10773
Points
Questions
23
Answers
5384
মেয়েদের মনোবিজ্ঞান নিয়ে মানুষের আগ্রহ সবসময়ই থেকেছে। তবে মনে রাখতে হবে, প্রত্যেক ব্যক্তিই অনন্য এবং সাধারণীকরণ করা সবসময় সঠিক নয়। তা সত্ত্বেও, মনোবিজ্ঞানীরা মেয়েদের মনোবিজ্ঞান নিয়ে বহু গবেষণা করেছেন এবং কিছু সাধারণ ধারণা তৈরি করেছেন।
কিছু উল্লেখযোগ্য তথ্য হল:
- সম্পর্কের গুরুত্ব: মেয়েরা সাধারণত সম্পর্ককে বেশি গুরুত্ব দেয়। বন্ধুত্ব, পরিবার এবং রোমান্টিক সম্পর্ক তাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
- সহানুভূতি: মেয়েরা সাধারণত অন্যের প্রতি বেশি সহানুভূতিশীল হয়। তারা অন্যের অনুভূতি বুঝতে এবং তাদের সাহায্য করতে পছন্দ করে।
- সমস্যা সমাধান: মেয়েরা সাধারণত সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে আবেগকে যুক্ত করে। তারা সমস্যার পিছনে কারণ খুঁজতে চায় এবং সমাধানের জন্য বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করে।
- সামাজিক যোগাযোগ: মেয়েরা সাধারণত সামাজিক যোগাযোগকে উপভোগ করে। তারা বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচয় করাতে পছন্দ করে।
- শারীরিক পরিবর্তনের প্রভাব: মেয়েদের শারীরিক পরিবর্তন, বিশেষ করে কিশোরী বয়সে, তাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে।
- স্বীকৃতির প্রয়োজন: মেয়েরা সাধারণত অন্যের কাছ থেকে স্বীকৃতি এবং প্রশংসা পেতে চায়।
- ভয় এবং উদ্বেগ: মেয়েরা পুরুষদের তুলনায় কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে বেশি ভয় এবং উদ্বেগ অনুভব করতে পারে।
মনে রাখবেন:
- এই তথ্যগুলি সাধারণ ধারণা এবং প্রত্যেক মেয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে না।
- মেয়েদের মনোবিজ্ঞান জটিল এবং বিভিন্ন কারণে প্রভাবিত হয়, যেমন পরিবার, সংস্কৃতি, ব্যক্তিত্ব ইত্যাদি।
- কোনো মেয়েকে বুঝতে হলে, তার ব্যক্তিত্ব এবং অভিজ্ঞতাকে বিবেচনা করা জরুরি।
আপনি যদি মেয়েদের মনোবিজ্ঞান সম্পর্কে আরও জানতে চান, তাহলে আপনি নিম্নলিখিত বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা করতে পারেন:
- কিশোরী মেয়েদের মনোবিজ্ঞান
- নারীদের কর্মক্ষেত্রে মনোবিজ্ঞান
- সম্পর্কে নারীদের মনোবিজ্ঞান
- নারীদের মানসিক স্বাস্থ্য
আপনার কোনো নির্দিষ্ট প্রশ্ন থাকলে, দ্বিধা করবেন না, জিজ্ঞাসা করুন।
Disclaimer: কোনো মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে, অবশ্যই একজন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
- 88 views
- 1 answers
- 0 votes
পৃথিবীতে সুখ বলতে কিছু নেই
আবার পৃথিবীতে সুখ আছে
যে ব্যক্তি বুক বিলাসিতা ভোগ করেও আল্লাহ পাকের শুকরিয়া আদায় করে না সে হলো সবচেয়ে বড় দুঃখী ব্যক্তি।
আর শত কষ্টের মাঝেও জীবন যাপন করে আল্লাহ পাকের শুকরিয়া আদায় করে আলহামদুলিল্লাহ সে হলো সবচেয়ে সুখী ব্যক্তি।
