্যাসের মাধ্যমে শারীরিক, আধ্যাত্বিক ও বৈষয়িক বহু শক্তি অর্জন করা সম্ভব। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে যা আপনি বুঝতে পারবেন। মনকে নিয়ন্ত্রণ করা তো খুবই সহজ বিষয় হবে তখন।

      প্রশ্ন করার জন্য ধন্যবাদ, অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

      • 81 views
      • 1 answers
      • 0 votes
    • Professor Asked on December 10, 2024 in অনুসরণ.

        “অদ্ভূৎ” মূলত পুরনো বা সাহিত্যিক শব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং এখন কম ব্যবহৃত। “অদ্ভূৎ” থেকে “অদ্ভুত” বানানে পরিবর্তন ঘটে ১৯৩০-৫০ সালের সময়কালে, যখন বাংলা বানানকে প্রমিত ও সরলীকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

        মূলত অদ্ভূৎ বর্তমানে অপ্রচলিত এবং ভুল। অদ্ভুত বানানটি সঠিক।

        অদ্ভুত= অৎ+ভূ+উত= অদ্ভুত। এখানে বানানের অন্ত্যে অবস্থিত ‘উত’ প্রত্যয়ের প্রভাবে ‘ভূ’ পরিবর্তন হয়ে ‘ভু’ হয়ে গিয়েছে।

        • 86 views
        • 1 answers
        • 0 votes
      • Professor Asked on December 10, 2024 in অনুসরণ.

          সুখ এবং শান্তি দুটি অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং অমুল্য অনুভূতি যা মানুষের জীবনের বিভিন্ন স্তরে প্রয়োজন।

          সুখ

          সুখ হল এমন একটি মানসিক অবস্থা যেখানে মানুষ আনন্দ, তৃপ্তি, এবং সন্তুষ্টি অনুভব করে। এটি ব্যক্তিভেদে ভিন্ন ভিন্ন কারণে হতে পারে। কোনো মানুষের জন্য সুখ হতে পারে পারিবারিক বন্ধনে, কারো জন্য পেশাগত সাফল্যে, আবার কারো জন্য এটা হতে পারে ব্যক্তিগত শখ পূরণের মধ্যে। সুখ একটি বহুমাত্রিক অনুভূতি যা ভালো স্বাস্থ্য, ভালো সম্পর্ক, এবং ব্যক্তিগত অর্জনের মাধ্যমে প্রাপ্ত হতে পারে।

          শান্তি

          শান্তি মূলত মানসিক স্থিরতা ও প্রশান্তির অনুভূতি। এটি মানুষের মনকে সজীব ও স্থির রাখে। শান্তি একধরনের মানসিক এবং আধ্যাত্মিক স্বস্তি যা উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা, এবং মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেয়। এটি অর্জন করা যায় নিজস্ব আত্মবিশ্বাস, মনের বিশ্রাম, এবং আধ্যাত্মিক চর্চার মাধ্যমে।

          সুখ ও শান্তির সম্পর্ক

          সুখ এবং শান্তি উভয়ই পরস্পর সম্পর্কিত। যখন কোনো ব্যক্তি শান্তিতে থাকে, তার সুখ অনুভব করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আবার সুখী মানুষগুলো সাধারণত মনের মধ্যে শান্তি বজায় রাখতে সক্ষম হয়।

          • 118 views
          • 1 answers
          • 0 votes
        • Professor Asked on December 10, 2024 in অনুসরণ.

            মানসিক অবসাদ বা ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে ধৈর্য, সঠিক পদ্ধতি এবং প্রয়োজনীয় সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

            নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা, দৌড়ানো বা যোগব্যায়াম করতে হবে। ব্যায়াম এন্ডোরফিন হরমোন নিঃসরণ করে, যা মনকে প্রফুল্ল রাখে।মান০সিক চাপ কমানোর জন্য মেডিটেশন বা যোগব্যায়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি মনকে শান্ত রাখতে এবং নেতিবাচক চিন্তা দূর করতে সাহায্য করে।

            সামাজিক যোগাযোগ বাড়াতে হবে। পরিবার ও বন্ধুদের সাথে কথা বলতে হবে, সময় কাটাতে হবে, সমস্যা তাদের সাথে শেয়ার করতে হবে, এটি মানসিকভাবে হালকা হতে সাহায্য করে। একাকিত্ব কমানোর জন্য কোনো ক্লাব, গ্রুপ বা সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হবে। নেতিবাচক চিন্তা এড়াতে নিজের শক্তি এবং সাফল্যের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। নিজেকে সময় দিতে হবে এবং ধীরে ধীরে উন্নতি আশা করতে হ০বে।

            শান্ত এবং আরামদায়ক পরিবেশে সঠিক ঘুমের ব্যবস্থা করতে হবে। পর্যাপ্ত ঘুম (৭-৮ ঘণ্টা) নিতে হবে। একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং জাগার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ঘুমানোর আগে মোবাইল বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার এড়িয়ে চলতে হবে। ভালো ঘুম মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে সহায়তা করে।

            • 78 views
            • 1 answers
            • 0 votes
          • Professor Asked on December 10, 2024 in অনুসরণ.