একটা উদাহরণ দেই :একজন ব্যক্তি মাঠে-ঘাটে কাজ করে একজন কৃষক তার ছেলেকে লেখাপড়া করে ভালো একটু চাকরি পাইয়ে দিল। আর সেই সুখ সয়বার মত বা বুক করার মত সময়সীমা হলো না সে পৃথিবী থেকে বিদায় নিল। কষ্টের পরে যে সুখটা আসলো সেটা কিন্তু তার জন্য না তার ছেলে কিছু ভোগ করতে পারে। শত কষ্টের মাঝেও থেকে যে ব্যক্তি শুকরিয়া আদায় করবে বলবে আলহামদুলিল্লাহ সেই হচ্ছে সবচেয়ে বড় সুখী এবং কষ্টের পরে তারও সুখ।
- 85 views
- 1 answers
- 0 votes
“চালাক” এবং “বুদ্ধিমান” দুটি শব্দের মধ্যে সাম্য আছে কিন্তু এদের পার্থক্য রয়েছে এবং এটা সাম্যমূলক সংজ্ঞা বোঝায়।
“চালাক” হল একজন যে সহজেই অন্যদেরকে ঠকিয়ে প্রাপ্তি করতে পারে অথবা সামান্য বিষয়গুলি চিন্তা করে যারা আরেকজনকে ধারালো বা বিপক্ষে কাজ করতে পারে। চালাকতা সাধারণত সামগ্রিক লাভের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়, এটি অপরকে প্রতারণা করার জন্য ব্যবহৃত হয় না।
“বুদ্ধিমান” হল যে ব্যক্তি চিন্তা করে এবং বোঝার ক্ষমতা রয়েছে, যাতে সমস্যা সমাধান করা ও নিজের আর অন্যদের উপকারের জন্য প্রয়োগ করা যায়। একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তি অন্যদের সমস্যা নিয়ে চিন্তা করবে এবং সমাধান উপস্থাপন করতে পারে এবং সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হতে পারে।
চালাক ও বুদ্ধিমান হওয়ার মধ্যে একটি পার্থক্য হল চালাকতা সাধারণত স্বার্থের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়, যেখানে বুদ্ধিমান সামাজিক ও নৈতিক মানদণ্ডের অনুযায়ী কাজ করে। একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তি তাদের সম্প্রদায় ও সামাজিক ভাবের সুরক্ষা করতে চালাক পদক্ষেপ নিতে পারেন, তবে এটি সামাজিক নৈতিকতা এবং সঠিক সামাজিক পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয় এবং চালাক প্রয়োগ না করে অপরের সাহায্য করতে প্রয়োজনীয় বুদ্ধিমানতা ব্যবহার করে।
যদি এরকম আরও সুন্দর সুন্দর তথ্যবহুল আকর্ষণীয় লেখা পড়তে চান, তাহলে আমার সাইটটি থেকে ঘুরে আসতে পারেন:-
- 93 views
- 1 answers
- 0 votes
বাস্তব সত্য তো এই, যে প্রতিকূলতা আসলে আমাদের সক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে। আমরা আগে যা করতে পারতাম, প্রতিকূলতার সাথে লড়াই করে আগের চেয়ে দ্বিগুণ করার সামর্থ্য আমাদের বেড়ে যায়। কারণ কথায় বলে, a smooth sea never made a skillful sailor. অর্থাৎ যে সমুদ্র কখনো উত্তাল হয় না, ঝড়ের কবলে পড়ে না, সেখানে কখনোই একজন দক্ষ নাবিক গড়ে উঠতে পারে না।
জীবনে যখন আমরা সমস্যায় পড়ি, ঝামেলায় পড়ি, এবং সেটাকে মোকাবেলার চেষ্টা করি, তখনই কিন্তু আমাদের মধ্যে সমস্যা সমাধান করার দক্ষতা সৃষ্টি হয়। আমাদের মেধা বিকশিত হয়। জীবনে তখন আরও বড় কিছু করার সম্ভাবনা আমাদের বেড়ে যায়।
তো দুঃসময়ে দুঃসময়ের সত্যগুলোকে মনে রাখি, ভাবি, এবং এটা আমাকে ভেঙে যাওয়ার পরিবর্তে নিজেকে গড়তে সাহায্য করে।
দুঃসময় কীভাবে একজন মানুষকে গড়তে পারে এ নিয়ে বিস্তারিত একটি লেখা পড়েছিলাম, এখানে পাবেন – কষ্টকে শক্তিতে রূপান্তর করার প্রক্রিয়া
এই লেখাটিতে আপনি আরও সুন্দর উত্তর পাবেন।
- 102 views
- 1 answers
- 0 votes
জীবনকে অর্থ প্রদান করাই হল জীবনের অর্থ; “জীবনের অর্থ কী?” এই প্রশ্নের উত্তরে মহাবিশ্বের কঠিন, শীতল নীরবতা হয়তো আসলেই কোনো মনস্তাত্ত্বিক অত্যাচার নয়, বরং আশাজনক । কারণ এই নীরবতার অর্থ হয়তো এই যে আমাদের জীবনের অর্থ নিয়ে মহাবিশ্বের কিছু যায় আসে না ; আমরা যেমনভাবে চাই বাঁচতে পারি, যেমনভাবে খুশি জীবনকে অর্থপূর্ণ করে তুলতে পারি, আবার নাও তুলতে পারি । দিনের শেষে আমাদের হারানোর কিছু নেই কারণ মহাবিশ্ব আমাদের পরীক্ষা নিচ্ছে না । আমাদের জীবনের মূল্যায়নে তার আগ্রহ নেই ।
হয়তো “জীবনের অর্থ কী?” এই প্রশ্ন তুলে আমরা নিজেরাই নিজেদের পরীক্ষা নিচ্ছি; উত্তরও তাই আমাদেরই আমাদের মতো করে দিতে হবে । আর এর উত্তর “টুকতে” যাওয়াটা “নিজের সম্পর্কে কিছু বল”র উত্তর টুকতে যাওয়ার মতোই অনর্থক— পড়তে যতই সুন্দর হোক, তা আমার কথা বলবে না; বলবে অন্য কারও কথা । “সাদা খাতা” জমা দেওয়ার চাইতে কি প্রকৃতঅর্থেই শ্রেয় তা?
- 86 views
- 1 answers
- 0 votes
বাহঃ খুব সুন্দর প্রশ্ন! “মানুষের জীবনে শান্তি নেই কেন”?
জীবনকে যদি এক বিশাল সাগর হিসেবে কল্পনা করা যায়, তবে সেখানে চিন্তা, অনুভূতি এবং পরিস্থিতির ঢেউগুলো একে অপরের সঙ্গে ক্রমাগত সংঘর্ষে লিপ্ত থাকে। মানুষের অভিজ্ঞতার সাগরটা কখনো শান্ত, কখনো উত্তাল। তবে, অস্থিরতা, চিন্তা ও সমস্যা গুলো প্রায়শই আমাদের মনের গভীরে শান্তির আলোকে ম্লান করে দেয়। এই কারণগুলো দেখানো যায় অনেকটা সৃজনশীলভাবে, যেন শান্তি অর্জনের পথটি আরও সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে:
- অস্থির মনোযোগের বাগান
আমাদের মন এক ধরনের বাগান, যেখানে নানা ধরণের গাছ রয়েছে—কিছু সুন্দর, কিছু বুনো, কিছু আবার বিষাক্ত। আমরা প্রায়ই নেতিবাচক চিন্তা এবং উদ্বেগকে বেড়ে উঠতে দিই। এই ‘গোলাপ’ নয়, বরং দুঃখ, ভয় এবং অনুশোচনা দিয়ে ভরা আগাছাগুলি আমাদের শান্তির আলোকে আড়াল করে দেয়। শান্তি পেতে হলে, আমাদের মনোযজ্ঞের বাগানকে পরিচর্যা করতে হবে—এগুলো দূর করে কৃতজ্ঞতা, মনের শান্তি এবং আত্মসম্মানের চারা গাছগুলি রোপণ করতে হবে। - দূরত্বের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি
আমরা শান্তি খুঁজে চলি, ঠিক যেমন একজন পথিক দূরবর্তী দিগন্তে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। আমরা মনে করি, শান্তি তখনই আসবে যখন আমরা সফল হবো, ভালো চাকরি পাবো, কিংবা নিখুঁত সম্পর্ক পাবো। কিন্তু, ঠিক যেমন দিগন্ত আমাদের প্রতি পদক্ষেপে পাল্টে যায়, তেমনি শান্তির ধারণাও ক্ষণস্থায়ী হয়। আসলে, শান্তি কোন গন্তব্য নয়—এটা একটি অনুভূতি, যা বর্তমান মুহূর্তে থাকার মধ্যে লুকিয়ে থাকে। - বিশ্বের মধুর ডাকে বিভ্রান্তি
পৃথিবীটা ভরা অযথা ব্যস্ততা, প্রলুব্ধ করার জিনিস, এবং টেনশনের মাঝে। এইসব আসলেই আমাদের শান্তির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, ঠিক যেমন পুরাণে ‘সিরেন’ আমাদেরকে বিপদের দিকে টেনে নিয়ে যায়। এই ব্যস্ততার মাঝে আমরা নিজের সঙ্গ হারিয়ে ফেলি, এবং শান্তি আমাদের হাতের বাইরে চলে যায়। শান্তি পেতে হলে, আমাদের এই শব্দদের মধ্যে থেকে নীরবতা খুঁজে বের করতে হবে, এবং আমাদের অন্তরের শান্ত কলটি শোনার জন্য মনোযোগী হতে হবে। - ভেঙে পড়া আত্মা