              প্রকৃতপক্ষে যে বুদ্ধি জীবনকে সর্বোচ্চ উন্নতির দিকে পরিবর্তন করে তাই হল আসল বুদ্ধি। বুদ্ধি শব্দটি আমাদের কাছে খুবই সুপরিচিত। পৃথিবীর অন্যান্য প্রাণী থেকে মানুষের বুদ্ধি সবচেয়ে বেশি।মানুষের জীবনে বুদ্ধি একটি তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়। বুদ্ধির কমবেশি ব্যবহার ছাড়া মানুষ বেঁচে থাকতে পারে না। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বুদ্ধির বহুমুখী ব্যবহার অপরিহার্য।

              • 103 views
              • 1 answers
              • 0 votes
            • Professor Asked on December 10, 2024 in অনুসরণ.

                কথায় বলে “হাতি কাদায় পড়লে চামচিকেতেও লাথি মারে”, তাই যখন জীবনে খারাপ সময় চলে তখন এক কথায় খোঁচা মারা চিমটি কাটা লোকের অভাব হয় না, আর সবথেকে বড় কথা সবাইকে আপন ভাবা বন্ধ করুন নিজের কষ্টের কথা দুর্বলতার কথা প্রকাশ করবেন না সে যত আপন বন্ধু হোক না কেন ,কথা পাঁচ কান হতে সময় লাগে না,আপনি কষ্টে আছেন এটা বুঝতে দেবেন না, একটা কথা কি জানেন “চোখের জল সবথেকে বড় দুর্বলতা” কঠিন সময়ে কখনোই তা যেন কেউ না দেখে ,বন্ধ ঘরে চার দেওয়ালের মাঝে কাঁদুন তারপর উঠে দাঁড়ান কিন্তু দরজা খুলুন হাসিমুখে না এটা আমার কথা না আমিও এক জায়গায় এটা একবার পড়েছিলাম,সময়ের নিয়মে খারাপ সময় ঠিক চলে যাবে  আপনি যে ধর্মেরই হন না কেন আপনার ইষ্ট আপনার জন্য সব ঠিক করে রেখেছে আর তাদেরও দেখছেন যারা আপনার দুঃখে হাসছে তাই ধৈর্য্য ধরুন

                • 101 views
                • 1 answers
                • 0 votes
              • Professor Asked on December 9, 2024 in অনুসরণ.

                  জীবন নিয়ে ভাবুন। নিজের জীবন থেকেই শুরু করুন। কেন আপনার জন্ম? কে দিল আপনার জন্ম? কেন জন্ম দিল?

                  সব কিছুর মধ্যেই স্বার্থ খুঁজে পাবেন। কারন আপনার ইচ্ছেই আপনার জন্ম হয়নি, আপনার জন্ম হয়েছে অন্যের ইচ্ছেই।

                  জন্মের পর আপনি পেয়েছেন ইচ্ছা শক্তি। এখন আপনি নিজেই অনেক কিছু ইচ্ছা করতে পারেন। আপনি ইচ্ছে করেই প্রশ্ন করেছেন – জীবনের অর্থ বোঝার উপায় কি?

                  এটা আপনার ইচ্ছা শক্তি, জানার কৌতুহল, কিন্তু কখনোই ভাবেননি, ভাবার চেষ্টাও করেননি।

                  জীবনকে উপভোগ করুন, উপলব্ধি করুন, অন্যের দুঃখ কষ্টকে উপলব্ধি করুন। আপনার উপলব্ধিই আপনাকে জীবনের অর্থ বোঝার উপায় জানিয়ে দেবে।

                  • 88 views
                  • 1 answers
                  • 0 votes
                • Professor Asked on December 9, 2024 in অনুসরণ.

                    সাইকোলজি অনুসারে, মানুষের মন জয় করার জন্য কিছু কার্যকর কৌশল রয়েছে, যা মানুষের মনোভাব, আবেগ এবং আচরণের প্রতি সহানুভূতি ও বোঝাপড়া তৈরি করে।

                    কিছু প্রাসঙ্গিক কৌশল আপনার উপকার হতে পারে :