প্রতিটি মানুষ নিজেকে একটি জটিল রূপে দেখতে পারে—স্বপ্ন, ভুল, স্মৃতি, আকাঙ্ক্ষা—এগুলো একে অপরের সাথে মিশে থাকে। কিন্তু যখন আমাদের জীবন আমাদের আসল চাহিদার সঙ্গে মেলে না, অথবা অতীতের কোনো অসম্পূর্ণতা আমাদের ভিতরে বিরক্তি সৃষ্টি করে, তখন শান্তি যেন মুছে যায়। শান্তি তখনই আসবে, যখন আমরা নিজেদের ভাঙা টুকরোগুলিকে সঠিকভাবে মেলাতে পারবো, এবং আমাদের জটিলতা ও অসম্পূর্ণতাকে গ্রহণ করতে শিখবো। - অপূর্ণ সঙ্গীত
জীবন একটি বিশাল সঙ্গীতের মতো—কিন্তু আমরা প্রায়শই পরবর্তী সুরের জন্য তাড়াহুড়ো করি, বর্তমান সুরটি উপভোগ করার সুযোগ না পেয়ে। আমরা ভাবি, আরো অর্জন করতে হবে, নিজের প্রমাণ দিতে হবে, এবং এটা করতে গিয়ে আমাদের বিশ্রাম নেওয়ার সময়ই পাই না। কিন্তু শান্তি সেই শব্দের মাঝে লুকিয়ে থাকে, যেখানে সুরের মাঝে শূন্যতা থাকে। আমাদের জন্য শান্তি পাওয়ার পথে, আমরা যতটা না কাজ করি, তার চেয়ে বেশি “বিশ্রাম” চাই। - অসন্তুষ্ট যোদ্ধা
মাঝে মাঝে, আমরা মনে করি আমরা এক ধরনের যোদ্ধা, যারা নিত্যদিন সংগ্রাম করছে—সময়সূচি, জীবনের প্রতিকূলতা, অন্যান্য মানুষের প্রত্যাশার বিরুদ্ধে। তবে শান্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয় না; শান্তি আসে আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে। যখন আমরা জীবনকে যেভাবে আসতে দেয়ার জন্য প্রস্তুত হই, যখন আমরা বুঝি যে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়, তখন শান্তি ধীরে ধীরে নিজের মধ্যে প্রবাহিত হতে শুরু করে, ঠিক যেমন এক শান্ত নদী। - অন্যদের আয়নায় শান্তি
আমাদের সম্পর্ক অনেক সময় আমাদের শান্তিকে প্রভাবিত করে। যখন আমাদের সম্পর্কগুলো অমীমাংসিত থাকে, বা অপর্যাপ্ত সমঝোতা থাকে, তখন শান্তি ভেঙে পড়ে, ঠিক যেমন একটি আয়না টুকরো টুকরো হয়ে যায়। আমরা অন্যদের কাছ থেকে প্রশংসা এবং গ্রহণের জন্য শান্তি খুঁজি। কিন্তু আসল শান্তি আসে যখন আমরা বুঝি, অন্যদের মনোভাব আমাদের আত্মবিশ্বাস ও শান্তির পথে কোন বাধা হতে পারে না। নিজেকে ভালোবাসতে শিখলে, আমরা অন্যদের কাছে শান্তি ফিরে পাবো।
শেষে, শান্তির পথ কোন অজানা পথ নয়; এটি এক ধরনের নাচ—আমাদের জীবনের সব সমস্যা, অস্থিরতা এবং ব্যস্ততার মাঝেও। এটি এক ধরনের প্রবাহ, যেখানে আমরা কিছুটা ধীর হয়ে, নিজের মধ্যে প্রবাহিত শান্তির অন্বেষণ করি।
- 89 views
- 1 answers
- 0 votes
- অস্থির মনোযোগের বাগান
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, প্রশ্নটি করার জন্য।
মানসিক রোগ হলো :-
মনের রোগ অথবা মনের অসুখ।
যা হলে আপনার কোনো কিছুই ভালো লাগবে না এবং কোনো কিছুতেই মন বসবে না।
আর, সেটা হতে পারে কোনো আপনজনের আঘাতের কারনে।
বা, নিজেকে নিয়ে , কোনো কিছুর ভয় থেকে।
আবার কিছু না পাওয়া, বা সেখানে অর্থাৎ কোনো লক্ষ্যে ব্যর্থ হওয়ার কারণে।
- 99 views
- 1 answers
- 0 votes