                    1. সক্রিয় শ্রবণ (Active Listening): মানুষের মন জয় করতে তাদের কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যখন আপনি অন্যকে মন দিয়ে শোনেন, তারা বুঝতে পারে যে আপনি তাদের অনুভূতি এবং মতামতকে সম্মান করছেন।
                    2. ইম্প্যাথি (Empathy): অন্যদের অনুভূতি ও অবস্থার প্রতি সহানুভূতি দেখানো মানুষের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক তৈরি করতে সহায়তা করে। আপনার সমবেদনা ও সহানুভূতি তাদের মন জয় করতে পারে।
                    3. স্বাভাবিক হাসি এবং ইতিবাচক দৃষ্টি (Genuine Smile and Positive Attitude): হাসি এবং ইতিবাচক মনোভাব সাধারণত সবার কাছে আকর্ষণীয় হয়। মানুষের মধ্যে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ এবং ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করতে এটি সাহায্য করে।
                    4. পরিচয় ও কমপ্লিমেন্ট (Recognition and Compliments): মানুষ তাদের প্রশংসা পছন্দ করে। তাদের ভাল কাজ, গুণাবলি বা সাফল্যগুলো চিহ্নিত করা এবং সেগুলোর প্রশংসা করা মন জয় করতে সহায়তা করে।
                    5. অনুগ্রহ এবং বিনয় (Courtesy and Humility): বিনয়ী এবং সদয় হওয়া মানুষের প্রতি আপনার সহানুভূতি ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করে। এটি অন্যদের কাছে আপনার প্রভাব ও সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে।
                    6. শক্তিশালী যোগাযোগ (Effective Communication): সুস্পষ্ট, সৎ এবং প্রভাবশালী কথা বলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কার্যকরী যোগাযোগ মানুষের প্রতি আস্থার সৃষ্টি করে এবং তাদের মন জয় করতে সহায়তা করে।
                    7. নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা (Helping Others Achieve Goals): যদি আপনি অন্যদের স্বার্থের প্রতি সহানুভূতিশীল হন এবং তাদের লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করেন, তাহলে তাদের মন জয় করা সহজ হয়।
                    8. সচেতনতা এবং সম্মান (Awareness and Respect): অন্যদের পরিসরে গিয়ে তাদের পরিবেশ, সংস্কৃতি এবং দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং সম্মান দেখানো সম্পর্ক গভীর করতে সহায়তা করে।

                    এই কৌশলগুলো মানুষের মন জয় করতে এবং সম্পর্কের গুণগত মান বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

                    • 85 views
                    • 1 answers
                    • 0 votes
                  • Professor Asked on December 9, 2024 in অনুসরণ.

                      আমার দৃষ্টিকোণ থেকে বললে, আমার মানসিক তৃপ্তি এমন কিছু বা এমন কারো থেকে আসে, যে/যা আমার আবেগ, ভালোবাসা, ও মানসিক প্রশান্তির জায়গাটি পূরণ করে। এটি হতে পারে প্রিয় কোনো মানুষ, একটি লক্ষ্য অর্জন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখা, বা এমনকি নিজের ভেতর শান্তি খুঁজে পাওয়া।

                      মূলত মানসিক তৃপ্তি একেক সময় একেক ভাবে আসে

                      আপনার নিজের তৃপ্তি কোথায় সবচেয়ে বেশি মেলে, সেটা কি কখনো ভেবে দেখেছেন?

                      • 114 views
                      • 1 answers
                      • 0 votes
                    • Professor Asked on December 9, 2024 in অনুসরণ.

                        সবচেয়ে বড় দুঃখ হচ্ছে যে জীবনে বড় হতে যে দুঃখের প্রয়োজন আছে এটা সে বুঝতে পারে না। তাই সমস্যা বিপদ আপদে পড়লে সে হাঁ হুতাশ করে, আরও তলিয়ে যায়। এটা যে তার জীবনে উপরে ওঠার সিঁড়ি এটা ধরতে পারে না।

                        গুরুজী মহাজাতকের একটি বাণী শেয়ার করছি [] –

                        প্রতিকূলতা সক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে। একটু ভেবে দেখুন, আপনি আগে যা করতে পারতেন, প্রতিকূলতার সাথে লড়াই করে আগের চেয়ে দ্বিগুণ করার সামর্থ্য আপনার বেড়ে যায়। কথায় বলে, a smooth sea never made a skillful sailor. অর্থাৎ যে সমুদ্র কখনো উত্তাল হয় না, ঝড়ের কবলে পড়ে না, সেখানে কখনোই একজন দক্ষ নাবিক গড়ে উঠতে পারে না। জীবনে যখন আমরা সমস্যায় পড়ি, ঝামেলায় পড়ি, এবং সেটাকে মোকাবেলার চেষ্টা করি, তখনই আমাদের মধ্যে সমস্যা সমাধান করার দক্ষতা সৃষ্টি হয়। আমাদের মেধা বিকশিত হয়।

                        তাই বিপদ আপদে দুর্যোগ দুর্বিপাকে হাঁ হুতাশ করে অস্থির না হয়ে জীবনের প্রতিটি প্রতিকূলতার সুযোগ নিন। আপনার মেধা যোগ্যতা দক্ষতাকে বিকশিত করুন। আপনার আজ যা আছে তা নিয়েই জীবন সংগ্রামে এগিয়ে যাওয়ার সাহস করুন। ইনশাআল্লাহ, আপনি জয়ী হবেনই।

                        মানবজীবনের বড় দুঃখ এটাই যে বেশিরভাগ মানুষ এই সত্যটাকে অনুধাবন করতে পারে না। অথচ আল কোরআনে আল্লাহ বলেছেন যে তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন কষ্ট ও পরিশ্রমনির্ভর করে। [সূরা বালাদ, আয়াত ৪]

                        • 106 views
                        • 1 answers
                        • 0 votes