মানুষের জীবনে শান্তি না থাকার কারণ অনেক। এর মধ্যে কিছু শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং আধ্যাত্মিক দিক রয়েছে। এখানে কিছু প্রধান কারণ উল্লেখ করা হলো:
১. মানসিক চাপ ও উদ্বেগ:
মানুষের জীবনে অতিরিক্ত চাপ, দুশ্চিন্তা, আর উদ্বেগ বেশিরভাগ সময় শান্তির অভাব সৃষ্টি করে। কাজের চাপ, পারিবারিক সমস্যা, আর্থিক টেনশন বা ভবিষ্যতের অজানা উদ্বেগ মানুষের শান্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
২. আত্মবিশ্বাসের অভাব:
নিজেকে না জানার বা নিজেকে অসম্মান করার কারণে মানুষ শান্তি খুঁজে পায় না। আত্মবিশ্বাসের অভাব এবং পরাজয়ের ভয় তাকে মানসিক অস্থিরতায় ফেলতে পারে।
৩. সম্পর্কের টানাপোড়েন:
পারিবারিক বা সামাজিক সম্পর্কের সমস্যাও শান্তির অভাব সৃষ্টি করতে পারে। মানুষ যখন একে অপরের সাথে পরস্পর বিরোধিতা বা অশান্তি অনুভব করে, তখন তার মানসিক শান্তি ধ্বংস হয়ে যায়।
৪. আধ্যাত্মিক অভাব:
আধ্যাত্মিক শান্তির অভাব, যেমন আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও আত্মবিশ্লেষণ, অনেক সময় মানুষকে ভিতরে শূন্য ও অশান্ত করে তোলে। ধ্যান, প্রার্থনা বা আধ্যাত্মিক মূল্যবোধের অভাব শান্তির খোঁজে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
৫. পৃথিবী ও সমাজের বাস্তবতা:
বিশ্বে যেসব অশান্তি, যুদ্ধ, দারিদ্র্য, দুর্ভিক্ষ বা পরিবেশগত বিপর্যয় ঘটছে, তা অনেক সময় মানুষের শান্তিতে বিঘ্ন ঘটায়। সমাজের অস্থিরতা, বৈষম্য এবং অন্যায়ও ব্যক্তিগত শান্তি নষ্ট করতে পারে।
৬. অপ্রাপ্তি বা চাহিদা পূরণের চেষ্টা:
মানুষের চাহিদা কখনোই পূর্ণ হয় না, এবং যখন ব্যক্তিগত বা বাহ্যিক প্রাপ্তি সম্পূর্ণ হয় না, তখন মানুষের মন অস্থির হয়ে ওঠে। অনেক সময় অপ্রাপ্তির কারণে শান্তি খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
৭. অতীতের দুঃখ বা কষ্ট:
পূর্বের জীবনের দুঃখজনক অভিজ্ঞতা, যেমন হারানো প্রিয়জন, সম্পর্কের ভাঙন বা অন্য কোনো ক্ষতি, অনেক সময় বর্তমান জীবনে শান্তি বিরোধী হয়ে দাঁড়ায়।
শান্তির খোঁজে কিছু উপায়:
- নিজের সাথে শান্তি: নিজেকে ভালোভাবে জানুন, মনের শান্তির জন্য সময় বের করুন, ও নিজেকে ক্ষমা করুন।
- আধ্যাত্মিক চর্চা: আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস এবং প্রার্থনায় শান্তি পাওয়া সম্ভব।
- ধ্যান এবং মানসিক প্রশান্তি: যোগব্যায়াম বা ধ্যান মনের শান্তি আনতে সাহায্য করতে পারে।
- সামাজিক সম্পর্ক: ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলুন এবং সমাজের সঙ্গে সম্পর্ক সুন্দর রাখুন।
- নেতিবাচক চিন্তা থেকে দূরে থাকা: পজিটিভ চিন্তা ও আশাবাদী মনোভাব শান্তির দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
মানুষের জীবনে শান্তির অভাব হতে পারে নানা কারণে, কিন্তু শান্তি অর্জনের পথ রয়েছে—এটি আত্মবিশ্বাস, আধ্যাত্মিক শক্তি, সম্পর্কের সঠিক সামঞ্জস্য এবং ইতিবাচক চিন্তাধারার মাধ্যমে পাওয়া যায়।
- 90 views
- 1 answers
- 0 votes
উচ্চ রক্তচাপ (হাই ব্লাড প্রেসার) নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিছু কার্যকর উপায় হলো:
১. পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করুন
- কম লবণ গ্রহণ করুন: দিনে ৫ গ্রাম বা তার কম লবণ খাওয়া উচিত।
- সবজি ও ফল খান: পটাশিয়ামযুক্ত খাবার (যেমন কলা, কমলা, মিষ্টি আলু) রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
- ফ্যাট কম খান: স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ট্রান্স ফ্যাট কমিয়ে রাখুন।
- ড্যাশ ডায়েট অনুসরণ করুন: ড্যাশ (DASH – Dietary Approaches to Stop Hypertension) ডায়েট উচ্চ রক্তচাপ কমাতে কার্যকর।
২. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
- অতিরিক্ত ওজন উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন।
৩. নিয়মিত ব্যায়াম করুন
- সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ৩০ মিনিট হাঁটা, সাইক্লিং, বা হালকা ব্যায়াম করুন।
৪. মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন
- মেডিটেশন বা যোগব্যায়াম অভ্যাস করুন।
- পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন (৬-৮ ঘণ্টা)।
৫. ধূমপান ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন
- ধূমপান রক্তচাপ বৃদ্ধি করে।
- অ্যালকোহল সীমিত বা পুরোপুরি পরিহার করুন।
৬. পর্যাপ্ত পানি পান করুন
- শরীর হাইড্রেটেড রাখতে দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।
৭. চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
- রেগুলার রক্তচাপ মাপুন।
- উচ্চ রক্তচাপ থাকলে সময়মতো ওষুধ নিন।
- চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে স্বাস্থ্যকর জীবনধারা নিশ্চিত করুন।
আপনার স্বাস্থ্যগত অবস্থার ওপর ভিত্তি করে বিশেষ পরামর্শের প্রয়োজন হলে একজন চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
- 101 views
- 1 answers
- 0 votes
প্রথমত, জানতে থাকুন। না জানলে আপনার আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি থাকবেই। তাই সর্বপ্রথমে আপনার যে বিষয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে চাচ্ছেন, সে বিষয়ে পড়াশোনা করতে থাকুন।
দ্বিতীয়ত, আপনার চাইতে দক্ষ ও যোগ্য লোকদের সাথে মিশতে থাকুন। তাহলে আপনার অভিজ্ঞতা ও কাজের ব্যাপারে দক্ষতা বাড়বে এবং আত্মবিশ্বাস বাড়বে। তারা আপনাকে সময় দিতে চাইবে না, আপনাকেই সুযোগ বুঝে তাদের কাছাকাছি যেতে হবে, তাদের নজরে আসার চেষ্টা করতে হবে।
তৃতীয়ত, আপনার কাজের উন্নতি করুন। কোয়ালিটি ডেভলপ করুন। স্কিল বাড়ান। বড় পরিকল্পনা করে কাজ করতে শিখুন। কাল একটা কাজ যেভাবে করেছিলেন, আজ সেটার চেয়ে আরো ভালোভাবে করার চেষ্টা করুন। কাল যেভাবে কথা বলেছেন, আজ সেটার চেয়ে আরো স্মার্টলি কথা বলার চেষ্টা করুন। কালকের চেয়ে আজ আপনার নেটওয়ার্ক বাড়ানোর চেষ্টা করুন।
প্রয়োজনে ছোটখাটো রিস্ক নিয়ে ফেলুন। রিস্ক না নিয়ে কাজ না করলে
আত্মবিশ্বাস বাড়ে না। রিস্ক নিয়ে সফলতার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করুন। দেখবেন সফল হলে , আত্মবিশ্বাস কতটা বেড়ে গেছে !!!
- 97 views
- 1 answers
- 0 votes